তসলিমা'র প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ঠিকানা এখন ডাস্টবিন! দ্বারে দ্বারে রোদন আর করুণা ভিক্ষা!
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০১ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৫৮:১৭ রাত
এমনই হয়। এটা নিয়তি নয়, এটা কর্মফল। এটা অর্জন। কলংকজনক অর্জন। কলা খেয়ে সকলেই খোসাটা রাস্তায় অথবা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে। এটাই নিয়ম।
তসলিমা নাসরিন হাহাকার প্রকাশ করেছে, তার প্রিয় ভারত মাতার উদরে ঠাঁই হলো না বলে। তার প্রিয় বিজেপি সরকার, তসলিমার পেয়ারা, দিল দরদী, তারাই তাকে ভারত মাতার উদর হতে উগলে দিল!
কষ্ট না হয়ে কী পারে? তসলিমারও হয়েছে বটে। সে নিজেই বলেছে ' আমার পায়ের তলায় এখন আর মাটি নেই।' আরও বলেছে ''দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে পারমিট পাব না৷ মোদি তো একমাত্র রাজনীতিক, যিনি আমাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন৷ সেই মোদির আমলে এ রকম হলো? আমি তো ভেবেছিলাম মোদির আমলে এবার আমি পাঁচ-বছরের জন্য থাকার পারমিট পাব৷ আমি তো নাগরিকত্ব চাইনি৷ থাকার সুযোগ চেয়েছিলাম৷ সেটাও পেলাম না৷'
আহা, কী নিয়তি! যে বিজেপি একদিন তসলিমার 'লজ্জা' বইটা অন্তত আট অথবা নয়টি ভাষায় ছাপিয়ে সারা ভারত ছড়িয়ে দিয়েছিলো মুসলমানদের লজ্জায় ফেলতে! সেই বি জেপি'ই কি না তাকে এভাবে আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলো!
তসলিমা আর তার 'দিল দরদি দোস্ত' বিজেপি এবং সে সাথে এপার কিংবা ওপারের মধূপিয়াসী সজ্জন(!)রা কতই না কসরত করেছেন মুসলমানদের লজ্জায় ফেলতে। কিন্তু পারেন নি।
না মুসলমানরা লজ্জায় পড়েন নি। মুসলমানদের লজ্জায় পড়ার মত কোনো কারণ অন্তত ইসলামে নেই। ইসলাম তো এসেছেই মানুষকে উঁচুতে তুলে ধরতে। সম্মান দিতে। বিশেষ করে, নারীকে সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে আসীন করতে। করেছেও। করেছে তাকেই, যে ইসলামকে আঁকড়ে ধরেছে।
আফসোস! তসলিমা ভাগ্যগুণে মুসলিম বাবা-মা'র ঘরে জন্ম নিয়েও, ইসলাম জানার ও মানার সহজ সুযোগ থাকা সত্তেও নিজ দেশ, সমাজ ও জাতির সাথে মীরজাফরী করে গেছে। অপমান করতে চেয়েছে।
কিন্তু এটা তার মনে রাখা উচিৎ ছিলো, আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল, কুরআন আর তার নিষ্ঠাবান অনুসারী মুসলমানদের অপমান করা যায় না। আল্লাহই তাদের রক্ষা করবেন। এটা আল্লাহর ওয়াদা (দেখুন, আল কুরআন; ৪:৪৫, ৫:৫৫, ৯:৭১, ১১৬, ৩২:৪, ৪২:২৮)। আল্লাহ নিজের সে ওয়াদা অবশ্যই পালন করবেন। কোন সন্দেহ নেই তাতে।
মাঝ থেকে মীরজাফর ও তার অনুগত তসলিমার মত বেঈমানরাই কেবল অপমানিত, বিতাড়িত হতে থাকবে। কারণ তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের অভিবাবক হিসেবে নেয় মোদী কিংবা ক্লিন্টন গং'দের। এইসব অভিভাবকরা কোনদিনও তাদের রক্ষা করতে পারে না। করে না, কারণ তারা নিজেরাই রক্ষিত, রক্ষক নয়। রক্ষক হবার উপযুক্ত তারা নয়, তারা খুবই দূর্বল। (দেখুন, আল কুরআন; ২৯:৪১, ৪২:৬, ১৮:১০২)
এসব দূর্বল রক্ষক আর তাদের আশ্রিতরা সম্মানিত হয় না, আল্লাহ তাদের কপালে লিখে রেখেছেন অপমানজনক পরিণতি।
যুগে যুগে মীরজাফর ঘষেটি বেগম, রায়দূর্লভরা কাজ শেষে এভাবেই অপমানিত হয়েছে। প্রয়োজনটুকু ফুরোলেই তাদের ঠিকানাটা হয় আস্তাকুঁড়ে! ঠিক কলা খোসাটার মত।
আফসোস! তসলিমা আর তার মত নাম না জানা অনেকেই এ বাস্তবতাটুকু সময় থাকতে বোঝে না।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৬ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতে কোন বাধা আছে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে?
তার উচিত তাওবা করা এবং সঠিক পথে ফিরে আসা!!
তাসলিমার কষ্টে আমার ব্যাপক হাসি পাইতাসে ... <:D
ঠিক কইসেন @ হককথা ভাই। আল্লার ঠিকাদারিতে এখন কাম হয় না। ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক'এর খুদ কুঁড়োর জন্য আল্লাপূজারী মুমিনরা উদ্ভান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আল্লা তার ওয়াদা সমুহ সবক্ষেত্রে পালন করার সক্ষমতা দেখাতে পারলে কতইনা ভাল হত। তসলিমা নাসরিন তো ভাল আছেন। একজন আন্তর্জাতিক মানের নারীবাদী ব্যাক্তিত্ব। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা...........র মত উন্নত দেশে অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ।
আমার জানতে ইছ্ছে করে- গাজার মুসলমানরাও কি তসলিমা নাসরিনের মত আল্লার পাঁকা ধানে মই দিয়েছে? তারা কেন আজ নিজভূমে পরবাসী? লাঞ্চিত, অপমানিত।
তার পরিনতি দেখে ও কি বুঝে আসে না।
তোমাদের জন্যই আল্লাহ বলেছেন
"Deaf, Dumb and Blind, So they will not turn back"...Al-Bakara(19)
আর গাজা নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন ?
আমরা মুসলমানেরা দুনিয়ায় বেচে ও ভাগ্যবান মরেও ভাগ্যবান।
আর তোমরা বেচে ও হতভাগা(যেমন তসলিমা) আর মরার পর ? জান
এটা শুধুই একান্ত আমার বেক্তিগত অনুভূতি। বিসদ ব্যাখ্যা দিতে পারবনা।
আল্লাহ সকল নাস্তিকদের হেদায়েত দান করুন।
অন্য প্রসঙ্গ ভাই আপনি কি বিয়ে করেছেন? সন্তান আছে?
আর যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছিল তারাও এটা মনে করেছে যে , যে লোক তার ধর্মকে হেয় করতে পারে সে অন্যের ধর্মকেও যে হেয় করবে না তার কোনই গ্যারান্টি নেই ।
তাই তাকে আজ যারা কাছে টানছে কালই খেদিয়ে দিচ্ছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন