কোন দলকে সমর্থন করে যেন আমরা ঈমান হারিয়ে আল্লাহর অভিশাপ প্রাপ্ত না হই [পর্ব-৪]
লিখেছেন লিখেছেন ইঞ্জিঃ আবুল হোসেন রহমতুল্লাহ ০৭ মার্চ, ২০১৪, ০৫:১০:১৩ বিকাল
পর্ব-৪
[পর্ব-৩ এর পর]
[ধারাবাহিকতার জন্য পূর্বে প্রকাশিত পর্ব-১ থেকে পর্ব-৩ পড়ার অনুরোধ করছি]
আমাদের দেশে অনেক মুসলমান নামধারী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবিরা কুরআনের আইনের কথা শুনলেই তাদের গা ও অন্তর জ্বালা শুরু হয়ে যায় এবং সে জ্বালা দূর করতে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী, মধ্যযুগীয় বর্বর আইন ইত্যাদি গালি দিয়ে চরম বিদ্বেষ প্রকাশ করে। তাদের উদ্দেশে আল্লাহ কুরআন শরীফে বলে দিলেন-"হে বুদ্ধি বিবেক সম্পন্ন লোকেরা (অর্থাৎ বুদ্ধিজীবিরা) ! তোমাদের জন্য কিসাসের (অর্থাৎ হত্যাকারী ও সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে জনসাধরনের সামনে হত্যা করার) মধ্যে জীবন রয়েছে ৷ আশা করা যায়, তোমরা এই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে সতর্ক হবে ৷" [সূরা আল বাক্বারাহঃ ১৭৯] এই শাস্তির বিধানে যে কত বড় জীবন আছে তা আমি নিজে বাস্তবে দেখেছি সৌদি আরবে। একা গাড়ী চালিয়ে ব্যাংকে গিয়ে ১ লাখ রিয়াল (বাংলাদশী ২১ লাখ টাকা) ১০ টি বাণ্ডিল খোলাভাবে (openly) হাতে নিয়ে ব্যাংক থেকে একা রাস্তায় বের হলাম, তার পর গাড়ীতে উঠে পাশের সীটের উপর খোলাভাবে (openly) রেখে একা রাস্তায় গাড়ী চালিয়ে গেলাম। ব্যাংকে এবং রাস্তায় সবাই তা দেখলো, আমার একটুও ভয় লাগলো না। এটা সম্ভব হল কেবল আল্লাহর নির্দেশ কুরআনের আইন অনুযায়ী বিচার ও শাস্তি চালু থাকার কারণে, যার ফলে সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীর ছুরিতে বা গুলিতে মারা যাওয়ার কোন ভয় ছিল না মনে। এটাই তো বাস্তবে সত্যিকারের জীবন যা আল্লাহ কুরআনের ঐ আয়াতে বললেন। অথচ দুর্ভাগ্য! আমার নিজের দেশ বাংলাদেশে সামান্য এক হাজার টাকা পকেটে লুকিয়ে রেখে রাস্তায় চলতে ভয় লাগে, যে কোন মুহূর্তে সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীর ছুরিতে বা গুলিতে মারা যাওয়ার ভয়ে বুক ধরফর করতে থাকে। এটা কি কোন জীবন হল? এখন কোনটাকে বর্বর নিষ্ঠুর আইন বা মানব অধিকার লঙ্ঘন বলবেন? সৌদি রাজতন্ত্রে যতটুকু আল্লাহর আইন চালু আছে সে আইন? না কি আমাদের দেশের তথা কথিত গনতন্ত্রের মানব রচিত আইন? সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, খুনি ও নারী ধর্ষনকারীর কঠোর শাস্তির বিধান কার্যকরী করে নির্যাতিত মজলুম, নিহত লোকের পরিবার এবং ধর্ষিতা নারীর অধিকার রক্ষার আইন কি করে বর্বর আইন হয়? সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, খুনি ও ধর্ষনকারিকে শাস্তি না দিয়ে তাদেরকে রক্ষা করা কিংবা হালকা লঘু শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া কি বর্বর আইন নয়? এ কি চরম মানব অধিকার লঙ্ঘন নয়?
যাদের কাছে ইসলামী আইন ভাল লাগে না সে সব জ্ঞান পাপীরা আবার বলে- ইসলামী আইন চালু করলে অন্য ধর্মের লোকদের উপর জোর করে চাঁপিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের উপর যুলুম করা হবে। ওরা আসলে বুঝতে চায় না অথবা ইসলাম বিদ্বেষের কারনে না বুঝার ভান করে, আল্লাহই ভাল জানেন। ইসলামের আইন ও শাস্তির বিধান সবার জন্য সমান এবং হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্ঠান সবার জন্যই কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা (Guaranty) আছে। কারণ এই আইন কোন মানুষরে তৈরী নয়, স্বয়ং আল্লাহর নিজের তৈরী যিনি কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না। একজন হিন্দু ভাই যার সন্তান অথবা পিতা সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীর ছুরিতে বা গুলিতে নিহত হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করুন -তার নিহত সন্তান অথবা পিতার হত্যাকারীর বিচার কোন আইনে চান এবং কি শাস্তি চান? একজন বৌদ্ধ ভাই যার কন্যা অথবা বোন সন্ত্রাসী গুণ্ডার দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করুন -তার ধর্ষিতা কন্যা অথবা বোনের ধর্ষণকারীর বিচার কোন আইনে চান এবং কি শাস্তি চান? সবাই এক বাক্যে বলবে ইসলামের কঠোর আইনেই তাদের বিচার ও শাস্তি হোক। তা হলে ইসলামী আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার চালাতে সমস্যা কোথায়? অতএব এখন ভেবে দেখা দরকার-কারা, কি উদ্দেশ্যে ও কার স্বার্থে ইসলামের এ মানব কল্যানকর আইনের বিরোধিতা করে চলছে?
ইসলামী আইনের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমি উপস্থিত শ্রোতা দর্শক এবং পাঠকদের কাছে প্রশ্ন করে থাকিঃ কে বেশী খারাপ? ইসলামী খেলাফত ধংসকারী এবং রাসুলুল্লাহর (স) প্রানপ্রিয় নাতি হোসেনকে (রা) হত্যাকারী ইয়াজিদ বেশী খারাপ? না কি আমাদের দেশ ও অন্যান্য মুসলিম দেশের বর্তমান শাসকরা বেশী খারাপ? উত্তরে অনেকেই কোন প্রকার চিন্তা ভাবনা না করেই সহজভাবে বলেন, ইয়াজিদ সবচেয়ে বেশী খারাপ। তার মানে আমাদের দেশ ও অন্যান্য মুসলিম দেশের শাসকরা ইয়াযিদের চেয়েও ভাল! তা কি করে হয়? ইয়াজিদ তো শুধুমাত্র অবৈধ উপায়ে রাস্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে, কিন্তু ইসলামী আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার ব্যবস্থা তো বন্ধ করে নাই এবং কোন প্রকার পরিবর্তনও করে নাই, রাস্ট্রীয়ভাবে নামায কায়েম এবং সুদমুক্ত যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালু ছিল। আর আমাদের বর্তমান শাসকরা রাস্ট্রীয়ভাবে ইসলামী আইন তো চায়ই না. বরং দু একটা যৎ সামান্য ইসলামী বিধি বিধান ও রীতি নীতি এখনো আছে তাও সমূলে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত। যদি তাই হয় তাহলে বর্তমান মুসলমান নামধারী শাসকরা ইয়াজিদের চেয়েও অনেক অনেক গুন বেশী খারাপ ও জঘন্য। তাই নয় কি?
আমাদের মনে রাখতে হবে- খেলাফত সুন্নত, যেহেতু রাসুলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবা কেরামরা (রা) খেলাফত কায়েম করেছিলেন; কিন্তু আল্লাহর আইন অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালনা করা ফরজ. যেহেতু আল্লাহ কুরআন শরীফে আয়াত নাযিল করে তা ফরজ করে দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহর (স) একটা মাত্র সুন্নত ‘খেলাফত’ লঙ্ঘন করার অপরাধে হোসেন (রা) যদি ইয়াজিদের বিরুদ্ধে জিহাদ (সংগাম) করা কর্তব্য মনে করতে পারেন তা হলে যেখানে রাস্ট্রীয়ভাবে আল্লাহর এতগুলি বড় বড় ফরজ নির্দেশগুলি লঙ্ঘন হচ্ছে সেখানে আমাদের কি করা কর্তব্য? প্রতিবছর মহরমের দশ তারিখ আসলে ‘হায় হোসেন’ ‘হায় হোসেন’ বলে বুক চাপড়িয়ে মায়া কান্না করবো? না কি হোসেন (রা) যেভাবে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে জিহাদ (সংগাম) করে ‘তাগুত’ কে অস্বীকার, বর্জন, অমান্য ও বিরোধিতা করেছিলেন সেভাবে বর্তমান ইসলাম বিরোধী শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ (সংগাম) করে ‘তাগুত’ কে অস্বীকার, বর্জন, অমান্য ও বিরোধিতা করবো? ইয়াজিদও তো মুসলমান ছিল, তাই বলে ‘মুসলমান শাসকের বিরুদ্ধে জিহাদ (সংগাম) করা যাবে না’ এমন কথা কি হোসেন (রা) বলেছিলেন?
পাঠকদের কাছে আমার আরো কয়েকটি প্রশ্নঃ
১) রাজতন্ত্র না গনতন্ত্র সেটা মূল বিষয় নয়, আমাদের দেশের সংবিধানে কুরআনের ঐ ৪ দফা রাষ্ট্রের মূল নীতি কি আছে? না কি অন্য মূলনীতি? এর ফলে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা হল নয় কি?
২) কুরআন শরীফে বার বার আল্লাহ যেখানে “আকিমুস সালাত” অর্থাৎ “নামায কায়েম কর” নির্দেশ দিলেন, সেখানে সরকারী নির্দেশ জারি করে নামাযের ওয়াক্তে অফিস, আদালত, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কি বন্ধ করা হয়?
৩) কুরআন শরীফে বার বার আল্লাহ যেখানে নামায কায়েমের নির্দেশের সাথে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি দ্বারা সমাজ ও দেশ পরিচালনা করতে নির্দেশ দিলেন, সেখানে তা কি করা হয়? ব্যাঙ্কে সুদ, ব্যবসায় সুদ, বিদ্যুৎ বিল দেরীতে পরিশোধ করলে সুদ, সরকারী কৃষি ঋনে সুদ, এমন কি প্রতি বছর সরকারী বাজেটেও সুদের হিসাব করা হয়, তাই নয় কি?
৪) বর্তমান শাসকরা কুরআনের নির্দেশ মেনে কি রাষ্ট্র পরিচালনা করে? দেশের শাসনতন্ত্র, সংবিধান, আইন, বিচার ইত্যাদি কি কুরআনের বিধান মত চলে? নারী ধর্ষনকারীকে হাজার হাজার জনতার সামনে প্রকাশ্যে অর্ধেক শরীর মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে কি হত্যা করা হয়? কোটি কোটি টাকা জনগনের ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা চুরি করে তাদের হাত কেটে কি শাস্তি দেওয়া হয়? সন্ত্রাসী ও খুনী যারা অনেক মার কোল খালি করেছে, অনেক নারীকে বিধবা বানিয়েছে, অনেক নাবালক সন্তানকে এতীম বানিয়েছে, পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষমতা সম্পন্ন লোককে হত্যা করে যারা সুখী ও স্বচ্ছল পরিবারকে নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীন করে পথে নামিয়েছে তাদেরকে হাজার হাজার জনতার সামনে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ (গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন) করে শাস্তি কি দেওয়া হয়?
৫) অশ্লীল নাচ গান, মদ, জুয়া, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা, সুদ ঘুষ ইত্যাদি পাপ কাজ যেগুলো সবার সামনে প্রকাশ্য চলে সেগুলো কি আইন করে নিষেধ করা হয়েছে? না কি এসব পাপ কাজে সরকারীভাবে উৎসাহ ও সহযোগীতা করা হয়? মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ঐসব পাপ কাজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী অথবা বিশেষ অতিথী হিসাবে আসন গ্রহন ও বক্তব্য বানী দিয়ে উৎসাহ ও সহযোগীতা কি করে না? ব্যাণ্ড সঙ্গীতের উন্মাতাল তালে মৃগী রোগীর মত অঙ্গভঙ্গী করে গায়করা গাধার কর্কশ স্বরে ও গায়িকারা ভুতুম পেঁচার ভৌতিক স্বরে যেভাবে প্রকাশ্যে যুবক যুবতীরা ঢলাঢলি ও জড়াজড়ি করে নাঁচে সেখানে আজ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করার খবর শুনি নাই এবং সেখানে কখনো হামলা করতেও দেখি নাই। অথচ জনগনকে ঈমানদার চরিত্রবান নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আল্লাহর কিতাব কুরআনের তফসীর ও ওয়াজ মাহফিল ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করা হয় এবং মাহফিলে হামলা করে সম্মানীত আলেমদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় রিমাণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই নয় কি?
৬) আয়াতুল কুরসি এবং সূরা হাসরে আল্লাহ যা যা করতে বলেন তা রাজনৈতিক ভাবে কিভাবে অমান্য করতে আমাদরকে বাধ্য করা হয় তা তো আগেই উল্লেখ করেছি। বিভিন্ন স্কুল কলেজ, নার্সিং হোম এবং অফিসে মহিলাদেরকে আল্লাহর ফরজ পর্দা পালনে বাঁধা দেওয়া হয়, অথচ সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা তাদের পক্ষ নিয়ে আল্লাহর ফরজ পর্দার বিরুদ্ধে আদালতের রায় দেওয়া হয়। এ কি ইসলাম বিরোধী কাজ নয়?
পাঠক! আরো অনেক প্রশ্ন করা যায়। উপরের ঐ মাত্র ছয়টি প্রশ্নগুলি থেকেই উত্তর খুঁজে পাবেন বর্তমান শাসক এবং রাজনৈতিক দলের নেতরা নামে মুসলমান হলেও তারা আসলে “তাগুতি শক্তি”; কারন তারা নিজেরা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে এবং আমাদের মত সাধারন জনগনকেও আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করতে বাধ্য করে। অতএব আল্লাহর কলেমা মানতে হলে এবং ঈমান রক্ষা করতে হলে কুরআন শরীফে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী এ সব তাগুতি শক্তিকে অস্বীকার, বর্জন, অমান্য ও বিরোধিতা করা উচিৎ নয় কি?
কেননা আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেনঃ “তুমি কি তাদেরকে দেখোনি, যাদেরকে কিতাবের জ্ঞান থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তারা জিব্ত (যাদু, তাবিজ, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র, মূর্তি পুজা ইত্যাদি কুসংসার ও যাবতীয় কাল্পনিক বানোয়াট ক্রিয়াকর্মকে জিব্ত বলা হয়) এবং তাগুতকে মানে আর কাফেরদের সম্পর্কে বলে, ঈমানদারদের তুলনায় এরাই তো অধিকতর নির্ভুল পথে চলেছে? এই ধরনের লোকদের ওপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ), আর যার উপর আল্লাহ লানত বর্ষণ করেন তোমরা তার কোন সাহায্যকারী পাবে না”। (সুরা নিসাঃ ৫১-৫২)
আমরা যখন কলেমা “লা-ইলাহা ইল্লা আল্লাহ” পড়ি তখন “লা-ইলাহা” শব্দ দিয়ে কুরআন শরীফের ঐ আয়াতে “জিব্ত” অর্থাৎ মূর্তি পুজা, যাদু, তাবিজ, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র, কুসংসার ইত্যাদিকে অস্বীকার করি। কিন্তু যারা এসবের স্রষ্টা, যারা এসব পরিচালনা করে, যারা আল্লাহর আইন ও নির্দেশ অমান্য করে এবং দেশের প্রজা ও জনসাধারনকেও অমান্য করতে বাধ্য করে সেই সব “তাগুত” কে তো অস্বীকার, অমান্য ও বিরোধিতা করি না।
তাহলে কি করে আমরা দাবী করতে পারি যে, আমরা আল্লাহর কলেমা বিশ্বাস করি এবং আল্লাহর কলেমা মেনে চলি?
চলবে ইনশাআল্লাহ >>> পরবর্তি পর্ব-৫
বিষয়: বিবিধ
১৫৭২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন