নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে ইসলামের পরাজয়ে উল্লসিত হবার আগে এ ইতিহাস ও তাৎপর্যটুকু একবার ভাবুন-

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:৪৯:০১ সন্ধ্যা



আজ গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার ২০১৫ সালের শেষ দিন। আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা পরই শুরু হবে সৌর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন একটা বৎসর আগামি কাল

সাল পরিবর্তিত হয়ে নতুন সালের আগমণ একটি জাতি বা গোষ্ঠীর ধর্মীয় চেতনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। এর সাথে জড়িয়ে থাকে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য আর ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক চেতনা। নিজেদের স্বকীয় অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য।

৪৫ খৃষ্টপূর্বাব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিশর বিজয়ের ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য রোমান সাল গণনা পদ্ধতিকে পরিমার্জিত করে সাল গণনার একটি নতুন ধারা প্রবর্তন করেন, ইতিহাসে সেটিই হলো জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।

রোমান এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার সবক'টিই ছিল সৌর পদ্ধতিতে, ৩৬৫ দিন বা বারো মাস হিসেবে একটি বৎসর। সামান্য কিছুটা পার্থক্য ছিল বটে। রোমান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এক বৎসর হতো ৩৬৫.২৫ দিন-এ। আর জুলিয়ান পদ্ধতিতে একটি বৎসর হতো ৩৬৫.২৪২৫ দিন-এ। অতি সামান্য এ পার্থক্যের কারণে তেমন কোন সমস্যা না হলেও কেবলমাত্র নিজেদের ধর্মীয় ক্ষণগুলো ঠিক রাখার জন্য এইসব ক্যালেন্ডারগুলোর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করেন সময়ে সময়ে।

প্রাচীন মিশরে আলেক্সান্দ্রিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হতো। এই পদ্ধতিতে দশ দিনে এক সপ্তাহ ও তিন সপ্তাহে একটি মাস এবং বারো মাসে বা ৩৬০ দিনে একটি বৎসর হতো। এর সাথে আরও পাঁচদিন বিভিন্ন সময় যোগ করে সূর্যের ৩৬৫ দিন চক্রকে ঠিক রাখা হতো। বিশ্বের সব সমাজেই মাসচক্রের বিভিন্ন দিনকে তাদের ধর্মীয় ও আদর্শিক চেতনার সাথে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত করে সেগুলোকে রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ বিচারে উৎসব বা ইবাদাত হিসেবে স্থির করা হয়েছে।

এ ধারা সভ্যতার একেবারে শুরুর দিক থেকেই চলে আসছে। আধুনিক যুগ শুরুর আগে বিশ্বে প্রাচীন যে ক'টি সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল সেগুলো হলো যথাক্রমে- গ্রীক সভ্যতা: গ্রীকরা Attic Calender এর অনূবর্তী ছিল, এখানে নববর্ষ পালিত হতো এক করুণ প্রথার মাধ্যমে, তা হলো, বৎসরের শেষ দিনটিতে সরকার ও সমাজের ভূল ভ্রান্তির কাফফারা হিসেবে প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রীক ইশ্বর ' Zeous ' এর উদ্দেশ্যে বলী দেয়া হতো। এর সাথে সাথে নতুন বৎসরকে স্বাগতম জানিয়ে আনন্দ-উৎসব-পানাহার উপঢৌকন লেন দেন তো ছিলই।

গ্রীকদের পরে রোমানরা যখন বিশ্বসুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হলো তখন তারা ১লা জানুয়ারী নববর্ষ পালন করতো। এটা করা হতো তাদের বিশ্বাস মতে 'পরিবর্তন ও নতুন কোন কিছু শুরু করার ক্ষমতাসম্পন্ন' ইশ্বর 'Janus' কে নরবলীর মাধ্যমে সন্তুষ্ঠ করে। রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খৃষ্টপূর্ব ৪৫ সালে এটা চালু করেন। এর সাথে সাথে তারা আনন্দ উদযাপনের নামে সীমাহীন ব্যাভিচার, বেলেল্লাপনার আশ্রয় নিতো।

প্রাচীন বিশ্বে ইথিওপিয়া একটি শক্তিশালী জনপদ ছিল। তাদেরও নিজস্ব ক্যালেন্ডার ছিল, তারাও ঘটা করে নববর্ষ পালন করত, এর নাম ছিল; 'Enkutatash' এখানেও পানাহার আর অশ্লীলতার প্রচলন ছিলো।

প্রাচীন মিশরীয় সমাজে নববর্ষ ঘটা করেই পালন করা হতো। এর নাম ছিল 'Wepet Renpet' এখানেও সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে বলী দান হতে শুরু করে আনন্দ উৎসবের নামে জঘন্য ধরনের অশ্লীলতা ছিল অপ্রতিরোধ্য।

গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার কর্তৃক মিশর জয়ের পরে আলেকাজিন্দ্রীয় ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হয়। এ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দশ দিনে এক সপ্তাহ, তিন সপ্তাহে একটি মাস এবং বারো মাসে এক বৎসর ধরা হতো। তাদের নববর্ষ ছিল 'Akhet' মাসের প্রথম দিন। এ দিন তারা নীল নদের উদ্দেশ্যে নরবলী দিত, যেন পুরো বৎসর নীল নদীর প্রবাহ চালু থাকে। এই নীল নদের উপরেই মিশরের পুরো সমাজব্যবস্থা নির্ভরশীল ছিল।

কয়েক হাজার বৎসরের ঐতিহ্যবাহী পারস্য সভ্যতায় নববর্ষ ছিল একটি আনন্দঘন দিন। এটাকেব তারা নওরোজ বলতো, এখনও নওরোজ ইরানী/পারসিক সমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৎসরের প্রথম দিনটিতে তারা বর্ণীল সাজে সজ্জিত হয়ে পানাহার ও আনন্দ উদযাপন করতো। নতুন বৎসর যেন তাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে আসে, সে উদ্দেশ্যে তারা সূর্য দেবতাকে সেজদা করতো।

পারসিক সমাজের সাথেই মিলে মিশে পাশাপাশি বর্তমান ইরাক ও তিার আশ পাশ এলাকাব্যাপী ছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। এখানে নববর্ষ পালিত হতো 'Akhit' মাসের প্রথম দিনটিতে। এ দিনটিতে তারা বিভিন্ন দেব দেবীর মুখাবয়ব ও মুর্তি বানিয়ে দলবদ্ধভাবে শহরের প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করতো আর নাচ গান ও পানাহারে মগ্ন হতো। (অনেকটা আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখ পালনের মত)

আর আমাদের দেশে, তথা বাংলাদেশে ফতেউল্লাহ খান সিরাজী সম্রাট আকবরকে পরামর্শ দিয়ে ১৫৬৬ খৃষ্টাব্দে আকবরের সিংহাসনারোহনের দিনকে কেন্দ্র করে নতুন সাল গণনার প্রস্তাব দেন। আর সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলে ১৬০০ খৃষ্টাব্দের পরে এসে সুবা বাংলার সুবাদার ইসলাম খান কৃষকের কাছ থেকে খাজনা আদায় সুবিধাজনক হবে, এমন এক যুক্তির ভিত্তিতেই ১লা বৈশাখ থেকে শুরু করেছিলেন খাজনা আদায়ে সুবিধার্থে নতুন বছর। এভাবেই প্রবর্তিত হয়েছিল ‘বাংলা সাল‘।

হিজরী সাল থেকে মুসলমানদের ফিরিয়ে রাখতেই আকবরের মাধ্যমে এতদ্বাঞ্চলে পৃথক সাল প্রবর্তনের শুরু। আর সে ধারবাহিকতার একটি পর্যায়েই বাংলা বর্ষের উদ্ভব।

প্রিয় রাসুল সা: ৬২২ খৃষ্টাব্দে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন, তাঁর সাথে যে সব নওমুসলিম সাহাবা ছিলেন তারা বিভিন্ন আদর্শিক, সাংষ্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড হতে এসেছিলেন। যেমন হযরত বেলাল এসেছিলেন ইথিওপিয়ান কালচার থেকে, হযরত সালমান ফারসী রা: এসেছিলেন ইরানী পারসিক ব্যকগ্রাউন্ড থেকে। হযরত তাজউদ্দীন রা: দক্ষিণ ভারতীয় হযরত মিকদাদ রা: এসেছিলেন কাবুলের ইন্দো-পারসিক, হযরত শোয়াইব রুমী রা: এসেছিলেন গ্রীকো-ল্যাটিন ব্রাকগ্রাউন্ড হতে। এইসব সম্মানিত সাহাবাগণ ছিলেন সরাসরি প্রিয় রাসুল সা: এর হাতে প্রশিক্ষিত। তাঁদের বিচ্যুতির কোন সম্ভাবনা বা আশংকা ছিল না।

তবে প্রিয় রাসুল সা: এর ইন্তেকাল নাগাদ ও তার পরবর্তি মাত্র কয়েক বৎসরেই উত্তর আরবভূমি (বর্তমান সউদি আরবের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল, জর্ডান, সিরিয়ার দক্ষিণপ্রান্ত, সিনাই অঞ্চল) হতে বহু আরব মুসলমান হয়েছেন, যারা বিভিন্নভাবে গ্রীকো-রোমান-আলেকজান্দ্রিয়ান কালচার দ্বারা প্রভাবিত। আবার দক্ষিণ আরবের কিংবা পারস্য সীমান্তবর্তি অঞ্চল হতে নওমুসলিমরা পারসিক কিংবা প্রাচীন মেসোপটেিমিয়ান কালচার দ্বারা, পুর্ব দিকে চীনের সাংহাই এবং আমাদের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বার্মার আরাকান অঞ্চলে তখন আরব মুসলমানদের পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানরাও স্ব স্ব এলাকার সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকে বা তেমন একটা আশংকা ছিল।

এ বাস্তবতা অত্যন্ত দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ হযরত ওমর রা: কে চিন্তিত করে তোলে। তিনি দ্রুত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য একটি নতুন ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করলেন। হিজরতের তারিখটিকে তিনি এ ব্যপারে সূচনাবিন্দু হিসেবে গ্রহণ করলেন। প্রিয় রাসুল সা: ৬২২ খৃষ্টাব্দের ১৯শে জুন মক্কা হতে রওয়ানা দিয়ে ২৮শে জুন মদীনায় এসে পৌছুলেন। ৬২২ খৃষ্টাব্দে চান্দ্র মাস অনুযায়ী আরবি বৎসরের প্রথম দিনটি ছিল ১৬ই জুলাই, শুক্রবার। হযরত ওমর রা: এই ৬২২ খৃষ্টাব্দের ১৬ই জুলাই শুক্রবার, দিনটিকে হিজরী ১ সালের ১ তারিখ ধরে নিয়ে হিজরি ক্যালেন্ডার চালু করেন। তিনি এ স্বিদ্ধান্তিটি গ্রহণ করেন ৬৩৮ খৃষ্টাব্দে। অর্থাৎ ততদিনে হিজরি সালের ১৬টি বৎসর পেরিয়ে গেছে।

অনেকে বলেন হযরত ওমর রা: প্রাশাসনিক কাজ কর্মের সুবিধার্থে এ কাজটি করেন। আসলে তাঁর এই যুগান্তকারী স্বিদ্ধান্তটি কেবল প্রাশসিনক কাজ কর্মের সুবিধা প্রাপ্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত। তাঁর এ পদক্ষেপটি ছিল বিশ্বের অন্যান্য সকল ধর্মের সংস্কৃতিক ধারার বিপরিতে ইসলামী সাংষ্কৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে মুসলমানদের শীরক, ব্যাভিচার, অশ্লীলতা আর অনাচারের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে।

আজ আপনাকেই স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কী নববর্ষ উদযাপনের নামে ইসলামী সংস্কৃতির বিপক্ষে অনৈসলামিক সংস্কৃতিকে বিজয়ী করবেন? ইসলামী সংস্কৃতির পরাজয় দেখে উল্লাসে আনন্দে নেচে উঠবেন সুরা আর সাকীর সাথে? না, এ কলংক থেকে ইসলামকে মুক্ত করতে মাঠ নেমে আসবেন, ইসলামী সংস্কৃতি লালন, বিকাশ ও বিস্তারে আপনার সাধ্যমত অবদান রাখার মাধ্যমে, সে ব্যপারে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355826
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : এ জাতি ইতিহাসবিমুখ। তবে আবেগে নাচে বেশি।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৭
295470
হককথা লিখেছেন : একেবারে খাঁটি কিন্তু লজ্জাজনক সত্যটাই বলে ফেললেন ভাই!
355828
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। তবে কয়েকটি তথ্য দেওয়া প্রয়োজন গ্রিকরা নববর্ষ উদযাপন করতো মার্চ মাসে বসন্তকালে। সম্রাট আকবর কেন্দ্রিয় ভাবে তারিখে জালালি নাম দিয়ে আরেকটি নতুন সেীর বর্ষ চালু করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা মাত্র ২ বছর স্থায়ি ছিল। কিন্তু বাংলা ও অন্যান্য অঞ্চলের ফসলি সন নির্ধারন করা হয়েছিল মুলত অর্থনৈতিক কারনে সেই জন্য সেই সনগুলি ইংরেজ আমল পর্যন্তই চালু ছিল। রাষ্ট্রিয় কাজে ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত হিজরি বর্ষ ব্যবহার করা হতো।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৪
295505
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। যথার্থই বলেছেন,তবে ব্লগে বড় পোষ্ট কেউ পড়তে চায় না, পুরো ইতিহাস লিখতে গেলে পোষ্টটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছিল। আশা করি আপনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন।
355832
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৩
শেখের পোলা লিখেছেন : লজ্জ্বাজনক হলেও বলতে বাধা নাই যে এ জাতীর(বাংলাদেশী) কর্ণধারেরা সংকল্পবদ্ধ যে ইসলামকে দেশ ছাড়া করবেন৷ অবশ্য কিছু রসম রেওয়াজ বাকী থাকলে আপত্তি নেই৷অতএব, বব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের মূল্য কোথায়? তারা ভাড়া করে এনে হলেও লেংটা নাচাবে৷ ধন্যবাদ৷
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৪
295506
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
355845
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫৮
অপি বাইদান লিখেছেন : নববর্ষ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশ-ভারত-চীন-ইরান তথা এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, ওসেনিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা....... সর্বত্র ঐতিহাসিক ভাবে যারযার নববর্ষ পালন করা হয়।

তো, হটাৎ করে ইসলামের অদ্ভুত অবৈজ্ঞানিক হিজরি সালের জগাখিচুড়ি দিয়ে কি মানুষের জন্ম জন্মান্তরের ঐতিহ্যকে থামিয়ে দেয়া যাবে????
355872
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৫
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আহমাদ ইবনে ইউনুস(রঃ)...আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কেয়ামত কায়েম হবেনা যতক্ষণনা আমার উম্মাত পূর্বযুগীয়দের আচার-অভ্যাসকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ না করবে। জিঙ্গাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! পারস্য ও রোমকদের মত কি? তিনি বললেন, লোকদের মধ্যে আর কারা? এরাই তো।

মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রঃ).. আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি-নাসারা?তিনি বললেন, আর কারা?(বুখারী:৬৮২১,৬৮২০ ইফাবা:১০ম খন্ড,অধ্যায়: ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত/৮১, পৃষ্ঠা ৫০৬-৫০৭, মান সহীহ)
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৬
295507
হককথা লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ খাইর, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একটা সুন্দর ও প্রাসঙ্গিক হাদিস উপস্থাপনের জন্য।
355877
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৩
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! আমি আপনার লিখা পড়ার পর আমার মধ্যে যে ভাবাবেগ এর উপস্থিতি পেয়েছি - তা সূরা ইউনূস এর এই আয়াত সমূহের সেন্স এ আল্লাহ আরো পরিষ্কার করে বলেছেনঃ

He is the One who has made the sun a glow, and the moon a light, and determined for it stages, so that you may learn the number of the years, and the calculation (of time). Allah has not created all this but for a rightful purpose. He elaborates the signs for a people who understand. (5) Surely, in the alternation of night and day and in what Allah has created in the heavens and the earth, there are signs for a people who are God-fearing. (6) As for those who do not believe in meeting Us and are quite happy with the life of this world and are content with it, and those who are heedless to Our signs, (7) They are the ones whose abode is the Fire, because of what they used to earn for themselves. (8)

৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৮
295508
হককথা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুমুস সালাম, আল্লাহ পাক আপনার জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আমল এ সবে বরকত দিন। আমাদের সকলের জন্য দোওয়ার দরখাস্ত রইলো।
355880
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৭
হককথা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুমুস সালাম, আল্লাহ পাক আপনার জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আমল এ সবে বরকত দিন। আমাদের সকলের জন্য দোওয়ার দরখাস্ত রইলো।
355890
০১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৫১
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : তথ্য বহুল সুন্দর পোস্টির জন্য অনেক ধন্যবাদ
০১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৫৫
295517
হককথা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সময় করে পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
357297
২০ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৪৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ লেখাটি অনেক ভালো লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File