প্রিয় ব্লগার খন্দকার হাবিবুল্লাহর নতুন বই প্রকাশিত হল
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগারদের প্রকাশনা প্যানেল ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫৪:২২ বিকাল
ডঃ আ ফ ম খালিদ হোসেন সাহেব এর লেখা ভূমিকা নিম্নরূপ:
ভূমিকা
বিশিষ্ট লেখক, ব্লগার ও নেটওয়ার্ক এক্টিভিস্ট জনাব খন্দকার মাওলানা হাবিবুল্লাহ কর্তৃক লিখিত ‘ইসলামী সমাজ ও আমাদের যাপিত জীবন’ শীর্ষক গ্রন্থটি আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। বিজ্ঞ লেখক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎস থেকে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে গ্রন্থটি দাঁড় করিয়েছেন। ফলে এটি হয়েছে ‘জ্ঞানের আধার’। গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত বিভিন্ন নিবন্ধ ইতোমধ্যে মাসিক ‘আত-তাওহীদ’সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও ব্লগে ছাপা হয়ে পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। কাতারে প্রবাস জীবন কাটালেও দেশের রাজনীতি, শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি লেখকের প্রাণের যে টান রয়েছে গ্রন্থটি পড়লে তা সহজে অনুধাবন করা যায়। তাঁর লেখায় ইসলামী আদর্শের আলোকে সমাজ বিনির্মাণের একটি মহৎ প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। তিনি অতীত ঐতিহ্যের আলোকে বর্তমানকে সাজাতে চেয়েছেন। আকাশ সম্পর্কিত ড. মরিস বুকাইলির বক্তব্য এর নির্মোহ পর্যালোচনা করেন। একজন মাদরাসা শিক্ষিত হয়েও তিনি নভোমন্ডল নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ‘ছোটদের বিজ্ঞান মহাকাশ পর্ব’ নামে আরো একটি গ্রন্থ রচনা প্রায় শেষ করেছেন, যা মাসিক ‘আত-তাওহীদ’-এ প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে । বিজ্ঞ লেখক তাঁর চিন্তা-চেতনায় ও মননে একটি ইলমী উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন, যা তাঁর লেখায় স্পষ্টত বিধৃত। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার প্রাক্তন শায়খুল হাদীস ও বরেণ্য আলিমে দীন আল্লামা মুহাম্মদ ইসহাক কানাইমাদারী (রহ.) এর যোগ্য সন্তান। মাওলানা হাবিবুল্লাহ ভাইয়ের বাবা আমার শ্রদ্ধাভাজন উস্তাদ ছিলেন। আমি তাঁর কাছে পাঁচ বছর হাদীস, ফিক্হ ও আরবী সাহিত্য অধ্যয়ন করেছি। তাঁর দু’ভাই মরহুম হাফেয মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ ও খন্দকার মুহাম্মাদ হামিদুল্লাহ যথাক্রমে আমার সতীর্থ ও ঘনিষ্টজন। তাঁরা প্রত্যেকেই মেধাবী ও সৃজনশীল কর্মে উৎসাহী। বিজ্ঞ লেখক বিভিন্ন শিরোনামে গ্রন্থটিকে বিন্যস্ত করেছেন। এর মধ্যে
‘পর্দাহীনতা যেন দৃষ্টিনন্দন কাঁটার মালা’,
‘জাতির বিজয়ের পথে তুমিই অন্তরায়;,
‘যেভাবে মুসলমানগণ নিজেদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে পারেন’,
‘প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, শান্তিত থাকুন’,
‘মানসিক শান্তি অর্জনের উপায়’,‘আত্মশুদ্ধি’
-ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করার মহৌষধ’,
‘যে কারণে আমরা আজ লাঞ্ছিত হচ্ছি’,
‘আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের প্রক্রিয়া কোথা থেকে শুরু করতে হবে?’,
‘আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে যেতে হবে’,
‘তথ্য প্রযুক্তিতে আলেমসমাজকে চাই ব্যাপক ও অগ্রসর অবস্থানে’,
‘দেওবন্দী ওলামায়ে কেরাম সম্পর্কে মতিউর রহমান আল মাদানীর অপবাদ: একটি নির্মোহ পর্যালোচনা’,
‘ধার-কর্জের বিড়ম্বনা এবং পরিত্রাণের উপায়’,
‘মাজারের দান বাক্স,
‘দীনি মাদরাসাগুলো মানবতার কল্যাণের কারখানা’,
‘আকাশ জয় কি সম্ভব’,‘ইলম ও আলিমের মর্যাদা’,
‘ওলামায়ে দেওবন্দ কেমন ছিলেন’,
‘কাউকে ধর্মব্যবসায়ী বলার আগে ভেবে দেখা দরকার’,
‘ডারউইনের বিবর্তনবাদের রহস্য উদঘাটন’,
‘তাবলীগ, বিশ্বব্যাপী কার্যকর এক ইসলামি আন্দোলন’,
‘দোয়া যেভাবে করবেন’,
‘রামাযানে যারা যাকাত দেন তাদের উদ্দেশ্যে দু’টি কথা’ ও ‘মক্কা শরিফের ইমাম শাইখ সাউদ বিন ইবরাহীম আশশুরাইম এর ইমানদীপ্ত ভাষণ’ ইত্যাদি নিবন্ধগুলো বেশ সময়োপযোগী ও পাঠকদের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। শায়খুল ইসলাম মুফতি তাকী উসমানীর একটি নিবন্ধ ও দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত জার্ণালের ২/৪টি সমকালীন লেখা ভাষান্তর করে দেয়ায় গ্রন্থটির মান বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বচ্ছন্দ বাক্য নির্মাণ, সরল ভাষা, ঝরঝরে বর্ণনাভঙ্গি ও উপাত্তনির্ভরতার কারণে
‘ইসলামী সমাজ ও আমাদের যাপিত জীবন’
গ্রন্থটি হয়েছে বেশ আকর্ষণীয় ও সুখপাঠ্য। তথ্য উপাত্তের উদ্ধৃতি প্রদানে আধুনিক নিয়ম (জবংবধৎপয গবঃযড়ফড়ষড়মু) অনুসরণ করা গেলে এবং গ্রন্থের শেষে একটি ‘গ্রন্থপঞ্জি’ সংযুক্ত করা গেলে এটি আরো বেশী গ্রহণযোগ্যতা পেত। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি এটি করা যাবে। আমাদের প্রত্যাশা বিজ্ঞ গ্রন্থকার আগামী দিনগুলোতে আরো অধিকতর সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখবেন এবং নতুন নতুন গ্রন্থ পাঠকদের উপহার দেবেন। আমি ‘ইসলামী সমাজ ও আমাদের যাপিত জীবন’ গ্রন্থটির ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি এবং দু‘আ করি যেন আল্লাহ তায়ালা খন্দকার মাওলানা হাবিবুল্লাহ ভাইকে আরো কলমি খিদমতের তাওফিক দান করেন, আমিন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন অধ্যাপক, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ, চট্টগ্রাম সম্পাদক, মাসিক ‘আত-তাওহীদ, চট্টগ্রাম ঊ-সধরষ: ফৎশযধষরফ০৯@মসধরষ.পড়স
################################################################################################
আপকামিং টেস্টিং পোস্ট
স্বাধীনতাউত্তর ভিন্ন আমেজে যে কয়টি বই হাতে গুণা, তারমধ্যে অন্যতম ‘স্বপ্ন দিয়ে বোনা’
অনলাইন জগতের মাধ্যমে যদিও ইতিমধ্যে অনেক বই প্রকাশ হয়েছে । কিন্তু ‘স্বপ্ন দিয়ে বোনা’র মত ভিন্ন ধর্মী বই আর বের হয়নি ।
ব্লগারদের প্রকাশনা প্যানেল যখন বই’র জন্য লেখা আহবান করলেন তখন দেশ বিদেশ থেকে প্রায় ৮০০/র মত লেখা এসেছিল । বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাধ্যমে লেখা বাচাই করা হয় ।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কিছু নবীন লেখকের লেখা বইতে ছাপিয়ে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা । এদিকে দিয়ে বলতে গেলে আমরা সফল ।
এ প্রসঙ্গে ব্লগার এম.এম.ওবায়দুর রহমানের একটি মন্তব্য
বিষয়: বিবিধ
১৬১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন