লংমার্চে সফরকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ।
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:০০:২৬ রাত
আল্লাহ ও রাসূল সঃ এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারী ব্লগারদের শাস্তির দাবীতে এবং সরকারের সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল ২০১৩ এ হেফাজতে ইসলাম- এর ডাকা ঢাকা অভিমূখে লংমার্চের জন্য করনীয় কিছু বিষয়ে পরামর্শ। যারা কোন সংগঠনের সাথে সরাসরি যুক্ত নয়, কিন্তু একজন মুসলমান হিসাবে এ লংমার্চে অংশ নিতে আগ্রহী তারা এ পরামর্শগুলি বিবেচনা করতে পারেন। আর যদি হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে কর্মসূচী বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরাসরি কোন নির্দেশনা পান তবে সেটিই ফলো করবেন।
১। সবাই সাথে শুখনো খাবার (চিড়া, মুড়ি, গুড় ইত্যাদি) নিয়ে আসবেন।
২। কিছু common ওষুধ সাথে রাখবেন। যেমনঃ খবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল/ নাপা,স্যাভলোন ইত্যাদি। প্রতিটি গাড়িতে অন্তত একটি ফাষ্ট এইড বক্সসহ এমন একজন ব্যক্তি রাখবেন যিনি প্রাথমিক চিকিৎসার ধারণা রাখেন । ঐ রকম বক্স বাংলাদেশে ৭/৮ শ টাকায় ওষুধ সহ পাওয়া যায় ।
৩। সুতি কাপড় পরে আসবেন। at least বসার জন্য কোন কাপড় নিয়ে আসবেন।
৪. প্রতিটি গাড়ীতে একটি খাবার পানির ড্রাম ও একটি বা দুটি বদনা রাখুন...
৫. প্রয়োজনীয় টিসু পেপার বা ঢিলা সাথে রাখুন ।
৬. মোবাইলের বিকল্প ব্যাটারী রাখুন, প্রয়োজনে গাড়ির ব্যাটারী থেকে চার্জ করার বিকল্প জেক রাখুন । গাড়ি ঠিক করার সময়ই বলে রাখুন মোবাইলে চার্জ করাবার সুযোগ দিতে হবে ।
৭. কেউ নামাজের আগে ১ ঘন্টা আবার কেউ নামাজের পরের এক ঘন্টা মোবাইল খোলা রাখুন । এতে করে ব্যাটারীর চার্জ সেইভ হবে । অল্প কথায় সেরে ফেলুন ।
৮. একটি গাড়িতে যত জন থাকবেন প্রত্যেকের মোবাইলনং সংগ্রহে রাখুন এবং আলাদা কাগজ কলম রাখুন ।
৯. প্রত্যেকের গাড়ি থেকে একজন করে প্রবাসী এক্টিভিস্ট এর সাথে সার্বক্ষনিক আপডেট দিতে থাকুন যিনি বিশ্বমিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দিবেন ।
১০ . অতিরিক্ত আবেগী হয়ে পড়বেন না । নিজ নিজ দলের দলনেতার আদেশ মেনে চলবেন । একা একা দলথেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না ।
১১. জবানে জিকির জারী রাখবেন । অতিরিক্ত এবাদত হিসেবে প্রতিটি গাড়ির লোকজন যাবার পথে একলক্ষ পঁচিশ হাজার বার দোয়ায়ে ইউনুচ আদায় করতে পারেন ।
১২. প্রতি গাড়িতে একটি টুথপেষ্ট বা জেল যেটা চোখের উপরে নীচে প্রলেপ দিয়ে রাখলে পুলিশের কাদানে গ্যাসের তীব্রতা থেকে কিছুটা হলেও সেইভ থাকা যায়... সাথে রাখুন ।
১৩। সবাই ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড সাথে না নিয়ে আসতে পারলেও at least কাগজে আপনার বক্তব্য বড় করে লিখে নিয়ে আসবেন।
১৪। রওয়ানা হবার সময় অযু করে বের হলে ভাল হয়।
১৫। হাতে তজবিহ, মিসওয়াক ও জায়নামাজ, কালেমার পতাকা, নিয়ে যাবেন।
১৬। ১৩ দফার দাবীর ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড
আসার পথের নির্দেশনাঃ
১। এখন থেকে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় হেফাজতে ইসলামের সহযোগিতায় লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করুন ও প্রস্তুতি গ্রহন করুন। যদি হেফাজতে ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন তাহলে নিজেরাই কমিটি গঠন করুন।
২। অনেক মানুষ একসাথে রওয়ানা দিবেন। কমপক্ষে ২,৫০০ জন/ ৩০ টা বাস একসাথে থাকবেন।
৩। অযথা সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন না। পুলিশ বাধা দিলে তাদের কে মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝাবেন।
৪। যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়বেন আর আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করবেন।
৫। কোথাও কোনো ভাংচুর করবেন না।
৬। আর গুন্ডালীগ বাধা দিলে সরাসরি তাদের প্রতিরোধ করুন।
৭। সবাই নিম্নে উল্লেখিত রুট ফলো করে inter-communication রক্ষা করবেন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন গুন্ডালীগ রাস্তা অবরোধ করে রাখেছে কি না অথবা লংমার্চে আসার পথে বাধা দিচ্ছে কি না। যদি বাধা দেয় তাহলে স্থানীয় জনগন নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করে রাস্তা চলাচল উপযোগী করে তুলবেন।
৯। প্রতিটি রুটের শুরু থেকে লংমার্চ start হবে। প্রতিটি রুটের আগের জেলা থেকে তওহিদী জনতা পরবর্তী জেলার তওহিদি জনতার সাথে মিলিত হবেন এবং পরবর্তী জেলায় একসাথে রওয়ানা দিবেন। প্রয়োজনে এখন থেকে আন্তঃজেলা যোগাযোগ করে রাখুন। প্রতিটি জেলা পরস্পর যোগাযোগ করে মিলিত হওয়ার time-place নির্ধারণ করুন।
যেমনঃ কক্সবাজার/ বান্দরবান/ রাঙ্গামাটি থেকে একসাথে লংমার্চ start হবে। এরা সবাই চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চট্টগ্রামের তওহিদি জনতার সাথে মিলিত হবেন। আর চট্টগ্রাম যোগাযোগ করবেন ফেনী/নোয়াখালী/লক্ষ্মীপুর/চাঁদপুর এর সাথে।
সবকিছু নির্ধারণের সময় হেফাজতে ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার পূর্ণ চেষ্টা করুন। যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন তাহলে নিজেরা এই সিদ্ধান্ত গুলা নিবেন।
১০। আপনার নিজ জেলার কোথা থেকে কখন সবাই একসাথে রওনা দিবেন তা নির্ধারণ করে এখন থেকে প্রচার করুন।
১১। রওয়ানা দেওয়ার time এমন ভাবে নির্ধারণ করবেন যাতে ৬ তারিখ সকাল ৬.০০ টায় সবাই ঢাকায় উপস্থিত হতে পারেন।
লংমার্চের রুটঃ
রুট ১: কক্সবাজার/বান্দরবান/রাঙ্গামাটি -চট্টগ্রাম - ফেনী/নোয়াখালী/লক্ষ্মীপুর/চাঁদপুর - কুমিল্লা-ঢাকা
রুট ২: পঞ্চগড়- ঠাকুরগাঁও –দিনাজপুর/নীলফামারী/লালমনিরহাট/কুড়িগ্রাম-রংপুর – গাইবান্ধা/ জয়পুরহাট/ নওগাঁ – বগুড়া – সিরাজগঞ্জ- টাঙ্গাইল- গাজীপুর -ঢাকা
রুট-৩: সুনামগঞ্জ - সিলেট – মৌলভীবাজার- হবীগঞ্জ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- নরসিংদী-ঢাকা
রুট ৪:জামালপুর – শেরপুর/ নেত্রকোনা – ময়মনসিংহ/ কিশোরগঞ্জ - গাজীপুর-ঢাকা
রুট ৫:নওয়াবগঞ্জ –রাজশাহী – নাটোর/পাবনা – সিরাজগঞ্জ - টাঙ্গাইল- গাজীপুর-ঢাকা
রুট ৬: বরগুনা-পটুয়াখালী/ ভোলা-বরিশাল – মাদারীপুর/শরীয়তপুর- ঢাকা
রুট ৭: পিরোজপুর – বাগেরহাট/ সাতক্ষীরা – খুলনা-গোপালগঞ্জ-ভাঙ্গা- ঢাকা
রুট ৮: মেহেরপুর – চুয়াডাঙ্গা/ কুষ্টিয়া/ যশোর- ঝিনাইদহ/নাড়াইল-মাগুরা-ফরিদপুর/রাজবাড়ী- মানিকগঞ্জ- ঢাকা
সর্বোপরি আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহর রহমতের আশা করে অহংকার মুক্ত হয়ে নেক নিয়তে যাত্রা শুরু করবেন । মনে রাখবেন বিশ্ব মুসলিমের দোয়া আপনাদের সাথে আছে...
আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন....
লংমার্চ সফল হোক, মহাসমাবেশ সফল হোক...
উপর্যুক্ত পরামর্শগুলির সাথে আরো কোন গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ থাকলে আমাদের এখানে পাঠান, আমরা যুক্ত করার চেষ্টা করব।
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন