পিতা দোয়া করলেন-দ্বীনের মুজাহিদ। আর কর্মী করলো-শহিদী মরণ। হে পরোয়ারদেগার...!! তুমি কোনটি কবূল করলে??
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৪:৪৮ সন্ধ্যা
উপকার/খেদমত করে অথবা না করে বহু জনের দোয়া অর্জনের সূযোগ হয়েছে।
কখনো কারো থেকে বদ-দোয়া কুড়ানোর মন-মানসিকতা ছিলনা আর সে ধরণের আচরণ কারো সাথে করাও হয় নাই। যদিও মনের অজান্তে......তার পরিণাম যেন আল্লাহ দুনিয়াতেই দিয়ে দেন।
হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহঃ এর মত মায়ের খেদমত করে (বড় ওলী হওয়ার) দোয়া পাওয়ার সূ-যোগ হয়তো কখনো কপালে জুটেনি। কিন্তু কারাগারে বন্দি হয়ে বিনা খেদমতে বাবার কাছ থেকে যে দোয়া পেয়েছি তা বায়েজিদ বোস্তামী'র মায়ের দোয়া থেকেও অনেক দামী।
আমার বাবা যে দোয়া করলেন-
"হে আল্লাহ!! আমার ছেলেকে তুমি দ্বীন প্রচারের দায়ী ও দ্বীন রক্ষার মুজাহীদ হিসেবে কবূল করে নাও"
আজ আমার একজন কর্মী(বর্তমান সাথী) আমার জন্য যে দোয়া করলেন তা আমার বাবা'র দোয়া থেকেও অধীক চাওয়া-পাওয়ার।
আর তা হলো-
"শহিদী মরণ"
তিনি আমার জন্য দোয়া করলেন,
"ফয়সাল ভাই!! আজ আপনার জন্ম দিন। আমি হ্যাপি বার্থডে(??) বলে শুধু আজকের জন্ম দিনটা আপনার জন্য শুভ হোক, তা বুঝাতে চাচ্ছিনা। আমি দোয়া করি আপনি এই দিনে যেমনি ভাবে নিষ্পাপ হয়ে দুনিয়াতে আগমন করেছেন ঠিক তেমন নিষ্পাপ অবস্থায় শাহাদাতের মর্যাদা নিয়ে দূনিয়া থেকে বিদায় নিবেন।"
আমিও আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে আমিন বললাম।
জানিনা, পরোয়ারদেগার এই দু'টি থেকে কোনটি বাচাই করেছেন??
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এমন যেন না হয়(!!) দুটির একটিও কবূল হয়নি।
আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কাউকে নিরাশ করেন্না। আর তিনিই দোয়া কবূল কারী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন