প্রিয় দেলোওয়ার ভাই!!! আসলেই তুমি মহান......নেতা হওয়ার যোগ্য।
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৫০:৫৭ সন্ধ্যা
প্রিয় দেলোওয়ার ভাই!!! আসলেই তুমি মহান..নেতা হওয়ার যোগ্য।
...............
--রিমান্ডে নিয়েছে তা ঠিক। কিন্তু সে কথা মনে হলে আমার কাছে কষ্টের কোন কিছুই মনে হয়না বরং আনন্দের কথা মনে হয়।
--কেন?
--কারণ, আমাকে রিমান্ডের পর যখন কেন্দ্রিয় কারাগারে নেয়া হলো তখন দেলওয়ার ভাইয়ের সাথে দেখা। জানতে পারলাম ওনাকেও রিমান্ড থেকে আনা হয়েছে। ওনার অবস্থা ছিল আমার ছেয়েও অনেক বেশি গুরুতর। আমি ওনাকে সালাম করলাম। কুশল বিনিময় হলো। অতঃপর তিনি আমাকে সান্তনা দিতে লাগলেন। আমার শারিরীক ব্যাথা দেখে আমাকে বললেন “আমার ব্যাগের মধ্যে একটি মলমের কৌটা আছে, তা নিয়ে এসো”। আমি এনে ওনার হতে দিলাম। তার পর বারণ করা সত্বেও তিনি আমার হাতে, পিঠে মলম লাগিয়ে দিলেন এবং পায়ের টাকনু এবং হাঁটুতেও। আমার চোখের কোনে পানি এসে গেল। একজন স্বাধারণ কর্মীর প্রতি কেন্দ্রিয় সভাপতির আচরণ, সহানুভূতি এতো নিরহংকার। তা ছাড়া কেন্দ্রিয় স্বভাপতির সংস্পর্ষ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়তো শুধু আমার-ই হয়েছে। (হাসানুল বান্না ভাই কথা গুলো বলাবস্থায়ও কেন্দে দিলেন)
--একি? আপনি বললেন আপনার কোন দুঃখ নেই। কিন্তু আপনার চোখে পানি।
--ভাই! এটি দুঃখের নয় আনন্দের।
--ভাই আপনার মতো সৌভাগ্য যদি আমার হতো! জানেন? তিন দিন নয় তিন মাস অথবা বৎসর রিমান্ডের পরও যদি এরুপ সৌভাগ্য আমার কপালে জুটে তবে আমি রাজি।
--------------------
এই যে, আপনারা, পুরো ঘটনা শুনবেন? বলছি,
৭/৫/২০১৩তারিখে চালান করা হলো কেন্দ্রিয় কারাগার হতে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১। ০৭তারিখ রাত আমদানি সেলে রেখে ০৮তারিখ দুপুরে পাঠিয়ে দেয়া হলো “কিশোর ওয়ার্ড”এ।সেক্ষানে আমার কেস পার্টনার কেহই ছিলনা। আমিকে একাই পাঠালো। আমাকে দেখে মাডার মামলার এক আসামী (জেলের ভাষায়-“বি-ক্লাস”এর একটি ছেলে) বলে উঠলো ওয়ার্ডে এমনিতেই জায়গা নেই। আবার আমদানি করা হলো? আর এ নাকি কিশোর? দাঁড়ি দেখেতো মনে হচ্ছে ২৫-৩০ বৎসরেরও বেশি। (কথা গুলো যদিও আমি ভদ্র ভাষায় লিখেছি সে কিন্তু ভদ্র ভাষায় বলেনি। বরং তার উলটোয়।) কিন্তু শিবিরের ভাইয়েরা আমাকে সাদোরে বরণ করে নিলেন। তাদের সাথে ৫-১০ মিনিট থাকার পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম এমন একটি স্থানে। যে স্থানে আমি পূর্বে আরো বহু দিন থেকেছি। প্রকৃত পক্ষে তাদের আন্তরিকতা,ভালবাসার জন্যেই নিজেকে পরিচিত জায়গায় আছি বলে মনে হলো। আসলে জেল খানাটাই আমার জীবনে তখন নতুন ছিল।
ছয়টা বাজার সাথে সাথেই লক-আপ করে দিলো। তখন নিজেকে অনেকটা জেলেদের মাছ ধরার পর তা উঠানোর সময় জালে যে রূপ একটি মাছের উপর আরেকটি মাছ থাকে সে রূপ মনে হলো। অর্থ্যাৎ জায়গার ছেয়েও মানুষ অনেক গুনে বেশি। মাগরীবের নামাযের পর রাতের খাওয়া শেষ করলাম। তার কিছুক্ষন পর ইশার নামাযের আযান দেওয়া হলো। ইশার নামায আদায়ের পর কুরআন ক্লাস আরম্ভ হলো এবং যথারিতি শেষও হলো।
তার পর ঘুমোনোর পালা। আমাকে মেডিক্যাল ওয়ার্ডের ইন্সাস ঘুমানোর জায়গা করে দিল বারান্দায়। নতুন বলে কিছু বুঝিনা। তাই সবাই (শিবিরের ভাইয়েরা) আমার বেডিং ঠিক করা থেকে আরম্ভ করে সব কাজ করে দিল। ঘুমানোর আগে আমরা বারান্দার সবাই মিলে ঝাল মুড়ি বানিয়ে খেতে খেতে গল্প করতে আরম্ভ করলাম।
গল্প করার এক পর্যায়ে আমি রিমান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন হাসানুল বান্না নামক এক ভাই তাঁর রিমান্ডের হৃদয় বিদারক ঘটনা বললেন। অতঃপর বললেন-
[আগেই বর্ণনা করেফেলেছি]
এখন আপনারাই বলেন দেলওয়ার ভাইয়ের ব্যাপারে কথাটি সত্য নয় কী??
fb=
.....md FaYsAl(SHOTTO SHOMAGOTO)
বিষয়: বিবিধ
১৯১৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার কথা- শিবিরের মধ্যে আদর্শ আছে। তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সহযোগিতা, সহমর্মিতা, আপ্যায়ন ভূলার মত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেখানে লীগের ছেলেরা টেন্ডারবাজী নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে শিবিরের ছেলেরা নোট আর সাজেশন বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে। সত্যিই শিবির ও জামাতের সাথীরা প্রশংসার যোগ্য। আমি তোমাদের ভালোবাসি তোমাদের আদর্শের কারণে।
আল্লাহ সব সময় মজলুমের সাথেই থাকে যদিও আমাদের বুঝতে কস্ট হয়।
যখন কুরআন পড়ি, সেখানে প্রতিটি আয়াতে তোমাদের চেহারাগুলো উঠে আসে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন