হে মুসলমান! আসুন, নতুন খলিফাকে চিনে নিন (দুর্বল চিত্তরা সাবধান! কিছু ছবি আছে, আপনাকে কষ্ট দিতে পারে)

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১৪ জুলাই, ২০১৪, ০১:১৪:০৩ রাত



আমেরিকার Arizona অঙ্গরাজ্যের সিনেটর, নিওকন ‘ John McCain’ ই হলেন আমাদের আসল খলীফা! তবে তার আগে বিস্তারিত দেখে নিন নীচে।

আপনি নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন আমাদের নতুন খলিফার সফলতা দেখে! আমাদের নতুন ও মহান স্বঘোষিত খলিফা তার দলবল নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে উল্কার গতীতে সংঘবদ্ধ হয়েছেন, তা দেখে। তারা দামেস্ক, হোমস, আলেপ্পো থেকে শুরু করে একের পর এক সিরিয়ার ডিক্টেটর আসাদ বাহিনীর সাথে লড়ে যাচ্ছেন। এখন তিনি ইরাকের এক বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন!



ইনিই আমাদের স্বঘোষিত খলিফা

আপনি আধুনিক প্রযুক্তির গৌরবজনক কল্যাণে নিশ্চয়ই দেখেছেন, আমাদের এই খলিফার ‘মুজাহিদ‘ বাহিনী ‘জিহাদ’-এ কী মরীয়া হয়ে আত্বনিয়োগ করেছেন!

এই সব জানবাজ মুজাহিদ বাহিনী সিরিয়ার সরকারী সৈন্যদের ধরে ধরে গলা কেটেছে জিহাদের নামে। লাইন করিয়ে পিছ মোড়া বেঁধে তার পর ঠান্ডা মাথায় তাদের গুলি করে মেরেছে!



বন্দী সৈন্যদের হাত পা বেঁধে মাটিতে উপুড় করে শুইয়ে তাদের পিঠ ছুরি দিয়ে চীরে সেখানে লবন মাখিয়ে দিয়েছে! সিরিয়া সরকারের কোনো কোনো মুসলিম সৈন্য, যাদেরকে তারা বন্দী করতে পেরেছে, ধরে গলা পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে তার পর ভিডিও‘র সামনে তাদের গালাগালি করেছে যাচ্ছে তাই করে!

এখানেই থেমে থাকেনি তারা, এইসব মুজাহিদরা এর পরে ক্যামেরার সামনেই উক্ত হতভাগা মুসলমান বন্দীকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলেছে মাটি চাপা দিয়ে! আরও দেখেছেন, ইসলামের এইসব মহান জানবাজ মুজাহিদরা কী বর্বরভাবে ক্যামেরার সামনে স্টেজ শো করে বন্দী মুসলমান সৈন্যদের জবাই করেছে! এসবই নাকি জিহাদ!



কেউ অবশ্য প্রশ্ন করেন নি, ইসলাম যেখানে বন্দীর সাথে সর্বোচ্চ উত্তম মানের ব্যবহার করতে বলেছে, সেখানে এইসব বন্দীদের সাথে এই বর্বর আচরণ কেন করা হচ্ছে! কেউ অবশ্য এ প্রশ্ন করেন নি যে, এই যে ইসলামের নামে জিহাদের নামে এই বর্বর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তা তো ইসলাম বিরুদ্ধ পশ্চিমা শক্তি, তাদের গণমাধ্যমগুলো ইসলামের জিহাদ কতটা বর্বর, মুসলমানরা ধর্মের নামে কতটা বর্বরতা দেখাতে পারে, সে কথা প্রমাণেই ব্যবহৃত হবে!

ইসলামের গা‘এ আমাদের মহান খলীফার এইসব জানবাজ মুজাহিদরা কেন এই কালীমা লেপন করে দিচ্ছেন!

না, আপনি প্রশ্ন করেন নি। আপনি হয়ত বৃহত্তর কল্যাণ প্রাপ্তির আশায় (হারিয়ে যাওয়া খেলাফত পুণরুদ্ধারের মত এত বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!) এইসব ছোটো খাটো বর্বরতা, এইসব ছোটো খাটো গুনাহ‘কে মেনেই নিয়েছেন! না নিলে কী আপনি এই সব বীর মুজাহিদদের নিয়ে, তাদের সফলতা দেখে ফেসবুকে, ব্লগে, পত্র পত্রিকায় এমন আনন্দে গদ গদ হয়ে ফেটে পড়তেন! আপনি এদের সফলতার জন্য আল্লাহর দরবারে দোওয়া করেছেন! কী জানি হয়ত তাহাজ্জুদেও বসে ছিলেন রাতের গভীরে!

কারণ আপনি প্রিয় রাসুল সা: এর একটি হাদিস শুনেছেন, পড়েছেন যে, হাদিসে কেয়ামতের আগে পারস্য থেকে কালো পতাকায় কালেমা খচিত এটি মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী বের হবে, যারা আল্লাহর রাস্তায় যদ্ধ করবে, মুসলমানদের মুক্তি এনে দেবে, এরকম কিছু কথা!



যেহেতু আপনি মুক্তি চান, যেহেতু আপনি বিশ্ব মুসলমানদের কল্যাণকামী, তাই তাদের সফলতার জন্য আপনি দোওয়া না করে, তাদের সাহায্য না করে কী পারেন? তাদের জন্য আর কিছু না হোক অন্তত চোখের দু‘ফোটা পানি তো ফেলতে পেরেছেন!

আপনি টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ার কল্যাণে দেখেছেন এই ‘ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এরা কালেমা খচিত কালো পতাকাধারী, বড় পূণ্যময় (!) চেহারার মুজাহিদদের পুরো বদন জুড়েই যেন জান্নাতি রৌশনাই খেলে যাচ্ছে! আর সেই রৌশানই এর কিছুটা থেকেও যেন বঞ্চিত না হতে হয়, সে কারণে মুসলিম জনপদের কোনো কানো অঞ্চল হতে ছুটে এসেছে ‘মুজাহিদ’দের সঙ্গিনীরা, যৌন জিহাদ-এ!



ধরণী দ্বিধা হও! আপনি কখনই প্রশ্ন করেন নি, ইসলামের এই তথাকথিত ‘যৌন জিহাদ’ আবার কবে যুক্ত হলো? মুসলমানদের জিহাদ বিমূখ করতে, ইসলামের অন্যতম রক্ষকবচ জিহাদকে বিতর্কিত, কলংকিত করতে এ যে আর এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, ঘৃণ্য পদক্ষেপ ইবলীশের, সে কথাটা আপনি ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবেন নি, বলেনও নি। হয়ত এ ক্ষেত্রে ‘খেলাফত’-এর মত বিরাট কিছু অর্জনের জন্য ছোটো খাটো ভুল-ত্রুটি মেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ; হিকমত মনে করেছেন!

আপনি একটু মন দিয়ে শুনুন দয়া করে, বেশী নয়, কয়েকটা মিনিট মাত্র। আপনি ভুলের ভেতরে আছেন। আপনি আরও একবার প্রতারিত হতে যাচ্ছেন। ঠিক সেভাবে, যে ভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মুসলমানরা প্রতারিত হয়েছিলো।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, স্বাধীনতা আর স্বায়ত্বশাসন দেয়া হবে বলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ব্রিটেন। আর এরই বিনিময়ে তথাকথিত ‘জানবাজ মুসলিম মুজাহিদ’রাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো চার লক্ষ প্রাণ নজরাণা দিতে ব্রিটেনের পক্ষে যুদ্ধে! কার বিরুদ্ধে? হ্যাঁ, নিজেদের খলীফার বিরুদ্ধেই! বিনিময়ে মুসলমানরা কী পেয়েছে, তা নিশ্চয়ই আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না আপনাকে!

আপনি এটাও দেখেছেন, কী ভাবে একটুকরো ভুখন্ডে একটি ইসলামি মডেল খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দেখানোর বাসনায় সুদুর টেক্সাস থেকে ধরে এনেছিলো ‘শেখ বিন লাদেন‘কে! দেখেছেন কী ভাবে তাকে দিয়ে প্রথমে সুদান ও পরে আফগানিস্থানে একটি ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠায় ত’পরতা চালানো হয়েছিল!

খেলাফত তো প্রতিষ্ঠিত হয়েই গিয়েছিলো! সেই আবেগ আর আনন্দে সুদুর মিশর, কেনিয়া, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া পাকিস্থান, বাংলাদেশ ও চেচনিয়াসহ বিশ্বের প্রতিটি কোণা থেকে ‘মুজাহিদ’রা পঙ্গপালের মত ছুটে এসেছে জিহাদ-এ যোগ দিতে আফগানিস্থান-এ! আজ কোথায় গেলো খেলাফত? কোথায় সেই খলিফা, কোথায় সেই মুজাহিদ বাহিনী? তারা নেই! কোথাও নেই!

যা আছে, তা হলো নিরেট বাস্তবতা। আর বাস্তবতা হলো এই যে, মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্থান আজ ধংসের মুখে। তার পারমাণবিক বোমাটা হাতিয়ে নিতে পারলেই এই চলমান জিহাদ‘এর পরিসমাপ্তি ঘটে আর কী!

সমস্যা হলো, আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ কায়দায় প্রণীত ‘আল কায়েদা’ নামক একটা নাটকের অংশ হিসেবেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে গেছেন বিন লাদেন, মোল্লা ওমর এর মত খলীফারা! একমাত্র আবেগ ছাড়া এইসব মহান খলীফাদের পুরো মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়াটা তো অনেক বড় কথা, একটা ইউনিয়ন কাউন্সিল চালাবার মত জ্ঞান, রাজনৈতিক দক্ষতা আর প্রজ্ঞাটুকু ছিলো না।

ফলে কী হয়েছে? আফগানিস্থান গেছে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির হাতে। পাকিস্থান টলটলয়মান! মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ; ইরাক আজ পথের ফকির। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরাইলকে রুখে দেবার কথা তো দূরের কথা, সে বাগদাদের সীমানাও রক্ষা করতে পারছে না!

এখন আর তিনটা কাজ বাঁকি আছে। সেগুলো হলো;

এক- ভঙ্গুর ইরাকের ভৌগলিক অখন্ডতাকে শেষ করে দেয়া। তেমনটা করতে পারলে, বিশেষ করে, কূর্দীস্থানকে আলাদা করতে পারলে ইসরাইলের জন্য পোয়াবারো। এই কূর্দীস্থান রাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের ইতোমধ্যেই গড়ে উঠা দহরম মহরম এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট! আর ইসরাইলের নেতিনিয়াহু তো ইতোমধ্যেই কূর্দীদের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েই রেখেছে। কুর্দিস্থানের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম লেন দেন ব্যবসা বাণিজ্য হতেই পারে! আর কূর্দীস্থানকে দিয়ে তুরস্কের সাথে বোঝা পড়া করাটা ইসরাইলের পরবর্তি পরিকল্পনা, সে কথা এখন আর নাই বা আলোচনা করলাম।

দুই- ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এবং সে লক্ষ্যে জিহাদ পরিচালনা করার মাধ্যমে ইসরাইলের সীমান্ত ঘেঁষে অন্যতম মুসলিম সামরিক শক্তি সিরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া গেছে, এটা ইসরাইলের জন্য, নিউকনদের জন্য এক বিরাট আত্বতৃপ্তির ব্যপার বটে। সমস্য হলো; সিরিয়ার আসাদ এখনও মাটি কামড়ে টিকে আছে, এ ব্যাটাকে শেষ করে দিতে পারলেই ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বস্তি পেতে পারতো। সে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে বৈকি!

তিন- একবার যদি ইরাকে এই খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায়, একবার যদি মহান খলীফাকে বাগদাদের ক্ষমতায় বসানো যায়, তা হলে খুব শীঘ্রই নাটকের পরবর্তি পর্ব মঞ্চায়ন শুরু করা সম্ভব। সেটা কী? সেটা হলো বর্তমানে মিটি মিটি প্রজ্বলমাণ শিয়া-সুন্নী বিরোধকে উস্কে দিয়ে বাগদাদের মহান সুন্নী খলীফাকে দিয়ে শীয়া ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদে নামিয়ে দেয়া। পারমাণবিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া ইরান ইতোমধ্যেই সামরিক সক্ষমতায় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! তা ছাড়া তেল সরবরাহ‘সহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালীর মুখে বসে থাকা ইরানকে শক্তিধর হতে দিলে বিশ্ব বেনীয়াদের লুটপাটে বিরাট বাধার সৃষ্টি হয়, অতএব তাকে শেষ করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো শিয়া-সুন্নী লড়াই!

এতে করে দুটো লাভ হবে। এক; ইরান দূর্বল হবে। আর, দুই; দূর্বল হবে তলে তলে বিরাট সামরিক শক্তির আধার হয়ে উঠা সউদি আরবও!

এক্ষেত্রে টাকা পয়সা তেমন কোনে ব্যাপার না। টাকা তো দেবে সুন্নী কাতার, সউদি আরব আর আমিরাত। মনে আছে নিশ্চয়ই, সউদি আরব কী ভাবে জর্জ বুশ সিনিয়রের এক ধমকে সুড়সুড় করে সাদ্দাম হোসেনকে ইরান আক্রমণের জন্য ২৫.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অংক জুগিয়েছিলো!

আজও তারা সেটা করে যাচ্ছে।

এই যে ‘ ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর যোদ্ধাদের রসদ, তাদের জানবাজ মুজাহিদদের মাসিক বেতন, অস্ত্র কেনার টাকা, এমনকি ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত!

আজ চলমান এই যুদ্ধের খলীফাকে তো ইতোমধ্যেই চিনেছি আমরা। না চিনে কী পারি? তিনি দয়া পরবশ হয়ে আমাদের , তথা সকল মুসলমানদের হিজরত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন! আহা কী দয়া তার!

তবে সুধী পাঠক, আসল খলিফাকে কী চেনা গেছে? না, এখনও বোধ হয় সেটা জানেন না। যে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য এত জিহাদ চলছে, সে খেলাফতের আসল খলিফাকে চেনা দরকার বৈকি! নিবন্ধের শুরুতে দেয়া ছবিটা দয়া করে আরও একবার দেখুন;

চিনতে পারছেন তো? জ্বী হাঁ, তিনি আর কেউ নন, আপনার আমার বহু পরিচিত নিউকন ‘ John McCain ’ তিনিই হলেন আসল খলিফা।

এই খলিফা ক‘দিন আগে এসেছিলেন জর্ডানে। সম্প্রতি এর এক রিপোর্ট বলা হয়েছে জর্ডানে আমেরিকা ফ্রান্স ও ব্রিটেনের প্রশিক্ষকদের ত্বত্তবধানে ‘ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর প্রায় দশ হাজার মুজাহিদ তৈরী হচ্ছে, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বিগত দুই বসর ধরে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা অচিরেই ছুটে যাবে যুদ্ধক্ষেত্রে। তবে তার আগে তাদের আশীর্বাদ করতে, বরকতের দর্শন দিতে বড় দয়া করে মহান খলীফা এসেছিলেন জর্ডান-এ। সেখানেই কয়েকজন মুজাহিদ পরিবেষ্ঠিতাবস্থায় হাস্যোজ্জল খলীফা।!

এই মহান খলীফার নির্দেশেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রতি মাসে দিয়ে চলেছেন আমাদের ‘খাদেমুল হারামাইন’সহ আমির ওমরহাগণ! সেদিন দুরে নয়, যেদিন এদের এই টাকায় কেনা অস্ত্রই আবার এদের দিকে ঘুরবে, এদের উপরেই এসে পড়বে ফসফরাস বোমার উত্তাপ! এটা কেবলই সময়ের ব্যপার মাত্র।

যুদ্ধটা কিন্তু ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মুসলিম বিশ্বকে তছনছ করণের! এর রশদও কিন্তু দিয়ে চলেছে মুসলমানরাই! আহা রাজনীতির কি কারিশমা!

(নিবন্ধটি লিখতে Steve Coll রচিত ‘ The Bin Ladens: The story of a Family and its Fortune ’ এবং http://guardianlv.com/2014/06/isis-trained-by-us-government/ এর সাহায্য নেয়া হয়েছে)

বিষয়: বিবিধ

১৩১৫৭ বার পঠিত, ৬৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244479
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৭
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : ছাগুকেল্লার ফটোসপ দারুন হয়েছে- মুসলমানদের ৭ শতকী মডেলের খেলাফতে John McCain??
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০৫
189887
হককথা লিখেছেন : মাথায় তো ঢুকিয়েছেন গ্রােমের পথে পড়ে থাকা গোবর। সেখান থেকে গোবরে পোকা ছাড়া আর কীই বা বেরুতে পারে?
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১১
189888
হককথা লিখেছেন : আপনার অবগিতর জন্য লিংকটা দিয়ে দিলাম, Reuters ও Telegraph এর কোট সহ Robert Pannier এর লেখাটা পড়ে নিতে পারেন। অবশ্য সেদিকে যাবেন না আপনি, আমি নিশ্চিত। আপনি বরং বসে বসে বিশ্বকাপের খেলা দেখুন, সেটাতেই আপনাকে মানাবে ভালো।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১২
189889
হককথা লিখেছেন : আপনার অবগিতর জন্য লিংকটা দিয়ে দিলাম, Reuters ও Telegraph এর কোট সহ Robert Pannier এর লেখাটা পড়ে নিতে পারেন। অবশ্য সেদিকে যাবেন না আপনি, আমি নিশ্চিত। আপনি বরং বসে বসে বিশ্বকাপের খেলা দেখুন, সেটাতেই আপনাকে মানাবে ভালো।
http://guardianlv.com/2014/06/isis-trained-by-us-government/
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:০২
189894
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : কার সাথে কি! ছাগু কি গাছে ধরে?

John McCain সিরিয়া গেছেন বর্বর মুমিনদের আভ্যন্তরিন রক্তারক্তি থামাতে। মোহাম্মদের ৭ শতকী খেলাফত কায়েম করতে যান্নি তিনি। সিম্পল...........
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:০৮
189895
স্বপন২ লিখেছেন : @গ্রামের পথে পথে ,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
244485
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১৩
189890
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
244491
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:১৭
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : এখানে কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। আমেরিকা
তালেবানদের এবং লাদেনকেও কে ট্রেনিং দিয়ে ছিলেন। তাই শুধু লিখলেই হবে না। আপনি যেহেতু
মাঠে নেই, আন্দাজে ঢিল মারা ঠিক না।

১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:২৭
189899
হককথা লিখেছেন : তথ্যসুত্র দিয়ে লিখলাম বিশ্লেষণ করে দেখালাম, তার পরেও আন্দাজে ঢিল মারা হলো? বাহ, সুন্দর বলেছেন।
244496
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পর্যালোচনাটা হয়েছে চমৎকার। বেশ দেরী করে হয়ে গেল মন্তব্য করতে। আপনাকে প্রিয়তে রাখাটা জরুরী। আশা করি আপনার লিখা পাবো। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৪
189901
হককথা লিখেছেন : আপনি কষ্ট করে পড়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
190030
শফিউর রহমান লিখেছেন : ইবনে আহমাদ ভাই! এই হক কথা নামে ব্যাক্তি সুকৌশলে মুসলমানদের ভিতর বিষ-বাষ্প স্প্রে করে - আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেল কিভাবে? সে তথাকথিত যৌনযুদ্ধ নামক অপপ্রচারকে এই লেখায় সতসিদ্ধ সত্য হিসাবে তুলে ধরেছে, তবুও বুঝলেন না এটা কোন ধাঁচের লেখা?
ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১২
190107
ঈগল লিখেছেন : হায়! আহমাদ সাহেব, অন্ধকারের কানাগলিতে শেষ পর্যন্ত আপনিও!
সবাই সন্ত্রাসী তো জিহাদী কারা? আল ক্বায়েদার আগে কি আফগানিস্তানের অক্রমন হয় নি? আপনি কি লক্ষ্য করেছেন এই ব্যক্তির সিরিয়া সেনাবাহিনীর জন্য কত মায়া!
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫০
190132
হককথা লিখেছেন : জনাব ঈগল ভাই, আপনি ভূল বলছেন জেন বা না জেনে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য আমার মায়া, সে কথা আপনি কোথায় পেলেন? আমি তো বলতে চাইছি এই মহুর্তে সিরিয়া, ইরাক ভেঙ্গে গেলে, মসুল আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার সাথে ইসরাইলের কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলে খুব শীঘ্রই শিয়া সুন্নী দ্বন্দের জের ধরে প্রথমে ইরাকের আইসিস বনাম ইরান এবং তার জের ধরে ইরানের সাথে সউদি আরবের আত্বঘাতী যুদ্ধ শুরু হবে। মিশর তো ই্হুদিবাদীদের দখলে চলেই গেছে। এখন বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিন পুরোটা হজম করতে ইসরাইলের আর কোনো বাধা থাকলো না। এই সহজ সমীকলণটাও বুঝে আসে না? আফসোস!
244507
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৩
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার সব কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আছে তবে প্রতিটি বিষয়েই আধা আধা জ্ঞান। স্পষ্ট ধারণা মোটেও নেই। গোঁজামিল দিয়ে লেখাটা সেরেছেন। পারস্য থেকে কালো পতাকাবাহী মুসলিম সেনাবাহিনী বের হবে?? কই পেয়েছেন এসব আপনি? আন্দাজে হাদিস বলাটা কি ঠিক? সিরিয়ার মুসলিম সেনাবাহিনী? আসাদ মুসলিম? তার বাহিনী মুসলিম? তাহলে আপনার মুসলিম আসাদ ক্যামিকেল ওয়েপন দিয়ে হাজার হাজার মুসলিম শিশু হত্যা করল কেন? বিভিন্ন হিসাবমতে ৩ লাখের বেশি মুসলিম হত্যা করল কেন??? কয়েকহাজার মুসলিম নারী ধর্ষণ করল কেন?? যৌন জিহাদ?? কে বলেছে? প্রথমে ইরান তারপর রাশিয়া। উদ্দেশ্য কি ছিল?? হ্যা! isis/isil(islamic state of iraq and sham/Levant)আমেরিকার তৈরী তবে তা আল কায়েদা ও তালেবানকে ধ্বংশ করার জন্য আমেরিকান প্রজেক্টের অংশ ছিল। জাবহাত আন নুস্রাহ এর ৩০০০ এর অধিক মুজাহিদকে হত্যা করেছে এই গোষ্ঠী। আপনার কি জাবহাত আন নুস্রাহ সম্পর্কে কোন ধারণা আছে? মনে হয় নেই। আপনাদের সো কলড মুসলিম আসাদের সাথে ISIS/isil এর কোন বিরোধ নেই কিছুদিন আগে তারা আসাদের কাছে তেলও বিক্রি করেছে। বরং আইএসআইএস আসাদবিরোধী জাবহাত আন নুসরাহ এর সদস্যদের হত্যা করছে কারণ তারা ইসরাইল বর্ডার গোলান পর্যন্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল এবং ইজরাইলের দিকে অগ্রসর হতে চেয়েছিল তাই তাদের হত্যার মাধ্যমে সে এলাকা থেকে আইএসআইএস নুসরাহকে হটিয়ে দিয়েছে। আর নুসরাহ সম্পর্কে না জেনে ক্যাচাল করবেননা। নুসরাহ কে সিরিয়ার সুন্নীরা নিজেদের মুক্তির উপায় মনে করে এমনকি যখন আমেরিকা নুসরাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল তখন সিরিয়ার সুন্নীরা এর বিপক্ষে বিশাল বিক্ষোভ দেখিয়েছিল যা তৎকালীন মিডিয়াতে এসেছিল। আর আমি বললাম: আমি আপনাকে তৈরী করেছি আর আপনি আমার হাতে তৈরী হয়ে গেলেন? তাহলে আমি আমার তৈরী লোকের সাথে যুদ্ধ করি কেন? আর শিয়া নামের কোন মুসলিম আছে কিনা আমার জানামতে নেই। ইরাকের আইএসআইএস যেমন খারেজি আকিদাভিত্তিক দল তেমনি তারা আমেরিকার তৈরী আল আল কায়েদা-তালেবানকে জিহাদের নামেই ধ্বংশ করার আমেরিকার প্ল্যান সেটাও স্পষ্ট। অথচ ইরাকের সুন্নীরা তাদের সমর্থন করে যখন আনবার-মসুল সহ বিভিন্ন এলাকা দখল হয়েছে এদের হাতে তখনই দেখা গেছে এসব এলাকার সুন্নীরা তাদের পক্ষে রাস্তায় আনন্দ মিছিল করছে যা আলজাজিরা সহ বিভিন্ন চ্যানেলে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। কিন্তু কেন? কারণ ইরাকে মার্কিন বাহিনী যেমন ইরাকি সুন্নীদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা-ধর্ষণ চালিয়েছে ঠিক তেমনি তাদের ইরাক ত্যাগের পর তাদের দ্বারা প্রশিক্ষিত ইরাকি শিয়া আর্মি ও শিয়া মালিকি গং সুন্নীদের উপর একইভাবে গণহত্যা-ধর্ষণ চালিয়েছে। আলজাজিরার ব্লগগুলো পড়বেন সত্যতা পেয়ে যাবেন। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে আইএসআইএস। তারা সুন্নীদের সিমপ্যাথি অর্জন করেছে। আর অস্ত্র এর জন্য আমেরিকা সৌদি লাগে? তারা বিভিন্ন স্হানে যুদ্ধ করে ইরাকি বাহিনীকে হত্যা করে বিপুল অস্ত্র পেয়েছে যা আমেরিকা ইরাকি শিয়া আর্মিকে দিয়েছিল। ইউটিউবে এই সংক্রান্ত প্রচুর ডকুমেন্টারি আছে দয়া করে দেখবেন। আর আইএসআইএস তালেবান ও আল কায়েদাকে মুরতাদ বলে ঘোষনা দিয়ে তাদের হত্যাকে প্রধান কাজ বলে ঘোষনা দিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল টুইটার পেজ একটু কষ্ট করে দেখবেন। দয়া করে গোঁজামিল মার্কা পোস্ট দিবেননা।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৫৫
189923
হককথা লিখেছেন : আপনার তীক্ষ্ণ ও তীর্যক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি আস নুসরাহ ফ্রন্টকে নিয়ে যা বলেছেন, তার মধ্যে সত্য মিথ্যা দুটোই আছে। আপনি শিয়াদের মুসলমানই মনে করেন না! শিয়াদের মধ্যে এক ডজনরেও বেশী গ্রুপ রয়েছে, এদের কারো কারো আক্বিদার মধ্যে স্পষ্ট কুফরি আছে সত্য তবে সবার আক্বিদার মধ্যে নয়। কাজেই এত ঢালাওভাবে তাদের কাফের হিসেবে আখ্যা দেয়াটা প্রজ্ঞাপূর্ণ নয়। আপনি সিরিয়ার আলাউইদের কাফের বলতে চাইছেন, আমি ঠিক জানি না বৗপারটা ঠিক হচ্ছে কিনা। কেউ কেউ হয়তো সে পর্যায়ের আক্বিদা পোষণ করেন, তবে সবাই নয়। তাই এ ধরনের ফতওয়া দেয়াটা অগভির জ্ঞানের লক্ষণ, বিষয়টা আবারও ভেবে দেখবার অনুরোধ রইলো। ইউটিউবে অনেক ডকুমেন্টারী কেবল এ্ি জন্যই ছাড়া হয় যে, সে গুলো দিয়ে মুসলিম জনমনাসকে কনফিউজড করাটাই আসল উদ্দেশ্য। যদিও সেখানে অনেক ভালো ভালো ডকুমেন্টারী পাওয়া যায় সত্য। আর পারস্য থেকে কালো পতাকা, কালো পাগড়ীধারী বাজিনী বের হবে বলে এমন কোনো সহীহ হাদিস আমার জানা নেই যদিও হাদিসের নামে কিচু কথা বার্তা সোস্যাল মিডিয়াতে বলা কওয়া হচ্ছে। আপনি হয়ত খেয়াল করে দেখেন নি যে বিষয়টা বর্ণনার ক্ষেত্রে আমি কোনো সনদ বা হাদস বর্ণনার ক্ষেত্রে যেমনটা সাবধানতা অবলম্বণ করা দরকার, তা করিনি, কারণ এমন কোনো হাদিসের কথা আমার জানা নেই।
নুসরাহ কে সিরিয়ার সুন্নীরা নিজেদের মুক্তির উপায় মনে করে ? হয়ত করে। এমনটা তো আফগানরাও আল কায়েদার বাপারে ধারণা পোষণ করতো। যৌন জিহাদের ধারণাতো শোনেন নি? বিষয়টা নিয়ে তিউনিশিয়ার সংসদের পর্যন্ত আলোচনা হয়েছিলো. ওদের সরকারি ডকুমেন্টে আছে দেখলে দেখতে পারেন। আপনি এত সহজ সমীকরণ করে দিলেন যে এ নিয়ে আর কী বলবো। তবে
আপনার ক্ষোভ প্রশমণে সহায়তা করার জন্য আপনাকে কয়েখটা গুরুত্বপূর্ণ ও বিশদ তথ্যপূর্ণ গবেষণা গ্রন্থের নাম দিচ্ছি, সময় হলে বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন
1. The High Cost of Peac- By Yoseef Bodansky
2. The Bin Ladens- By Steeve Coll
3. The Fist of God- By Frederick Forsyth
4. Futurecast 2020 A Global Vision of Tomorrow- By Robert Shapiro
5. Pitty the Nation- By Robert Fisk এবং
6. The Great War for Civilasation. By Robert Fisk
তালিকাটা বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে আর কয়েকটার নাম দিলাম না। চাইলে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন।
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:০৫
189929
সাদাচোখে লিখেছেন : ব্রাদার, আসসালামুআলাইকুম। যেভাবে ঝগড়াটে ভাষায় কাউন্টার দিলেন - তা মুসলমানের কোন কাজে আসবে বলে মনে হলনা।

ইউটিউব সহ সকল নিউজ সোর্স ই প্রমান করতে ব্যস্ত যে প্যালেস্টাইনী ভাইয়েরা রকেট মেরে তাদের জীবনকে এতটাই ব্যতিব্যস্ত করেছে যে তারা এখন ২৪/৭ তাদেরকে হত্যা করছে এবং তাদের সম্পদ হানী করছে।

আপনি নিশ্চয়ই এর ও একটা ব্যাখ্যা দিবেন।

তবে মুসলিম মাত্রই জানে যে, ইসরাইল ও নিউ কন সহ আর সব দজ্জালের অনুসারীরা কটুকৌশলের আশ্রয় নিয়ে, ও নির্লজ্জভাবে মুসলিমদের হত্যা করবে, স্লাগটার করবে, নির্যাতন ও নিপীড়ন এর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ আকারে পৌছাবে যে - মুসলিমের মানুষিকতায় এমন পরিবর্তন আসবে যে - সময় এলে আগামীর মুসলিমরা ইহুদীদের সাথে ফাইট করবে ও হত্যা করবে, যেখানে গাছ এবং পাথর আমাদের ডেকে ডেকে ইহুদী নিধন করতে বলবে।

সো বেহিমেন্টলী অফোজ না করে - পারলে গঠনমূলক, ভ্যেরিফাইয়েবল তথ্য দিন। তাতে আপনার আমার আমাদের সকলের ই উপকার। ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:১৭
189937
সাদাচোখে লিখেছেন : @ লিখক, আমার কাছে আপনার বিশ্লেষন কে যথার্থ মনে হয়েছে।

আজ পয্যন্ত যা কিছু তথ্য পাওয়া যায় - তাতে এটা পরিষ্কার যে আই এস আই এস এর বাহিনী মূলতঃ ইউএস, ইসরাইল, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার স্পেশাল ফোর্স ও সাথে কিছু তথাকথিত ক্ষুদ্ধ ও ক্রুদ্ধ মুসলিম এর সংমিশ্রন। যার নিয়ন্ত্রন পুরোপুরি ইউ এস এর হাতে।

ইরাকের আর্মী ও সরকারী কর্মকর্তা দের সে অংশটুকু যারা আমেরিকার এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে তাদের সহযোগীতায় আই এস আই এস ইরাকের বিস্তৃর্ন অঞ্চল দখল করেছে। এই এজেন্ট অফিসারদের সহযোগীতায় তাদের কাছ হতে 'ব্যাটেলফিল্ড হতে পিছিয়ে যাবার নামে' অস্ত্র ও টাকা সংগ্রহ করেছে, এবং তাদের মাধ্যমে সুন্নী বন্দীদের জেল স্থানান্তরের মাধ্যমে যোদ্ধা হিসাবে সাপ্লাই দিয়েছে - যারা বাধ্য হচ্ছে তথাকথিত ইউনিফর্ম পরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে।

ধণ্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
190063
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মাফ চাচ্ছি আমার তীর্যক মন্তব্যের জন্য। সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হবার পর বিভিন্ন দেশ থেকে(যার মধ্যে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর লোক ছিল বেশি)পরিবার,স্ত্রীসহ অনেকেই সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এমনই এক স্বামী-স্ত্রী যখন সিরিয়ায় প্রবেশ করছিল তখন সেটা ইরানি মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে যে, সুন্নী নারীরা যৌন জিহাদে অংশ নিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন। প্রচার করা হয়, সালাফিজম এর মতে: স্বল্পকালীন বিবাহ (মুতা)জায়েজ। তাই সুন্নী নারীরা সালাফী জিহাদিস্টদের স্বল্লকালীন বিয়ের দ্বারা এসব জিহাদিস্টদের মনোরঞ্জন করে তাদের জিহাদি মনোবল বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা হল যৌন জিহাদ। কয়েকঘন্টার মধ্যে রাশিয়ান মিডিয়াতেও সেই ছবিটি ব্যাবহার করে ইরানি খবরগুলোকে ফলাও করে প্রচার করা হয় যে, সুন্নী নারীরা যৌন জিহাদে অংশ নিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন। আর তখন তিউনিসিয়া সহ আরব, ইউরোপের বহু সংখ্যক নারী সিরিয়ায় স্বামীর সাথে গিয়েছেন বা একা। তাই তখন তিউনিসিয়াও প্রকাশ করে তার দেশ থেকে বহূ নারী সিরিয়ায় চলে গিয়েছেন। এটাই ছিল সত্য। আরেকটা ব্যাপার ৭ম হিজরীতে রাসূল(সাঃ)মুতা হারাম বলে ঘোষনা দেন এবং একে নিকৃষ্ট বলে রায় দেন। কিন্তু শিয়ারা তা মানেনা বরং হালাল বলে যুক্তি দেয় এবং তাদের সমাজে এর প্রচলন আছে। খোদ আয়াতুল্লাহ খমিনীর মুতা বিয়ে করার কথা আছে। যাই হোক সালাফিজম সহ, হানাফি, শাফেয়ী, মালিক ও হাম্বল মাজহাবের প্রত্যেকটিতেই একে হারাম বলে রায় দেয়া হয়েছে এবং ঘৃণ্য কাজ হিসেবে স্বিকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই তথাকথিত যৌন জিহাদ বা যুদ্ধকালীন বিয়ে এগুলো ছিল সুন্নী বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের এক মিডিয়া অপপ্রচার কারণ সিরিয়ার আসাদ বাহিনীর সাথে ইরানি সেনাবাহিনী, হেজবুল্লাহ সহ সমস্ত শিয়া গ্রুপগুলো একজোট হয়েছিল এবং প্রথমদিকে ব্যাপক গণহত্যা, বিমান হামলা ইত্যাদির পেক্ষাপটে আমেরিকা-ইউরোপ জোট সেখানে জন্ম দেয় সেকুলার ন্যাশনালিস্ট ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। কিন্তু এফএসএ_ ইরানি সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে থাকা আসাদ, হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য শিয়া মিলিশিয়াদের সাথে সাথে পেরে উঠছিলনা। ঠিক এমন মুহূর্তে ইসলামিস্ট জাবহাত আন নুস্রাহ এর জন্ম হয় যারা হয়ে ওঠে সুন্নীদের ভরসা, আশা, আকাঙ্খার প্রতীক। সারা বিশ্ব থেকে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ব্যাপকভাবে নারী-পুরুষ সিরিয়ায় আসতে শুরু করে নুস্রাহের শক্ত যুদ্ধকৌশলের জন্য আসাদ বাহিনী একের পর এক এলাকা হারাতে শুরু করে। তখন নুস্রাহ এর পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সুন্নীদের আহবান করা হয় সিরিয়ায় হিজরত করতে এবং নুসরাহ এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে এসে বসবাস করতে। এই কারণেই নারীদেরও বিরাট একটা অংশ সিরিয়ায় আসে। অনেকেই মুজাহিদদের বিয়ে করেন। বা বিয়ে করে স্বামীকে নিয়ে সিরিয়ায় চলে আসেন। একে যদি কেউ যৌন জিহাদ বলে তবে তার মাথায় সমস্যা আছে।হ্যা আমিও জানি শিয়াদের মধ্যে হাতে গোণা দুএকটি গ্রুপ আকিদার দিক থেকে সঠিক তবে সিরিয়ান রাফেজী, ইরাকি রাফেজী তার আওতায় পরেনা। সিরিয়ার নুসাইরীরা তো কখনই না। আসাদের বাবা তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সুন্নীদের উপরে যে ব্যাপক গণহত্যা চালান তা ইতিহাসখ্যাত। আর আপনাকে বলিনি অন্যদের ডকুমেন্টারী ঘাটতে আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি খারেজী আইএসআইএস এর নিজস্ব প্রচুর ডকুমেন্টারী আছে। তাদের নিজস্ব ওয়েসাইট, অফিসিয়াল টুইটার পেজও আছে। কাজেই তাদের তৈরীকৃত গুলোই দেখুন। আর ফেসবুকে বা টুইটারে কালো পতাকা সংক্রান্ত যেসব হাদিসগুলো প্রচার করা হয় সেগুলো সহীহ হাদিস। আর তা পারস্য রিলেটেড না বরং খোরাসান(বর্তমান আফগানিস্তান),শাম(সিরিয়া-এখনকার সিরিয়া, ফিলিস্তিন,জর্ডান ও তুরস্কের কিছু অংশ নিয়ে তৎকালীন সিরিয়া গঠিত ছিল যাকে ইংলিশে লিভেন্ট বলা হয়),ইয়ামান(বর্তমান ইয়েমেন), ইরাক রিলেটেড। আর সেভাবেই ভার্চুয়াল জগতে প্রচার করা হয়। আপনি পারস্যের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনি বলেছেন:"এমনটা তো আফগানরাও আল কায়েদার বাপারে ধারণা পোষণ করতো।" দয়া করে রাশিয়া- আফগান যুদ্ধ এবং যুদ্ধপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহগুলো পড়বেন তাহলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ক্লু হিসেবে বলতে পারি যুদ্ধের পর আমেরিকাপন্হী ও গোড়া তালেবানদের মধ্যকার সংঘর্ষ কি নিয়ে লাগল? পরবর্তীতে কোন পেক্ষাপটে আমেরিকা হামলা করল সেই বিষয়গুলো নিয়ে স্টাডি করবেন তাহলে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে। যেমন সিরিয়ান বিদ্রোহীরাও আমেরিকার তৈরী, তাদের অস্ত্রও এসেছিল আমেরিকা-ইউরোপ থেকে কিন্তু কোন বিদ্রোহী?? ফ্রি সিরিয়ান আর্মি । এজন্য আমরা দেখেছি পরবর্তীতে পশ্চিমা নির্দেশে তারা নুস্রাহ এর উপরেও হামলা শুরু করে। ভাল হয় যদি হাদিসের কিয়ামতের আলামত সংক্রান্ত অধ্যায়গুলো ও যুদ্ধ সংক্রান্ত অধ্যায়গুলো পড়ুন। আলেমদের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চান আর কুফর মিডিয়ার কথা বিশ্বাস না করে আসল সত্যগুলো, বাস্তবতা জানার প্রচেষ্টা করুন।
উবায়দুল্লাহ ইবনে মুসা(রঃ)..মুগীরা ইবনে শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত:তিনি বলেন রাসূল (সাঃ)বলেছেন:আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন সেই জামায়াত(দল) যারা প্রতিপক্ষের উপর প্রভাবশালী (বুখারী ৬৮১৩)
এবার আপনি নিজেই যাচাই করে দেখতে থাকুন কোন দল কাফিরদের উপরে আজো প্রভাবশালী?
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
190064
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সাদাচোখে আমি ফিলিস্তিন নিয়ে কোন মন্তব্য করিনি।
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
190211
হককথা লিখেছেন :
আহমেদ বর্ননা করেছেন যে আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, “রাসুল(স) বলেছেনঃ”খোরাসান হতে কালো পতাকা ধারী লোক বের হবে যাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন না তারা আলিয়ায় বিজয় পতাকা ওড়াবে।”

"Abu Hurayrah [radhiyallahu 'anhu]

that he said: "The Messenger of Allah [sallallahu 'alayhi wa-sallam] said:

"Black banners will come out of Khurasan, and nothing will stop them, until they are raised in Ayliya' [i.e.

Bayt al-Maqdis]."

ইহুদীদের গ্রন্থ থেকেঃ
# “দেখ, একদল লোক আসছে উত্তর দিকের দেশ থেকে,( ইসরাইলের উত্তরে মুসলিম দেশ সমুহ ইরাক, আফগান ও অন্যান্য ) এবং একটি মহান জাতি পৃথিবীর সুদূরতম অংশ থেকে উত্থাপিত হবে। তারা তীর ধনু ও বর্শা বহনকারী হবে । তারা নিষ্ঠুর ও দয়াহীন হবে ; তারা সমুদ্রের মত গর্জন করবে ।(যখন মুসলিমরা এক সাথে আল্লাহু আকবর বলে [আল্লাহ মহান]) তারা অশ্বারোহী হবে ।যেহেতু যোদ্ধারা তোমাদের দিকে নিক্ষেপ করবে । ও, ঈহুদীবাদীর কন্যা । (জেরেমিয়াহ ৬:২২,২৩)

# প্রভু বলেছেনঃ আঘাত দিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্র তৈরির জন্য গাছ কাট । জেরুজালেমের প্রাচীরের বিরুদ্ধে ঢালু রাস্তা তৈরি করো । এই সেই শহর যার শাস্তি হবে, সে সম্পুর্নরূপে পাপিষ্ঠ বলে । (জেরেমিয়াহ ৬:৬)

বিঃদ্রঃ ইসরাইলে ইহুদীরা অলিভ ওয়েল (জলপাই) প্ল্যান্ট তৈরি করেছে যেই গাছ আঘাত দিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্র তৈরি করবে ।

# তারপর প্রভু আমাকে বললেন, ইসরাইলের জনগনের উপর এটা শেষ হবে । এরপর আমি আর কখনই উপেক্ষা করে যাবনা ( কারণ তারা প্রভুর চুক্তি ভেঙেছে ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছে )। সেই দিন গির্জার সংগীতের পরিবর্তে বিলাপ শুরু হবে, অনেককেই ছুড়ে ফেলা হবে সর্বত্র । (আমোস ৮ : ২,৩)

# একজনের হুমকিতে এক হাজার ঈহুদিবাদী পালিয়ে যাবে । পাচজনের হুমকিতে তুমি পালিয়ে যাবে । যতক্ষন না তুমি পোল অথবা ব্যানার হিসেবে ছাড়া পড়ে যাবে ।(ইসায়ীয়াহ ৬:২৬-৩০)

# শিঙ্গায় ফু দেয়া ও সতর্কবার্তা বাজানো হবে পবিত্র পর্বতে ! ভুমির সমস্ত মানুষ প্রকম্পিত হতে থাকবে প্রভুর আগমনের জন্য ; অবশ্যই এটা নিকটবর্তি , এমন দিন অন্ধকার ও বিষাদের, এমন দিন হতাশার । যেভাবে ভোর হয় সেভাবে পর্বত থেকে একটি শক্তিশালী ওঃ অপারাজেয় সেনাবাহিনী নেমে আসবে যা আগে কখনই হয়নি । (জোএল ২:১-৯)
এটি নেয়া হয়েছে বিডি টুডে'র সম্মানিত ব্লগার 'জাতির চাচা'পোষ্ট থেকে। তার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনি পোষ্টটা দেখতে পারেন এখানে-
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/49320#.U8T977F7QtU
244514
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : তথ্যসমৃদ্ধ সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। বেশী বেশী লিখুন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৫৮
189928
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
244521
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:০৭
বেদনা মধুর লিখেছেন : বন্দিদের সাথে এরকম অমানবিক আচরণ করতে দেখলাম বাশার আসাদের সৈন্যদেরকে। তারা মুসলমানদের সাথে অমানবিক আচরণ করেছে। নেটে তাদের কথাবার্তাও শোনা গেছে। আর আপনি বললেন এসব মুসলমানেরা করেছে। আহা শিয়ারা মুসলমানদের সাথে যে আচরণ করেছে তা আপনি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দিলেন। আবার ইসলামের পক্ষেও কথা বলেন? ছি। মিথ্যা বলা কি ইসলাম সমর্থন করে?
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:২৩
189945
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও মন্তব্যের জন্য। বাশার আসাদের বাহিনী মুসলমানদের সাথে যে অমানবিক আচরণ করেছে, করছে তা তো আমি অস্বীকার করিনি। আল্লাহ, রাসুল সা: কুরআন, ফেরেশতা, আখেরাতে বিশ্বাসী কেউ বা কোনো গোষ্ঠী অমানবিক আচরণ করলেও তাকে কাফের বলতে হবে, এটা আমি মানতে পারছি না। বিষয়টা জটিল। নিসন্দেহে যে অত্যাচারী, জালিম ফাসেক। কিন্তু কাফের কী? শিয়াদের মধ্যে সবাইকে ঢালাওভাবে কাফের বলতে আমি অপারগ।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১২
190765
বেদনা মধুর লিখেছেন : আগে বলে দিলেই পারতেন যে আপনি শিয়া। তাই মুসলমানদের বিপক্ষে লিখছেন। শিয়ারা মুসলমান কিনা সেটা আলেমদের কাছে জিজ্ঞেস করুন। তারপরেও যদি বলেন আপনি তাদের সাথে তাহলে বলব একটা বেকুব আমাদের দল থেকে কমে গেছে আলহামদু লিল্লাহ। যে শিয়ারা মুসলমান মারাকেই জীবনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য মনে করে তারা আবার মুসলমান হয় কিভাবে? ইতিহাসে দেখুন। শিয়ারা সবসময় মুসলমান মেরেছে। এবং এটাই তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়েছে। আপনি যদি শিয়া না হয়ে মুসলমান হন তাহলে শিয়াদের বিষয়ে আপনার আশে পাশের আলেমদের কাছে জিজ্ঞেস করুন। আর যদি বলেন আলেমগন মিথ্যা বলেন তাহলে আপনার পথে আপনি যান। আল্লাহ হাফেজ।
আপনি বলেছেন তারা কলেমা পড়ে। আচ্ছা কলেমা পড়লেই মানুষ মুসলমান হওয়া যায়। তাহলে আমাদের পাশের হিন্দু রবিন্দ্রও কি মুসলমান? সেও তো কলেমা পড়ে। কিন্তু বিশ্বাস করে না।
শিয়াদের কলেমার অর্থ জানেন আপনি? তাদের কলেমার অর্থ হলো মুহাম্মদ কিসের নবী? আবু বকর আর ওমর তার সাথে সারা জীবন মুনাফেকি করে গেল কিন্তু তিনি জানতেও পারলেন না। (নাউজু বিল্লাহ) এই ধারণা নিয়েই আপনারা মুসলমান? হাসি পাচ্ছে আমার। আমাদের দেশেও আছে একটা দল। তারা বলে আল্লাহর উপর আস্থা রাখা যাবে না তবে তারাও মুসলমান। হা হা হা এখানেও হাসি পায় আমার।
244537
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
স্বপন২ লিখেছেন : শিয়াদের মধ্যে এক ডজনরেও বেশী গ্রুপ রয়েছে।
আপনার এই এক ডজনরে গ্রুপের সাথে কথা হয়েছে। কখন ইরানে বা কোমে গেছেন। ওদের খোদা আলী। ওরা কবর পূজারী।ওদের সবাই শিরকের সাথে যুক্ত। ভা্গ্য ভাল এ মূর্হতে আপনি বাগদাদে নেই। আমি
জানি না, আপনি শিয়া কিনা। অনেক বাংলাদেশী
কোমে (ইরানে) যাওয়ার পর শিয়া হয়ে গেছে।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:০৩
190110
হককথা লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। আমি শিয়া না, সুন্নীও না। আমি মুসলমান। আমার একটা মাত্র পরিচয়;আমি মুসলমান।
না ভাই, শিয়াদের প্রতিটি গ্রুপের সাথে আমার কথা হয় নি। বিনয়ের সাথে জানিয়ে রাখি, অনেক শিয়াকে কাছে থেকে বসরের পর বসর দেখেছি। তাদের অনেকের মধ্যেই কুফুরি আক্বিদাও দেখেছি। তারা কবর পুজারী, মাজার পুজারি, তাও জানি, নিজ চোখেই দেখেছি। কাজেই সে টা কথা নয়, কথা হলো ঢালাও ভাবে প্রতিটি শিয়াকে কাফের বলাটা যুক্তিযুক্ত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
244543
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
সত্য সবার উপর লিখেছেন : আপনার লেখার ভঙ্গিতে বোঝা যায় আপনি শিয়াদের মুসলিম মনে করেন, তবে জেনে নিন যারা কাফিরদের কাফির মনে না করে তারাও কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।

আর আপনি লিখেছেন ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত!- এটার প্রমান এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারল না যে ওটা রোলেক্স না আল-ফজর কিন্তু আপনি অবলিলায় বলে দিলেন রোলেক্স।

আমি আর বেশী কিছু বলতে চাই না, অপেক্ষা করছি কেননা আল্লাহ সত্যকে সত্তর উন্মোচন করে দিবেন ইনশাল্লাহ, আপাতত কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কিছুই বলতে চাই না, কেননা এসব কিছুই ফিতনা বলে আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে। আল্লাহ ফিতনা থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১০
190111
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য। আপনার ফতওয়া দেবার ধরনটা বড় বিপজ্জনক। আমি সকল শিয়াকেই ঢালাওভাবে কাফের বলতে নারাজ। In Fact আল্লাহ, নবী-রাসুল, ফেরেশতা, মৃতু্্যর পরে পূনরুত্থান, কেয়ামতের হিসাব নিকাশে বিশ্বাস করে, এমন কোনো ব্যক্তিকে কাফের বলে অভিহিত করাটা ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
আপনার এ কথাটা একশতভাগ ঠিক, আমি একমত যে, বর্তশান অবস্থাটা পুরো বিশ্বেরন মুসলমানদের জন্য এক বড় ফিতনা, নিকট ভবিষ্যতে এটা আরও জটিল হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু এ থেকে নিস্তার পেতে হলে, বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহ, যাদের অধিকাংশই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কুটনীতি ও ইসলাম সন্মন্ধে অজ্ঞ, তাদের সাবধান করতে হলে একদল মুসলমানকে কথা বলতেই হবে, যারা লিখতে পারেন, তাদের লিখতেই হবে। এতে করে এইসব বক্তা আর লেখকরা তিরষ্কারের নিন্দাবাদের সম্মুখীন হবেন, সন্দেহ নেই, তবে তাদের নিয়তের উপরে ভিত্তি করে আল্লাহ পাকই তাদের কাজের প্রতিদান দেবেন।
১৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
190672
সত্য সবার উপর লিখেছেন : কাফিরদের যারা কাফির মনে করে না তারাও কাফির এটা আমার ফতোয়া নয় বরং বড় বড় স্কলারগনই এই কথা বলেছেন।
১০
244546
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:২৭
সত্য সবার উপর লিখেছেন : http://guardianlv.com - এটা একটা অখ্যাত ব্লগ সাইট এবং কোন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম নয়। একটা ব্লগের একজনের লেখাকে এমন ভাবে পোস্ট করলেন যেন মনে হচ্ছে এটা আসল Guardian পত্রিকা থেকে সংবাদ ছাপা হয়েছে।

আল্লাহ বলেছেন যখন কোন সংবাদ তোমার কাছে আসে তখন সেটা যাচায় বাছায় কর আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন একজন ব্যাক্তি মিথ্যাবাদী হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যখন সে যা শুনল তাই প্রচার করল। আপনি যা শুনেছেন তাই প্রচার করেছেন কিন্তু নিজে কোন কিছু যাচায় বাছায় করেন নাই।

আপনার অবস্থা আপনি এখন নিজেই বুঝে নিতে পারেন। আমার বেশী কিছু বলার নেই।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১৫
190108
ঈগল লিখেছেন : মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তক জাযা দান করুন।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৪
190112
হককথা লিখেছেন : দেখুন ঐ অখ্যাত ওয়েবসাইটটি দুটি বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার এবং টেলিগ্রাফ কে কোট করেছে। আপনি এ দুটিকে কী অখ্যাত বলবেন? তা ছাড়া, বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা, ABC, BBC, CNN, FOX NEWS, ABC NEWS এসব তো সারাক্ষণ সত্য ঘটনাকে মিথ্যা ও বিকৃত করে উপস্থান করছে, আপনি কী তা হলে এ গুলোকে বিশ্বাস করতে ও তাদের উপরে আস্থা রাখতে বলেন?
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:১১
190618
সত্য সবার উপর লিখেছেন : ভাই আপনি এত পারলে রয়টার এবং টেলিগ্রাফ কে সরাসরি কোট করতেন কিন্তু তা না করে তাদের নাম দিয়ে বস্তাপচা কোন ব্যাক্তির ব্লগের লেখা উল্লেখ করলেন কেন? কোথায় রয়টার এবং টেলিগ্রাফ এর সেই লেখা, লিঙ্ক দেন।

সবাইকে এক কাতারে ফেলার চেষ্টা করা উচিৎ নয় কোন ভাবেই।
১১
244549
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
নেহায়েৎ লিখেছেন : মুসিলমদের মাঝেও ছদ্মবেশী ইসলামের শত্রু থাকতে পারে। আমরা জানি না কেমন, আল্লাহ ভাল জানেন। আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার ফিতনা হতে হেফাজত করুন।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৫
190113
হককথা লিখেছেন : একদম যথার্থ কথা বলেছেন। এ ফেতনা থেকে একমাত্র আল্লাহর সাহায্যই পারে আমাদের উদ্ধার করতে এবং নিরাপদ রাখতে।
১২
244553
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৫৪
সত্য সবার উপর লিখেছেন : আর জনাব লেখককে বলছি, আপনি কি জানেন কোন কোন কাজ করলে একজন ব্যাক্তি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যায় এবং সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়? আমার মনে হয় না সেই বিষয়ে আপনার জ্ঞান আছে। আপনি শিয়াদের কাফির বলতে নারাজ আর কেন নারাজ সেটা বোঝা যায় আপনার লেখার ভঙ্গিতে। আপনিও মনে হচ্ছে শিয়াদের বন্ধু। নিজের আইডি হককথা হলেই যে মুখ দিয়ে হক কথা বের হবে সেটা ভাবার কোন কারন নেই, আপনি হক না বাতিল তা আপনার কর্ম দিয়েই প্রমান হবে।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৯
190114
হককথা লিখেছেন : আপনার সদয় অবগিতর জন্য জানাচ্ছি, একজন মুসলমান হিসেবে নিজের ইমান আমল নিরাপদ রাখতে ঐ বিষয়টা নিয়ে একটু জ্ঞান ধারণ করার চেষ্টা সব সময়ই করি। তবে যে কাজটা করি না, বা করতে খুব ভয় পাই, সেটা হলো আল্লাহ, রাসুল নবী, কিত্বাব, আখেরাত, ফেরেশেতা, কেয়ামতের হিসাব নিকাশ ও মরণের পরে পূনরুত্থানের বিম্বাস স্থানকারীর আমল আক্বিদায় যদি দূর্ভাগ্যক্রমে কোন গলদ ধরাও পড়ে, দৃশ্যাণ হয়ও, তার পরেও আমি তাকে কাাফের বলতে ভয় পাই, না জানি, আল্লাহ পাক নারাজ হন। আর আপনার অবগতির জন্য আমি আমার ধর্ম বিশ্বাস জানান দিচ্ছি, আমি শয়া নই, সুন্নীও নই, আমি নিরেট মুসলমান। আর কিছুই নই।
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:০৭
190617
সত্য সবার উপর লিখেছেন : আপনি শিয়া নয় সুন্নি নন তাহলে আপনি মুসলিম হলেন কিভাবে? আপনি যেহেতু রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাতের অনুসরন করেন না অর্থাৎ আপনি সুন্নি নন তাহলে আপনার মুসলিমদের মাঝে কোন অধিকার নেই।

আপনার মত মানুষের সাথে কি ইসলাম নিয়ে কথা বলার আর কোন দরকার আছে, যে ব্যাক্তি এখন পর্যন্ত ইসলামেই প্রবেশ করে নাই।
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
190622
হককথা লিখেছেন : ভাই, আপনি অযথাই বিতর্ক করছেন। আমি বলেছি আমি শিয়া নই, সুন্নীও নই। আমি মুসলমান। আল কুরআনে কোথাও আল্লাহ পাক শিয়া সুন্নীতে বিভকত্ হতে বলেন নি। বলেছেন, 'ওয়া লা তামুতুন্না ইল্লাহ আনতুম মুসলিমুন'তোমরা পরিপূর্ণ মুসলমান না হয়ে মরো না।। আমি সেই মুসলমান। কতটা পরিপূর্ণ তার বিচারের ভারটা আল্লাহর উপরেই ছেড়ে দেন, আপনি কেন নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন। ইসলামে বিভক্তি আল্রাহ নিষেধ করেছেন, হারাম করেছেন, আমি এই হারাম থেকে বাঁচতে চাই। দয়া করে এ বিষয়ে আামকে বিতর্কে জড়াবেন না। 'আউজুবিল্লাহি আন আকুনা মিনাজ জাহিলিন।'
১৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
190679
সত্য সবার উপর লিখেছেন : যারা কবর পুজা করে তারাও মুসলিম দাবি করে, শিয়ারাও মুসলিম দাবি করে কিন্তু তারা রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ ফলো করে না। তাই যারা রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত ফলো করে তাদেরকেই সুন্নি বলে। আমিও নিজেকে মুসলিমই বলি তবে বলি না আমি শিয়াও না সুন্নিও না যা আপনি বলেন।
১৩
244569
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মোহাম্মদ রিগান লিখেছেন : আপনার কথা শুনে ভাল লাগলো
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২৫
190115
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
১৪
244574
১৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:১৫
বেআক্কেল লিখেছেন : তালগোল পাকিয়ে, গোল তাল বনে গেলাম! কিছুই তো বুঝলাম না।

যারা লবন মাখিল তারাও আইসিস!
যারা জিবন্ত কবর দিল তারাও আইসিস!
যারা গালাগালি করিল তারাও আইসিস!
যারা নির্বিচারে হত্যা করিল তারাও আইসিস!
যারা যৌন ব্যবহার করিল তারাও আইসিস!
যারা সিরিয়ার শিয়াদের হত্যা করিল তারাও আইসিস!

এই গুলা যে আইসিসের মানুষে করিছে, এই ব্যাপারে আমনের কাছে কুন দলীল আছে?

শিয়ারা কিছুই করিল না?? তাহারা মর্দে মুজাহিদ হইয়া থাকিল? আর যত দোষ আছে তা আইসিসে কাঁধে বর্তাইল!

আমনের কতা সত্য হইলে বড় চিন্তার বিষয়, আর মিথ্য হইলে অপবাদের দায় আমনেরে নিতে হইব।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২৬
190116
হককথা লিখেছেন : পুরো মুসলিম উম্মাহইতো তাল গোল পাকিয়ে বসে আছে। আরও বএকটু গভীরভাবে বিভিন্ন সুত্র থেকে পড়াশোনা করে জানার অনুরোধ রহিল। শিয়ারা কিচুই করিল না, তাহা বলি নাই।
১৫
244594
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : brother, i think ur explanation is correct.We muslim all time without thinking be emotional.
We saw in facebook(social media)that some wise person/group also make emotional & support this isis(jihadi group).
Just thinking, be fore the support....where they find these huge arms,vehicles...why usa,uk not protect them..who are their behind.As a muslim,you should not all time supprt, belive without thinking...cause enemy is just behind u making u confused < MAKE US DIVIDED
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩৩
190119
হককথা লিখেছেন : Thank you for reading and taking your time to comment. Brother, it is very confusing state, very dificult situation for the Ummah. Factions of Ummah is devided in to different names in different place, like; ISIS, AL QAEDA, TALIBAN, HIJBUT, LASHKAR E TAYEEBA, SO ON SO FORTH! Actually all these factions are being created by the same anti Islamic remote power, and distabilising the already crippled Muslim World!
১৬
244596
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
শফিউর রহমান লিখেছেন : এই হক কথা নামের ব্যাক্তি সুকৌশলে মুসলমানদের ভিতর বিষ-বাষ্প স্প্রে করে - আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেল কিভাবে? সে তথাকথিত যৌনযুদ্ধ নামক অপপ্রচারকে এই লেখায় সতসিদ্ধ সত্য হিসাবে তুলে ধরেছে, তবুও বুঝলেন না এটা কোন ধাঁচের লেখা?
ধন্যবাদ।
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১৫
190109
ঈগল লিখেছেন : আমি ঠিক বুঝলাম না, এখানে কেউ কেউ লেখকে ধন্যবাদ দিয়েছে! তারা কি লিখাটি আসলেই পড়েছে!
১৭
244605
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
আহমদ মুসা লিখেছেন : মধ্যেপ্রাচ্যের ব্যাপারটা দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। পরিস্থিতি খুবই গোলাটে হয়ে আছে। কিছুই অনুমান বা বুঝার সাধ্য নেই। আল্লাহই ভাল জানেন।
তবে একটা বিষয়ে খুবই আশ্চর্ত হচ্ছি আইসিসের কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠাকারীরা ইস্রাইলী বর্বরতার ব্যাপারে একদম নীরব থাকতে দেখে।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১৩
190122
হককথা লিখেছেন : এখানেই আসল কথাটা রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের উপরে চুড়ান্ত আক্রমণ, মসজিদে আকসা দখল, এ দুটো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে মিশরে সরকার পরিবর্তন, সিরিয়াকে দূর্বল, ইরাককে ধ্বংস, আর ইরানের সাথে শিয়া সুন্নী দ্বন্দের আড়ালে ইরাস বনাম সউদি যুদ্ধ লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটা তার্ি পূর্বলক্ষণ মাত্র।
১৮
244640
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
আল সাঈদ লিখেছেন : ঝগড়া থামান। আল্লাহর দোহাই লাগে। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১৪
190123
হককথা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই।
১৯
244653
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
অজানা পথিক লিখেছেন : আই এম সো কনফিউজড
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১৪
190124
হককথা লিখেছেন : আপনি একা নন, কনফিউজড অনেকেই। এ এক বিরাট ফেতনা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ থেকে নিজে বাঁচতে, দেশ জাতি ও উম্মাহকেও বাঁচাতে হবে।
২০
244667
১৪ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
গোলাম মাওলা লিখেছেন : কিছু মিথ্যে তথ্য দারুন ভাবে সত্য বলে চালিয়ে দেবার প্রচেষ্টা
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩৫
190120
হককথা লিখেছেন : কোন তথ্যগুলো মিথ্যা, সেগুলো জানালে বাধিত হতাম। কেবল আমি একাই নই, আমার অনেক পাঠকও উপকৃত হতেন। দয়া করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
২১
244670
১৪ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : যা হচ্ছে, অন্তত বর্তমান সময়ের জন্য ভালোই হচ্ছে। ইরাকে যেভাবে মুসলমান নির্যাতন ও নিধন চলছিলো, আর কিছুদিন পরে হয়তো বাগদাদ টিকরিত মসূলের রাস্তায় একজন মূসলমানও দেখা যেত না। এই ভিডিওটি দেখলে আরো ভালো ভাবে অবস্থা সম্পর্কে বোঝা যাবে-



মোদ্দাকথা হলো, নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো। একজন নিজেকে খলিফা ঘোষনা করেছে, এবং আপাত দৃষ্টিতে এখনো পর্যন্ত তার কোন বিতর্কিত কাজ বা সিদ্ধান্ত চোখে আসেনি। বরং সে সেই সকল এলাকায় মুসলমানদের পাশে দাাঁড়াচ্ছে যেখানে শিআদের উৎপাতে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিলো। সূতরাং, যতক্ষন আরো ভালো কিছু না আসে, অথবা যতক্ষন খুব মন্দ কিছু না হয়, মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৫৩
190133
হককথা লিখেছেন : আপনার এই ত্বত্তটা ইসলাম তথা আল কুরআনের শিক্ষা 'ইদ্বফা'আ বিল্লাতি হিয়া আহসান' এই নির্দেশের পরিপন্থী।
জেনে শুনে, পরিকল্পিতভাবেই একটা জনপদের জীবন এতটা বিপর্যস্থ করে দেয়া হয় যে, তারা আশু মুক্তির লক্ষ্যে তখন জালিমের সাময়িক সুশাসনকে মেনে নেয়, এটা একটা কৌশলই বটে।
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
190228
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : খুবই অদ্ভুত একটা কথা বললেন। উল্লেখিত আয়াত "وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ" ( সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।) (হা-মিম সাজদাহ/৩৪) দ্বার আপনি আসলে এখানে কি প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছেন তাই বুঝা আমার পক্ষে কঠিন।

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ইরাকে মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা সৃষ্টির জন্য আইএসএসআই দায়ী? যদি এই কথা বলেন, তাহলে ক্ষমা করবেন, আপনার আসলেই বাস্তব জ্ঞানের অভাব আছে।
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:০৭
190404
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এটাও যেমন সত্যি তারা ইরাকের সুন্নীদের মুক্তিদূত হিসেবে এসেছে পাশাপাশি এটাও কোনভাবেই অস্বিকার করতে পারবেননা জাবহাত আন নুস্রাহ ও আহরার-আল শাম এর ৩০০০ অধিক মুজাহিদের হত্যাকারী এই তথাকথিত খলিফার নির্দেশে হত্যাকারী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড লিভেন্টের মিলিশিয়ারা। যাদেরকে শায়েখ আল মাকদিসি,মুহায়সিনী সহ তালেবান-আলকায়েদার সকল আলেম পথভ্রষ্ট বলে রায় দিয়েছেন। তাদের খেলাফতকে প্রত্যাক্ষান করা হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে তা প্রত্যাক্ষান করে তাদেরকে জাবহাত আন নুস্রাহ সহ অন্যান্য মুজাহিদ গ্রুপের সাথে ইসলামিক আদালতে বসে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে। কথিত খলিফা কোন আলেমও নন। তিনি পিএচডি করেছেন বাগদাদ ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিস এর উপর। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যক্তি হটাৎ করেই মুখে দাড়ি রেখে, কিছুদিন শিয়াদের সাথে যুদ্ধ করে, কিছু মুহাজির মুজাহিদকে হত্যা করে(যা এখনো সিরিয়ায় চলমান)কখনও নিজেকে খলিফা দাবি করতে পারেননা। তিনি সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিও বটে। ৩ বছর মার্কিনিরা তাকে জেলে আটক রেখেছিল। ইরাকের যেসব মুজাহিদ কে আমেরিকা বন্দী করেছিল যেমন:ওমর বাগদাদি তাদের কাউকেই আমেরিকা জীবিত ছাড়েনি। আমেরিকার নীতি হয় তাদেরকে হত্যা করা হবে, অথবা নির্যাতনে সম্পূর্ণরূপে পঙ্গু করে দেয়া হবে, অথবা আজীবন কারাগারে। আর শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দেয়া হলেও তাদেরকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমেরিকা কড়া নজরদারিতে রাখে কিন্তু বাগদাদিকে সুস্হ অবস্হায় ছেড়ে দেয়া হয় আর তিনি ছাড়া পেয়েই আইএসআইএস এর আমির হয়ে যান আবার তাকে আমির বানানোর সময় তালেবান-আল কায়েদার কাছে ব্যাপারটা গোপন করা হয়। পরবর্তীতে যখন এই বিষয়ে আল কায়েদা জানতে চায় তখন তারা বলে পরিস্হিতি তাদের অনুকূলে ছিলনা তাই হটাৎ করে না জানিয়েই তাকে আমির বানানো হয়েছে কিন্তু দাবি করা হয় যে, তিনি রাসূল (সাঃ)এর বংশধর তখন আল কায়েদা তার জীবন বৃত্তান্ত জানতে চায়। ঠিক এই অবস্হায় সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হলে সিরিয়ায় আমেরিকার মাধ্যমে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির জন্ম হয় অন্যদিকে ইসলামিস্ট জাবহাত আন নুস্রাহ, আহরার আল শাম,ইসলামিক ফ্রন্টের জম্ন হয়। আইএসআই তখন সিরিয়ায় প্রথমদিকে এসব ইসলামিস্ট গ্রুপ গুলোকে সহায়তা করে তখন আসাদ আর্মি অনেক বড় এলাকায় পরাজিত হয়ে রাজধানী দামেস্ক, আলেপ্পর দিক পিছু হটে ফলে সিরিয়ার বিরাট এলাকা ইসলামিস্টদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে কিন্তু বাঁধ সাধে আইএসআই তাদের আমির ইরাক ও সিরিয়ার অধিকৃত এলাকাকে নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন করতে ইরাক ও সিরিয়ার সমস্ত জিহাদিস্ট গ্রুপকে বিলুপ্ত বলে ঘোষনা দেন এবং নিজেকে খলিফা হিসেবে মেনে নিয়ে তার অধীনে জিহাদ করার হুকুম জারি করেন। কিন্তু জাবহাত, আহরার এরা ছিল আল কায়েদার সিরিয়ান শাখা তারা ব্যাপারটা ভাল ভাবে নেয়নি বরং প্রতিবাদ জানায় তখন বাগদাদি আল কায়েদা ও তালেবানকে জিহাদের নেতৃত্বের জন্য অযোগ্য বলে ঘোষনা দেয় এবং নিজেকে তার বিপরীতে যোগ্য নেতা বলে দাবি করে। এই অবস্হায় সেখানে উপস্হিত আলেমরা দুপক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করে কিন্তু বাগদাদির অনমোনীয় মনোভাবের কারণে সবই ভেস্তে যায়। হটাৎ করেই তারা আল কায়েদার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা একজন কমান্ডারকে হত্যা করে বসে ফলে দুপক্ষের মধ্যে সবরকম আলোচনা ভেঙ্গে যায়। যুদ্ধ বেঁধে যায়। আইএসআইএস নুস্রাহ নিয়ন্ত্রণাধীন অধিকাংশ এলাকা দখল ও মুজাহিদদের নির্বিচারে হত্যায় মেতে ওঠে। এই হল বাস্তবতা @ চিরবিদ্রোহি
১৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
190502
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : @ ঘুম ভাঙাতে চাই
আপনার কথা যুক্তির খাতিরে মেনে যদি মেনেও নেই, প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে আসে তা হলো, এই তথ্যগুলো আমরা কোথা থেকে পেয়েছি? উত্তরটা খুবই স্বাভাবিক- বিবিসি সিএনএন এপিপি টাইপের কোন মিডিয়া থেকে। তাহলে পরিস্থিতি এই হলো যে কোন এক বিধর্মি মিডিয়া, যাদের নিরপেক্ষতা শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, বরং পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত, তাদের কথার উপর ভিত্তি করে আমরা কাকে অবিশ্বাস ও দোষারোপ করছি? একজন বা একদল মুসলমানকে। আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন আপনার কাছে সুস্পষ্ট প্রমান আছে যে আইএসআইএস বা আবু বকর আল বাগদাদী কোন বিশেষ পক্ষের তাবেদারী করছে ইত্যাদি? যদি না থাকে, তাহলে আল্লাহ কে ভয় করুন।
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:১৭
190619
সত্য সবার উপর লিখেছেন : @ঘুম ভাঙাতে চাই - ভাই আপনি অন্যের ঘুম ভাঙাতে চান কিন্তু আপনি নিজেই যে ঘুমিয়ে আছেন। কাফির মিডিয়া কি বলেছে সেটা নিয়েই আপনি লিখেছেন কিন্তু সত্য কি আর মিথ্যা কে সেটা আমরা কেউই স্পষ্ট জানি না।

আর বাস্তবতা জানতে হলে সেখানে গিয়েই দেখতে হবে নতুবা আপনি আমি কেউই হলফ করে বলতে পারব না আসল বাস্তবতা কি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File