'মুক্তো দিয়ে গাঁথা মালা'

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০১ জুন, ২০১৬, ০৫:০২:৫৩ বিকাল



আমার লেখা পরবর্তি গ্রন্থ 'মুক্তো দিয়ে গাঁথা মালা' থেকে অংশ বিশেষ-

ঘটনাটা ৫৯৫ খৃস্টাব্দের। আরবের ধনাঢ্য, বিধবা ও অত্যন্ত মর্যাদাবান এক নারী খাদিজা নিজ ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিশ্বস্থ একজন কর্মচারী খুঁজছেন। বিবি খাদিজা পুরো আরবে এতটাই সম্মানিতা ছিলেন যে, লোকজন তাঁকে 'আমিরাতুন কুরাইশ' বা 'কুরাইশদের রাজকণ্যা' আবার কখনও কখনও 'আত তাহেরা' তথা 'পূত পবিত্রতমা' বলে ডাকতো। বিবি খাদিজা একজন সফল ব্যবসায়ীও ছিলেন। লোক রেখে তিনি মক্কা থেকেই সেই সুদুর সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

বাবা খাওয়ালিদ যে কেবল মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন, তাই নয়, তিনি ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীও বটে। সিরিয়া ও ইয়েমেনের সাথে তাঁর অত্যন্ত সফল ব্যবসা ছিল। আর এরই মাধ্যমে তিনি অঢেল সম্পদ অর্জন করেন। আর ওদিকে বিবি খাদিজার প্রথম স্বামী আবু হালা'র মৃত্যুর পরে তিনি মক্কার আর এক সফল ব্যবাসায়ী আতিক ইবনে আজিজকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বৎসর পরে ব্যবসায়িক কাজ সেরে সিরিয়া থেকে আসার পথে এই দ্বিতীয় স্বামীও মারা যান। ব্যক্তি জীবনে বাবা ও পর পর দুই স্বামীর মৃত্যু বিবি খাদিজার জন্য এক বিরাট বেদনাদায়ক ঘটনা ছিল। তবে বাবা ও স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি পেয়ে তিনি আপনাতেই এক ধনাঢ্য নারী হিসেবে আবির্ভূত হন।

তা ছাড়া তাঁর জন্মই হয়েছিল মক্কার ধনাঢ্য পরিবারে। সে পরিবার ব্যবসায়ী পরিবারও ছিল বটে। রক্তে মিশে ছিল ব্যবসার চেতনা, তিনি নিজেও ব্যবসাতে জড়িয়ে পড়েন। সন্তানের মা ও একজন নারী হিসেবে ঘর সংসার, এতিম সন্তানদের ফেলে তাঁর পক্ষে সিরিয়া, ইয়েমেন-এ বাণিজ্য বহর নিয়ে আসা যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু তাতে কী? তিনি বেতনভূক্ত কর্মচারী রেখেই অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন এবং অতি স্বল্প সময়েই একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বলা হয়ে থাকে যে, সমকালীন সময়ে মক্কার অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর ইর্ষার পাত্রী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এ বাস্তবতা প্রকৃত অর্থে বিবি খাদিজার জ্ঞান, বিচক্ষণতা, ধৈর্য, উন্নত ব্যক্তিত্ব আর উন্নত বুদ্ধিমত্তা এবং সেই সাথে সামাজিক প্রভাবকেই নির্দেশ করে।

বিদগ্ধজনেরা এটা ভালো করেই জানেন, সম্পদের মালিক হওয়া যতটা সহজ, তার চেয়ে শত গুনে কঠিন হলো সেই সম্পদ রক্ষা, তার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও ত্বত্তাবধান করা। তার চেয়েও কঠিন হলো সম্পদের মালিক হয়েও নিজের আত্বিক ও মানবিক প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু এই দুরুহ কাজটাই বিবি খাদিজা করেছিলেন অত্যন্ত সহজ ও সাবলীলভাবে।

যা হোক, ব্যবসা, উত্তাধিকার ও পারিবারিক সুত্রে পেয়ে তিনি অঢেল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন বটে কিন্তু সম্পদের প্রাচুর্যতা তাঁকে অহংকারী বানায় নি, বিলাসি বানায় নি, বরং এত সম্পদের অধিকারীণি হওয়া সত্তেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিরাহংকারীনী, ভদ্র, দারিদ্রবৎসল এবং দানশীলা। মক্কা ও তার আশপাশ এলাকায় কেউ কোন বিপদে পড়লেই ছুটে আসতো তাঁর কাছে। এভাবেই তিনি পুরো মক্কাবাসীর কাছে হয়ে উঠেছিলেন আভিজাত্য, আস্থা আর শ্রদ্ধার এক মূর্তপ্রতিক! সেই তিনিই তাঁর ব্যবসার জন্য একজন অভিজ্ঞ কর্মচারী খুঁজছেন।

ব্যবসায় অভিজ্ঞ পুরুষ সে সময় ঐ অঞ্চলে তথা মক্কা ও তার আশে পাশে অনেক ছিল, কারণ, মক্কা শহরটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম এক শীর্ষ বাণিজ্য নগরী। সিরিয়া এবং ফিলিস্তিনের সাথে হিমাইর এর সংযোগ স্থাপনকারী লোহীত সাগরের তীর ঘেঁষে উত্তর দক্ষিণ প্রলম্বীত হেজাজ সড়ক এবং ইরাক, পারস্য উপসাগর ও ইয়েমেন-এর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী পূর্ব পশ্চিম দীর্ঘ নজদ সড়ক। সমকালীন যুগের বাস্তবতা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পাদনের এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে অবস্থিত মক্কা প্রকৃত অর্থেই এক আন্তর্জাতিক নগরী; মেট্রোপলিটন তথা কসমোপলিটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মক্কা অনেক আগে থেকেই পূর্ব আফ্রিকার দেশসমূহ, ভারত মহাসাগরীয় এবং ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলবর্তী দেশসমূহের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ততদিনে সেখানে মিশরের বণীকদের 'দ্বার আল মিছর' নামে বাণিজ্য কেন্দ্র (৪৯৯-৫০০ খৃষ্টাব্দ সময়কালে) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব বাণিজ্য কেন্দ্রে মক্কার স্থানীয় আরবরা কেউবা কর্মচারী আবার কেউবা বণিক হিসেবে কাজ বা ব্যবসা করতো।

এভাবেই আরবদের কাছে ব্যবসা একটা সম্মানজনক ও নির্ভরযোগ্য পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত তাদের একমাত্র ও অন্যতম সম্মানজনক পেশাই ছিল ব্যবসা। কাজেই ব্যাবসা পরিচালনায় সমর্থ অভিজ্ঞ লোকের অভাব সে সমাজে ছিল না। তবে বিবি খাদিজা এমন একজন কর্মচারী খুঁজছিলেন যিনি কেবল বাণিজ্যেই অভিজ্ঞ নন, বরং যিনি তার চেয়েও বড় কিছু; একজন স্বৎ ও আস্থাভাজন ব্যক্তি।

এ সময়ে তারই বংশের এক বৃদ্ধ আবু তালেব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এগিয়ে এলেন এবং বিশ্বস্থ ও অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁরই এতিম ভাতুষ্পুত্র; মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর নাম প্রস্তাব করলেন। নিজেদের বংশীয় ও পারিবারিক ব্যবসার কাজে তাঁর এই এতিম ভাতুষ্পুত্র; মুহাম্মদ বারো বছর বয়স থেকেই তাঁর (আবু তালেব) সাথে বাণিজ্যিক কাফেলার সাথী হয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যাওয়া আসা করেছে। ব্যবসা পরিচালনার বিভিন্ন কলা কৌশলসহ রাস্তা ঘাটও সে চেনে ও জানে এবং অত্যন্ত বিশ্বস্থতা ও দক্ষতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করেছে। তাঁর সততা, বিশ্বস্থতা ও ব্যবহারে ইতোমধ্যেই মক্কাবাসী বেমোহিত হয়ে তাঁকে ‘আস সাদিক’ ‘আল আমিন’ বলে ডাকা শুরু করেছে। বিবি খাদিজা যদি এই মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহকে তাঁর ব্যবসার জন্য নিয়োগ দেন, তবে সেটা যথার্থ হবে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।

আবু তালেব-এর কথাগুলো বিবি খাদিজার মনে ধরলো। তিনি মাত্র পচিশ বসর বয়সী যুবক মুহাম্মদের নিকট লোক পাঠালেন। যাকে পাঠালেন, সেই খাজিমাহ ইবনে হাকিমকে এটাও বলে দিলেন যে, তিনি প্রচলিত পারিশ্রমিকের চেয়ে দ্বিগুন দিতেও প্রস্তুত। এভা্বেই মুহাম্মদ সা: এর নিকট প্রস্তাবটি গেল এবং তিনি (সHappy রাজীও হলেন।

যথাসময়ে এক বিরাট সওদা নিয়ে যুবক মুহাম্মদ (মুহাম্মদ সHappy রওয়ানা দিলেন সিরিয়ার উদ্দেশ্যে। কী মনে করে বিবি খাদিজা তাঁর বেতনভুক্ত কর্মচারী মুহাম্মদের সাথে তাঁর নিজের এক দাসী মাইসারাহ'কেও দিলেন। শুরু হলো ৮৬২ মাইল তথা ১৩৮৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ সফর (বর্তমানে আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় এ দুরত্ব আরও বেশি; ২৪৯৩ কি:মিHappy

এ দীর্ঘ পথযাত্রার পুরোটা সময় মাইসারা ছিলেন সাথে। একজন নারী; পচিশ বৎসর বয়সি অবিবাহিত একজন তরতাজা যুবকের সাথে এ দীর্ঘ পথে এক ক্রীতদাসী নারী! বিষয়টা আজকের এই আধুনিক ও প্রগতিশীল বিশ্বে ভাবতে গেলেও মাথা গুলিয়ে যাবে, এক কথায় বলে উঠবেন সবাই, এটা অসম্ভব। কোনো নারীই একজন অপরিচিত, অনাত্মীয় যুবকের সাথে এতটা পথ যেতে চাইবে না। কিন্তু এটা যেন তেন কোন যুবকের ব্যপার ছিল না। এটা ছিল মক্কার সবচেয়ে সুদর্শন, সবচেয়ে সচ্চরিত্রবান আস সাদিক, আল আমিন; তথা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর ব্যপার!

যাহোক, মাল-পত্র বেচে কেনা সেরে যথাসময়ে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ তার কাফেলা নিয়ে মক্কায় ফিরে এলেন। এবারে লাভও হয়েছে প্রচুর। অন্যান্যবারে বিবি খাদিজা যে পরিমাণ মুনাফা পেতেন, এবারে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ তাকে তার দ্বিগুন মুনাফা দিয়েছেন। আসলেই, আবু তালেব-এর পরামর্শ শুনে তারই ভাতুষ্পুত্র মুহাম্মদকে বিজনেস ম্যানেজার হিসেবে নিয়ে বিবি খাদিজার লাভ হয়েছে ধারণাতীত! তিনি খুব খুশী।

ওদিকে সফর হতে ফিরে বিবি খাদিজার দাসী মাইসারার মুখে যেন খই ফুটছে! তিনি পুরো সফরকালীন সময়ে যুবক মুহাম্মদের যে উন্নত নৈতিকতা, চরিত্র মাধুর্য, সততা আর মানবিক দিকটাকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন, তা যেন ভুলতেই পারছেন না। চরিত্র মাধুর্যে বিমোহিত মাইসারা দিন রাত কেবল মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর প্রশংসা করেও যেন তা শেষ করতে পারেন না! মধ্যবয়ষ্কা বিদগ্ধা, প্রাজ্ঞ, বিচক্ষণ ও জ্ঞানী খাদিজা সব শুনে এক ভিন্ন চিন্তার খোরাক পান তাঁর মনে।

একজন মানুষ তাঁর জন্মস্থানে পরিবার-পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের সান্নিধ্যে, তাদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে স্বৎ হতেই পারে। উন্নত শিষ্ঠাচার, আচার আচরণ আর ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে স্বৎ; আল আমিন বা আস সাদিক হিসেবে তুলে ধরলেও ধরতে পারেন, কিন্তু চেনা জানা পরিবেশ হতে দূরে, পরিচিত লোকজনের চক্ষুর অন্তরালে একজন যুবতী নারীর সান্নিধ্যে দিনের পর দিন কর্তৃত্বশীল একজন যুবক যখন তাঁর উন্নত চরিত্রের সর্বোত্তম মাণ প্রদর্শন করেন, তখন মানতেই হবে যে, তিনি আসলেই একজন বিশ্বস্থ। কেবল বিশ্বস্থই নন, তিনি আসলে অতিমাত্রায় বিশ্বস্থ। প্রকৃত অর্থেই 'আস সাদিক'।

বিশাল বাণিজ্য রসদ ও অর্থের একক কর্তৃত্ব পেয়েও যিনি সেই সম্পদের মালিকের অগোচরেও তা যথাযথ সংরক্ষণ করেন, কেবল তাই নয়, তিনি সচারাচর লাভের চেয়েও বেশী মাত্রায় লাভ করেও তা যখন পূর্ণভাবেই তার মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন, তখন বুঝতেই হবে যে, আসলেই তিনি একজন 'আল আমিন'। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন সত্যবাদী বটে!

মানুষের কাছে লোভনীয় যে ক'টি উপাদান আছে, যে ক'টি উপাদানের কারণে মানুষ সাধারণত বিপথগামী হয়, নৈতিকতার সাথে আপোষ করে ফেলে, তার মধ্যে প্রধানত হলো; নারী, অর্থ, ক্ষমতা আর খ্যাতি। এ চারটি প্রলোভনের হাতছানীকে পা‘এ ঠেলা যে কোন মানুষের জন্যই এক দুরুহ ব্যপার বটে। বর্ণিতে ক্ষেত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (আমাদের প্রিয় রাসুল সাHappy পূর্ণমাত্রায় সে দুরুহ কাজটিকেই আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি এসব প্রলোভন, এমনকি যে কোন প্রলোভনকে নির্দ্বিধায় পা‘এ ঠেলে দিতে পারেন. এমনই একজন যুবক।

সিরিয়া থেকে ফিরে এসে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (মুহাম্মদ সাHappy বিবি খাদিজাকে যে পরিমাণ মুনাফা দিয়েছেন, তা তিনি প্রত্যাশা করেন নি, এবারের সফরে বিবি খাদিজার লাভ হয়েছে তার ধারণার চাইতেও বেশি। ইচ্ছা করলেই মুহাম্মদ এ অর্থ হতে এক বিরাট অংকের অর্থ গোপন করতে পারতেন, তিনি তা করেন নি।

আর মুহাম্মদের আচার আচরণে, তাঁর ব্যবহারে বিবি খাদিজার দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্থ দাসী মাইসারা'র মুগ্ধতা তাঁকে ভিন্ন ও অলক্ষ্য গোপন জগতে একজন যুবক, একজন পুরুষ কতটা সংযমী, কতটা চরিত্রবান, সে ব্যাপারে এক বার্তা দিয়ে চলেছে। নিরন্তর ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে এ বার্তা প্রাপ্তি বিবি খাদিজার চিন্তা ও চেতনার জগতকে নাড়া দিয়ে যেতেই থাকে। (চলবে)

বিষয়: বিবিধ

২০১৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370624
০১ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৩১
বাকপ্রবাস লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৬
307514
হককথা লিখেছেন : একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো আপনার মন্তব্যটা দেখে--
'অনেক কথা যাও যে বলি কোনো কথা না বলি
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি'Winking Winking Winking Winking
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২২
307517
বাকপ্রবাস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
370628
০১ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মন্তব্যটি পোস্ট রিলেটেড নয়।
রমজান নিয়ে ব্লগীয় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অংশ নিতে পারেন আপনিও। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৭
307515
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ।
০২ জুন ২০১৬ সকাল ১০:২৮
307611
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ৮ জুন, সন্ধাতারা আপা উনার পরিচালনার দায়িত্বটা আপনার উপর দিয়েছেন। আপনি রাজি কিনা, আমাকে জানান
370637
০১ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : ইনিই আমাদের নেতা, বাংলার তথা সমগ্র বিশ্ব মুসলমানের নেতা, আদর্শ। আমরা কেয়ামতের কঠিন দিনে তাঁরই সুপারিশ আশা করি।যদিও তাঁর আদর্শের ছিটে ফোটাও আমাদের ভিতর নেই, রাখিনি। আল্লাহ আমাদের সুমতি দাও। ধন্যবাদ।৷
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৭
307516
হককথা লিখেছেন : আমিন। ধন্যবাদ আপনাকেও।
370659
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩০
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

সাঃ এর বদলে পূরোটা ﷺ লিখতে অনুরোধ রইল!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
০১ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫০
307540
হককথা লিখেছেন : পরামশ্যের জন্য ধন্যবাদ এবং যাজাকাল্লাহ খাইর। ইনশাআল্লাহ আপনার পরামর্শ মেনে চলার চেস্টা করবো।
370660
০১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় হককথা ভাই। গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে আপনার অসাধারণ লিখাটি এককথায় অতুলনীয়। এমন হৃদয়স্পর্শী ব্যক্তিত্বের জীবন কাহিনীগুলো পাঠককে আরেকবার নতুন করে নিগুঢ়ভাবে ভাবাবে আশাকরি।

পরবর্তী ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে লিখার অনুরোধ থাকলো।

আর হ্যাঁ, গাজী ভাইয়ের আহ্বানে আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণের জন্য একান্তভাবে অনুরোধ রইলো। সেইসাথে অপ্রত্যাশিতভাবে আপনাকে একটি অনুরোধ জানাতে চাই যদি সম্ভব হয়। ৮ই জুন যদি পরিচালকের দায়িত্বটুকু কষ্ট করে পালন করতে পারতেন তাহলে বড়ই কৃতার্থ হতাম।
০১ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫২
307543
হককথা লিখেছেন : আপনার পরামর্শটা মনে থাকবে। ইনশাআল্লাহ এ সিরিজে আরও লিখবো, সেরকম ইচ্ছা আছে। দোওয়া করবেন। আর নির্ধারিত তারিখে আপনার পরিচালনায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা রাখি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
০২ জুন ২০১৬ রাত ১২:৩১
307578
সন্ধাতারা লিখেছেন : আমার পরিচালনায় আপনার উপস্থিতি নয় বরং আমার পরিচালনার ভারটুকু আপনাকে দিতে চাই। যদি সানন্দ চিত্তে গ্রহণ করতেন! অনেক চেষ্টা করেও ৮ই জুন ছুটি নেয়া সম্ভব হল না তাই!! দায়িত্বটুকু পালন করলে খুবিই নিশ্চিন্ত হতে পারতাম। একটু ভেবে দেখুন প্লীজ!
০২ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৫
307579
হককথা লিখেছেন : চেষ্টা করে দেখুন, আপনি ছুটি না পেলে তখন দেখা যাবে। আপনার হুকুমটা না হয় পালন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
০২ জুন ২০১৬ রাত ১২:৫৫
307580
সন্ধাতারা লিখেছেন : হায় হায়!! এতো বড় দুঃসাহস আমার?!! হুকুম নয় হককথা ভাই! বিনীত অনুরোধ। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু রমযানের শেষ দশ দিন ছুটি নেয়ার কারণে কিছুতেই মেলানো গেল না। অতএব আপনার কাঁধেই ন্যস্ত রইলো কিন্তু!
370667
০১ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০১ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৩
307544
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
370685
০১ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫৫
সালমা লিখেছেন : ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে,আপনার অসাধারণ লিখাটি অনেক গুরুত্ব বহন করে , খুব ভাল লাগলো, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০১ জুন ২০১৬ রাত ১১:১৪
307559
হককথা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন বলে।
370706
০২ জুন ২০১৬ রাত ০২:২৬
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : খুব সুন্দর লেখা । পড়ে খুব ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৩:০৯
307597
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
370711
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৫৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : পড়ে মুগ্ধ হলাম। বাকীটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
০২ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
307624
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও সদয় মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File