বৃথা এ ‘পৌরুষ’ আমার, জন্মই নিস্ফল!
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২২ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৩৫:০১ দুপুর
আকাশ দেখে ওর মত উদার হতে চেয়েছিনু।
হেঁসে উঠে বলল;
সর্বসহা মাটির বুকে থেকেও উদার হতে শিখলে না?
যে মাটি বহিছে ভরটুকু তোমার, নিশ্চুপ, নিরবে!
অথচ জন্মদাত্রীর চরণধুলোটুকুও অসহ্য হলো?
কি ভাবে সেই তুমি উদার হবে বলো?
আমাকে সর্বসহা, সংযমী করে দাও, ভূতলকে বলেছিনু।
নিদারুণ আক্ষেপে, সক্রোধে সে বলে উঠল;
হে পুরুষ, গৃহকোণে নির্যাতিতা নারীর সংযম দেখ নি?
দেখনি অনূঢ়া বোন, বিধাব মা-ভাগ্যাহতা রমণীকুলের নীরব ক্রন্দন?
দেখনি ‘জন্মকেই আজন্ম পাপ’ ভেবে নীরবে সয়ে যাওয়া?
দেখনি বঞ্চণাকে ‘ললাট লিখন’ ভাবা নারীর সর্বংসহা রুপ?
চাপা আক্রোশে দশদিক কাঁপিয়ে ভূতল চিৎকার করে উঠল;
হে পুরুষ, তুমি প্রেমিক নও, নর নও, বর নও,
তুমি বাবা নও, স্বামী নও, তুমি ভাই নও, বন্ধুও নও।
তুমি কেবলই নির্লজ্জ খল,
হে পুরুষ; তুমি কেবলই ভন্ড, প্রতারক,
তুমি কেবলই খল!!
আমার এ অনূক্ত, অব্যক্ত, অনাকাংক্ষিত পরিচয়ে-
নির্বাক আমি, বিমূঢ়! ক্ষোভে আঁখি ছল ছল!!
জায়া-জননীর অন্তরর্জ্বালাটুকু বুঝিনি-
বৃথা এ ‘পৌরুষ’ আমার, জন্মই নিস্ফল!
বিষয়: বিবিধ
১৪১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন