রক্ত পরীক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন আত্নসমর্পণ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:০৩:৪৫ সকাল
শফি ভাই তখন মেডিকেলের ছাত্র।শিশির কে রাস্তায় পেয়ে শফি ভাই বললঃশিশি চল, একজনের রক্ত পরীক্ষা করে আসি। শফি ভাই ডাক্তার মানুষ, সে তো কারোর রক্ত পরীক্ষা করতেই পারে।তাই শিশির শফি ভাইয়ের সাথে হাঁটা দিল।শফি ভাই এক ফিটফাট অফিসে ঢুকে পড়ল। রিসিপশনে বসা হাস্যময়ী তরুণী কে বললো: আসসালামু আলাইকুম।আমি শফিক হায়দার। হাসান জুলফিকার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে এসেছি। তরুণী সালামের উত্তর দিয়ে দ্রুত পাশে রাখা টেলিফোনটা তুলে নিলেন।বললেনঃস্যার, শফিক হায়দার নামের এক ভদ্রলোক আপনার সাথে দেখা করতে চান। ওপার থেকে কি বললেন তা শোনা গেল না।কিন্তু সেই তরুণী আবার ও হাসিমুখে বললেনঃস্যার একটু অপেক্ষা করুন প্লিজ।এরপর আবার ফোন তুলে নিয়ে কাউকে ডাকলেন বোঝা গেল।অল্প কিছুক্ষণের ভিতরই একজন ভদ্রলোক এসে আমাদের কে ভেতরে নিয়ে গেলেন।
হাসান জুলফিকার মানুষটা মধ্যম বয়সের।দেখতে সুন্দর।কথাও বলেন ধীরে ধীরে।শফি ভাই উনার সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বললো।অনেক কথা।শিশির কথার সবটা শুনতে পারেনি।কিছুক্ষণ পরেই শিশিরের ভাব-সাব দেখে শফি ভাই হাতের ল্যাপটপটা শিশিরের হাতে ধরিয়ে দিয়ে পাশের এক রুমে পাঠিয়ে দিয়েছিল।শিশির কথোপকথনের সময়টা গেমস খেলেই কাটিয়ে দিয়েছে।প্রায় ঘণ্টা খানিক পরে শফি ভাই শিশিরকে নিয়ে বেরিয়ে এল অফিস থেকে।
শিশির কৌতূহলের সাথে প্রশ্ন করল: কি, রক্ত পরীক্ষা করলে? শফি ভাই হেসে উত্তর দিল: হা পরীক্ষা হয়ে গেছে। শিশির: রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রপাতি পেলে কোথায়? সাথে করে তো ল্যাপটপ ছাড়া কিছুই আননি! শফি ভাই আবারো হেসে বলল: মানুষের সাথে কথা বলেও তার রক্ত পরীক্ষা করা যায়। শিশির কিছু বুঝতে না পেরে চুপ হয়ে গেল।শফি ভাই আবার বলল: শিশি, কথা দিয়ে কিভাবে রক্ত পরীক্ষা করা যায় তা বড় হলে এমনি শিখে যাবি।এজন্যে মেডিকেলে পড়তে হবে না। এখন চল ঝালমুড়ি খাই।
শিশির এখন মোটামুটি বড় হয়েছে।বড় হয়েছি আমিও।এখন আমরা দুজনেই শফি ভাইয়ের সাথে একমত।আসলেই তাই,কথা দিয়ে মানুষের রক্ত যত নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করা যায় ল্যাবরেটরীতে তা করা যায় না।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন