প্রেম যেন এমনই হয়-৪২
লিখেছেন লিখেছেন প্রগতিশীল ২০ মার্চ, ২০১৫, ০২:২৮:২৬ দুপুর
দুপুরে ফিরে এল রতন। অনেক কিছু ভাবছিল সে। তবে রুমে ফিরে নিজেই অবাক হয়ে গেল। সঞ্চিতা কি যেন লিখছে সকালের কোন কথাই যেন তার খেয়াল নেই। রতন তাজ্জব হয়ে গেল। বাবার রোগ বউকে চেপে ধরলো না তো!
রতনের উপস্থিতি টেরই পেলনা সঞ্চিতা। প্রথমে মৃদু শব্দ করে তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলো সে। তারপর একটু আওয়াজ করে সালাম দিয়ে বললো; ম্যাডাম সালাম নেবেন। সঞ্চিতা; কেবল একবার হু বললো। এরপর ফের যে কাজ করছিল সে কাজে মনোযোগ দিল।
রতন উপায়ন্তর না দেখে এবার ইংরেজি সম্ভাষণ; শুরু করলো; গুড আফটারনুন ম্যাম...সঞ্চিতা বিরক্তির সুরে বললো, বসতো তুমি। কাজটা শেষ করি। আর যাও ফ্রেশ হয়ে এসো দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে। সে সুবোধ বালকের মত ফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে দেখলো সঞ্চিতার মুখের উপর সূর্যের আলো পড়েছে। দুপুর বেলা হলেও দিনগুলি শীতের তাই বিষয়টা কষ্টের না।
তবে তার মুখের উপর সূর্যের আলো পড়াতে অন্যরকম একটা আভার সৃষ্টি হয়েছে। মুখে যেন আলাদা লাবণ্য সৃষ্টি হয়েছে। সঞ্চিতার এ রূপ রতনকে বিমোহিত করলো। আরতো ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব হলো না। সব কিছু উপেক্ষা করে রতন গিয়ে তাকে আলিঙ্গন করলো। সঞ্চিতা মৃদু বাধা দিয়ে বললো কি করছো। রতন কোন কিছু না শুনে তাকে কোলে তুলে নিল।
এসময় দরজা খুলে গেল। রিদিতা ঢুকেই বলে ফেললো দুইটা পার হয়ে গেছে তোরা এখনো খেতে আসছিস না। কোন দিকে না তাকিয়েই সে কথাগুলো বলছিল। একটু সামনের দিকে তাকিয়েই সে স্যরি বললো। এই সময় রতন চরম লজ্জা পেয়ে কোল থেকে সঞ্চিতাকে বিছানার উপর ফেলে দিল।
সঞ্চিতা কিছুটা ব্যথায় ককিয়ে উঠলো। রিদিতা ছুটে গেল তার দিকে। ততক্ষণে সঞ্চিতা নিজেকে সামলে নিয়েছে। তবে ব্যথা সে পেয়েছে।
রিদিতা রেগে গিয়ে রতনকে বলছিল; ওভাবে বোকার মত ওকে ফেলে দিলি কেন। গর্দভ কোথাকার দরজা বন্ধ রাখবি না। আর তা না হোক তোদের দৃশ্যটুকু সিনেমা মনে করে দেখতাম। কিছুটা হাসলো সে।
রতন বললো; আপু তোরা আয় আমি খেতে গেলাম। এই বলে সে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
সঞ্চিতা বরাবরই ঠোঁট কাঁটা স্বভাবের। সে বললো; আপু তোমার ভাই একটু বেশি অ্যাগ্রেসিভ। কি আর বলবো যখন তখন...
চলো খেতে যাই। উঠতে গিয়ে কিছুটা ককিয়ে উঠলো। রিদিতা কিছুটা চিৎকার দিয়ে রুনুকে ডাকলো। রুনু এলে বললো; দৌড় দিয়ে মুভটা নিয়ে আয়তো। সে ছুটে গেল।
সঞ্চিতা হেসে বললো; আপু চলতো খেতে যাই। তোমার ভাইয়ের কাছে লাগিয়ে নেব এখন।
রিদিতা বললো; যদি ব্যথা থেকে যায় তো তাই কোরো। এখন একটু লাগিয়ে দেই। আরাম পাবে।
রুনু মুভটা নিয়ে এলে; রিদিতা তার কোমরে ও পিঠে তা লাগিয়ে দিল। এরপর সে কিছুটা আরাম অনুভব করলে। উঠে ফ্রেশ হয়ে এল। এরপর দুজনে খাওয়ার টেবিলের উদ্দেশে বেরিয়ে গেল। রুনু মুভ এনে দিয়েই চলে গিয়েছিল।
চলবে...
বিষয়: সাহিত্য
১৪৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন