হে মুসলমান! আসুন, নতুন খলিফাকে চিনে নিন (দুর্বল চিত্তরা সাবধান! কিছু ছবি আছে, আপনাকে কষ্ট দিতে পারে)
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১৪ জুলাই, ২০১৪, ০১:১৪:০৩ রাত
আমেরিকার Arizona অঙ্গরাজ্যের সিনেটর, নিওকন ‘ John McCain’ ই হলেন আমাদের আসল খলীফা! তবে তার আগে বিস্তারিত দেখে নিন নীচে।
আপনি নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন আমাদের নতুন খলিফার সফলতা দেখে! আমাদের নতুন ও মহান স্বঘোষিত খলিফা তার দলবল নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে উল্কার গতীতে সংঘবদ্ধ হয়েছেন, তা দেখে। তারা দামেস্ক, হোমস, আলেপ্পো থেকে শুরু করে একের পর এক সিরিয়ার ডিক্টেটর আসাদ বাহিনীর সাথে লড়ে যাচ্ছেন। এখন তিনি ইরাকের এক বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন!
ইনিই আমাদের স্বঘোষিত খলিফা
আপনি আধুনিক প্রযুক্তির গৌরবজনক কল্যাণে নিশ্চয়ই দেখেছেন, আমাদের এই খলিফার ‘মুজাহিদ‘ বাহিনী ‘জিহাদ’-এ কী মরীয়া হয়ে আত্বনিয়োগ করেছেন!
এই সব জানবাজ মুজাহিদ বাহিনী সিরিয়ার সরকারী সৈন্যদের ধরে ধরে গলা কেটেছে জিহাদের নামে। লাইন করিয়ে পিছ মোড়া বেঁধে তার পর ঠান্ডা মাথায় তাদের গুলি করে মেরেছে!
বন্দী সৈন্যদের হাত পা বেঁধে মাটিতে উপুড় করে শুইয়ে তাদের পিঠ ছুরি দিয়ে চীরে সেখানে লবন মাখিয়ে দিয়েছে! সিরিয়া সরকারের কোনো কোনো মুসলিম সৈন্য, যাদেরকে তারা বন্দী করতে পেরেছে, ধরে গলা পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে তার পর ভিডিও‘র সামনে তাদের গালাগালি করেছে যাচ্ছে তাই করে!
এখানেই থেমে থাকেনি তারা, এইসব মুজাহিদরা এর পরে ক্যামেরার সামনেই উক্ত হতভাগা মুসলমান বন্দীকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলেছে মাটি চাপা দিয়ে! আরও দেখেছেন, ইসলামের এইসব মহান জানবাজ মুজাহিদরা কী বর্বরভাবে ক্যামেরার সামনে স্টেজ শো করে বন্দী মুসলমান সৈন্যদের জবাই করেছে! এসবই নাকি জিহাদ!
কেউ অবশ্য প্রশ্ন করেন নি, ইসলাম যেখানে বন্দীর সাথে সর্বোচ্চ উত্তম মানের ব্যবহার করতে বলেছে, সেখানে এইসব বন্দীদের সাথে এই বর্বর আচরণ কেন করা হচ্ছে! কেউ অবশ্য এ প্রশ্ন করেন নি যে, এই যে ইসলামের নামে জিহাদের নামে এই বর্বর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তা তো ইসলাম বিরুদ্ধ পশ্চিমা শক্তি, তাদের গণমাধ্যমগুলো ইসলামের জিহাদ কতটা বর্বর, মুসলমানরা ধর্মের নামে কতটা বর্বরতা দেখাতে পারে, সে কথা প্রমাণেই ব্যবহৃত হবে!
ইসলামের গা‘এ আমাদের মহান খলীফার এইসব জানবাজ মুজাহিদরা কেন এই কালীমা লেপন করে দিচ্ছেন!
না, আপনি প্রশ্ন করেন নি। আপনি হয়ত বৃহত্তর কল্যাণ প্রাপ্তির আশায় (হারিয়ে যাওয়া খেলাফত পুণরুদ্ধারের মত এত বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!) এইসব ছোটো খাটো বর্বরতা, এইসব ছোটো খাটো গুনাহ‘কে মেনেই নিয়েছেন! না নিলে কী আপনি এই সব বীর মুজাহিদদের নিয়ে, তাদের সফলতা দেখে ফেসবুকে, ব্লগে, পত্র পত্রিকায় এমন আনন্দে গদ গদ হয়ে ফেটে পড়তেন! আপনি এদের সফলতার জন্য আল্লাহর দরবারে দোওয়া করেছেন! কী জানি হয়ত তাহাজ্জুদেও বসে ছিলেন রাতের গভীরে!
কারণ আপনি প্রিয় রাসুল সা: এর একটি হাদিস শুনেছেন, পড়েছেন যে, হাদিসে কেয়ামতের আগে পারস্য থেকে কালো পতাকায় কালেমা খচিত এটি মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী বের হবে, যারা আল্লাহর রাস্তায় যদ্ধ করবে, মুসলমানদের মুক্তি এনে দেবে, এরকম কিছু কথা!
যেহেতু আপনি মুক্তি চান, যেহেতু আপনি বিশ্ব মুসলমানদের কল্যাণকামী, তাই তাদের সফলতার জন্য আপনি দোওয়া না করে, তাদের সাহায্য না করে কী পারেন? তাদের জন্য আর কিছু না হোক অন্তত চোখের দু‘ফোটা পানি তো ফেলতে পেরেছেন!
আপনি টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ার কল্যাণে দেখেছেন এই ‘ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এরা কালেমা খচিত কালো পতাকাধারী, বড় পূণ্যময় (!) চেহারার মুজাহিদদের পুরো বদন জুড়েই যেন জান্নাতি রৌশনাই খেলে যাচ্ছে! আর সেই রৌশানই এর কিছুটা থেকেও যেন বঞ্চিত না হতে হয়, সে কারণে মুসলিম জনপদের কোনো কানো অঞ্চল হতে ছুটে এসেছে ‘মুজাহিদ’দের সঙ্গিনীরা, যৌন জিহাদ-এ!
ধরণী দ্বিধা হও! আপনি কখনই প্রশ্ন করেন নি, ইসলামের এই তথাকথিত ‘যৌন জিহাদ’ আবার কবে যুক্ত হলো? মুসলমানদের জিহাদ বিমূখ করতে, ইসলামের অন্যতম রক্ষকবচ জিহাদকে বিতর্কিত, কলংকিত করতে এ যে আর এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, ঘৃণ্য পদক্ষেপ ইবলীশের, সে কথাটা আপনি ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবেন নি, বলেনও নি। হয়ত এ ক্ষেত্রে ‘খেলাফত’-এর মত বিরাট কিছু অর্জনের জন্য ছোটো খাটো ভুল-ত্রুটি মেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ; হিকমত মনে করেছেন!
আপনি একটু মন দিয়ে শুনুন দয়া করে, বেশী নয়, কয়েকটা মিনিট মাত্র। আপনি ভুলের ভেতরে আছেন। আপনি আরও একবার প্রতারিত হতে যাচ্ছেন। ঠিক সেভাবে, যে ভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মুসলমানরা প্রতারিত হয়েছিলো।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, স্বাধীনতা আর স্বায়ত্বশাসন দেয়া হবে বলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ব্রিটেন। আর এরই বিনিময়ে তথাকথিত ‘জানবাজ মুসলিম মুজাহিদ’রাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো চার লক্ষ প্রাণ নজরাণা দিতে ব্রিটেনের পক্ষে যুদ্ধে! কার বিরুদ্ধে? হ্যাঁ, নিজেদের খলীফার বিরুদ্ধেই! বিনিময়ে মুসলমানরা কী পেয়েছে, তা নিশ্চয়ই আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না আপনাকে!
আপনি এটাও দেখেছেন, কী ভাবে একটুকরো ভুখন্ডে একটি ইসলামি মডেল খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দেখানোর বাসনায় সুদুর টেক্সাস থেকে ধরে এনেছিলো ‘শেখ বিন লাদেন‘কে! দেখেছেন কী ভাবে তাকে দিয়ে প্রথমে সুদান ও পরে আফগানিস্থানে একটি ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠায় ত’পরতা চালানো হয়েছিল!
খেলাফত তো প্রতিষ্ঠিত হয়েই গিয়েছিলো! সেই আবেগ আর আনন্দে সুদুর মিশর, কেনিয়া, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া পাকিস্থান, বাংলাদেশ ও চেচনিয়াসহ বিশ্বের প্রতিটি কোণা থেকে ‘মুজাহিদ’রা পঙ্গপালের মত ছুটে এসেছে জিহাদ-এ যোগ দিতে আফগানিস্থান-এ! আজ কোথায় গেলো খেলাফত? কোথায় সেই খলিফা, কোথায় সেই মুজাহিদ বাহিনী? তারা নেই! কোথাও নেই!
যা আছে, তা হলো নিরেট বাস্তবতা। আর বাস্তবতা হলো এই যে, মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্থান আজ ধংসের মুখে। তার পারমাণবিক বোমাটা হাতিয়ে নিতে পারলেই এই চলমান জিহাদ‘এর পরিসমাপ্তি ঘটে আর কী!
সমস্যা হলো, আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ কায়দায় প্রণীত ‘আল কায়েদা’ নামক একটা নাটকের অংশ হিসেবেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে গেছেন বিন লাদেন, মোল্লা ওমর এর মত খলীফারা! একমাত্র আবেগ ছাড়া এইসব মহান খলীফাদের পুরো মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়াটা তো অনেক বড় কথা, একটা ইউনিয়ন কাউন্সিল চালাবার মত জ্ঞান, রাজনৈতিক দক্ষতা আর প্রজ্ঞাটুকু ছিলো না।
ফলে কী হয়েছে? আফগানিস্থান গেছে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির হাতে। পাকিস্থান টলটলয়মান! মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ; ইরাক আজ পথের ফকির। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরাইলকে রুখে দেবার কথা তো দূরের কথা, সে বাগদাদের সীমানাও রক্ষা করতে পারছে না!
এখন আর তিনটা কাজ বাঁকি আছে। সেগুলো হলো;
এক- ভঙ্গুর ইরাকের ভৌগলিক অখন্ডতাকে শেষ করে দেয়া। তেমনটা করতে পারলে, বিশেষ করে, কূর্দীস্থানকে আলাদা করতে পারলে ইসরাইলের জন্য পোয়াবারো। এই কূর্দীস্থান রাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের ইতোমধ্যেই গড়ে উঠা দহরম মহরম এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট! আর ইসরাইলের নেতিনিয়াহু তো ইতোমধ্যেই কূর্দীদের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েই রেখেছে। কুর্দিস্থানের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম লেন দেন ব্যবসা বাণিজ্য হতেই পারে! আর কূর্দীস্থানকে দিয়ে তুরস্কের সাথে বোঝা পড়া করাটা ইসরাইলের পরবর্তি পরিকল্পনা, সে কথা এখন আর নাই বা আলোচনা করলাম।
দুই- ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এবং সে লক্ষ্যে জিহাদ পরিচালনা করার মাধ্যমে ইসরাইলের সীমান্ত ঘেঁষে অন্যতম মুসলিম সামরিক শক্তি সিরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া গেছে, এটা ইসরাইলের জন্য, নিউকনদের জন্য এক বিরাট আত্বতৃপ্তির ব্যপার বটে। সমস্য হলো; সিরিয়ার আসাদ এখনও মাটি কামড়ে টিকে আছে, এ ব্যাটাকে শেষ করে দিতে পারলেই ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বস্তি পেতে পারতো। সে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে বৈকি!
তিন- একবার যদি ইরাকে এই খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায়, একবার যদি মহান খলীফাকে বাগদাদের ক্ষমতায় বসানো যায়, তা হলে খুব শীঘ্রই নাটকের পরবর্তি পর্ব মঞ্চায়ন শুরু করা সম্ভব। সেটা কী? সেটা হলো বর্তমানে মিটি মিটি প্রজ্বলমাণ শিয়া-সুন্নী বিরোধকে উস্কে দিয়ে বাগদাদের মহান সুন্নী খলীফাকে দিয়ে শীয়া ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদে নামিয়ে দেয়া। পারমাণবিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া ইরান ইতোমধ্যেই সামরিক সক্ষমতায় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! তা ছাড়া তেল সরবরাহ‘সহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালীর মুখে বসে থাকা ইরানকে শক্তিধর হতে দিলে বিশ্ব বেনীয়াদের লুটপাটে বিরাট বাধার সৃষ্টি হয়, অতএব তাকে শেষ করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো শিয়া-সুন্নী লড়াই!
এতে করে দুটো লাভ হবে। এক; ইরান দূর্বল হবে। আর, দুই; দূর্বল হবে তলে তলে বিরাট সামরিক শক্তির আধার হয়ে উঠা সউদি আরবও!
এক্ষেত্রে টাকা পয়সা তেমন কোনে ব্যাপার না। টাকা তো দেবে সুন্নী কাতার, সউদি আরব আর আমিরাত। মনে আছে নিশ্চয়ই, সউদি আরব কী ভাবে জর্জ বুশ সিনিয়রের এক ধমকে সুড়সুড় করে সাদ্দাম হোসেনকে ইরান আক্রমণের জন্য ২৫.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অংক জুগিয়েছিলো!
আজও তারা সেটা করে যাচ্ছে।
এই যে ‘ ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর যোদ্ধাদের রসদ, তাদের জানবাজ মুজাহিদদের মাসিক বেতন, অস্ত্র কেনার টাকা, এমনকি ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত!
আজ চলমান এই যুদ্ধের খলীফাকে তো ইতোমধ্যেই চিনেছি আমরা। না চিনে কী পারি? তিনি দয়া পরবশ হয়ে আমাদের , তথা সকল মুসলমানদের হিজরত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন! আহা কী দয়া তার!
তবে সুধী পাঠক, আসল খলিফাকে কী চেনা গেছে? না, এখনও বোধ হয় সেটা জানেন না। যে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য এত জিহাদ চলছে, সে খেলাফতের আসল খলিফাকে চেনা দরকার বৈকি! নিবন্ধের শুরুতে দেয়া ছবিটা দয়া করে আরও একবার দেখুন;
চিনতে পারছেন তো? জ্বী হাঁ, তিনি আর কেউ নন, আপনার আমার বহু পরিচিত নিউকন ‘ John McCain ’ তিনিই হলেন আসল খলিফা।
এই খলিফা ক‘দিন আগে এসেছিলেন জর্ডানে। সম্প্রতি এর এক রিপোর্ট বলা হয়েছে জর্ডানে আমেরিকা ফ্রান্স ও ব্রিটেনের প্রশিক্ষকদের ত্বত্তবধানে ‘ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর প্রায় দশ হাজার মুজাহিদ তৈরী হচ্ছে, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বিগত দুই বসর ধরে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা অচিরেই ছুটে যাবে যুদ্ধক্ষেত্রে। তবে তার আগে তাদের আশীর্বাদ করতে, বরকতের দর্শন দিতে বড় দয়া করে মহান খলীফা এসেছিলেন জর্ডান-এ। সেখানেই কয়েকজন মুজাহিদ পরিবেষ্ঠিতাবস্থায় হাস্যোজ্জল খলীফা।!
এই মহান খলীফার নির্দেশেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রতি মাসে দিয়ে চলেছেন আমাদের ‘খাদেমুল হারামাইন’সহ আমির ওমরহাগণ! সেদিন দুরে নয়, যেদিন এদের এই টাকায় কেনা অস্ত্রই আবার এদের দিকে ঘুরবে, এদের উপরেই এসে পড়বে ফসফরাস বোমার উত্তাপ! এটা কেবলই সময়ের ব্যপার মাত্র।
যুদ্ধটা কিন্তু ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মুসলিম বিশ্বকে তছনছ করণের! এর রশদও কিন্তু দিয়ে চলেছে মুসলমানরাই! আহা রাজনীতির কি কারিশমা!
(নিবন্ধটি লিখতে Steve Coll রচিত ‘ The Bin Ladens: The story of a Family and its Fortune ’ এবং http://guardianlv.com/2014/06/isis-trained-by-us-government/ এর সাহায্য নেয়া হয়েছে)
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫৭ বার পঠিত, ৬৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://guardianlv.com/2014/06/isis-trained-by-us-government/
John McCain সিরিয়া গেছেন বর্বর মুমিনদের আভ্যন্তরিন রক্তারক্তি থামাতে। মোহাম্মদের ৭ শতকী খেলাফত কায়েম করতে যান্নি তিনি। সিম্পল...........
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
তালেবানদের এবং লাদেনকেও কে ট্রেনিং দিয়ে ছিলেন। তাই শুধু লিখলেই হবে না। আপনি যেহেতু
মাঠে নেই, আন্দাজে ঢিল মারা ঠিক না।
ধন্যবাদ।
সবাই সন্ত্রাসী তো জিহাদী কারা? আল ক্বায়েদার আগে কি আফগানিস্তানের অক্রমন হয় নি? আপনি কি লক্ষ্য করেছেন এই ব্যক্তির সিরিয়া সেনাবাহিনীর জন্য কত মায়া!
নুসরাহ কে সিরিয়ার সুন্নীরা নিজেদের মুক্তির উপায় মনে করে ? হয়ত করে। এমনটা তো আফগানরাও আল কায়েদার বাপারে ধারণা পোষণ করতো। যৌন জিহাদের ধারণাতো শোনেন নি? বিষয়টা নিয়ে তিউনিশিয়ার সংসদের পর্যন্ত আলোচনা হয়েছিলো. ওদের সরকারি ডকুমেন্টে আছে দেখলে দেখতে পারেন। আপনি এত সহজ সমীকরণ করে দিলেন যে এ নিয়ে আর কী বলবো। তবে
আপনার ক্ষোভ প্রশমণে সহায়তা করার জন্য আপনাকে কয়েখটা গুরুত্বপূর্ণ ও বিশদ তথ্যপূর্ণ গবেষণা গ্রন্থের নাম দিচ্ছি, সময় হলে বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন
1. The High Cost of Peac- By Yoseef Bodansky
2. The Bin Ladens- By Steeve Coll
3. The Fist of God- By Frederick Forsyth
4. Futurecast 2020 A Global Vision of Tomorrow- By Robert Shapiro
5. Pitty the Nation- By Robert Fisk এবং
6. The Great War for Civilasation. By Robert Fisk
তালিকাটা বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে আর কয়েকটার নাম দিলাম না। চাইলে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন।
ইউটিউব সহ সকল নিউজ সোর্স ই প্রমান করতে ব্যস্ত যে প্যালেস্টাইনী ভাইয়েরা রকেট মেরে তাদের জীবনকে এতটাই ব্যতিব্যস্ত করেছে যে তারা এখন ২৪/৭ তাদেরকে হত্যা করছে এবং তাদের সম্পদ হানী করছে।
আপনি নিশ্চয়ই এর ও একটা ব্যাখ্যা দিবেন।
তবে মুসলিম মাত্রই জানে যে, ইসরাইল ও নিউ কন সহ আর সব দজ্জালের অনুসারীরা কটুকৌশলের আশ্রয় নিয়ে, ও নির্লজ্জভাবে মুসলিমদের হত্যা করবে, স্লাগটার করবে, নির্যাতন ও নিপীড়ন এর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ আকারে পৌছাবে যে - মুসলিমের মানুষিকতায় এমন পরিবর্তন আসবে যে - সময় এলে আগামীর মুসলিমরা ইহুদীদের সাথে ফাইট করবে ও হত্যা করবে, যেখানে গাছ এবং পাথর আমাদের ডেকে ডেকে ইহুদী নিধন করতে বলবে।
সো বেহিমেন্টলী অফোজ না করে - পারলে গঠনমূলক, ভ্যেরিফাইয়েবল তথ্য দিন। তাতে আপনার আমার আমাদের সকলের ই উপকার। ধন্যবাদ।
আজ পয্যন্ত যা কিছু তথ্য পাওয়া যায় - তাতে এটা পরিষ্কার যে আই এস আই এস এর বাহিনী মূলতঃ ইউএস, ইসরাইল, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার স্পেশাল ফোর্স ও সাথে কিছু তথাকথিত ক্ষুদ্ধ ও ক্রুদ্ধ মুসলিম এর সংমিশ্রন। যার নিয়ন্ত্রন পুরোপুরি ইউ এস এর হাতে।
ইরাকের আর্মী ও সরকারী কর্মকর্তা দের সে অংশটুকু যারা আমেরিকার এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে তাদের সহযোগীতায় আই এস আই এস ইরাকের বিস্তৃর্ন অঞ্চল দখল করেছে। এই এজেন্ট অফিসারদের সহযোগীতায় তাদের কাছ হতে 'ব্যাটেলফিল্ড হতে পিছিয়ে যাবার নামে' অস্ত্র ও টাকা সংগ্রহ করেছে, এবং তাদের মাধ্যমে সুন্নী বন্দীদের জেল স্থানান্তরের মাধ্যমে যোদ্ধা হিসাবে সাপ্লাই দিয়েছে - যারা বাধ্য হচ্ছে তথাকথিত ইউনিফর্ম পরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে।
ধণ্যবাদ।
উবায়দুল্লাহ ইবনে মুসা(রঃ)..মুগীরা ইবনে শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত:তিনি বলেন রাসূল (সাঃ)বলেছেন:আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন সেই জামায়াত(দল) যারা প্রতিপক্ষের উপর প্রভাবশালী (বুখারী ৬৮১৩)
এবার আপনি নিজেই যাচাই করে দেখতে থাকুন কোন দল কাফিরদের উপরে আজো প্রভাবশালী?
আহমেদ বর্ননা করেছেন যে আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, “রাসুল(স) বলেছেনঃ”খোরাসান হতে কালো পতাকা ধারী লোক বের হবে যাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন না তারা আলিয়ায় বিজয় পতাকা ওড়াবে।”
"Abu Hurayrah [radhiyallahu 'anhu]
that he said: "The Messenger of Allah [sallallahu 'alayhi wa-sallam] said:
"Black banners will come out of Khurasan, and nothing will stop them, until they are raised in Ayliya' [i.e.
Bayt al-Maqdis]."
ইহুদীদের গ্রন্থ থেকেঃ
# “দেখ, একদল লোক আসছে উত্তর দিকের দেশ থেকে,( ইসরাইলের উত্তরে মুসলিম দেশ সমুহ ইরাক, আফগান ও অন্যান্য ) এবং একটি মহান জাতি পৃথিবীর সুদূরতম অংশ থেকে উত্থাপিত হবে। তারা তীর ধনু ও বর্শা বহনকারী হবে । তারা নিষ্ঠুর ও দয়াহীন হবে ; তারা সমুদ্রের মত গর্জন করবে ।(যখন মুসলিমরা এক সাথে আল্লাহু আকবর বলে [আল্লাহ মহান]) তারা অশ্বারোহী হবে ।যেহেতু যোদ্ধারা তোমাদের দিকে নিক্ষেপ করবে । ও, ঈহুদীবাদীর কন্যা । (জেরেমিয়াহ ৬:২২,২৩)
# প্রভু বলেছেনঃ আঘাত দিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্র তৈরির জন্য গাছ কাট । জেরুজালেমের প্রাচীরের বিরুদ্ধে ঢালু রাস্তা তৈরি করো । এই সেই শহর যার শাস্তি হবে, সে সম্পুর্নরূপে পাপিষ্ঠ বলে । (জেরেমিয়াহ ৬:৬)
বিঃদ্রঃ ইসরাইলে ইহুদীরা অলিভ ওয়েল (জলপাই) প্ল্যান্ট তৈরি করেছে যেই গাছ আঘাত দিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্র তৈরি করবে ।
# তারপর প্রভু আমাকে বললেন, ইসরাইলের জনগনের উপর এটা শেষ হবে । এরপর আমি আর কখনই উপেক্ষা করে যাবনা ( কারণ তারা প্রভুর চুক্তি ভেঙেছে ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছে )। সেই দিন গির্জার সংগীতের পরিবর্তে বিলাপ শুরু হবে, অনেককেই ছুড়ে ফেলা হবে সর্বত্র । (আমোস ৮ : ২,৩)
# একজনের হুমকিতে এক হাজার ঈহুদিবাদী পালিয়ে যাবে । পাচজনের হুমকিতে তুমি পালিয়ে যাবে । যতক্ষন না তুমি পোল অথবা ব্যানার হিসেবে ছাড়া পড়ে যাবে ।(ইসায়ীয়াহ ৬:২৬-৩০)
# শিঙ্গায় ফু দেয়া ও সতর্কবার্তা বাজানো হবে পবিত্র পর্বতে ! ভুমির সমস্ত মানুষ প্রকম্পিত হতে থাকবে প্রভুর আগমনের জন্য ; অবশ্যই এটা নিকটবর্তি , এমন দিন অন্ধকার ও বিষাদের, এমন দিন হতাশার । যেভাবে ভোর হয় সেভাবে পর্বত থেকে একটি শক্তিশালী ওঃ অপারাজেয় সেনাবাহিনী নেমে আসবে যা আগে কখনই হয়নি । (জোএল ২:১-৯)
এটি নেয়া হয়েছে বিডি টুডে'র সম্মানিত ব্লগার 'জাতির চাচা'পোষ্ট থেকে। তার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনি পোষ্টটা দেখতে পারেন এখানে-
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/5799/jatircaca/49320#.U8T977F7QtU
আপনি বলেছেন তারা কলেমা পড়ে। আচ্ছা কলেমা পড়লেই মানুষ মুসলমান হওয়া যায়। তাহলে আমাদের পাশের হিন্দু রবিন্দ্রও কি মুসলমান? সেও তো কলেমা পড়ে। কিন্তু বিশ্বাস করে না।
শিয়াদের কলেমার অর্থ জানেন আপনি? তাদের কলেমার অর্থ হলো মুহাম্মদ কিসের নবী? আবু বকর আর ওমর তার সাথে সারা জীবন মুনাফেকি করে গেল কিন্তু তিনি জানতেও পারলেন না। (নাউজু বিল্লাহ) এই ধারণা নিয়েই আপনারা মুসলমান? হাসি পাচ্ছে আমার। আমাদের দেশেও আছে একটা দল। তারা বলে আল্লাহর উপর আস্থা রাখা যাবে না তবে তারাও মুসলমান। হা হা হা এখানেও হাসি পায় আমার।
আপনার এই এক ডজনরে গ্রুপের সাথে কথা হয়েছে। কখন ইরানে বা কোমে গেছেন। ওদের খোদা আলী। ওরা কবর পূজারী।ওদের সবাই শিরকের সাথে যুক্ত। ভা্গ্য ভাল এ মূর্হতে আপনি বাগদাদে নেই। আমি
জানি না, আপনি শিয়া কিনা। অনেক বাংলাদেশী
কোমে (ইরানে) যাওয়ার পর শিয়া হয়ে গেছে।
না ভাই, শিয়াদের প্রতিটি গ্রুপের সাথে আমার কথা হয় নি। বিনয়ের সাথে জানিয়ে রাখি, অনেক শিয়াকে কাছে থেকে বসরের পর বসর দেখেছি। তাদের অনেকের মধ্যেই কুফুরি আক্বিদাও দেখেছি। তারা কবর পুজারী, মাজার পুজারি, তাও জানি, নিজ চোখেই দেখেছি। কাজেই সে টা কথা নয়, কথা হলো ঢালাও ভাবে প্রতিটি শিয়াকে কাফের বলাটা যুক্তিযুক্ত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
আর আপনি লিখেছেন ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত!- এটার প্রমান এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারল না যে ওটা রোলেক্স না আল-ফজর কিন্তু আপনি অবলিলায় বলে দিলেন রোলেক্স।
আমি আর বেশী কিছু বলতে চাই না, অপেক্ষা করছি কেননা আল্লাহ সত্যকে সত্তর উন্মোচন করে দিবেন ইনশাল্লাহ, আপাতত কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কিছুই বলতে চাই না, কেননা এসব কিছুই ফিতনা বলে আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে। আল্লাহ ফিতনা থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
আপনার এ কথাটা একশতভাগ ঠিক, আমি একমত যে, বর্তশান অবস্থাটা পুরো বিশ্বেরন মুসলমানদের জন্য এক বড় ফিতনা, নিকট ভবিষ্যতে এটা আরও জটিল হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু এ থেকে নিস্তার পেতে হলে, বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহ, যাদের অধিকাংশই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কুটনীতি ও ইসলাম সন্মন্ধে অজ্ঞ, তাদের সাবধান করতে হলে একদল মুসলমানকে কথা বলতেই হবে, যারা লিখতে পারেন, তাদের লিখতেই হবে। এতে করে এইসব বক্তা আর লেখকরা তিরষ্কারের নিন্দাবাদের সম্মুখীন হবেন, সন্দেহ নেই, তবে তাদের নিয়তের উপরে ভিত্তি করে আল্লাহ পাকই তাদের কাজের প্রতিদান দেবেন।
আল্লাহ বলেছেন যখন কোন সংবাদ তোমার কাছে আসে তখন সেটা যাচায় বাছায় কর আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন একজন ব্যাক্তি মিথ্যাবাদী হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যখন সে যা শুনল তাই প্রচার করল। আপনি যা শুনেছেন তাই প্রচার করেছেন কিন্তু নিজে কোন কিছু যাচায় বাছায় করেন নাই।
আপনার অবস্থা আপনি এখন নিজেই বুঝে নিতে পারেন। আমার বেশী কিছু বলার নেই।
সবাইকে এক কাতারে ফেলার চেষ্টা করা উচিৎ নয় কোন ভাবেই।
আপনার মত মানুষের সাথে কি ইসলাম নিয়ে কথা বলার আর কোন দরকার আছে, যে ব্যাক্তি এখন পর্যন্ত ইসলামেই প্রবেশ করে নাই।
যারা লবন মাখিল তারাও আইসিস!
যারা জিবন্ত কবর দিল তারাও আইসিস!
যারা গালাগালি করিল তারাও আইসিস!
যারা নির্বিচারে হত্যা করিল তারাও আইসিস!
যারা যৌন ব্যবহার করিল তারাও আইসিস!
যারা সিরিয়ার শিয়াদের হত্যা করিল তারাও আইসিস!
এই গুলা যে আইসিসের মানুষে করিছে, এই ব্যাপারে আমনের কাছে কুন দলীল আছে?
শিয়ারা কিছুই করিল না?? তাহারা মর্দে মুজাহিদ হইয়া থাকিল? আর যত দোষ আছে তা আইসিসে কাঁধে বর্তাইল!
আমনের কতা সত্য হইলে বড় চিন্তার বিষয়, আর মিথ্য হইলে অপবাদের দায় আমনেরে নিতে হইব।
We saw in facebook(social media)that some wise person/group also make emotional & support this isis(jihadi group).
Just thinking, be fore the support....where they find these huge arms,vehicles...why usa,uk not protect them..who are their behind.As a muslim,you should not all time supprt, belive without thinking...cause enemy is just behind u making u confused < MAKE US DIVIDED
ধন্যবাদ।
তবে একটা বিষয়ে খুবই আশ্চর্ত হচ্ছি আইসিসের কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠাকারীরা ইস্রাইলী বর্বরতার ব্যাপারে একদম নীরব থাকতে দেখে।
মোদ্দাকথা হলো, নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো। একজন নিজেকে খলিফা ঘোষনা করেছে, এবং আপাত দৃষ্টিতে এখনো পর্যন্ত তার কোন বিতর্কিত কাজ বা সিদ্ধান্ত চোখে আসেনি। বরং সে সেই সকল এলাকায় মুসলমানদের পাশে দাাঁড়াচ্ছে যেখানে শিআদের উৎপাতে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিলো। সূতরাং, যতক্ষন আরো ভালো কিছু না আসে, অথবা যতক্ষন খুব মন্দ কিছু না হয়, মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?
জেনে শুনে, পরিকল্পিতভাবেই একটা জনপদের জীবন এতটা বিপর্যস্থ করে দেয়া হয় যে, তারা আশু মুক্তির লক্ষ্যে তখন জালিমের সাময়িক সুশাসনকে মেনে নেয়, এটা একটা কৌশলই বটে।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ইরাকে মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা সৃষ্টির জন্য আইএসএসআই দায়ী? যদি এই কথা বলেন, তাহলে ক্ষমা করবেন, আপনার আসলেই বাস্তব জ্ঞানের অভাব আছে।
আপনার কথা যুক্তির খাতিরে মেনে যদি মেনেও নেই, প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে আসে তা হলো, এই তথ্যগুলো আমরা কোথা থেকে পেয়েছি? উত্তরটা খুবই স্বাভাবিক- বিবিসি সিএনএন এপিপি টাইপের কোন মিডিয়া থেকে। তাহলে পরিস্থিতি এই হলো যে কোন এক বিধর্মি মিডিয়া, যাদের নিরপেক্ষতা শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, বরং পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত, তাদের কথার উপর ভিত্তি করে আমরা কাকে অবিশ্বাস ও দোষারোপ করছি? একজন বা একদল মুসলমানকে। আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন আপনার কাছে সুস্পষ্ট প্রমান আছে যে আইএসআইএস বা আবু বকর আল বাগদাদী কোন বিশেষ পক্ষের তাবেদারী করছে ইত্যাদি? যদি না থাকে, তাহলে আল্লাহ কে ভয় করুন।
আর বাস্তবতা জানতে হলে সেখানে গিয়েই দেখতে হবে নতুবা আপনি আমি কেউই হলফ করে বলতে পারব না আসল বাস্তবতা কি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন