ইসলাম বিদ্বেষ: কার্যকর প্রতিকার ও কর্মপদ্ধতি-

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:০৪:৩৭ সকাল



হজ্জের মওসুম সমাগত প্রায়। খুব শীঘ্রই আরবের আশ পাশ এলাকা থেকে দলে দলে লোক ক্বাবা জেয়ারতের উদ্দেশ্যে মক্কায় জড়ো হবে ঠিক তেমনি যেভাবে তারা প্রতি বছরই এখানে আসে। চিন্তায় আবু জেহেলের ঘুম হারাম হবার জোগাড়। সারা আরব থেকে লোকজন আসবে, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ তো এ সুযোগে তাদের কাছে তার নতুন মতবাদ তুলে ধরবে। ক'জনকেই বা ঠেকানো যাবে? ক'জনেকই বা বলা যাবে যে, তোমরা মুহাম্মদের এসব আবোল তাবোল কথা বার্তা শুনবে না, ও সবে কান দেবে না! আর তা ছাড়া এরকমটা বললেই বা লোকে তা শুনবে কেন?

এরকম শত শত চিন্তা এসে আবু জেহেলসহ মক্কার সর্দারদের মাথায় ভর করে। তারা ভাবে, নাহ, একটা বিহিত করতেই হবে। সময়ও আর বেশী নেই। একে অপরের সাথে আলাপও করে। কিন্তু একটা সন্তোষজনক পথ তারা বের করতে পারছে না। তারা মুহাম্মদ স: মিথ্যাবাদী বলে, কেউবা পাগল। আবার কেউবা বলে, আরে ও তো একটা গণক বৈ আর কিছু নয়। আবার কেউ কেউবা যাদুকরও বলে।

বিভিন্নজনের বিভিন্ন কথা, মুহাম্মদ সন্মন্ধ্যে বিভিন্ন অভিধা। কিন্তু তাতে তাদের নিজের মনও সায় দেয় না। তারা ভাবে, নাহ! ও সবে কাজ হবে না। কাজের কাজ একটা কিছু করতেই হবে। কিন্তু সেই কাজের কাজ টা কী? কী করবে তারা? ভীষণ সমস্যা তো!

অবশেষে অনেক ভেবে চিন্তে সবাই মিলে সম্মিলিত পরামর্শের ভিত্তিতে ঐক্যমত স্বিদ্ধান্ত নিতে একত্রিত হলো। নেতৃস্থানীয়দের ক'জনকেও ডাকলো। বনু মখজুম গোত্রের গোত্রপতি, বয়োবৃদ্ধ ও সবচেয়ে বিদগ্ধ বলে পরিচিত ওয়ালিদ ইবনে মুগীরার সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হলো।

মক্কার নেতারা এক একজন নিজের মত করে সমস্যার ব্যাপকতা তুলে ধরে বিন মুগীরাকে এর সমাধান দিতে বললো। ওয়ালিদ ইবনে মূগীরাও সমস্যার গভীরতা বুঝলো। নিজে কোনো সমাধান দেবার আগে সে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে বললো; না, তোমরাই বলো দেখি, কে কী বলতে চাও, শুনি আগে।

এর পরে তারা এক করে বলতে শুরু করলো। কেউবা বললো; আমরা বলবো মুহাম্মদ একজন পাগল। তার কথা শুনে ওয়ালিদ বিন মুগীরা বলে উঠলো; তা কী করে হয়? আমরা তো পাগল দেখেছি। পাগলের মধ্যে যে অসংলগ্নতা, অস্থিরতা থাকে, মুহাম্মদের মধ্যে কী তা দেখা যায়? লোকে তাকে পাগল হিসেবে বিশ্বাস করবে না।'

একজন বলে উঠলো; আমরা বলবো মুহাম্মদ একজন গণক। বক্তার কথার সাথে সে একমত না হয়ে বলে উঠলো; না, তাকে গণকের মত দেখায় না। আমরা গণক অনেক দেখেছি, গণকের কোনো লক্ষণ মুহাম্মদের মধ্যে দেখা যায় না।

এক কোণা হতে অন্য একজন বলে উঠলো; আমরা তাকে একজন কবি হিসেবে তুলে ধরবো আগত লোকদের কাছে। ইবনে মুগীরা বলে উঠলো; আল্লাহর কসম, আমরা কবি চিনি। সকল প্রকার কবিতাই তো আমরা জানি। কবিতার ছন্দ, ভাব-ভাষা, উপমা, কোনটা আমরা জানি না? সবই জানি। তার কথাকে কেউ কবিতা এবং তাকে কেউ কবি হিসেবে মনে নেবে না।

পেছন থেকে একজন বলে উঠলো; আমরা বলবো, মুহাম্মদ একজন যাদুকর। ইবনে মুগীরা তার কথার সাথেও দ্বিমত পোষণ করে বললো; সেটাও কেউ বিশ্বাস করবে না। মুহাম্মদের কথার ভেতরে একজন যাদুকরের মন্ত্র থাকে? তার কথায় কী কোনো ভেল্কিবাজী দেখতে পাও? লোকে তাকে দেখে ও তার কথা শোনার পরে কী তাকে একজন যাদুকর হিসেবে বিশ্বাস করবে?

এবারে সকলেই যেন হাল ছেড়ে দিলো। তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ ইবনে মুগীরার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো; ইয়া আবু শামস্‌, তা হলে আপনিই আমাদের বলে দিন, আমরা এসব লোকদের কাছে মুহাম্মদের ব্যপারে কী বলতে পারি?

ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো; আসলে এটা খুবই কঠিন একটা বিষয়। আল্লাহর কসম, তার কথা সুমিষ্ঠ, এর মধ্যে এক ধরনের গভীর আকর্ষণ আছে, আছে প্রাঞ্জলতা ও অর্থের ব্যাপকতা। যাই বলো না কেন তার ব্যাপারে, তাতে কেবল তোমাদের অসারতাই ফুটে উঠবে। তোমরা খুব বেশী হলে এতটুকু বলতে পারো যে, মুহাম্মদের কথায় এক ধরনের যাদু আছে। যে'ই তার কথা শুনবে তার উপরেই তার কথার প্রভাব পড়তে থাকে। এ প্রভাবের ফলে পিতার সাথে পুত্রের, ভাই'এর সাথে ভাই'এর, স্বামীর সাথে স্ত্রী'র, গাত্রের সাথে সে গোত্রের মানুষের সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে যায়!

এ পরামর্শ মতে কুরাইশ বংশের নেতারা এ্যকশান কমিটি করে তাদের কর্মী বাহিনীর লোকজনকে মক্কার বিভিন্ন পথের মোড়ে মোড়ে বসিয়ে দিলো। এরা দূর-দূরান্ত হতে আসা লোকজনকে সাবধান করে দিতে থাকলো মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ নামক তাদের এক যুবকের মারাত্বক যাদুকরী কথাবার্তা সন্মন্ধ্যে! সাবধান করে দিতে থাকলো, খবরদার, যেন তারা তার কথা না শোনে! এভাবেই এক নেগেটিভ প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যেতে থাকলো। কিন্তু হায়! এই নেগেটিভ প্রোপাগান্ডাই উল্টো বুমেরাং হয়ে প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: এর পক্ষের প্রচারণা হয়ে দাঁড়ালো।

বনু আবদে শানূহ গোত্রের দ্বিমায ইবনে আব্বাস (সাহাবী দ্বিমায রাHappy এ সময় মক্কায় এসেছিলেন। তিনি পেশায় কবিরাজি করতেন। জ্বীন, ভূত ধরা লোকদের ঝাড় ফুঁক করতেন। তার কানেও গেল এমন অদ্ভুত প্রচারণা। তিনি ভাবলেন 'তিনি দেখা করবেন মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর সাথে, মুহাম্মদের উপরে যদি কোনো কিছুর আছর হয়ে থাকে, তা হলে হয়তো তার ঝাড় ফুঁকে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।'

এরকমটা ভেবেই দ্বিমায রা: খুঁজে খুঁজে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ কে খুঁজে বের করলেন এবং তাকে নিজের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বললেনও। বললেন 'হে মুহাম্মদ, আমি জ্বিন ভুতের আছর হয় যাদের উপরে তাদের চিকিৎসা করে থাকি। আপনার সমস্যা আমাকে বলুন, দেখি আপনার জন্য আমি কিছু করতে পারি কী না। আমার ঝাড় ফুঁকে আল্লাহ যাকে চান, তাকে আরোগ্য দেন। আপনি কী একবার চেষ্টা করে দেখবেন? আল্লাহ চাইলে আপনাকে সুস্থ করে দিতেও পারেন।

রাসুলুল্লাহ সা: শান্তভাবে তার কথা শুনলেন এবং আল্লাহর হামদ পেশ করে কুরআনের কিছু অংশ শোনালেন। রাসুলুল্লাহ সা: এর মুখ থেকে কথাগুলো শুনে দ্বিমায রা: বাকরুদ্ধ হয়ে প্রিয় রাসুল সা: এর দিকে চেয়ে রইলেন কিছুক্ষণ! জীবনে অনেক তন্ত্র-মন্ত্র, অনেক কাব্য-কবিতা, অনেক কাসিদা তিনি শুনেছেন, কিন্তু এ কী! এমন গভীর হৃদয়স্পর্শী বাণী, এটা তো শোনেন নি কখনো! এ বাণী কোনো মানুষের রচনা হতেই পারে না!

তিনি বিষ্ময়ের ঘোর কাটিয়ে প্রিয় রাসুল সা: এর উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন; মুহাম্মদ; আপনি কী আমাকে আর একবার শোনাবেন সেই কথাগুলো, যেগুলো এইমাত্র আপনি আওড়ালেন!

রাসুলুল্লাহ সা: কুরআনের কয়েকটা আয়াত আবারও তেলেওয়াত করলেন আল্লাহর হামদ শেষে।

তাঁর তেলোওয়াত শেষ না হতেই দ্বিমায রা: নিজের হাত দু'টি বাড়িয়ে দিলেন রাসুলুল্লাহ সা: এর দিকে, বলে উঠলেন; হে মুহাম্মদ; আমি বহু গণক যাদুকরের মন্ত্র শুনেছি, দেখেছিও। পাগলের প্রলাপ শুনেছি অনেক, বহু কবির কবিতাও শুনেছি, কিন্তু এ তো কোনো প্রলাপ নয়, নয় কোনো কবির কবিতাও! এগুলো কোনো যাদুকরের মন্ত্র তো হতেই পারে না। আপনার হাত দুটি বাড়িয়ে দিন তো, আর এই আমাকে আপনার দাওয়াতে শামিল করে নিন।

এভাবেই একজন জ্বীনে ধরা পাগল বা কথার যাদুকরকে দেখতে এসে হযরত দ্বিমায রা: ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় পেলেন!

এর সূচনা কিন্তু হয়েছিল প্রিয় রাসুলুলস্নাহ সা: এর বিরুদ্ধে মক্কার কাফেরদের দ্বারা সূচিত ও পরিচালিত অপপ্রচারের ধারা হতে। প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: মক্কায় তাঁর দাওয়াতী মিশন শুরু করার সাথে সাথে একদিন যারা তাঁকে আল-আমিন, আস-সাদিক উপাধি দিয়েছিলো, সেই তারাই তার বিরোধিতায় উঠে পড়ে লাগে। তাঁকে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক'সহ বিভিন্ন পন্থায় অপদস্থ করার প্রয়াস চালায়। তাঁর চরিত্র হননের সবরকম চেষ্টাও করে।

তারা তাকে 'পাগল' বলে প্রচার চালায় (আল কুরআন- ১৫:৬)। তারা তাকে 'কবি' বলে অভিহিত করে (আল কুরআন-২১:৫ ) আবার তাতে কাজ না হলে তাঁকে 'যাদুকর' হিসেবে আখ্যায়িত করে (৩৮:৪-৫)। এতকিছুর পরেও প্রিয় রাসুল সা: অটল অবিচল থেকেছেন তাঁর লক্ষ্য পানে। তিনি বিতর্কে নামনে নি কাফেরদের সাথে, বিবাদে জড়ান নি। আল্লাহপাকই তার প্রিয় রাসুল সা: এর বিরুদ্ধে আরোপিত অপবাদ সমূহের জবাব দিয়েছেন সেই আল কুরআনের মাধ্যমেই (আল কুরআন-৫২:২৯)।

প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: কে পাগল, মিথ্যাবাদী, ক্ষমতালোভী, যাদুকরসহ হেন কোনো অপবাদ ছিলো না, যা কাফেররা তাঁর পবিত্র সত্তার উপরে আরোপ করে নি। কিন্তু তাতে তিনি ভ্রক্ষেপ করেননি। ক্ষেপে যান নি। ততদিনে হযরত ওমর রা: এর মত 'মাথা গরম' লোকও ইসলাম কবুল করেছেন। সেই তিনিও ক্ষেপে গিয়ে, অস্ত্র বাগিয়ে অপবাদ আরোপকারীকে মারতে যাননি। তারা কেউই তেমনটা করেন নি।

তবে তারা এর উপযুক্ত জবাব ঠিকই দিয়েছেন। আর সেটা ছিল এই যে, তারা তাদের জীবনের সমস্ত কিছু নিয়ে, সমস্ত শক্তিটুকু দিয়ে প্রাণপণে রাসুলুল্লাহ সা: এর বাণী, তার দাওয়াতকে মাঠে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবেই তারা প্রিয় নবী সা: এর উপরে আরোপিত সকল প্রোপাগান্ডা, তার সকল অপমাণের প্রতিশোধ নিয়েছেন। নেতিবাচক প্রচারণাকে কীভাবে ইতিবাচক প্রচারণায় রুপান্তর করতে হয়, তা তারা দেখিয়েছেন।

নেতিবাচক প্রচারণাকেও জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর ধৈর্যের মাধ্যমে ইসলামের জন্য এক বিরাট ইতিবাচক প্রচারণায় রুপান্তরিত করা যায়। আজ সারা বিশ্বব্যপাী একটি বিশেষ গোষ্ঠী বার বার প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: এর চরিত্রের উপরে কলঙ্ক লেপন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের এ হঠকারীতার মাধ্যমে তারা আর কিছুই নয়, মুসলমানদের উস্কে দিতে চায়। আর মুসলমানদের একটা অংশ যদি সত্যি সত্যি তাদের সে ফাঁদে পা দিয়েই বসে, তবে তা ইসলাম বা মুসলমানদের জন্য অকল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।

এ বাস্তবতা মুসলমান সম্প্রদায়কে বুঝতে হবে। বিশেষ করে, মুসলমান সমাজের ঐ আলেম সমাজ, যারা রাসুল প্রেমের নামে আশেকানে রাসুলদের উস্কে দিয়ে হঠকারীতার দিকে ঠেলে দেয় মুসলিম তরুণ যুবকদের। প্রসঙ্গত একটা কথা বলে রাখি, আমাদের দেশের তসলিমা বা পশ্চিমের সালমান রুশদী'র মত কিছু বিকৃত মস্তিস্কেে ধারক অথবা ফ্রান্সের 'শার্লি এব্দো' বা ঐ রকম পত্র-পত্রিকা প্রিয় রাসুল সা: এর যতটা না অপমান করতে পেরেছে, তার চেয়েও বেশী অপমান করে চলেছে স্বয়ং প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: এর উম্মত নামধারী লক্ষ লক্ষ মুসলমান, তথাকথিত 'আশেকানে রাসুল'! এর মধ্যে অনেক আলেম নামধারীও আছে!

এ বাস্তবতাকে প্রজ্ঞা আর ধৈর্য দিয়ে ইতিহাসের নিরিখে বিচার করে দেখতে হবে। যে সব মুসলমান সত্যিকার অর্থেই চান, তারা প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: এর প্রতি আরোপিত অপবাদের প্রতিবাদ করবেন, তাদের উচিত হবে, প্রিয় রাসুল সা: এর শিক্ষা ও আদর্শকে নিজের মন মগজে ধারণ করা, আর মাথা ঠান্ডা রেখে দিন রাত জীবনের সমস্ত কিছু দিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রিয় রাসুলের দাওয়াতকে উপস্থাপন করে যাওয়া।

'শার্লিএব্দো' কিংবা 'ব্লগার' বা 'প্রগিতশীল' অথবা 'মুক্তমনা' কিংবা 'বুদ্ধিজীবি' নামের আড়ালে আশ্রয় নেয়া কিছু পথভ্রষ্ট তাদের পত্রিকার পাতায় কিংবা বক্তব্যে রাসুলুল্লাহ সা: এর বিরোধিতা করে, কার্টুন ছাপায়, নিবন্ধ লিখুক, বক্তব্য দেয়, সেগুলো হবে সাময়িক। অপ্রণিধানযোগ্য, পাগলের প্রলাপ মাত্র। মুসলমানরা যদি ক্ষিপ্ত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রাখে, তবে তারা এমনিতেই থেমে যাবে। আর ওদের পত্র পত্রিকা পড়ে ওদের লক্ষ লক্ষ পাঠক আরবের 'প্রফেট মুহাম্মদ'কে আরও একটু জানার জন্যে রসদ খুঁজবে, সেই রসদটা যেন তারা আমাদের কাছ থেকে পায়। ঐ পাওয়াটাতেই ফলবে যাদুকরী ফল। যেমনটা ফলেছিলো বনু আব্দু শানু'হ গোত্রের দ্বিমায ইবনে আব্বাস রা: এর ক্ষেত্রে।

আমাদের ভূলে গেলে চলবে না যে, সে যুগের আবু জেহেল থেকে আজকের শার্লি এব্দো, তথাকথিত মুক্তমনা বা ইসলাম বিদ্বেষী,

সকলের উদ্দেশ্য ও কর্মপন্থা একই। অতএব তার প্রতিকারের পথও একই রকম হতে হবে। আর সেটা হলো প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের সাথে ইসলামকে তুলে ধরা। এটাই হতে হবে আজকের মুসলমানদের সঠিক কর্মপন্থা।

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৫ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

301483
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:৪৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই, সময়োচিত এমন কার্যকর এবং প্রভাব বিস্তারকারী একটি পোস্ট এর জন্য। আপনি বলেছেন কিভাবে আমাদেরকে রাসূলের (সাঃ) বিরুদ্ধে অপবাদ এবং মিথ্যা প্রচারণার মোকাবিলা করতে হবে - রাসূলের (সাঃ) প্রচারিত শিক্ষাকে তথা ইসলামকে শতমূখে এবং সর্বতোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বময়, তবেই বিরুদ্ধবাদীদের অপপ্রচার থেকে রক্ষা পাবে ইসলাম এবং এর বাণীবাহক। আমি আর একটু যোগ করবো, 'তার আগে আমাদেরকেও সঠিক ইসলামকে জেনে নিতে হবে, শিখতে হবে এবং তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বাস্তব ইসলামের প্রতিচ্ছবি হয়ে যেতে হবে' । মূলতঃ এভাবেই ছড়িয়ে পড়বে ইসলামের সৌন্দর্য্য দিকে দিকে.....
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০৯
243888
হককথা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুমস সালাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
''তার আগে আমাদেরকেও সঠিক ইসলামকে জেনে নিতে হবে, শিখতে হবে এবং তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বাস্তব ইসলামের প্রতিচ্ছবি হয়ে যেতে হবে' দারুণ বলেছেন। যাজাকাল্লাহ খাইর।
301484
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:৪৭
sarkar লিখেছেন : বিশেষ করে, মুসলমান সমাজের ঐ আলেম সমাজ, যারা রাসুল প্রেমের নামে আশেকানে রাসুলদের উস্কে দিয়ে হঠকারীতার দিকে ঠেলে দেয় মুসলিম তরুণ যুবকদের।এখানে আপনি কাকে বোঝাতে চাইছেন।বুঝলাম না।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১২
243891
হককথা লিখেছেন : সমাজের বিভিন্ন স্তরে, আপনার আশে পাশে আপনি কী মুসলমান নামধারী এমন কাউকে দেখেন না, যে বা যারা প্রিয় রাসুল সা: এর নামে এমন সব কাজ কর্ম করে বেড়াচ্ছে যার সাথে রাসুলুল্লাহ সা: এর কোনো সম্পর্ক নেই? এটা কী মানবতার মুক্তির দূত প্রিয় রাসুলুল্ল াহকে অপমান নয়, তার উপরে মিথ্যা অপবাদ আরোপ নয়? তাঁকে বিশ্ব সমাজের কাছে তিনি যা না, সে হিসেবে উপস্থাপন করা নয়?
301486
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:১০
পিপীলিকা লিখেছেন : ধন্যবাদ Thumbs Up
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১২
243892
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
301488
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৩০

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : যত কিছুই বলেন্না ক্যান মুস্লিম'দের ইতরামি শেষ হবার নয়। মোহাম্মদের ইসলামেই গলদ।
এই আজকেও বোকোহারামের মুমিনরা পার্শবর্তি ক্যামেরুনে হামলা চালিয়ে ১৫০ জন অমুসলিম গ্রামবাসী কতল করেছে। অন্যদিকে আইসিস জেহাদীরা ২ জাপানী সাংবাদিক জিম্মিকরে ২০০ মিলিয়ন ডলারের মুক্তিপন দাবি করেছে।
301498
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১৩
243893
হককথা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
301525
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
আলআমিন লিখেছেন : ভালো হইছে
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৪
243927
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
301526
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
243928
হককথা লিখেছেন : পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
301529
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু পরম শ্রদ্ধাভাজন হককথা ভাই। মাশাআল্লাহ বিশ্লেষণাত্মক চমৎকার লিখা। জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৬
243929
হককথা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুমুস সালাম। আপনাকে ফনেক ফনেক ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
301669
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

ঠিকই লিখেছেন, তবে "নামধারী মুসলমানদের" পরিচয় আরেকটু খোলাসা (অনেকেই যেমন বলে তাদের ধর্ম ইসলাম অথচ নামাজ আদায় করে না, সুদ-ঘুষকে নাজায়েজ ভাবে না, দাড়ি-টুপি-পর্দাকে কটাক্ষ করে, . . . ইত্যাদি) করলে ভালো হতো।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:২০
244048
হককথা লিখেছেন : অনেক কথা আছে, বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে, আরও বেশী অনৈক্য, আরও বেশী বিভেদ এড়াতে না বলাই ভালো, যদি না সে কথা কারো জীবন, সম্পদ ও ইজ্জতের প্রতি ইমিডিয়েট থ্রেট হয়ে না থাকে। এটা্ি আমার মত। আরও একটা বিষয়, এ লেখার মধ্যে রাসুল সাধ এর অনুসারী হবার দাবীদার হয়েও কোন সব মুসলমান উল্টো আল্লাহর রাসুল সা: ও তাঁর শিক্ষা আদর্শের প্রতি কলঙ্ক টেনে আনে বা আনায় (নিজেদের অনিচ্ছা সত্তেও) সে ব্যপারে ইঙ্গিত রয়েছে। ইশারই যথেষ্ট, তাদের জন্য যারা বোঝেন। ধন্যবাদত আপনাকে পড়া ও সময় করে মন্তব্য করার জন্য।


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File