* আস্তিক আর নাস্তিকের রেষারেষিতে আজ দেশের পোয়াবারো
লিখেছেন লিখেছেন একলাপথিক ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৪৯:৪৩ রাত
কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে- যার হয়ত কোন সঠিক উত্তর নেই মিমাংসা নেই।
এমন কি কার কাছে জিজ্ঞেস করব তাও জানা নেই। তবু ও............।।
একদিকে ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে হাতে গোনা কিছু নাস্তিক নামধারী মানুষ কিভাবে সাহস পায় এই রকম জঘন্যভাবে মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করতে? যার জন্য সবাইকে খেপিয়ে তুলতে পারে। তাদের নেপথ্যে কি কেউ আছে ,যে বা যারা তাদের কলকাঠি নাড়ছেন? নাকি আরো দুরের কোন শক্তি তাদের পেছনে অদৃশ্য আছে? যাদের কে আমরা খালি চোখে দেখিনা।।
কারন এরা অনেকেই আমার মত ই মুসলিম পরিবারের সন্তান,সবার বাবা মা হয়ত ধর্মীয় মুল্যবোধেও বিশ্বাসি।হতে পারে তারা আজকের মুক্ত আধুনিকতার গন্ধ গায়ে মেখে একটু নষ্ট হয়েছে তা মেনে নেয়া বয়সের দাবী বললাম জাফর ইকবালের ভাসায়।কারন এই মানুসগুলি শিক্ষিত প্রজাতির। কিতু এরা আমার চেয়েও খুব ভাল করেই জানত তাদের এই গর্হিত লেখালেখির জন্য একদিন সমাজে অশান্তি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবেনা । তাহলে কেন করতে গেল এইসব? কি লক্ষ্য ছিল তাদের? প্রাপ্তিইবা কি ছিল? পাশাপাশি দেশের কর্তা ব্যক্তিদের ও বিষয়টি নজরে এলেও তারাও কেন এড়িয়ে চলতে থাকল দিনের পর দিন? আবার যখন দিবালোকের সব কিছু পরিষ্কার হয়ে উঠল তখন ই বা কেন তারা এই সব কুলাংগারদের পক্ষ্য নীল? ক্ষমতার হাতিয়ার হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এরা হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। তাহলে কেন? ? ?
অন্যদিকে শাহবাগ- যা শুরু হয়েছিল আরেকটি আবেগি বিষয়কে নিয়ে, যা দেশের সব মানুষের আজিবনের ই প্রানের দাবী । কারন আমি ৭১ দেখিনি কিন্তু শুনেছি মায়ের মুখে, বইয়ের পাতায়, প্রামান্যচিত্রে। এখন জাতীয় দিবসে সে সব নারকিয় তান্ডব দেখলে গা শিয়রে উঠে।আমার অনেক বন্ধুরমত আমিও শাহবাগ নিয়ে স্বপ্নে বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু-------
যখন খুব চমৎকারভাবে আমাদের বিভক্ত করতে শুরু করল আজকের সাহবাগ থেকে--------
*যে মানুষটি তাদের শিখানো বুলি বল্বেনা সেই রাজাকার
*ইসলামের পক্ষ্যে কিছু বললে রাজাকার
*এখান থেকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আগাত করছে
* দেশের বেশীরভাগ মিডিয়া হয়ে গেল তাদের আজ্ঞাবহ আর
২/১ টি মিডিয়া সত্য প্রকাশ করে তাদের কাছে হয়ে যায় রাজাকার। সুতরাং -----
এটি যে সরকারের হাজার সমস্যাকে আড়াল করার একটি কৌশল মাত্র ছিল তা বুঝতে অনেকের মত আমার ও দেরি হয়নি।তবে আমি বুঝেছিলাম সেদিনের সংসদের প্রধানমন্ত্রীর মুল্যবান বক্তব্য থেকেই। সাহবাগ কে সরকার কেমন যেন, হারবাল চিকিৎসার বিজ্ঞাপনের কথার মত ---
ঃ -ঃ "জীবনের শেষ ভরসা হিসেবে আসুন, বিফলে মুল্যফেরত মার্কা ঃ-ঃ"
বিজ্ঞাপন বলে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তা আর হয়ে উঠলনা।
এখন অকাতরে মরছে মানুষ বারছে হুঙ্কার
আমি যে অসহায় কেশুনিবে চিৎকার
তোমরা মারো আমরা দৌড়ি তবু আমাদের অন্যায়
তোমরা করলে চেতনা জাগাও আমরা করলে পাপ
সকাশে বলি প্রভু আমায় কর মাফ
বিষয়: বিবিধ
১০৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন