কোন দলকে সমর্থন করে যেন আমরা ঈমান হারিয়ে আল্লাহর অভিশাপ প্রাপ্ত না হই [পর্ব-৩]
লিখেছেন লিখেছেন ইঞ্জিঃ আবুল হোসেন রহমতুল্লাহ ০৭ মার্চ, ২০১৪, ০২:১০:৫১ দুপুর
[পর্ব-২ এর পর]
[ধারাবাহিকতার জন্য পূর্বে প্রকাশিত পর্ব-১ ও পর্ব-২ পড়ার অনুরোধ করছি]
কলেমা পড়ে সমস্ত প্রকার ইলাহকে অস্বীকার এবং তাগুতের বিরোধিতা করাঃ
[ধারাবাহিকতার জন্য পূর্বে প্রকাশিত পর্ব-১ ও পর্ব-২ পড়ার অনুরোধ করছি]
কলেমা “লা-ইলাহা ইল্লা আল্লাহ” এর প্রথম শব্দ “লা” অর্থাৎ “না” বলে প্রথমে সকল প্রকার ইলাহকে অস্বীকার করতে হবে এবং তাগুতকে অমান্য ও বিরোধিতা করতে হবে। তারপর “ইল্লা আল্লাহ” শব্দ বলে একমাত্র আল্লাহকে ‘ইলাহ’ মেনে নিয়ে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে।
আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেনঃ “তুমি কি তাদেরকে দেখোনি, যাদেরকে কিতাবের জ্ঞান থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তারা জিব্ত (যাদু, তাবিজ, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র, মূর্তি পুজা ইত্যাদি কুসংসার ও যাবতীয় কাল্পনিক বানোয়াট ক্রিয়াকর্মকে জিব্ত বলা হয়) এবং তাগুতকে মানে আর কাফেরদের সম্পর্কে বলে, ঈমানদারদের তুলনায় এরাই তো অধিকতর নির্ভুল পথে চলেছে? এই ধরনের লোকদের ওপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ), আর যার উপর আল্লাহ লানত বর্ষণ করেন তোমরা তার কোন সাহায্যকারী পাবে না”। (সুরা নিসাঃ ৫১-৫২)
আল্লাহ “জিব্ত” এবং “তাগুত” এ দুটিকে অস্বীকার, অমান্য ও বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। “জিব্ত” হল মূর্তি পুজা, যাদু, তাবিজ, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র, কুসংসার ও যাবতীয় কাল্পনিক বানোয়াট কাজ। “তাগুত” হল ঐ শক্তি যারা নিজেরা আল্লাহর আইন ও নির্দেশ অমান্য করে এবং অন্যদেরকেও অমান্য করতে বাধ্য করে। রাজা, বাদশাহ, রাষ্ট্রের শাসক, সমাজের নেতা, রাজনৈতিক দলের নেতা যারা নিজেরা আল্লাহর আইন ও নির্দেশ অমান্য করে এবং দেশের প্রজা ও জনসাধারনকেও অমান্য করতে বাধ্য করে তারা সবাই “তাগুত”।
পাঠক! উপরে কুরআন শরীফের ঐ আয়াত লক্ষ করুন। যারা মূর্তি পুজা, যাদু, তাবিজ, ভাগ্য গণনা, জ্যোতিষ, তন্ত্রমন্ত্র, কুসংসার ও যাবতীয় কাল্পনিক বানোয়াট কাজে বিশ্বাস করে এবং যারা তাগুতী শক্তিকে মান্য করে চলে ও তাগুতের বিরোধিতা করে না তাদের উপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ) বর্ষিত হয়। আরো লক্ষ করুন উপরের ঐ আয়াতে যারা তাগুতকে মান্য করে চলে তারা কাফেরদেরকে ঈমানদারদের তুলনায় উত্তম ও নির্ভুল মনে করে। বাস্তবেও আমরা তাই দেখি- যারা আল্লাহর ফরজ বিধান মেনে চলে, পর্দা পালন করে, কুরআনে আল্লাহর আইন দ্বারা সমাজ ও রাস্ট্র চালাতে চায় তাদেরকে বলে মৌলবাদী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধ অপরাধী এবং তারা ভুল পথে আছে এমন উক্তি করে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় যুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে, বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজে ছাত্রীদেরকে পর্দা করে আসতে দেয়া হচ্ছে না, জোর করে পর্দানশীল মহিলাদের নিকাব ও বোরকা খুলে থানা হাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন কি ওযু ও নামায পড়তে দেওয়া হয় নাই এবং জোর করে নিকাব ও বোরকা খুলে ফেলে তাদেরকে বেপর্দা অবস্থায় হাজার হাজার লোকের সামনে কোর্টে আনা হয়েছে। ৬ই মে ভয়াল কাল রাতে ভারতীয় হানাদার বাহিনীর সহায়তায় ইবাদতরত এবং ঘুমন্ত লাখ লাখ আলেম, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতার উপর শেষ রাতে পৈশাচিক অভিযান চালিয়ে হাজার বছরের ইতিহাসে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নৃশংসতম গণহত্যা করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় ব্রাশ ফায়ারে হাজার হাজার মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং এখনও প্রতিনিয়ত চলছে। ভারতীয় হানাদার বাহিনীর সহায়তায় সাতক্ষীরা এলাকায় বাড়ী ঘর ধ্বংস ও আগুন লাগিয়ে শত শত মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং যুবতী নারীদের ধর্ষন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকস্তানী হানাদার বাহিনী যা করে নাই তাও তারা করেছে এবং এদের পৈশাচিকতা পাকস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এসব গনহত্যার বিরুদ্ধে কথা বললেই গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় রিমাণ্ডে নির্যাতন, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর না হয় গুম, পত্রিকা ও টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদের কাছে ইসলামের শরীয়া আইন ও রাসুলুল্লাহর (স) আদর্শ ও সুন্নত ভাল লাগে না, কাফির মুশরিকদের আইন ও কাফির মুশরিকদের আদর্শ তাদের ভাল লাগে, সীমান্তে প্রতিদিন বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী মানুষ হত্যা ও উলঙ্গ করে নির্যাতন করলেও এবং ফারাক্কা বাধঁ দিয়ে পদ্মা নদী শুকিয়ে ফেললেও তাদের কাছে মূর্তি পুজারী মুশরিকরা মুমিনদের চেয়েও অতি প্রিয়। এদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেন "এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও। হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?'' সুরা নিসা(১৪৩-১৪৪)
উপরের ঐ আয়াতে আল্লাহ প্রথমে তাগুতকে অস্বীকার ও তাগুতের বিরোধিতা করতে বলেছেন, তারপর আল্লাহর উপর ঈমান (বিশ্বাস) আনতে বললেন। সমাজের নেতা, রাজনৈতিক দলের নেতা, রাস্ট্রের শাসক, রাজা বাদশাহ, বিচারক যারাই আল্লাহর আইন অমান্য করে ইসলাম বিরোধী আইনে সমাজ ও দেশ চালায়, যালিম শাসকের পক্ষে অন্যায়ভাবে বিচারের রায় দেয় এবং জনগনকে ইসলাম বিরোধী আইন মানতে বাধ্য করে সেই সব তাগুতী শক্তিকে বর্জন ও বিরোধিতা করতে হবে। আর তাগুতকে অস্বীকার, অমান্য ও বিরোধিতা করলেই কেবল আমাদের ঈমান মজবুত হবে, অন্যথায় ঈমান মজবুত তো হবেই না, বরং ইবলিশ শয়তানের মত আমাদেরকেও আল্লাহর লানত প্রাপ্ত হতে হবে।
ইবলিশ শয়তান ফেরেশতাদের চেয়েও অনেক বেশী আল্লাহর ইবাদত করে ফেরেশতাদের সর্দার হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর অভিশাপের কারনে তার ঐ সব ইবাদত ও আমল সব বরবাদ হয়ে এখন সে অভিশপ্ত শয়তান। এই যখন অবস্থা তখন আমরা নামায, রোজা, জিকির যা কিছু সামান্য ইবাদত করি সবই তো আল্লাহর অভিশাপের ফলে বরবাদ হয়ে যাবে; যদি আমরা রাজনৈতিক দলের নেতা, রাস্ট্রের শাসক, বিচারক যারা আল্লাহর আইন অমান্য করে ইসলাম বিরোধী আইনে সমাজ ও দেশ চালায়, যালিম শাসকের পক্ষে অন্যায়ভাবে বিচারের রায় দেয় এবং জনগনকে ইসলাম বিরোধী আইন মানতে বাধ্য করে সেই সব তাগুতী শক্তিকে বর্জন ও বিরোধিতা না করি। যার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষন হয় তার তো আর ঈমান থাকে না, সব ইবাদত ও আমল বরবাদ হয়ে যায়। আর শয়তান তো এটাই চায় যাতে আমরা তাগুতী শক্তিকে বর্জন ও বিরোধিতা না করে পথভ্রষ্ট হয়ে ঈমানহারা হই, একথাও ঐ আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে স্মরন করিয়ে দিলেন। একবারও কি আমরা তা ভেবে দেখেছি? এরপরও কি আমাদের হুশ হবে না? আমাদের কি বোধোদয় হবে না?
অনেকে আবার বলবেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা হজ্জ ও ওমরা করে, অনেকে এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতি অথবা সেক্রেটারী এবং নামাযও পড়ে, বিশ্ব ইজতেমায় সরকার মুসল্লিদের তাবু, সামিয়ানা, পানি, বিদ্যুৎ ও পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে সহযোগীতা করছে, সরকার প্রধান সহ মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বানী দিচ্ছে এবং আখেরী মুনাজাতে অংশগ্রহন করছে, এতকিছু খেদমত করার পরও কিভাবে তারা ইসলাম বিরোধী তাগুতী শক্তি হয়? এমন প্রশ্নের উত্তর সেই এক হাজার চারশত বছর আগেই আল্লাহ কুরআন শরীফে দিয়েছেন।
মক্কার বড় বড় নেতা আবু জেহেল, আবু লাহাব, উতবা, শাইবা তারাও তো আল্লাহকে কাবাঘরের মালিক এবং সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা মানতো, যদিও তারা মূর্তি পুজা করতো। তখনকার মক্কা শরীফের বিশ্ব ইজতেমায় হাজীদের থাকা, খাওয়া ও পানি পানের ব্যবস্থা করে হাজীদের খেদমত করতো। বদরের যুদ্ধে যাওয়ার সময় তারা কাবাঘরের গিলাফ ধরে কাবাঘরের মালিক আল্লাহর নিকটই সাহায্য চেয়েছিল, মূর্তির কাছে সাহায্য চায় নাই। এত কিছু করার পরও তারা ছিল ইসলাম বিরোধী তাগুতী শক্তি, কারন- তাঁরা আল্লাহকে সর্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানে নাই এবং মুহম্মদ (স) কে আল্লাহর মনোনীত আদর্শ নেতা ও রাসুল মানে নাই। আর তাই আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেছেনঃ “মুশরিকরা আল্লাহর মসজিদ আবাদ (রক্ষণাবেক্ষণ ও খেদমত) করার যোগ্যতা রাখে না, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর সাক্ষ্য দিচ্ছে। ওদের সব আমল বরবাদ হয়ে গেছে এবং জাহান্নামের আগুনে চিরকাল থাকতে হবে। আল্লাহর মসজিদ আবাদ (রক্ষণাবেক্ষণ ও খেদমত) করবে তো তারাই যারা আল্লাহ ও পরকালকে বিশ্বাস করে ও মানে , নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ কে ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনা। আশা করা যায়, তারাই হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত (সঠিক পথে আছে)। তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানো এবং মসজিদে হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে এমন ব্যক্তিদের কাজের সমান মনে করে নিয়েছো যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি এবং (সমাজে আল্লাহর আইন প্রতষ্ঠার জন্য) আল্লাহর পথে সংগ্রাম করেছে? এ দুই দল আল্লাহর কাছে কখনো সমান নয়, আল্লাহ জালিমদের পথ দেখান না। আল্লাহর কাছে তো তারাই উচ্চ মর্যাদার অধিকারী , যারা (আল্লাহ ও পরকাল) বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর পথে হিজরত (ঘর-বাড়ী ছেড়েছে) এবং জীবন ও ধন সম্পদ ব্যয় করে জিহাদ (সংগ্রাম) করেছে, তারাই প্রকৃত সফলকাম।” (সূরা তাওবাঃ ১৭-২০)
পাঠক! কুরআন শরীফের ঐ আয়াতগুলিতে লক্ষ করুন, যতই মসজিদের উন্নয়নে টাকা দান এবং হাজীদের পানি পান করানোর মতই বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যতই খেদমত করা হোক না কেন তাদের সব আমল বরবাদ এবং এ ধরনের খাদেমদেরকে আল্লাহ ‘যালিম’ বলেছেন।
আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেনঃ “যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা (অর্থাৎ কুরআন) অনুযায়ী হুকুম (রাষ্ট্র শাসন, সংবিধান, আইন, বিচার ইত্যাদি) পরিচালনা করে না, তারাই কাফের”। (সুরা মায়েদাঃ ৪৪) “যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা (অর্থাৎ কুরআন) অনুযায়ী হুকুম (রাষ্ট্র শাসন, সংবিধান, আইন, বিচার ইত্যাদি) পরিচালনা করে না, তারাই যালিম”। (সুরা মায়েদাঃ ৪৫) “যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা (অর্থাৎ কুরআন) অনুযায়ী হুকুম (রাষ্ট্র শাসন, সংবিধান, আইন, বিচার ইত্যাদি) পরিচালনা করে না, তারাই ফাসেক (মহাপাপী)।” (সুরা মায়েদাঃ ৪৭)
সূরা হজ্জের ৪১ আয়াতে আল্লাহ ৪ দফা মূল নীতি অনুসারে রাস্ট্র চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে ৪ দফা মূল নীতি হলঃ
(১) নামায কায়েম করা। অর্থাৎ নামাযের ওয়াক্তে দোকান ও ব্যবসা প্রততিষ্ঠান সব কিছু বন্ধ রাখা এবং নামাযের নিয়মে সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আরবী ‘জামাত’ শব্দের অর্থ ঐক্যবদ্ধ দল এবং ‘ইমাম’ শব্দের অর্থ যিনি অগ্রগামী অর্থাৎ নেতা। তাই নামাযের জামাতে যিনি ইমাম তার নেতৃত্বে নামায শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে নামাযে পঠিত কুরআনের আয়াতগুলি বাস্তবে পালন করা এবং কুরআন ও রাসুলুল্লাহর সুন্নত অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐ ইমামের নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
(২) সুদ মুক্ত যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি। অর্থাৎ সর্বপ্রকার সুদের হিসাব, লেনদেন ও ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে সরকারীভাবে ধনীদের থেকে যাকাত সংগ্রহ করে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করা।
(৩) সৎ কাজের আদেশ দেওয়া (কুরআনের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন রচনা করে শাসন ও বিচার কাজ পরিচালনা করা)।
(৪) অসৎ কাজ নিষেধ করা (অশ্লীল নাচ গান, মদ, জুয়া, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা, সুদ ঘুষ ইত্যাদি সমস্ত প্রকার প্রকাশ্য পাপ কাজ বন্ধ করা)।
সৌদি আরব রাজতন্ত্র হলেও আমরা দেখি সেখানে ঐ চারটি মূল নীতি রাষ্ট্রীয়ভাবে কায়েম আছে। নামাযের আযান হলেই অফিস, আদালত, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। সুদের অর্থনীতির বদলে সেখানে সরকারীভাবে ধনীদের থেকে যাকাত সংগ্রহ করে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি পরিচালনার দ্বারা দরিদ্র মুক্ত সমাজ বহাল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কুরআনের আইন অনুযায়ী দেশের শাসন ও বিচার কাজ পরিচালনা করা হয় এবং কুরআনে যে সব অপরাধের শাস্তি যেভাবে যেভাবে দেওয়ার নির্দেশ করা হয়েছে সেভাবেই দেওয়া হয়। অশ্লীল নাচ গান, মদ, জুয়া, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা, সুদ ঘুষ ইত্যাদি পাপ কাজ সেখানে নিষেধ এবং সেখানে ‘আমর বেল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার’ (অর্থাৎ ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ নিষেধ’ ) নামে একটি সরকারী বিভাগ আছে যারা এসব কাজের তদারকি করে।
চলবে ইনশাআল্লাহ >>> পরবর্তি পর্ব-৪
বিষয়: বিবিধ
১৫০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন