হে মুসলমান; তোমরা যারা জিহাদ করো---
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০৯ জুন, ২০১৪, ০৭:৩১:০৩ সন্ধ্যা
ইসলামের উপরে সবচেয়ে বড় যে অপবাদগুলো এ যুগে আরোপিত হয়, তার অন্যতম একটি হলো সন্ত্রাস। ইসলাম নাকি সন্ত্রাসের ধর্ম। এ ধর্ম সন্ত্রাসকে লালন করে, উস্কে দেয়। সন্ত্রাসকে জন্মই দেয় ইসলাম! এই হলো বৈশ্বিক পারসেপশন, ধারণা ও বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসটা সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনভাবে দানা বেঁধেছে যে, মুসলমান মানেই হলো সন্ত্রাসী। বাসে-ট্রেনে, প্লেনে কোথাও কোনো মুসলমান যাত্রীকে দেখলেই যেন অনেকের কপাল জড়ো হতে শুরু করে। কেউ বা ভয়ে, অজানা আতংকে, আর কেউ বা ঘৃণামিশ্রিত চোখে ইসলাম বিদ্বেষের কারণে অসস্থি বোধ করতে থাকেন।
ইসলামের অনুসারী যে সব মুসলমান আল্লাহর জমীনে দ্বীন কায়েম করার কাজে, তথা ইসলামি আন্দোলনে নিয়োজিত, তারা ‘জিহাদিষ্ট‘ নামে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অথচ যে কোনে বিচারে আজকের এই বিশ্বের অকল্পনীয় বিশৃংখল ও নষ্ট-ভ্রষ্ট সমাজে এই সব মানুষগুলোই সবচেয়ে শান্ত, সুবোধ, ভদ্র। এরা যে কোনো সমাজ ও দেশের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর, সুনাগরিক হিসেবে বিবেচিত ও পুরষ্কৃত হবার দাবীদার।
এইসব ভালো মানুষগুলোকে কালিমালিপ্ত করাটা ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন ইসলামের অগ্রযাত্রা রোধের জন্যই। আর সে কারণেই তারা সুক্ষ পরিকল্পনা করে চলেছে। বিশ্ববাপী তাদের সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করে যাচ্ছে। দু:খজনকভাবে সে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অন্যতম সহযোগী হিসেবে জুটেছে মুসলিম সমাজেরই কিছু সুবিধাভোগী আত্ববিক্রিত দালাল। পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অভাবে এই সব দালালদের সাথে আরও জুটে যায় মুসলিম দেশে দেশে কিছু অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত 'কারবারী আলেম‘ও! এই সব তথাকথিত আলেমদের অনুসারীদের আবেগকে পুঁজি করে নামিয়ে দেয়া হয় জিহাদ-এ (!)। তাদের জিহাদের অর্থ হলো, নিজেদের মতের ও পথের সাথে না মিললেই মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের কল্লা কাটো! বল প্রয়োগ করো! ভীতির সঞ্চার করো ইসলামের নামে!
আসলে এরা যে কোন মিলিশিয়া বাহিনীর মত পোষিত এক একটি বাহিনী, যারা তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে নির্দেশমত হুকুম পলন করতে থাকে মাত্র! এদেরকে দিয়েই ইসলামবিদ্বেষী অমুসলিমরা (অমুসলিমদের সকলেই যে ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে মাঠে সক্রিয় থাকবে, বিষয়টা তেমন নাও হতে পারে। অনেক অমুসলিম এমন আছে, যারা ইসলাম মানে না, স্বীকার করে না, কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকান্ডেও তারা মাঠে নেই। এ বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখা দরকার।) মুসলিম দেশেসমুহে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। এরাও তাদের দৃশ্যমান অদৃশ্যমান প্রভূদের নির্দেশিত এসাইনমেন্টগুলো বাস্তবায়ন করতে উঠে পড়ে লাগে! কেননা হাজার হলেও মাস শেষে পাওয়া আকর্ষণীয় টাকাগুলোকে হালাল(!) করতে হবে তো!!
রুটি রুজি হালাল করতে এরা ইসলামের নামে মাঠে নেমে পড়ে। কোথাও বা এরা ‘আল কায়েদা’ হয়, কোথাও বা হয় ‘বোকো হারাম’। আবার আমাদের মত দেশে এরাই ‘বাংলাভাই’ হয়ে ওঠে। ইসলামের নামে, অনৈসিলামিক কর্মকান্ড প্রতিরোধের নামে, জিহাদের নামে সমাজবিরোধি, মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। যারা এদের দিয়ে এই তথাকথিত জিহাদের নামে সন্ত্রাসি এসাইনমেন্টগুলো করিয়ে নেয়, তারাও থাকে মুখিয়ে। কোনো ঘটনা ঘটার সাথে সাথে তারা নিজেদের মিডিয়াগুলোতে রগরগে খবর ছড়িয়ে দেয়। প্রিন্ট বা ডিজিটাল কিংবা ইলেক্ট্রনিক, প্রতিটি মিডিয়ার হেডলাইন হয়ে উঠে ‘জিহাদিষ্ট’দের কিংবা ‘ইসলামি টেররিষ্ট’দের বর্বরতার খবর! ব্রেকিং নিউজে সরগরম হয়ে উঠে বিশ্ব মিডিয়া! বিশ্ববাসীও তা গোগ্রাসে গেলে আর শিহরিত হয় আতংকে-ভয়ে। ফুঁসে উঠে ক্রোধে-আক্রোশে। ঘৃণা, ক্ষোভ আর আতংকে সরব হয়ে উঠে। বেতনভূক কর্মচারীরা (পশ্চিমা মিডিয়ার তৈরী ও লালিত তথাকথিত ‘জিহাদিষ্ট’) ঠিকই রয়ে যায় আড়ালে।
অথচ বিশ্ববাসীর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পথে-ঘাটে, সমাজের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শান্তিপ্রিয় সাধারণ মুসলমানদের উপরে। তারা হয় আক্রমণের শিকার। বিশ্বমোড়লরা নেমে পড়েন ওয়ার-অন-টেরর-এ। তছনছ হয়ে যায় মুসলিম সমাজ আর দেশগুলো। ওয়ার-অন-টেররের বাতাবরণে বিশ্বের কোণে কোণে গড়ে উঠা নিয়মতান্ত্রিক ইসলামি আন্দোলনগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। গণতন্ত্রের জন্য দিন রাত কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন দেয়া বিশ্বে মুসলিম দেশসমুহের যে এলাকাগুলোতে গণতান্ত্রিক সরকার গড়ে উঠেছিল, সেগুলোকে উতখাত করে বিশ্বমোড়লরা!
কারণ, তারা নাকি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক! অথচ ত্বালেবান, আল কায়েদা, বোকো হারাম‘দের গা‘এ কাঁটার আঁচড়টি পর্যন্ত পড়ে না! এরা রয়ে যায় অক্ষত! ওদের সাথে বিশ্বমোড়লদের খানা-পিনা, লেনা-দেনা ঠিকই চলে!
সন্ত্রাসের মিথ্যে দায় চাপিয়ে জিহাদ ফি-সাবিলল্লাহ তথা ইসলামি আন্দোলনকে দমন করা আর মুসলিম দেশসমুহকে পদানত করে রাখার এই ইবলিশি চক্রান্তটা জটিল। তবে এতটা জটিল নয় যে, মুসলমানদের কাছে, সচেতন বিশ্ববাসীর কাছে তা গোপন থাকবে। তেমনটা থাকছেও না। এ প্রবণতাকে রুখতে হবে। রুখতে হবে মুসলমানদেরকেই। কিন্তু কীভাবে?
এ প্রবণতাকে রুখতে হবে প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার মাধ্যমে। ইসলামের প্রকৃত রুপ, জিহাদের প্রকৃত রুপকে বিশ্ববাসীর কাছে সুস্পষ্ট করো তোলার মাধ্যমে। বিশ্বকে জানান দিতে হবে যে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ কেবল বিশ্বে মুসলমানদের জান-মাল আর ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নয়, বরং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত-বঞ্চিত-নির্যাতিত মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে, তাদের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রু ও অধিকার নিশ্চিত করতেই চালু রাখতে হবে। জিহাদ যদি চালু থাকতো, তাহলে এই বিশ্বকে আজ এ করুণ দুর্দশার মুখোমুখি হতে হতো না।
বলতে হবে; জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এমনই একটা জিহাদ, যার জন্য কোনো তলোয়ারের, কোনো অস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। যিনি মুসলমানদের জন্য জিহাদ ফরজ তথা বাধ্যতামুলক করে দিয়েছেন, তিনি তার মহাগ্রন্থ কুরআনে ৪১ বার জিহাদের কথা বললেও একবারও কিন্তু তলোয়ারের কথা বলেন নি। বিশ্বের কাছে মেলে ধরতে হবে আল কুরআন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে হবে, বলতে হবে; হে বিশ্ব, সারা কুরআন থেকে একবার, মাত্র একটাবারের জন্য হলেও তলোয়ার (সাইফ) বা তলোয়ারের প্রতিশব্দ (হুসাম, মুহান্নদ, সলিল) কোথাও উল্লেখিত হয়েছে কি না, দেখাও। হে বিশ্ব, তোমরা যে বলো, ‘তলোয়ারের জোরে ইসলাম বিস্তৃত হয়েছে, জিহাদিষ্টরা অস্ত্রের জোরেই আবার তা প্রচারে মাঠে নেমেছে’ তার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই।
হ্যাঁ, প্রতিটি মুসলমান সারাটা জীবন ধরে আল্লাহর রাহে জিহাদ করতে বাধ্য। কিন্তু তাদের সে জিহাদে শক্তি প্রয়োগের কোনো বিধান নেই (আল কুরআন: ২/২৫৬)। প্রয়োজনও নেই। জিহাদ তো করতে হবে জ্ঞান আর যুক্তির জোরে। এ কারণেই যে আল্লাহ পাক কুরআনে ৪১ বার জিহাদের কথা বলেছেন সেই তিনিই একটি বারের জন্য কোনে অস্ত্র, কোনো তলোয়ার বা কামানের কথা বলেন নি।
তবে হ্যাঁ, তিনি ৭০০ বার জ্ঞানের কথা বলেছেন আল কুরআনে! এই জ্ঞানই হলো বিশ্বের সম্পদ। এই জ্ঞানই হলো অস্ত্র। সকল জঞ্জাল নির্মূলের অস্ত্র! বিশ্ব থেকে অন্যায়- অবিচার, জুলুম-নির্যাতন নির্মূলের মোক্ষম অস্ত্র। আর এই অস্ত্র থেকে মুসলমানদের দুরে রাখতেই ওদের এত ষড়যন্ত্র, এত কলা-কৌশল।
হে মুসলমান, তোমরা যারা জিহাদ করো, আজ সময় এসেছে, এই কুরআনটাকেই তোমাদের আঁকড়ে ধরতে হবে। তোমাদের দিন শুরু হবে এই কোরআন দিয়ে, তোমাদের দিনটা শেষও হবে এই কোরআন দিয়ে। দু‘জন মুসলমানের দেখা হলে তাদের কথা হবে কোরআন নিয়ে। তাদের সুখ দুখের আলাপ হলে সেটা হবে এই কুরআন নিয়েই। বাড়িতে কোনো শিশু জন্ম দিনের বায়না ধরলে সে বায়নাটাও হবে; এই আল কুরআন!
এই আল কুরআনই সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র। নিজেকে বদলের অস্ত্র, সমাজ আর বিশ্বটা বদলের অস্ত্র। একমাত্র অস্ত্র। যে আল্লাহ পাক জিহাদ করতে বলেছেন, সেই আল্লাহ পাকই বলেছেন; জেহাদ করতে হবে একমাত্র কুরআন দিয়েই (আল কুরআন: সুরা ফুরকান:৫২)। অতএব এই আল কুরাআন‘ই আঁকড়ে ধরো, হে মুসলমান, তোমরা যারা জিহাদ করো।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সমস্যা হল আমার মত সাধারন মানুষেরা, যারা ঝামেলা এড়িয়ে স্বার্থপরের মত রুটি রুজি ও পরিবারের বাহিরে - নামাজ রোজা, জাকাত, দাওয়াহ ইত্যাদি নিরুপদ্রব টাইপ বিষয়াদি নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি, আর বিভিন্ন লিখা হতে প্রনোদনা নিয়ে ভাবি - আল্লাহর হক বুঝিবা আদায় করছি।
ভাবছি, আমাদের এই সুবিধাবাদীতা, আমাদেরকে অতিরিক্ত হিকমাহ ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে - দিনকে দিন আমাদেরকে কি দাসানুদাসে পরিনত করছে? আমরা কি অনুভব করতে ভুলে গেছি কিংবা অস্বীকার করার সুযোগ পেয়েছি কিংবা অন্যদিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছি - গত প্রায় ১০০ বছর ধরে ইসলাম বিদ্বেষীরা মুসলিম মেজরিটি ভূখন্ডগুলোকে - কিভাবে বিভিন্ন নামে শাসন, শোষন, নির্যাতন ও বঞ্চনার গভীরে প্রথিত করেছে এবং করছে।
ফলাফল স্বরূপ নেতা হীন, নেতৃত্ব হীন, সকল রকমের সাহায্য ও সাপোর্ট হীন, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত ঐ মানুষরা (আসাম, আরাকান, ফিলিপিনস, থাইল্যান্ড, চীন, কাশ্মীর, আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, বাহরাইন, প্যালেস্টাইন, মিশর, তুরস্ক, লিবিয়া, আলজেরিয়া, চেচনিয়া, বসনিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি) মৃত্যুর আগ মূহুর্তে, ধ্বংশের আগ মূহুর্তে - যদি ডেসপারেট হয়ে শেষ চেষ্টা হিসাবে নিজেরাই 'কোরান ও হাদীস' এর ইন্টারপ্রেটেশান পড়ে কিংবা বুঝে - দা, বটি কিংবা বন্দুক হাতে নিয়ে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করে - তখন আমরা সুবিধাবাদী মুসলিম রা ঐ শাসক ও শোষকদের মিডিয়া ও বক্তব্যকে আমলে নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা, নিজেদের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে স্ট্রাগলে লিপ্ত ঐ সব হতভাগাদের বিভিন্ন টার্মে আখ্যায়িত করি, কিংবা তাদের বিচার বিবেচনা বোধকে নিয়ে প্রশ্ন তুলি - তবে কি তা তাদের প্রতি অবিচার নয়?
আল্লাহ ভাল জানেন - আমাদের মন আসলেই কতটা কাদেঁ আমাদের নির্যাতিত ঐ মুসলিম ভাই বোনদের জন্য? আর আমাদের ক্রিটিসিজম কিংবা প্রশংসা আসলে কতটা ইসলামের সাথে সামন্জস্য পূর্ন আর আল্লাহর পথে আমাদের মৃত্যুর ইচ্ছাটাই বা আসলে কতটা আল্লাহর কাছে এক্সেপটেবল।
ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত ভাবোদ্দীপক। ধন্যবাদ।
আমার ছোট্ট জ্ঞানে একটা উদাহারণ দেই। আপনি বাড়ীতে রাখাল রাখলেন চুক্তি ভিত্তিতে। এক বসরের বেতন আগামই দিলেন, দশটা গরু দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে দুরে কাজে গেলেন। এক বসর পরে এসে দেখলেন পাঁচটি গুর নেই, আর যে পাঁচটি আছে তাও রুগ্ন, মৃত প্রায়। রাখাল বেটা খুব বহাল তবিয়তেই আছে। দোষটা কাকে দেবেন আপনি?
আমাদের জৌলুশ ঠিক থাকলেও ইসলামের বারোটা বাজিয়েছি, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বারোট বাজতে দিয়েছি। আমাদের মত রাখালের সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কি আচরণ করবেন, তা বুঝতে বেশি বেগ পাবার কথা নয়। আল্লাহ মাফ করুন আমাদের।
আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত ভাবোদ্দীপক। ধন্যবাদ।
আমার ছোট্ট জ্ঞানে একটা উদাহারণ দেই। আপনি বাড়ীতে রাখাল রাখলেন চুক্তি ভিত্তিতে। এক বসরের বেতন আগামই দিলেন, দশটা গরু দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে দুরে কাজে গেলেন। এক বসর পরে এসে দেখলেন পাঁচটি গুর নেই, আর যে পাঁচটি আছে তাও রুগ্ন, মৃত প্রায়। রাখাল বেটা খুব বহাল তবিয়তেই আছে। দোষটা কাকে দেবেন আপনি?
আমাদের জৌলুশ ঠিক থাকলেও ইসলামের বারোটা বাজিয়েছি, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বারোট বাজতে দিয়েছি। আমাদের মত রাখালের সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কি আচরণ করবেন, তা বুঝতে বেশি বেগ পাবার কথা নয়। আল্লাহ মাফ করুন আমাদের।
আল কোরানে মুমিনদের প্রতি আল্লাহর সুস্পষ্ট নির্দ্দেশ রয়েছে: "তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে(সুরা ৯:২৯)"
Sahih al-Bukhari 6924—Allah’s Messenger said, “I have been ordered to fight the people till they say: La ilaha illallah (There is no god but Allah), and whoever said La ilaha illahllah, Allah will save his property and his life from me.”
মন্তব্য করতে লগইন করুন