শিক্ষক যখন ধর্ষক !
লিখেছেন লিখেছেন প্রগতিশীল ০৫ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৪৭:৪২ দুপুর
এই শিরোনামে কোনদিন কিছু লিখতে হবে তা কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। এ শিরোনামে লেখা আর বেদনাকাতর হৃদয়ের দুঃখ বর্ণনা একই কথা। ভগ্ন হৃদয় সুখের হালকা বাতাসে জোড়া লেগে যায়। ব্যথা আর কাতরতা প্রিয়জনের একটু হাসিতে হারিয়ে যায় দূর নীলিমায়। কাঁদলে অথবা চিৎকার করলে প্রশমিত হয় পাহাড়সম দুঃখ। কিন্তু এ দুঃখ কিভাবে প্রশমিত হবে তা কিছুতেই বোঝা যায় না।
পবিত্র কুরআনে পাঁচটি পেশার কথা বর্ণিত আছে সেগুলো হল : বিচার, সাংবাদিকতা, কৃষি, চিকিৎসা ও শিক্ষা। তবে শিক্ষা তথা শিক্ষকতা যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। পৃথিবীতে যত নবী এসেছেন তারা যেমন সবাই মেষ চড়িয়েছেন এটা সত্য তেমনি তারা প্রত্যেকেই শিক্ষক ছিলেন সমাজের। শেষ নবী (সাঃ) এর ঘোষণাই ছিল তিনি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত পুরুষ।
তাই শিক্ষকতা পেশা সম্পর্কে কোন বর্ননার অবকাশ নেই। বাংলাদেশে আজ এ পেশাটা একটা কলুষিত পেশায় পরিণত হয়েছে। ঠিক সাদা পোশাকে লাগা দাগের মত। স্কুল, মাদরাসা, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গায় শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের কারণে আজ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকের মনে একটা ভীতির সৃষ্টি করেছে।
সন্তানের সম্ভ্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবেন যিনি তিনিই গায়ে লাগিয়ে দিচ্ছেন কলঙ্কের কালিমা। জীবনকে ঠেলে দিচ্ছেন অন্ধকারের দিকে।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ার পান্না (দুঃখিত তাকে শিক্ষক সম্বোধন না করার জন্য) যে নজির স্থাপন করল তা শিক্ষকতার ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ ঘটনার বর্ননা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এলে দেশের ইজ্জত আর অবশিষ্ট থাকবেনা। পরিমলের কলঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই পান্না আঁকল মহাকলঙ্কের দাগ। জাতির জন্য এটা কত বড় দূর্ভাগ্য তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। শিক্ষক আজ জাতীয় ধর্ষক !
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন