বিজিবির গুলিতে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে.......।
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৩:১৬:০৭ দুপুর
বিজিবির গুলিতে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে চোখের পানি ফেলছেন আপনের পিতামাতা
আবদুল গফুর নীলফামারী
তারিখ: ১৯ মার্চ, ২০১৩
বিজিবির গুলিতে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক বাবা-মা। ছেলের ছবি নিয়ে দিনরাত চোখের পানি ফেলছেন তারা। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামের গ্রামডাক্তার আনিছুর রহমান ও গৃহিণী আমেনা বেগমের একমাত্র ছেলে ছিল আতিকুল ইসলাম আপন। সে খুটামারা আলিম মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় স্নেহ আদর ছিল তার একটু বেশি। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিখিয়ে ছেলেকে বড় ডাক্তার করবেন। কিন্তু একটি বুলেট সব তছনছ করে দেয়।
গত ২ মার্চ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঙ্গদীর মুক্তির দাবিতে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশ-বিজিবির গুলিতে শহীদ হয় আপন। বিক্ষোভ মিছিলটি টেংগনমারী বাজার থেকে জলঢাকা যাওয়ার পথে রাজারহাটে গুলিচালায় বিজিবি ও পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আপন। পরের দিন টেংগনমারী ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আপনকে। নামাজে জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। নিহতের পিতা আনিছুর রহমান নামাজে জানাজার আগে বলেন, তার ছেলের মৃত্যুতে তার কোনো কষ্ট নেই। কারণ সে গর্বিত শহীদের পিতা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সাঙ্গদীকে জেলখানায় আটকে রেখে যে কষ্ট দেয়া হচ্ছে তাতে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি তার ছেলের মৃত্যুর বদৌলতে মাওলানা সাঈদীর মুক্তি দাবি করেন।
কবিরাজপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে আপন হারানোর শোক এখনো কাটেনি গ্রামে। ছেলেকে হারানোর পর থেকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা আমেনা বেগম। ছেলের ছবি ও বইখাতা নিয়ে সর্বদা বিলাপ করছেন তিনি। ওষুধের দোকানে যাওয়া বন্ধ করে বাড়িতে বসে সব সময় বিড়বিড় করে কী যেন বলতে থাকেন পিতা আনিছুর রহমান।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন