দূ:খিত; কটু, কিন্তু সত্য কথাটা বলতেই হলো। প্রচলিত বিশ্ব-ইজতেমা মুসলমানদের জন্য আত্বঘাতী এক উপখ্যানমাত্র!
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৪৫:০৪ সন্ধ্যা
বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে। ইতোমধ্যেই তা শুরু হয়েছে। আর এ কাজে ইসলামের তথাকথিত মহান খেদমতাগাররাও (!) ঠিকই এগিয়ে এসেছেন!
নিকট অতিতে এই বাংলাদেশে ষোলো কোটি মুসলমানের চোখের সামনে কুরআন জ্বালিয়ে দেয়া হলো, কুরআন হাদিস আর ইসলামি বই রাখার অপরাধে 'জিহাদিষ্ট' 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়ে মাসুম ছাত্রদের বেধড়ক পেটানো হলো, জীবনের মত পঙ্গু করে দেয়া হলো। মসজিদে মুসল্লীদের অপমান করা হলো, গুলি করা হলো।
দেশের আনাচে কানাচে কুরআনর তাফসীর মাহফিল পন্ড করে দেয়া হলো, ১৪৪ ধারা জারি করা হতে থাকলো, খুব বেশী দিন আগেকার কথা নয় সেটা। এখনও অনেক ঐতিহাসিক তাফসীর মাহফিল বন্ধ রয়েছে, অনুমতি মেলে না। খোদ ইসলামি ফাউন্ডেশনে বাইজী নাচানো হলো! এ দেশেই 'বিসমিল্লাহ ' র চেয়ে জয়বাংলা তে বেশী বরকত' এমন কথা বলার মত দু:সাহস দেখানো হলো!
ইসলাম নিয়ে ব্যঙ্গ করা হলো সমাজের প্রশাসনের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে। সরকারের এক মন্ত্রী তো প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: কে 'আব্দুল্লাহর পুত্র' বলে অভিহিত করলেন। মুসলমানদের হ্জ্জ নিয়ে রাসুল সা: ব্যবসার ফন্দী এঁটেছিলেন মরুর আরবদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতে!
এরকম আরও জঘন্য মন্তব্য করেছিলেন। সারা দেশের মুসলমানরা আর কিছু না করতে পারুক, অন্তত মুখে হলেও এর প্রতিবাদ করেছিলেন।
ব্যতিক্রম ছিলো একমাত্র তাবলীগ! টু শব্দ করেনি তারা। কোনে প্রতিবাদও করেনি। তারা নিরপেক্ষ (!) থেকেছে। তাবলীগ এভাবেই কোটি কোটি মুসলমানকে ইসলামের সাথে বাতিলের দ্বন্দে 'নিরপেক্ষ' রাখার ভূমিকা পালন করে চলে। অথচ বাতিলের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দ্বন্দে একজন মুসলমানের জন্য তো এটা ফরজ যে, সে তার সকল সামর্থটুকু নিয়ে ইসলামের পক্ষে কাজ করে যাবে। যার কিছু নেই, তার মুখের জবানটুকু তো আছে! সে তার ঐ জবানটুকু দিয়ে হলেও একটাবারের জন্য হেঁকে উঠবে; 'সাবধান, হে আল্লাহর দুশমন, একজন মুসলমানও বেঁচে থাকা পর্যন্ত আর যাই হোক, আমার জন্মভূমিতে প্রিয় রাসুলের অপমান বরদাশত করা হবে না।'!
কিন্তু না, তাবলীগ তার অনুসারীদের এ দিকে নেয় নি, বরং এ ভুমিকা পালন করা থেকে কৌশলে, আল্লাহর ঈবাদাতের নামেই ফিরিয়ে রেখেছে, রাখছে লক্ষ লক্ষ সক্ষম মুসলমানদের।
এইসব লক্ষ লক্ষ মুসলমান, একবার, কেবলমাত্র একটাবার যদি ঢাকা শহরে সমবেত হতো, একটাবার, আবারও বলছি, কেবলমাত্র একটাবারও যদি আওয়াজ তুলে বলতো;
এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই থাকবে, সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে। কিন্তু কোনো ধর্মের প্রতি অবমাননা সহ্য করা হবে না। কোন মসজিদ, কোনো মন্দীর বন্ধ করা চলবে না।'
বিশ্বাস করুন, এ দেশে কোনো ধর্ম অবমাননা হতো না। আমার প্রিয় রাসুল সা: এর প্রতি কোনো কুলাঙ্গার বিদ্রুপ করার মত ধৃষ্ঠতা দেখাতে পারতো না। কিন্তু তারা তা করে নি।
ইব্রাহিম আ: এর দ্বারা সূচিত মিল্লাতে ইব্রাহিম' এর জীবন বিধান পূর্ণতা লাভ করেছে রাসুলুল্লাহ সা: এর মাধ্যমে (দ্র: কুরআন ৫:৩, ৬:৩৪, ১৫:৯, ৭৫:১৭)। পূর্ণতাপ্রাপ্ত এই ধর্মের বিধান হলো; মানুষকে তার রবের দিকে ডাকা হবে একমাত্র কুরআন দিয়ে, কুরআনের দিকে। ছয় উসুল দিয়ে নয়, ফাজায়েলে ওয়াজিফা কিংবা ফাজায়েলে জিকর এর দিকে নয়।
কুরআন আমাদের কর্মমূখী হবার শিক্ষা দেয়, কর্মবিমূখ হবার নয়। ময়দান হতে বাতিল, পাপাচার নির্মূলে কোনো কাজ না করে, কোনো পরিশ্রম না করে তুরাগ তীরে বা মসজিদের খানকাহতে বসে বসে জিকর করলে, চোখের পানি ফেলে গেলেও কোন লাভ হবে না।
আল্লাহর ইবাদাত হলো পৃথিবীকে জঞ্জালমুক্ত করা, পাপাচার মুক্ত করা। এ লক্ষ্যে কতটা কাজ করেছেন, কতটা শ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং কিসের নিয়তে করেছেন, সেটাই দেখা হবে কেয়ামতের দিনে। আর আল্লাহ পাকও আমাদের বিনিময় ঠিক ততটাই দেবেন, যতটা আমরা চেষ্টা সামর্থ করেছি এ দুনিয়াতে। এর অতিরিক্ত কিছুই না। (কুরআন; ৫৩:৩৯)।এটাই আল্লাহর নিয়ম। আর আল্লাহর নিয়মে কোনো পরিবর্তন হয় না। (দ্রষ্টব্য- কুরআন; ১৭:৭৭, ৩৩:৩৮ এবং ৬২, ৩৫:৪৩, ৪০:৮৫, ৪৮:২৩)
সমাজকে পাপ পঙ্কিলতা মুক্ত করতে বিন্দু পরিমান চেষ্টা যে করেছে, সে তার প্রতিদান পাবে, বিন্দুপরিমান মন্দ বা গাফিলতি যে করেছে, সেও তার প্রতিদান পাবে। (দ্রষ্টব্য- কুরআন- ৯৯:৭-৮)
আজ তাবলীগের নামে মুসলমানদের বসরে একবার বিশ্বসম্মেলন 'হজ্জ' এর বিপরিতে বিশ্ব ইজতেমাকে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। আরাফাত মাঠের বিপরিতে তূরাগ পাড়কে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। সমাজ ও বিশ্ব বদলের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত চারটি উসুলের পরিবর্তে (দ্রষ্টব্য- কুরআন ২:১৫১) তাবলীগের ছয় উসুল প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। কুরআনের পরিবর্তে মানুষকে আহ্বান করা হচ্ছে ফাজায়েলে জিকির, ফাজায়েলে ওয়াজিফার দিকে!
আজ অর্ধশিক্ষিত, কুশিক্ষিত আর অশিক্ষিত মুসলমান বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে হাজির থাকাটা গরীবের 'হজ্জ'! আবার কেউ কেউ এটা বিশ্বাস করে যে, পর পর তিনবার বিশ্ব ইজতেমাতে হাজির থাকলে এক হজ্জ এর সমান সওয়াব পাওয়া যায়! তিন চিল্লাতে গেল কিংবা জীবনে একবার চল্লিশ দিনের চিল্লা দিতে পারলে জান্নাত অবধারিত!
এভাবেই সহজে জান্নাত প্রাপ্তির লোভে মুসলমানরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা সমাজ থেকে পাপাচার, অনাচার দূর করতে, তাগুত আর বাতিলের মুখোমুখি হওয়া থেকে পিছিয়ে থাকছে।
আর এ কারণেই কুরআন পোড়াতে যাদের বুক কাঁপে না, সেই তারাই তাবলীগের প্যান্ডেল সাঁজিয়ে দেয়। কুরআনের মাহফিল বন্ধ করতে যারা দ্বিধা করে না, সেই তারাই্ তাবলীগের মাহফিল সফল করতে উঠে পড়ে লাগে।
কারণ কী? কারণ একটাই, তাবলীগ দ্বারা মুসলমানরা একটা কর্মপাগল জাতি হতে দূরে সরে গিয়ে কর্মবিমূখ জাতিতে পরিণত হয়। তারা ইসলামের পক্ষশক্তি হওয়া থেকে 'নিরপেক্ষ' থাকে ইসলাম আর বাতিলের সংঘাতে! যে শক্তির সৈনিকরা শত্রুপক্ষের সাথে সংঘাতের সময় 'নিরপেক্ষ' থাকে, তার পরাজয় ঠেকায় কে?
আজ যে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম পরাজিত হয়ে আছে, ইসলামের প্রতিটি রসম রেওয়াজ আর বিধি বিধানের উপরে বাতিল, বেদায়াত, কুফরী প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে, তার কারণ কী এটা নয় যে, ইসলামের পক্ষে লড়ার জন্য সৈন্যসংখা কম এবং যারা আছে তারাও ভয়ানকভাবে দূর্বল?
তবলীগ কিংবা পীর দরবেশকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমি কী ইসলামকে আরও বেশী দূর্বল করে তুলতে সহায়তা করবো? সচেতন মুসলমানদের সামনে প্রশ্ন আজ এটাই।
বিষয়: বিবিধ
২৪২০ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে আবারও বলছি, যে মুসলমান বিশ্বাস করে যে, ইজতেমায় গেলে বা এক বা দুই কিংবা তিনটা চিল্লা দিলে একটা হজ্জ অথবা ওমরার সওয়াব পাওয়া যায়, সে মুসলমান হয় অশিক্ষিত, না হয় স্বল্পশিক্ষিত আর না হয় কুশিক্ষিত। আপনি যদি সেটা বিশ্বাস না করেন, সেটা আপনার ব্যাপার।
আমি আমার লেখায় অন্তত চারটা যুক্তি ও প্রমাণ দিয়েছি, এর সাথে সাথে আল কুরআনের বেশ কয়টা আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছি। আপনি আপনার বক্তব্যের কোথাও একটা যুক্তিও দেন নি, কুরআন থেকে আপনার বক্তব্যের সপক্ষে একটা রেফারেন্সও দেন নি। কাজেই আপনার আবেগতাড়িত কথার কোনো মূল্য অন্তত আমার কাছে নেই।
তবে আপনার এ কথাটার সাথে আমি একমত যে, আমাদের মত শিক্ষিত লোকদের কারণেই ইসলামের এ অবস্থা।
দেখুন, আমি নিজেকে একজন ছাত্র মনে করি মাত্র। এখনও শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি নি। তবে ইসলামের এই দুরাবস্থার জন্যও যারা দায়ী, আমিও তাদের একজন, এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আপনি হয়তো নিজেকে তাদের একজন মনে করেন না, সেটা আপনার মত। আপনি তা হলে সত্যিই সৌভাগ্যবান বটে! দোওয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার ত্রুটিগুলোকে শুধরে নেবার মক্তি ও জ্ঞান দেন। ভালো থাকবেন। পড়া ও মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।
তাবলীগী জামাত মানুষকে কুরআন হাদীসের দিকেই ডাকে, ছয় উসূলের দিনে নয়, ছয় উসূল কর্মপদ্ধতি মাত্র।
তাবলীগীরাতো রোজা রাখে, হজ্ব করে, যাকাত দেয়, এ সব বিষয়গুলো তা'লীম ও করা হয়, অথচ ছয় উসূলের মধ্যে এই তিন বিষয় উল্লেখ নেই, আপনার জবাব কি হবে এখানে?
আগে তাবলীগ সম্পর্কে ভালো করে জানুন বুজুন, তার পর পোষ্ট লিখুন, বিরোধীতা করুন। @হককথা
We can not separate Islam from having a political and administrative view.
If our elders want to do this, I think they need to adopt a new approach.
Thanks for sharing and please remember me in your du'a.
Some one has to speak out. I have done exactly that, nothing more than this. Thank you brother again for your time. Please keep us in your dua.
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক ।
আজ এবং গতকাল ফজর নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে পড়েছেন তো?
I am an avid reader of your blogs. Your writings make me think. May Allah bless you for this service. It just happens that I read your "From Abu Zahl to Charlie Hebdo..." blog right before this one and saw a clear self contradiction. Do you have any reference or supporting documents that told you that Tablig jamat did not follow the teachings of our Prophet (SAWS), e.g. to quote you from that blog "তবে তারা এর উপযুক্ত জবাব ঠিকই দিয়েছেন। আর সেটা ছিল এই যে, তারা তাদের জীবনের সমস্ত্ম কিছু নিয়ে, সমস্ত্ম শক্তিটুকু দিয়ে প্রাণপণে রাসুলুল্লাহ সা: এর বাণী, তার দাওয়াতকে মাঠে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবেই তারা প্রিয় নবী সা: এর উপরে আরোপিত সকল প্রোপাগান্ডা, তার সকল অপমাণের প্রতিশোধ নিয়েছেন। নেতিবাচক প্রচারণাকে কীভাবে ইতিবাচক প্রচারণায় রুপান্তর করতে হয়, তা তারা দেখিয়েছেন।"
We may not agree with the style, process that they follow to further the teachings of Islam, but that does not give us the right to judge them as wrong. If they preach their own version of Islam, e.g. three Iztema is equal to one Hajj, that is definitely deplorable. But in my humble opinion, we Muslims today are very prompt in judging others before finding faults in us and that is a big and I say BIG reason why the Ummah is in such a sorry state today.
May Allah (SWT) gives us the taufiq to follow His book and the teachings of His Messenger (SAWS) correctly and make us from among those who find faults in one's own self.
I apologize if I hurt anyone's feelings. Allah (SWT) knows that was not my intention. Again I really enjoy your blogs. Please keep on writing and enlighten us as always. Jazakallah khair.
Assalamu alayqum and a very special thank you brother for your time in reading and making a very important,relevant comment here.
You have coated a para of my post which is such;
"তবে তারা এর উপযুক্ত জবাব ঠিকই দিয়েছেন। আর সেটা ছিল এই যে, তারা তাদের জীবনের সমস্ত্ম কিছু নিয়ে, সমস্ত্ম শক্তিটুকু দিয়ে প্রাণপণে রাসুলুল্লাহ সা: এর বাণী, তার দাওয়াতকে মাঠে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবেই তারা প্রিয় নবী সা: এর উপরে আরোপিত সকল প্রোপাগান্ডা, তার সকল অপমাণের প্রতিশোধ নিয়েছেন। নেতিবাচক প্রচারণাকে কীভাবে ইতিবাচক প্রচারণায় রুপান্তর করতে হয়, তা তারা দেখিয়েছেন।"
I am strongly standing by what I have said. I don't see any contradictions, whatsoever, in my two writings, or to say, in the contents of my these two posts.
What I meant that the sahabis and the followers of them, and of them who did tablig and ran in and out every corner of the globe, did or has done a wonderful job, they preached the Quran,things came after that; sunnah. The people they preached to, got knowledge of quran in the very first place! They themselves were able to differentiate in between right and wrong. Some of them became scholar, mujtahid even! This is what exactly the Rasul (s) and his ashabs (R)has done. Hadith/ fiqh / Ijma all came afterwards.
Now please think of the contemporary tabligh we have at present in our society, what they are calling people towards? Quran? The answer is clear; no
We are not to undermine the very good intention, emotion of hundreds of thousands of people those who, every year takes lot of pain to attend the jamat in tongi, but the question is, what they are discussing there? what message are being disseminated among public, among common muslim? all but Quran!
Any tablig which, at the end of the day, is not preaching Quran is not tablig at all, no matter how many sheikhs and Muslims are gathering there.WE should not be deluded.This has to be very explicitly clear to all.
This 'Three day Tablighi IJtema' is doing since last 60 years, no body opposed them, rather supported, even provided financial, logistic and material assistances. Let them do a day tablighi ijtema in the same place, where nothing but the Quran and only the Quran will be discussed and preached! Let's see the result, let us see the reaction of the community including the establishment! That will tell you everything.
One last thing; Muslims are instructed to do tabligh, tabligh of quran, tabligh which brings people closer to quran and Allah, tabligh which make them god fearing and muttaqi, tabligh which will eliminate shortcomings in their daily lives, enhance changes in their practice, in their personality.
Please tell me, which one of theses objectives are we obtaining through this tabligh?
NONE.
Thank you brother for your kind visit of my blog. May Allah bless us all with his hidaya.
Thank you for your detail response. I really appreciate it. I have no objection at all to your comment that I quoted in my reply. I was just pointing out that, may be tabligh jamat was following what you quoted instead of protesting openly, since that's what your objection was against them. That's all I wanted to point out.
I fully agree with your comments. Quran comes first before anything else. I personally never went to any tabligh jamat but I have many friends, some very close, who are dedicated tablighi people. I can tell you about one of my tablighi friends who is more knowledgeable in Quran than many so called non-tablighi alems.
Many a times I was approached by my friends to go to tabligh jamat with them, but I guess my Imaan is not so strong yet to spend time away from my family for the path of Deen.
Anyways, please do not misunderstand my views. I hope I made myself clear. Thank you again for taking time to respond to my reply.
Jazakallah khair
মন্তব্য করতে লগইন করুন