বাংলাদেশে ধর্ম ব্যবসা এবং ধর্মীয় রাজনীতি বিষয়ে রাজনৈতিক দৃষ্টি এবং সাধারন জনগনের দৃষ্টিভঙ্গী কি একই
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৫৫:৫৬ সন্ধ্যা
ইসলামের ইতিহাস থেকে শুরু করে যুগ যুগ ধরে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে সকল দেশেই শাসকগোষ্ঠীর মনোভারেব দিকে তাকালে আমরা কি দেখতে পাই, দেখা যায় যারা সত্যিকারে ইসলামের পক্ষে, সত্যিকারে আল্লাহ আর আল্লাহ রাসুলের কথা যারা বলে তাঁরাই বিপদের মুখে পড়েছেন। এবার আমাদের সাধারনের চোখে ধর্মীয় রাজনীতি আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের দিকে তাকালে কি দেখা যায়, দরগাহ, উরুস, পীর, মাজার ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ম নিয়ে ব্যবসা চলে। এ যাবত এদের ব্যবসা নিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই আপত্তি করতে শুনা যায় নাই। জামায়াতে ইসলামের কাউকে তো কখনো উরুস, দরগাহ, মাজার ইত্যাদির জন্য জনগনের কাছ থেকে চাদা বাজী করতে দেখা যায়নি। সবাই জানে জামায়াত ইসলামের কর্মী সদস্যরা স্বেচ্ছায় দলের জন্য চাদা দিয়ে থাকে। তারপরও কেন এদের বিরুদ্ধে শাসকদল সহ প্রায় সব ধর্মীয় দলগুলো বিরুদ্ধাচরন করছে। অনেক ধর্মীয় দলকেই জামায়াতকে প্রকাশ্যে গালি দিতে শুনা গেছে, জামায়াত কখনো কোন ধর্মীয় দলকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্য সমালোচনা করতে শুনা যায়নি। তাহলে মনে করা যায়, নিশ্চই এরা সত্যের পথে আছে। প্রকৃত ঈমানদারদের ঈমানের পরীক্ষা দিতে হয়। বাংলাদেশে আর কোন ইসলামী দলকে তো এদের মত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে দেখলাম না। গত চার বছর এদেশের সবাই আমরা দেখলাম, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা দেশে কি পরিমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষককে লাঞ্চিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকরাসহ টেন্ডারবাজি, চাদাবাজী ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে হাজারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে নিরীহ বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্য তো সহজে ভূলবার নয়। গত চার বছর জামাযাতের বিরুদ্ধে যে রকম নিধনমূলক কর্মকান্ড সরকার চালিয়েছে, এসব দেখে মনে হয়েছে সরকার চাচ্ছে জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করুক। কিন্তু জামায়াত গত চার বছর তা করেনি। অথচ সর্বশেষ যখন বিচারের নামে দলটিকে নিষিদ্ধ করনের দিকে সরকার এগুচ্ছে, তখন তারা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে। এখন আমাদের নতুন প্রজন্ম শ্লোগান তুললো, জামায়াত নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে তাদের কাছে প্রশ্ন, গত চার বছর এদেশে কারা সন্ত্রাসী চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ছাত্রলীগের বদনাম থেকে মুক্ত থাকার জন্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। নতুন প্রজন্ম ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের শ্লোগান দিতে নিশ্চই ভয় পাচ্ছে অথবা এরা প্রকৃত স্পিরিটের নব প্রজন্ম নয়। নব প্রজন্ম তো নির্ভীক হওয়ার কথা। কারো করুনা কামী হওয়ার কথা নয়। নব প্রজন্ম তো নতুন কিছু সৃষ্টি করার কথা। এদের মুখে পুরনো শ্লোগান কেন? দেশের মানুষের বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশকে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো শ্লোগান দেওয়ার মতো মেধা কি তাহলে এদের মধ্যে নেই? এই নব প্রজন্মকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিলে ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয় না? বিষয়টা মুক্তিযোদ্ধাদের ভেবে দেখা দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন