প্রেম যেন এমনই হয় ৪৮-৫১ (শেষ?)
লিখেছেন লিখেছেন প্রগতিশীল ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০১:০৩:১১ রাত
৪৮
রিদিতা একটু আগে যে জায়গা থেকে চলে গেছে সে জায়গায় কোথায় রতন-সঞ্চিতার মুণ্ডুপাত হবে তা না হয়ে শুরু হয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শীর্ষক সেমিনার! বাজারে আলু পটলের দাম দিন-দিন বাড়ছে। এমনকি শাক-সবজিতেও যেন আগুন লেগেছে। মুরুব্বীদের সবার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রেণু আপুও। ঊনি নাকি কানাডাতেই এসব অনেক কম দামে কিনতে পারেন!
রিদিতাকে দেখে জাফর সাহেব বললেন, মা রিদিতা চা নিয়ে আসতে পার চা টা খেয়েই আমরা সবাই বের হব। রেণুও যাবে আমাদের সঙ্গে রাতে আমাদের ওখান থেকেই চট্টগ্রামে যাবে।
সানজিদা বললেন, মেয়েটা এইতো এল রাতে না হয় আমাদের এখান থেকেই যাবে।
রেণু জানালেন, আসলে আমিতো বাচ্চাদের সঞ্চিতাদের বাসাতেই পাঠিয়ে এখানে এলাম। তাই সন্ধ্যার মধ্যেই ওখানে যাওয়া জরুরি। রাতের ট্রেনেই চট্টগ্রাম যাবো।
লিটন সাহেব বললেন, ঠিক আছে ওখান থেকে ফেরার পথে সরাসরি আমাদের এখানে উঠবে।
এই সময় চা-নাস্তা এলে খাওয়ার পর্বটা শেষ হল। সেই সাথে বিদায় পর্বটাও। এ বাড়িতে যে রতন সঞ্চিতা নামের দুটি প্রাণী থাকে তা সবাই যেন ভুলে গেছে।
সন্ধ্যা শেষে রাত ৮ টা বাজলো রতন সব ভুলে সঞ্চিতাকে সাথে নিয়ে মায়ের কাছে এল।
মা ওরাতো কাল বিকেলেই আসতে চাচ্ছে। তোমরা কি বল আসতে বলবো।
লিটন সাহেব রুমেই ছিলেন- বললেন, কারা?
রতন বললো, শোভন ভাইয়ের পরিবারের লোকজন।
লিটন সাহেব সানজিদাকে লক্ষ্য করে বললেন, মনে হয় তোমার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এসে গেছে বেলী। তোমার ছেলে মেয়ে দু’জনই এ মাসেই দেশ ছেড়ে যাবে দখিনা হাওয়া যেন সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।
সানজিদা অভিমানের সুরে বললেন, তাহলেতো সবচেয়ে লাভবান হও তুমি। তোমারতো একাকিত্বই ভাল লাগে।
এই মুহূর্তে সঞ্চিতা বলে উঠলো, মা-বাবা রিদিতা আপু বোধহয় কিছুটা রাজি আছে। তাই যদি একটু এগুনো যায় তো এগুতে দোষ কোথায়?
লিটন সাহেব বললেন, আমার মা যা বলেছে তাই হবে। সব সিদ্ধান্ত তোমার। সব দায়িত্ব তোমার।
সানজিদা রতনকে বললেন, আমি আগেই ভেবেছিলাম এমন একটা গ্রুপিং হবে।
রতন হেসে বললো- তাহলে আমি ওদের আসতে বলি।
সঞ্চিতা বললো- তুমি গিয়ে তাদের ফোন করে দাও।
রতন বেরিয়ে যাচ্ছিল পেছন থেকে ডাক দিলেন সানজিদা। সঞ্চিতাকে আর একটু জিজ্ঞেস করবি কি না, রতন?
মা আপুকে যতটুক বুঝি ওর আপত্তি নেই।
লিটন সাহেব সায় দিয়ে বললেন, আমারও তাই মনে হয়।
রতন বললো, সন্ধ্যার সময় আপুকে বলেছিলাম ও সব কিছু আমাদের উপর ছেড়ে দিয়েছে।
রতন আবার ফিরে এল। পকেট থেকে ফোন বের করে ফোন দিল শোভনকে।
শোভন ভাই আপনারা চাইলে কাল আসতে পারেন।
ওপ্রান্ত থেকে শোভন বললো, আমি আসবো না।
আসবো না মানে?
আরে বোকা ভাইয়া-ভাবীরা যাবে।
রতন হেসে বললো-ঠিক আছে।
সঞ্চিতা জিজ্ঞেস করলো, আসবে না বললো মানে?
মানে কাল শোভান ভাইর ভাই-ভাবীরা আসবেন, ঊনি না।
আমি একটু বাইরে যাব মা, হয়ত শোভন ভাইয়ের সাথে দেখা হবে। ফিরতে দেরি হবে। বললো রতন।
সানজিদা হেসে বললো, তো আমার কি তোর এসব আমাকে বলছিস কেন? তোকে এজন্যইতো বিয়ে দিয়েছি।
সঞ্চিতা হেসে বললো- তুমি যাওতো। একটু জলদি ফেরার চেষ্টা কোরো। রাতে বাইরে থাকার দরকার কি?
রতন বের হয়ে গেল। লিটন সাহেব বললেন, আমি নামাজে গেলাম। এই বলে তিনিও বেরিয়ে গেলেন।
রুমে থাকলো বউ-শাশুড়ি সঞ্চিতা-সানজিদা।
সানজিদা বললেন, বউমা কাল কিন্তু কাজ অনেক বেশি। সামলাতে পারবেতো।
সঞ্চিতা তাকে জড়িয়ে ধরে বললো, ও আমরা মা-মেয়ে সামলে নেব।
৪৯
রাতে রতন একটু দেরিতে ফিরলো। দরজায় এসে কলিংবেল চাপার আগেই দরজা খুলে গেল। রিদিতা দাঁড়িয়ে।
কিরে তুই ঘুমাসনি?
না সঞ্চিতাসহ গল্প করছিলাম। আমার রুমে আয়।
এই বলে সঞ্চিতা চলে গেল।
রতন চটজলদি নিজের রুমে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ফিরে এল রিদিতার রুমে।
সঞ্চিতা বললো, তুমি রাতে আরো খাবে? না দুলাভাই অনেক বেশি খাইয়েছে?
রতন হাসছিল।
রিদিতা জিজ্ঞেস করলো- তোকে বাসার নিচ থেকে নিয়ে গেছে শোভন, তাইনা?
রতন চুপচাপ।
সঞ্চিতা বললো- আপু তুমি এটা খেয়াল করেছিলে। আমাকেও তো বললে না।
রতন বলে উঠলো আমদের ঘুমানো দরকার কালকের দিনটা ব্যস্ততায় কাটবে। আর আপু শোভন ভাই তোর সাথে কথা বলবে না।
রিদিতা সঞ্চিতা একসাথে বলে উঠলো- মানে?
রতন জবাব দিল- আমাকে বললো, যদি বিয়ে হয় তবে কথা না হলে কোন কথা নয়। কোনদিন কথা নয়।
রিদিতা না হেসে পারলো না।
সঞ্চিতা বললো- কোথায় বিয়ের আগে ফোনেই সব পর্ব শেষ করবে, তা না করে কি শুরু করেছেন।
রিদিতা বললো- তোরা দু’জনে যা ঘুমা গিয়ে রাত অনেক হল। এই বলে দু’জনকে জোর করে রুম থেকে বের করে দিল।
রিদিতা টিপ্পনি কাটতে কাটতে বের হয়ে গেল। রতনকে বললো, তুমি বোঝনা আপুর এখন কি দরকার।
রিদিতা পেছন থেকে বললো, গেলি তোরা।
রতন-সঞ্চিতা দু’জনে হাসতে হাসতে ছুটে পালালো।
তারা বের হতেই রিদিতা হাঁটা দিল বাবার রিডিং রুমের দিকে।
গিয়ে দেখলো লিটন সাহেব পড়ার রাজ্যে ডুবে আছেন। তাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে। বইটা হাত থেকে নিয়ে যতদূর পড়া হয়েছে তার একটা চিহ্ন দিয়ে তা টেবিলের উপর রাখলো। এরপর লিটন সাহেবকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল। যাওয়ার সময় রুমের লাইট ফ্যান সব অফ করলো। হালকা শীত থাকায় এসি এমনিতেই বন্ধ ছিল।
লিটন সাহেব বরাবরের মত তার সাথে গেল। রুমে গিয়ে দেখলো- মাও জেগে আছে। সে চটজলদি দুজনকেই ঘুমিয়ে পড়তে বললো।
৫০
পরদিন পুরো বিষয়টা এভাবে ম্যানেজ হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারেননি সানজিদা। মেয়েদের মাঝে যে কি পরিমাণ প্রতিভা লুকায়িত থাকে তা বিয়ের পরই বোঝা যায়। এই প্রতিভার মূল্য পরিশোধ যদি করা লাগতো তাহলে পুরুষের বাইরের ব্যয়ের থেকে ঘরের ভেতরের ব্যয় বহুগুনে বেড়ে যেত। তবে বাস্তবতা হল নারীর গৃহস্থালি কাজের ঋণ মানব সভ্যতাও বোধ করি কোন দিন শোধ করতে পারবে না।
সানজিদা আজ অবাক হলেন। তবে অবাক আর বিস্ময়ের চাইতেও মুগ্ধ হলেন বেশি। সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেহমানদের জন্য যত প্রকার আয়োজন করা লাগে তার সবই করেছে সঞ্চিতা। তবে সর্বতোভাবে তাকে সহযোগিতা করেছে রুনু। রুনু আসলে সব প্রকার গৃহস্থালির কাজে পটু। তাই নববধূ হিসেবে সঞ্চিতার কোন কষ্টই হয়নি। সে সবই সামলে নিতে পেরেছে।
রিদিতা কয়েকবার এসে এটা ওটা করতে চেয়েছে। পড়েছে বিপাকে যে কাজটাই করবে বলে ঠিক করেছে সে কাজটাই হয়ে আছে।
তাই সে কিচেন রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িংরুমে গেল। সেখানে সঞ্চিতার বাবা-মা ও তার বাবা-মা বসে আছেন। পাশেই রতন।
রিদিতা বসতে বসতে বললো- সঞ্চিতার আজ কি হয়েছে বুঝছিনা, ওকে কি ভুতে ধরলো নাকি। যে কাজই করবো বলে ভাবি সে কাজই দেখি করে রেখেছে। মা তুমিও দেখি বসে আছ সারাদিন আমরা কেউ কোন কাজ করার চান্সই পেলাম না।
সানজিদা বললেন- আমার নিজের বিয়ের পর আজ জীবনে প্রথম বিশ্রাম পেলাম। বউমা আমার আজ আমাকে কোন কাজই করতে দেয়নি।
জাফর-সাদিয়া দম্পতিতো সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে।
সাদিয়া বললেন, ও কি আসলেই পারছে। আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছে না।
সানজিদা বললেন, রুনু সাথে আছে। আপনি নিশ্চিত থাকুন। রুনু যদিও সব পারে তবে সঞ্চিতা কেবল ওকে পাশে রেখেছে আর দেখিয়ে নিচ্ছে সব কাজ নিজে করছে। আমি দুই একটা পরখ করেও দেখেছি।
এসময় সবার জন্য ট্রেতে জুস নিয়ে এল রুনু। রংটা স্ট্রবেরির তবে স্বাদটা অন্যরকম।
জাফর সাহেব রুনুকে ধন্যবাদ দিলেন। বললেন, একেবারে নতুন স্বাদের দারুণ একটা ফ্রুট জুস বানিয়েছতো।
রুনু বললো- আমি না ভাবী বানিয়েছে।
রতন-রিদিতা একসাথে বলে উঠলো- সঞ্চিতা বানিয়েছে।
সাদিয়া চোখ কপালে তুলে বললেন- জীবনেতো এ জুস কোনদিন তৈরি করে খাওয়ায়নি।
রুনু বললো- ভাবী বলেছে উনি কয়েকদিন অনেক পড়েছে। রান্নার বিষয়েও কম পড়েনি।
লিটন সাহেব উচ্চস্বরে হেসে বললেন, থিউরি পড়ে এখন প্রাকটিক্যালি কাজ শুরু করেছে। বেশতো।
জাফর সাহেব বললেন- সবই বুঝলাম তবে ও তো সিরিয়াল পাগল ছিল। তাও আবার ইংরেজি জীবনে পড়ার বিষয়ে ভাবতেও দেখিনি।
রিদিতা বললো- ও এখন যে কোন বয়সী ছাত্রীর চেয়ে বেশি পড়ে।
লিটন সাহেব বললেন, এসব রাখতো তোমরা সব গুছিয়ে নাও সন্ধ্যার পরেই ওরা আসবে। চলেন বেয়াই সাহেব আমরা নামাজ সেরে আসি।
এরপর দুই বেয়াই বেরিয়ে গেলেন। ড্রয়িংরুমের সবাই কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে গেল। রতন কেবল একটু বাইরে বেরিয়ে গেল আর সবাই কাজে মগ্ন।
৫১
সন্ধ্যার পরে শোভনের ভাই-ভাবীসহ আট-দশজন পরিবারের সদস্য এল। তাদের আপ্যায়নের ত্রæটি রাখা হল না। শোভনের বড় ভাই শাওন ও ভাবী উর্মি কোন রকম ভনিতা ছাড়াই বললেন, মেয়ে সম্পর্কে বলার কিছুই নেই যথেষ্ট ভাল। তবে সময়ের স্বল্পতা সবারই সে হিসেবে বিয়ের পর্বটা আগামী সপ্তাহেই শেষ করতে হয়।
লিটন সাহেব ও জাফর সাহেব তাদের কথার সাথে একমত হলেন এবং আগামী সপ্তাহেই বিয়ের দিন ঠিক করলেন। এসব আলোচনার মাঝেই রতন একজনকে নিয়ে বাসায় এল। সে আর কেউ নয় শোভন। সকলেই ভীষণ খুশি হল। সবচেয়ে চমক লেগেছিল রিদিতার। একটানা সে শোভনের দিকে তাকিয়েই ছিল। যদিও সঞ্চিতার খোঁচায় তার চেতনা ফেরে।
শোভনের ভাবী টিপ্পনী কেটে বললেন, তোর তো আসার কথা ছিলনা। তবু এলি।
রতন জোর করে নিয়ে এল জবাব দিল শোভন।
পুরো পরিবেশটা একটু আলাদারকমের হয়ে গেল। মনে হচ্ছে সবাই খুশি আর আনন্দের মাঝে দোলা খাচ্ছে। তবে কেউ তা প্রকাশ করছে না। যেন কারো কোন কথা প্রকাশের ভাষা জানা নেই।
এরই মধ্যে সঞ্চিতা ইশারায় রতনকে অন্যদিকে ডেকে নিল। রতন তার কাছে গেলে সে বললো, দুলাভাই কি আপুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবে। বললে বল ব্যবস্থা করি।
রতন বললো, আমি শোভন ভাইর সাথে যতটুকু কথা বলেছি তাতে মনে হয়েছে উনি চাচ্ছেন না বিয়ের আগ পর্যন্ত আপুর সঙ্গে কথা বলতে। আপুকে ঊনি অনেক ভালবাসেন। ওটাকে বলে প্রথম দর্শনে প্রেম। তবে সেই প্রত্যাখ্যান ওনাকে প্রবল বেদনা দিয়েছে। তাই উনি চান একেবারে বিয়ের পরেই কথা বলতে।
সঞ্চিতা রাগ হয়ে বললো- তুমি থাক তোমার এসব উল্টো-পাল্টা কথা নিয়ে। এই বলে সে সবার সামনে চলে গেল। গিয়ে বললো- বর কনে একটু আলাদা কথা বলবে।
রিদিতা আর শোভন অবাক হল। রতন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছিল।
সঞ্চিতা রিদিতা আর শোভনকে ব্যলকনিতে নিয়ে গেল। দু’জনকে টিপ্পনি কেটে বললো। বিয়ে কিন্তু এখনো হয়নি, তাই বেশি কিছু যেন না হয়।
সঞ্চিতা চলে যাওয়া মাত্রই রিদিতা চটপট কথা বলতে শুরু করলো- অ্যাই তুমি নাকি আমার সথে কথা বলবে না। কি কারণে শুনি।
শোভন বললো- কেন যেন মনে হয়েছে কথাগুলো অনেক বেশি। তাই বিয়ের পর সারাজীবন ধরে বলতে চেয়েছি।
রিদিতা নরম হয়ে বললো, স্যরি শোভন।
শোভন কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে বললো, স্যরি কেন?
রিদিতা বললো, তোমার ভালবাসাটা খাঁটি ছিল অথচ আমি বুঝতে পারিনি। যেটা খাঁটি ভেবেছি সেটা পুরোটাই ভেজাল ছিল। জীবনে বোধ করি ভালবাসার বিষয়টা অভিনয় করে হলেও ভাল করে উপস্থাপন করতে হয়। না হলে এরকম কষ্ট পেতে হয়। একটু অভিনয় করে হলেও ভাল সাজলে না কেন।
শোভন বললো- প্রকৃত অর্থেই ভালবেসেছিলাম। তাই অভিনয় বা ভনিতার প্রয়োজন বোধ করিনি।
কিছু মনে কোরো না শোভন ভেবনা রিদিতা’র ভালবাসা তুমি কম পাবে বরং এখন কয়েকগুন বেশি পাবে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তবে আমার অতীতটা...
শোভন বললো, তোমার অতীত ওই অতটুকুই যে পর্যন্ত আমি তোমার কাছে ভালবাসা চেয়েছি। বর্তমান হচ্ছে আমরা পরস্পরকে ভালবেসেছি আর ভবিষ্যত হচ্ছে আমরা ঘর বাঁধবো। এর বাইরে কিছু আমিতো ভাবিনা।
রিদিতা শোভনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, এই সময় পাশ থেকে একটা শব্দ ভেসে আসছিল- সংযম, সংযম।
রিদিতা শোভন দু’জনেই হেসে উঠলো।
সঞ্চিতা ব্যলকনিতে এসেই বললো- আগামী শুক্রবার বিয়ে ওদিনই বাসরটা হয়ে যাবে। তাই চিন্তার কিছু নেই। আলাপ লুকিয়ে যতটুকু শুনেছি ভবিষ্যতাঁ হচ্ছে- ঝটপট কয়েকটা বাচ্চা।
রিদিতা বললো, অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে দেখি।
সঞ্চিতা বললো, গৃহিনী হলে অমন আড়িপাতার অভ্যাসটা হয়। তুমি হও দেখবে তোমারও হবে। শোভনকে বললো- দুলাইভাই চলেন আপনার ভাই-ভাবী সবাই অপেক্ষা করছে। চা টা খেয়েই বের হবে।
শোভন বললো- চলুন।
রিদিতা হাসতে হাসতে বললো, ছোটদের তুমি বলতে হয়।
সঞ্চিতা সায় দিয়ে বললো, এমন ব্যবস্থা করলে বোনাসও দিতে হয়।
তিনজন একসাথে হেসে উঠলো। এরপর তারা গেল ড্রয়িংরুমের দিকে।
ব্লগে এই পর্যন্ত শেষ করলাম...আসলে ছাপাতে না পারার ব্যর্থতা একটা বড় ব্যর্থতা...দোয়া করবেন আল্লাহ যেন অর্থ কষ্ট দূর করে আমাকে লেখার তৌফিক দেন...লিখে বড় হতে চাই...আর এটা যদি কখনো প্রকাশিত হয় ‘ সূর্যাস্তের ভালবাসা’ নামে প্রকাশিত হবে...তবে কোন প্রকার প্রচার প্রচারণা ছাড়া...ভালবাসার উপলব্ধি দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি...
বিষয়: সাহিত্য
১৬১৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন