ভারতের পানি ডাকাতি এবং পদ্মা ও মধুমতি নদীর বর্তমান দুর্দশা

লিখেছেন লিখেছেন ইঞ্জিঃ আবুল হোসেন রহমতুল্লাহ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:১৯:৪৫ রাত



উপরের ছবিগুলি দেখুন। এই সেই পদ্মা নদী যেখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বজরায় (বড় প্রমোদ তরী) নদী ভ্রমন করে অনেক কবিতা ও গান লিখতেন। তখন পদ্মা নদীতে বড় বড় স্টীমার চলতো এবং চাঁদপুর থেকে ফরিদপুরের (বর্তমান রাজবাড়ী জেলা) গোয়ালন্দ হয়ে কলিকাতা যাওয়া যেত। মানিক বন্দোপাধ্যয়ের “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসে পদ্মা নদীর বিবরন এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়ের “ইনসানিয়াত” গল্পে পদ্মা নদীতে বড় স্টীমারে কলিকাতা ভ্রমনের কাহিনী পড়েছি।

হানাদার দস্যু ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পদ্মা নদীর পানি লুট করার কারণে এখন সেই পদ্মা নদী শুকিয়ে গিয়ে ধূ ধূ বালির চরে ছোট ড়্রেন বা নালার মত হয়ে গিয়েছে। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরা তো দূরের কথা, ছোট ডিঙ্গি নৌকাও সেখানে চলতে পারে না। ছবিতে দেখা যায় হার্ডিজ ব্রিজের নিচে নদীতে পানি নাই, তাই খাবার পানি ও জমি চাষের জন্য টিউব ওয়েল থেকে পানি তুলতে হয়।

এতকাল দেখে এসেছি ডাকাতরা ডাকাতি করতে গিয়ে টাকা পয়সা ও সোনা দানা লুট করে নেয়, পানি লুট করে নেয় এমন কথা কখনো শুনি নাই। অথচ হানাদার দস্যু ভারত তাও করেছে এবং ডাকাতির ইতিহাসে এক অসাধারন রেকর্ড তৈরী করছে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় দস্যু বাহিনী বাংলাদেশ জয় করার পর চার হাজার কোটি টাকার ধন সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় (ভারতীয় সেনা বাহিনীর ভাষায় ওটা ছিল পূর্ব পাকিস্তান জয় এবং কখনো তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব স্বীকার করে না)। এরপর ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পদ্মা নদীর পানিও লুট করে নিয়ে যায়।



আরো দেখুন এই সেই মধুমতি নদী যে নদীর পাড়ে পাটগাতি বাজার এবং মাটিভাঙ্গা স্টীমার ঘাট যার অতি কাছেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়া, যার শৈশব কেটেছে এই খরস্রোতা মধুমতি নদীকে ঘিরে।

আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে নদীকে নিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই খরস্রোতা মধুমতি নদী যৌবন হারিয়ে এখন কোথাও কোথাও সরু খালে পরিনত হয়েছে।

আমার গ্রামের বাড়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং তার কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ী গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামের কাছেই। টুঙ্গীপাড়া গ্রামের পরই মধূমতি নদীর তীর ঘেষে পাটগাতি বাজার এবং পাটগাতি বাজার থেকে আরো চার মাইল দক্ষিন পূর্বে মধুমতি নদীর তীরে এককালের নামকরা স্টীমার ঘাট মাটিভাঙ্গা। এ মধুমতি নদী পদ্মা নদীর একটা শাখা নদী। ফারাক্কা বাঁধের আগে পাকিস্তান আমলে সড়ক যোগাযোগ এত উন্নত ছিল না। তখন ঢাকা থেকে খুলনা যেতে হলে বড় স্টীমারে করে বরিশাল হয়ে মাটিভাঙ্গা ও পাটগাতি পার হয়ে মধুমতি নদীর উপর দিয়ে যেতে হতো। আমার চাচারা ঐ মধুমতি নদীতে ইলিশ মাছ ধরতো। মধুমতি নদীতে তখন খুব ঢেউ ছিল, ছোটবেলায় স্টীমার কিংবা লঞ্চে পাটগাতি অথবা মাটিভাঙ্গা নেমে খেয়া নৌকায় যখন নদী পার হয়ে নিজ গ্রামের বাড়ীতে যেতাম তখন বৈশাখ মাসে সামান্য বাতাসেই বড় বড় ঢেউয়ের প্রচণ্ড ধাক্কায় খেয়া নৌকা এমন দোলা দুলতো যে মনে হত এখনই বুঝি নৌকা ডুবে যাবে, আর আমি ভয়ে আল্লাহ আল্লাহ করতাম। কিন্তু সেই ভয়ের কথা প্রকাশ করতাম না, যদি সবাই আমাকে ভীতু বলে হাসে এ ভয়ে ঢেউয়ের দোলায় নৌকা ডুবির ভয়টা মনের ভিতর চাঁপা রাখতাম।



ফারাক্কা বাঁধের পর ঐ মধুমতি নদীতে এখন আর ইলিশ মাছ নাই, অন্যান্য মাছও তেমন পাওয়া যায় না, ইলিশ মাছের বদলে সেখানে এখন পুটি মাছ ধরার চেষ্টা চলে। আর রকেট স্টীমার তো দূরের কথা, ঐ মধুমতি নদীর অনেক অংশ মরে গিয়ে সরু মজা খাল হয়ে গিয়েছে এবং চৈত্র বৈশাখ মাসে পানি না থাকায় সেখানে ডিঙ্গি নৌকাও চলে না, হেটেই নদী পার হওয়া যায়। মধুমতি নদীর এমন করুন বেহাল অবস্থা শুরু হওয়ার পর ঢাকা-খুলনা রকেট স্টীমার সার্ভিসের পথ পরিবর্তন করে পিরোজপুরের হুলারহাটের দক্ষিন দিক দিয়ে অনেক দূর ঘুরে মোংলা বন্দর হয়ে যাতায়াত করে। টুঙ্গীপাড়ার পাশে পাটগাতি বাজারের সামনের মধূমতি নদীতে কিছুটা পানি থাকলেও আগের মত সেই যৌবন আর নাই এবং বৈশাখ মাসে বাতাসে নদীতে তেমন ঢেউও হয় না।

পাটগাতি বাজার থেকে আরো চার মাইল দক্ষিন পূর্বে তালতলা নদী, মধুমতি নদী ও বলেশ্বর নদী এ তিনটি নদী তিনটি জেলা পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলার সীমানা ভাগ করে দিয়েছে। এ তিন নদীর মোহনায় ছিল প্রচণ্ড স্রোত এবং ঐ স্রোতের ঘুর্নিপাকে কোন নৌকা পড়ে গেলে চরকীর মতো ঘুরতে থাকতো যা নিয়ন্ত্রন করা দক্ষ মাঝির পক্ষেও সম্ভব ছিল না। তাই মাঝিরা তিন নদীর মোহনায় মাঝখান দিয়ে নৌকা না চালিয়ে একটু দূরে অন্য পাশ দিয়ে নৌকা চালাতো। ঐ তিন নদীর মোহনার পরই মাটিভাঙ্গা স্টীমার ঘাটের সামনে এখন আর নদীর কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না, ফারাক্কা বাধেঁর কারণে মাটিভাঙ্গা স্টীমার ঘাটের সামনে সেই মধুমতি নদী মরে গিয়ে এখন সরু খাল হয়ে গিয়েছে এবং সেই নদীর উপর এখন চলছে ধান চাষ। টুঙ্গীপাড়া ও গোপালগঞ্জের পর নড়াইল জেলার বরদিয়া ও কালিয়া বন্দরের অবস্থাও এমনই শোচনীয়। উপরের ছবিতে দেখন ১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তান আমলে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা মধুমতি নদীও আজ মরে গিয়ে নর্দমায় পরিনত হয়েছে, সেখানে এখন লঞ্চ স্টীমার তো দূরে, ডিংগি নৌকাও চলে না।

এখন ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ীতে যেতে হলে গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ার বাসে চড়ে টুঙ্গীপাড়া নামি, এরপর মধূমতি নদী পার হয়ে রিকসা ভ্যানে চড়ে গ্রামের বাড়ী। আজ থেকে বার বছর আগে ২০০২ সালে ঢাকা থেকে বরিশাল আমার ভাইয়ের বাসায় বেড়ানোর পর পিরোজপুর হয়ে সেই মাটিভাঙ্গা পার হয়ে বাড়ি গেলাম, কিন্তু সেই স্টীমার ঘাটও চোখে পড়লো না এবং মধুমতি নদীও চোখে পড়লো না। শৈশব কালের ঐতিহ্যবাহী সেই মাটিভাঙ্গা স্টীমার ঘাট এবং সেই মধুমতি নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের দোলায় দোল খাওয়া নৌকা দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে ঐ এলাকা অতিক্রমের সময় মাইক্রোবাস থামিয়ে লোকজনকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম তখন তারা অবাক বিস্ময়ে আমার দিকে হা করে তাকালো, যেন আমি মঙ্গল গ্রহ থেকে কোন প্রানী হঠাৎ এখানে নেমে আসলাম। পরে যখন তারা আমাকে মাটিভাঙ্গা স্টীমার ঘাট এবং মধুমতি নদীর বর্তমান অবস্থা দেখালো তখন কান্নায় আমার হৃদয় খান খান হয়ে গেল। মাইক্রোবাসটি যখন মধুমতি নদীর উপর সলধা ব্রিজ পার হচ্ছিল তখন ব্রিজের নিচে সরু মজা খাল নজরে পড়লো যে খাল নৌকা ছাড়াই হেটে পার হওয়া যায়। এভাবে মধুমতি নদীর এমন করুন বেহাল দুর্দশা আমাকে দেখতে হবে কখনো কল্পনাও করি নাই।

এই তো কয়েকদিন আগে তেলবাহী জাহাজ ডুবির ফলে কালো ফার্নেস অয়েল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরবনে গাছ পালা, পশু ও মৎস সম্পদ ব্যাপকভাবে ধবংস হয়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হলো, এ জন্যও হানাদার দস্যু ভারতের পানি ডাকাতিই দায়ী। গোপালগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য খুলনার খালিসপুর পদ্মা তেল কোম্পানীর ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের পূর্বে পাকিস্তান আমলে যেখানে খুলনা থেকে পূব দিকে মধুমতি নদীর উপর দিয়ে মাত্র ছয়-সাত ঘন্টায় গোপালগঞ্জ যাওয়া যেত সেখানে ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারনে মধুমতি নদী মরে যাওয়ায় দক্ষিনে সুন্দর বন এলাকা হয়ে পূবে পিরোজপুর জেলার হুলারহাট হয়ে আবার উত্তরে অনেক দূর ঘুরে গোপালগঞ্জ যেতে হয়। এভাবে পাচঁ গুন পথ ঘুরপথে খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ যেতে সময় লাগে ৩০ ঘন্টারও বেশী অর্থাৎ প্রায় ২ দিন। যদি হানাদার দস্যু ভারত পদ্মা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ না দিত তাহলে ঐ ঘুরপথে সুন্দর বন এলাকা হয়ে গোপালগঞ্জ যাওয়ার কি দরকার হত?



আমার শৈশব কালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, বাগেরহাটের মোল্লার হাট ও চিতলমারী থানা এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার গ্রামগুলিতে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকা ছাড়া জীবন যাত্রা ছিল একদম অচল, তাই গ্রাম বাংলায় নৌকার এত গুরুত্ব থাকায় ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্তমান আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক (মার্কা) করা হয় নৌকা। নির্বাচনী মার্কা নৌকা ছিল বলে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নৌকায় পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে রাজশাহী গেলেন এবং পদ্মা নদীর তীরে নৌকা ভিড়ার পর হাজার হাজার জনতা সম্বর্ধনা দিয়েছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে নৌকার বদলে উপরের ছবির মতই পায়ে হেটে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে রাজশাহী যেতে হত এবং নির্বাচনী মার্কা নৌকার বদলে অন্য কিছু ভাবতে হতো।

হানাদার দস্যু ভারতের পানি ডাকাতির ফলে পদ্মা নদী সহ শাখা নদী ও খাল বিল শুকিয়ে গিয়ে এখন সেখানে নৌকার বদলে চলে রিক্সা ভ্যান গাড়ী। এভাবে পানি ডাকাতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের সব নদী ও খাল বিল শুকিয়ে গিয়ে সেই জায়গায় দখল করবে রিক্সা ভ্যান গাড়ী। এমন একদিন আসবে যখন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা যাদুঘরে স্থান পাবে এবং কারো নৌকা দেখার খায়েস হলে যাদুঘরে গিয়ে দেখতে হবে। অতএব যুগের সাথে তাল রেখে এবং বাস্তব অবস্থার আলোকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা পরিবর্তন করে রিক্সা ভ্যান করাই সময়ের দাবী।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একটা কবিতার চারটা লাইন লেখা আছেঃ

"যতদিন রবে পদ্মা যমুনা

গৌরি মেঘনা বহমান,

ততকাল রবে কীর্তি তোমার

শেখ মুজিবুর রহমান।"

হানাদার দস্যু ভারতের ফারাক্কা বাধেঁর কারনে পদ্মা নদী এবং গৌরি নদী (গড়াই নদীর অপর নাম গৌরি নদী যা পদ্মার একটি শাখা নদী এবং এ গড়াই নদীর পরই মধুমতি নদী শুরু হয়েছে যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নিজ জেলা গোালগঞ্জের পাশ দিয়ে প্রবাহিত) চিরতরে বিলিন হওয়ার পথে। তিস্তা বাধঁ সহ আরো কয়েকটি বাধেঁর কারনে কারনে যমুনা নদীও অচিরেই বিলিন হয়ে যাবে, টিপাইমুখ ও অন্য আরো কয়েকটি বাধঁ হলে মেঘনা নদীও বিলিন হয়ে যাবে। হানাদার দস্যু ভারতের পানি ডাকাতির ফলে এ নদীগুলো বিলিন হয়ে গেলে ঐ নদীগুলোর সাথে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিও তো চিরতরে বিলিন হয়ে যাবে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভক্ত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তারা কি তাই চান?

হানাদার দস্যু ভারতের এহেন পানি ডাকাতির ফলে আজ আমরা নিঃস্ব ও ফকির হয়ে গেলাম। এরপরও ভারত আমাদের অকৃত্রিম দরদী বন্ধু, কল্যাণকামী ও হিতাকাঙ্খী! এ কি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এ কি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা? যে পদ্মা এবং মধুমতি নদী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই নদীই যদি বিলিন হয়ে যায় তাহলে আমরা কি নিয়ে কোন সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখবো? অতএব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তব রূপ দিতে হলে, গ্রাম বাংলার নদীতে চলমান আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী নৌকা প্রতীক টিকিয়ে রাখতে হলে এবং বঙ্গবন্ধুর কীর্তি বাংলার মানুষের মাঝে চিরকাল জীবিত রাখতে হলে হানাদার দস্যু ভারতের কবল থেকে পদ্মা, যমুনা, গৌরি (গড়াই ও মধুমতি), মেঘনা নদীগুলোকে উদ্ধার করে এ নদী নদীগুলোকে বাঁচানো উচিৎ নয় কি?

বিষয়: বিবিধ

৩১৩৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297628
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১৭
sarkar লিখেছেন : আমাদের প্রধান মন্ত্রী কে পানির ব্যাপারে ভারতের দাদাগর কথা হল তুমি আমাকে প্রেম দিয়েছ।সরি!আমি তুমাকে পানি দিতে পারলাম না।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
241087
ইঞ্জিঃ আবুল হোসেন রহমতুল্লাহ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File