আরও একটি যুদ্ধ চাই, যুক্তির যুদ্ধ: যুক্তিযুদ্ধ

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১৪ মার্চ, ২০১৬, ০৩:০৫:২৪ দুপুর



আর একটি যুদ্ধ চাই। মুক্তি আর স্বাধীনতাকে সংহত করতে, দেশের সার্বভৌমত্ব, তার সম্মানজনক স্বকীয় অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে, বিশ্ব দরবারে এর অবস্থানকে সংহত করতে, আর সর্বোপরি দেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, তাদের মৌলিক চাওয়া পাওয়া, আর আশা আকাংক্ষাকে মুল্যায়ন ও তা নিশ্চিত করতেই আরও একটি যুদ্ধ চাই। ৭১ এর রক্তাত্ত যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিমেয় যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা আবার বার বার হায়েণার ছোবলে পর্যূদস্থও হচ্ছে। যে স্বাধীণতা আমরা অর্জন করেছি, তা বার বার ভেতরের মীর জাফর, ঘসেটি বেগম, রায় দূর্লভ আর বাইরের আগ্রাসী শক্তি কর্তৃক আগ্রাসনের ছোবলে পড়েছে, পড়ছে। এ থেকে দেশকে, দেশের অস্তিত্বকে মুক্তি দিতে আরও একটি যুদ্ধ চাই।

এমন একটি যুদ্ধ চাই, যেখানে কোন রাইফেল বা বোমার প্রয়োজন পড়বে না। যেখানে পক্ষ বা বিপক্ষের কারোই কোনরকম রক্তের নজরাণা দেবার প্রয়োজন পড়েব না। ঝরবে না কোন প্রাণ। খালি হবে না কোন মা’র কোল, হারাবে না কোন বোন তার স্বামী, কোন মা তার আদরের সন্তান, কোন বোন হবে না বিধবা।

এমন একটা যুদ্ধ চাই, যে যুদ্ধে অন্ধ আবেগ আর আনুগত্যের কোন স্থান থাকবে না। বরং থাকবে কেবল মাত্র যুক্তি আর বিবেকের প্রাধান্য। যে যুদ্ধে একমাত্র হাতিয়ারই হবে যুক্তি আর বিবেক। যে যুদ্ধে প্রতিটি বিবেকবান ব্যক্তিই হবেন যোদ্ধা। ‘যুক্তিযোদ্ধা’ আমরা আমাদের মুক্তি আর স্বাধীনতার জন্য আরও একটি যুদ্ধ চাই, মুক্তির জন্য যুক্তির যুদ্ধ। একটি ‘যুক্তিযুদ্ধ’চাই।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে সংহত ও অর্থবহ করতেই একটি যুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন। আর এই যুক্তির যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। হয়ত তাদের সামনে আছে, যারা এই দেশের বাইরে অন্য কোনখানে আশ্রয় নিশ্চিত করে রেখেছেন। কিন্তু গুটিকতক এমন মীরজাফরদের বাদ দিলে যে সতোরো কোটি লোক আমরা, আমাদের যাবার কোন জায়গা, কোন আশ্রয় নেই। আর এ মাতৃভূমী ছেড়ে আর কোথাও আমাদের ঠিকানাও খূঁজি না, আর কারো কাছ থেকে দু’টো খুদ কুঁড়োর সন্ধানও করি না। অতএব, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই দেশটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সংহত করে একে টিকিয়ে রাখতে বা যে কোন আগ্রাসী শক্তির খপ্পর থেকে তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আবার আমাদের একটা যুদ্ধে নামতে হবে। সেই যুদ্ধটাই হবে যুক্তি’র যুদ্ধ; ‘যুক্তিযুদ্ধ’।

স্বাধীনতার চল্লিশ বৎসর পর এসে আজ আবার এই যুদ্ধের প্রয়োজন পড়ল কেন? এরকম একটা প্রশ্ন যদি কেউ তোলেন, তুলতেই পারেন। আজ আবার এইরকম একটা যুদ্ধের প্রয়োজন এই জন্য যে, দেশ বাঁধা পড়েছে আগ্রাসী শক্তির খপ্পরে। দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব আজ আর মানিক মিঞা এভিনিউ এর সংসদ ভবনে নেই, নেই বাংলাদেশের সংবিধানেও। আর ঐ সংবিধানের আমরা কিই বা বুঝি আর ক’জনই বা বুঝি? ‘সংবিধান’ ‘সংবিধান’ শুনি আইনজ্ঞদের মুখে, এই নিয়ে বাহারি বির্তকও মাঝে মাঝে উপভোগ করি। বাংলা ভাষায় লেখা সংবিধান নিয়েই বাঙ্গালিরা দিন রাত মেতে থাকেন বিতর্কে!

যে সরকার যখন ক্ষমতায় যান সেই সরকার তখন তাদের ইচ্ছা আর সুবিধামত এই সংবিধানকে নিয়ে চালান তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা। দেশে একদল ‘সংবিধান বিশেষজ্ঞ’ নামের পেশাজীবি তৈরী হয়েছেন, যাদের কাজই হলো, যখন যে দল বেশী ফিস দেবেন, তখন সেই দলের মত অনুযায়ি সংবিধানে ‘হালাল’ ‘হারাম’ ফতওয়া জারি করে দেবেন। ‘মৌলবাদী’ ‘ফতওয়াবাজী’ বলে যে একশ্রেণীর আলেমকে দিন রাত গালাগাল করে প্রগতিশীল হবার কোশেশ জারী রাখেন যারা, তাদের কেন যেন এই দিকটায় নজরই পড়ে না! সম্ভবত তারাও এ শ্রেণীর কেউ হবেন।

যাহোক, দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে উদ্ধার আর তা সংহত করতে হবে এই সতোরো কোটি লোককেই। দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব আজ বাঁধা পড়ে আছে ভিন্ন কোন খানে, দেশের গন্ডী পেরিয়ে বাইরে কোথাও। বাঁধা পড়েছে দিল্লীর সাউথ ব্লকের করিডোরে। সেখানেই নির্দেশিত হয় এই দেশ, এই জাতির আগামি দিনের গতীপথ। আজ ‘সোনার বাংলা’র ভাগ্য বঙ্গভবনে নয় বরং নির্ধারিত হয় প্রণব কাকা’র ‘স্নেহ নীড়’এ।

স্নেহের টানে ‘কাকা বাবুরা বার বার ছুটে আসেন। ‘উপদেশ’ এর নামে দিয়ে যান নির্দেশনা। আর সেই নির্দেশনাতেই চলে এই দেশ। স্বাধীনতার যদি এই হয় অর্থ, তবে সেই স্বাধীনতাকেই ঘষে মেজে এমন একটা স্তরে তুলে আনতে হবে, যে স্তরে ‘কাকা বাবুরা নাক গলানোর দু:সাহস দেখাবার আগে কয়েকবার ‘জল’ গিলে নেবেন শুকনো গলায়!

আর একটা যুদ্ধ চাই। যুদ্ধটা হবে যুক্তির। দুই পক্ষই হবে বাংলাদেশেরই অধিবাসী। আমরা লড়ব যুক্তির ভিত্তিতে, একে অপরের বিরুদ্ধে। প্রথম পক্ষ সেই তাঁরা, যাঁরা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চেয়ে বিবেক, সত্য এবং দেশপ্রেমকেই প্রাধান্য দেন।

আর দ্বিতীয় পক্ষে সেই তাঁরা, যাঁদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে বড় তাঁদের নেতা নেত্রী। এ যুদ্ধে আমাদের নামতেই হবে। দেশ বাঁচানোর কোন বিকল্প নেই, এ ছাড়া।

একে কেউ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বলতে পারেন। বলুন, তাতে আমার আপত্তি নেই। আমি তো সাম্রাজ্যবাদী, আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে উদ্ধারে এবারের এই মুক্তি সংগ্রামকে মুক্তিযুদ্ধ না বলে বরং ‘যুক্তিযুদ্ধই বলতে চাই।

এই যুদ্ধের আসল লক্ষ্য হলো, ভাবাবেগ, অন্ধপ্রীতি, আর যে কোন সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে যুক্তির বিজয়কে নিশ্চিত করা। এটুকু করা গেলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর গণতান্ত্রিক ধারা তার স্বাভাবিক গতিময়তায় চলতে থাকবে। জনগণও তাদের দেশ আর ভাগ্য নিয়ে স্বাধীনভাবে ভাবতে পারবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেটাই আমাদের কাংক্ষিত ‘যুক্তিযুদ্ধে’নামার উদ্দেশ্য।

আজ যুক্তি দিয়ে দেশের জনগণ, বিশেষ করে, রাষ্ট্র আর প্রশাসনে আসীন এবং তাদের সমর্থক, তল্পিবাহকদের বোঝাতে হবে যে, কাগজের পাতায়, চুক্তির ছত্রে ছত্রে কতটা পানির অস্তিত্ব রয়েছে, সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয় বরং বিবেচ্য বিষয় হলো, কতটা পানি বাস্তবে আসছে পদ্মার বুক দিয়ে, তার মধ্যেই রয়েছে ভারতের সাথে পানি চুক্তির স্বার্থকতা।

বোঝাতে হবে যে, সীমান্তে প্রতিদিন দেশের বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রের গুলী খেয়ে মরতে দেখেও যে সরকার নির্বিকার, সে সরকার আর যাই হোক ‘জনগণের সরকার’ বলে দাবী করতে পারে না।

বোঝাতে হবে যে, পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করা গেছে কি না, তার বিচারের মানদন্ড হলো, পার্বত্য অঞ্চলে কতটা শান্তি, কতটা নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, তার উপরে। সেখানে বাঙ্গালি অধিবাসীদের জীবন, সম্পদ আর মান-সম্মান কতটা নিরাপদ করতে পেরেছে সরকার, তার উপরে। আমাদের বুঝতে ও বোঝাতে হবে যে, চার লাখ বাঙ্গালীকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে যে সরকার তাদের নিজে দেশেই উদ্বাস্তু বানাতে চায়, সে সরকার আর যাই পারুক না কেন, অন্তত এ দাবী করতে পারে না যে, তারা পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে পেরেছে।

যুক্তির ধারে আমাদের এ কথা বোঝাতেই হবে যে, মাত্র তিন বিঘা করিডোর দিলেই যদি বৃহৎ ও শক্তিশালী ভারতের জাতিয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়, তা হলে দুর্বল বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে শত শত মাইল ট্রানজিট দিলে তো তার অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে!

একথা আমাদের বোঝাতেই হবে যে, ফারাক্কা কিংবা টিপাইমুখ দিয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের ‘প্রাণ’পানির উৎস আটকে, তালপট্টি গা’র জোরে দখল করে আর যাই হোক, কোন রাষ্ট্রের বন্ধু হওয়া যায় না।

এ কথাটা বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে যে, প্রতিবেশী ভারতকে ‘বন্ধু’ভাবতে হলে আমাদেরকে তার বন্ধুত্ব কতটা খাঁটি, তা বিচার করতে হবে তাদের মুখের বাণীতে নয়। বরং তালপট্টি, বেরুবাড়ী, ফারাক্কা আর টিপাইমুখ-এর বাস্তবতা দেখে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বন্ধু রাষ্ট্র কতটা আন্তরিক, কতটা উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা দেখে।

বুঝতে হবে, তাদের সাহিত্য আর পত্র পত্রিকায় এই দেশ, এই দেশের মানুষ, এই দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে কতটা সম্মানের সাথে দেখে আর দেখায়? তা দেখে।

বিচার করতে হবে, বন্ধুরা কোন স্বার্থে আমাদের স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার বিরুদ্ধে কর্মতৎপর বঙ্গভূমীওয়ালাদের আশ্রয় দেয়? তাদের অর্থ আর প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিপুষ্ঠ করে তোলে? বুঝতে হবে, কারা শান্তিবাহিনী তৈরী করে? কারা তাদের লেলিয়ে দেয়? আবার আশ্রয়ও দেয় ? ভেবে দেখতে হবে এসব বিচ্ছিন্নতাদীরা কোথা হতে রসদ, অস্ত্র পায়? আমাদের দেশ হতে সময়ে অসময়ে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের কোন উদ্দেশ্যে বন্ধু রাষ্ট্র তাদের দেশে আশ্রয় দেয়, মেহমানদারী করে? কি তাদের স্বার্থ, এর পেছনে?

এইসব বাস্তবতা না ভেবেই আমাদের সমাজ আর প্রশাসনে, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অঙ্গনে আসীন যেসব লোকজন বসে বসে কেবলই বন্ধুর বন্দনা গেয়ে চলেছেন, তাদের বোঝাতে হবে, বন্ধুর কর্মকান্ড, আচার আচরণকে বিচার করে তার পেছনে উদ্দেশ্য না বুঝেই কেবলমাত্র তাদের মৌখিক আশ্বাসবাণীতে বিশ্বাস করে দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব, দেশের নিরাপত্তা আর জনপ্রশাসন নিয়ে স্বিদ্ধান্ত নিতে তৎপর হওয়াটা আর যাই হোক, দেশপ্রেমের পরিচায়ক নয়, এটা বরং আত্বহত্যার শামিল।

তাদের বোঝাতে হবে, আভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই দেশ, এই জাতিসত্তার বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রকে দেখেও না দেখার ভান করলে, বুঝেও না বোঝার ভান করলে তাতে করে দেশের নিরপাত্তা বিঘ্নিত হওয়াটা, স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়াটা ঝুলে থাকবে না। বরং তা ঠিকই নিশ্চিতভাবেই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে মাত্র।

আজ আর একটা যুদ্ধ চাই, অন্ধ আনুগত্য আর আবেগের বিপরিতে যুক্তি আর বিবেকের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধ। নেতার চেয়েও দল বড়, আর দলের চেয়েও দেশ। এ বাস্তবতাটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা যুদ্ধ চাই। আর যুদ্ধটা হবে কেবলমাত্র যুক্তির যুদ্ধ। দেশের নতুন প্রজন্মের কোটি কোটি আলোকিত যুবসমাজই এ যুক্তিযুদ্ধে সামনের সারীতে থাকবেন। এই নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে, তাদেরই নেতৃত্বে আসুন সবাই নেমে পড়ি। আজই, এক্ষুণি।

বিষয়: বিবিধ

১৯১০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362414
১৪ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : খুবই ভালো লাগলো লেখাটি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। আর একটা যুদ্ধ চাই। যুদ্ধটা হবে যুক্তির। দুই পক্ষই হবে বাংলাদেশেরই অধিবাসী। আমরা লড়ব যুক্তির ভিত্তিতে, একে অপরের বিরুদ্ধে। প্রথম পক্ষ সেই তাঁরা, যাঁরা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চেয়ে বিবেক, সত্য এবং দেশপ্রেমকেই প্রাধান্য দেন।
১৪ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:২৯
300391
হককথা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
362469
১৪ মার্চ ২০১৬ রাত ১০:০৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার পরামর্শ যুক্তিযুক্ত৷ কিন্তু-
যুক্তি কোথায় প্রয়োগ করবেন? আর কারে নয়েই বা যুদ্ধ করবেন? আগে নিজেরা রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত হোন৷ধন্যবাদ৷
১৪ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:২৯
300392
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও যথার্থ মন্তব্যটি করার জন্য।
362492
১৫ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ হককথা ভাই। আপনার ধারালো যুক্তিগুলো খুবিই যুক্তিযুক্ত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই এখন সময়ের দাবী। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ও ন্যায্য প্রাপ্তি সংরক্ষণে আরেকটি যুদ্ধের অতীব প্রয়োজন।

শাণিত লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৫ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:২৬
300395
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। তবে আপনার মত ভাষার গাঁথুনি আমার নেই। ভাষার অংলকরণ ও শক্তিশালী গাঁথুনির জন্য আমি আপনাকে হিংষা করি। আল্লাহ আপনার দক্ষতা আর লেখনীর ধার আরও বাড়িয়ে দিন দোওয়া করি।
365388
১১ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২৭
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সময়ের এক শানিত বক্তব্য। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন এই দোয়া
১৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:০৭
303836
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও মন্তব্যের জন্য। আপনাদের মত ব্যক্তিত্বের দোওয়া এ অধমের পাথেয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File