আজ মা দিবস? দুর ’হ হতভাগা! (ইংল্যন্ডে এক ইংলিশ মা'এর করুণ পরিণতির সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত)
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১১ মে, ২০১৪, ০৩:১৮:৩১ দুপুর
অবাক হয়ে রিচার্ডকে দেখছি। কতক্ষণ ধরে দেখছি তা আমার আদৌ মনে নেই। মনে করার মত বা তেমনটা ভাবার মত মানসিক অবস্থাও নেই। আমি নির্বাক চেয়ে চেয়ে তাকে দেখে চলেছি। কিন্তু সেই দেখায় ছেদ পড়ল যখন লিসা, মানে অফিস সেক্রেটারি কয়েকবারের চেষ্টায় আমার মনযোগ আকর্ষণ করলেন। লজ্জাও পেলাম, বিব্রতও হয়েছি সেই সাথে এটা ভেবে যে, আমার সামনে একজন মধ্যবয়সি লোক কাঁদছে, আর আমি কি না তার দিকে কোন খেয়ালই করছি না!
আমি সত্যিই নির্বাক হয়ে গেছি বিষ্ময়ে। নিজের চোখ-কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না। অথচ সমস্ত ঘটনা আমার চোখের সামনেই ঘটছে, নিজের কানে শুনছি, দেখছি সবকিছু। ভেতরে ভেতরে রাগে, দু:খে ক্ষোভে অন্তরটা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু বলার কিছু নেই, করারও কিছু নেই।
নাহ, ভূল বললাম, করার কিছু অবশ্য আছে। আর আছে বলেই ক্রন্দনরত লোকটাকে আমার অফিসে টেনে এনেছে অফিস সেক্রেটারি লিসা। অতএব কিছু একটা করতে তো হবেই নিজের দ্বায়িত্বের কারণে। লিসা আমার সামনে ছুটির দরখাস্তখানা ধরে থাকল। ছুটি দিতে হবে আমাদের হাসপাতালের হ্যান্ডিম্যান রিচার্ড চার্লটন’কে।
রিচার্ড চার্লটন, প্রাায় চুয়ান্ন বৎসর বয়সি এক সুস্থ, সামর্থবান পুরুষ। হাসপাতালের একজন হ্যা্িন্ডম্যান। হ্যন্ডিম্যান হলো সেই লোক, যে কি না হরফুন মওলা 'সকল কাজের কাজী' জাতীয় একজন। বৈদ্যুতিক বাল্বটা জ্বলছে না, কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে ইলেকট্রিক লাইনে, ডাকো হ্যন্ডিম্যানকে। কোথাও ট্যাপ ফুটো হয়ে পানি ঝরছে অথবা পানিই আসছে না ট্যাপ দিয়ে, ডাকো হ্যন্ডিম্যানকে। জানালার ছিটকানিটা, দরজার হ্যান্ডেলটা ঠিকমত লাগছে না, সেটাও হ্যান্ডিম্যানের কাজ। তদুপরি অফিস চলাকালীন বিভিন্ন কাজে আমাকে, কিংবা অন্য কোন কর্মচারীকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়ল, সেটাও এই হ্যন্ডিম্যানেরই কাজ। একারণেই তাকে হরফুন মওলা বা সকল কাজের কাজী বলেই বুঝি।
রিচার্ড আমাদের হাসপাতালে সপ্তাহে চল্লিশ ঘন্টা কাজ করায় চুক্তিবদ্ধ। প্রায় আটটা বৎসর ধরে এই হাসপাতালে কর্মরত। হাতের কাজ খুবই নিঁখুত আর সে বিশ্বাসযোগ্যও একজন, এ কারণে সবাই তাকে বেশ ভালো বলেই জানে।
প্রায়ই তার গাড়িতে করে আমাকে বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের এখানে ভর্তিচ্ছু মানসিক রুগীদের এ্যাসেস করতে যেতে হয়। চলতি পথে কথা হয়। তার ছেলে বেলার কথা, নিউক্যাসেল আগে কেমন ছিল, সে কথা প্রায়ই আমাকে সে শোনায়। মাঝে মধ্যে আমাকেও দু’একটা প্রশ্ন করে সে, বাংলাদেশটা কেমন, ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশটা কতদুরে জানতে চায়। সে ইন্ডিয়া গেছে হলিডে কাটাতে, নেপালেও গেছে, কিন্তু বাংলাদেশে যায়নি।
যাহোক, রিচার্ড আমাকে যথেষ্ঠ সমীহও করে। আমিও তার ব্যাপারে ভালো ধারণাই পোষণ করতাম। তবে তার আচরণ নিয়ে মনের ভেতরে একটা ক্ষোভ ছিল বরাবরই। ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে বলে কোন মাথা ঘামাইনি।
ক্ষোভের কারণটা বলি। আজ থেকে প্রায় বৎসর তিনেক আগেকার কথা, এক ভারতীয় নার্স, রঞ্জিতা কাউর একদিন জানালেন যে, নিচের ফ্লোরে জেনিস চার্লটন দিন দিন ক্ষীণকায় হয়ে চলেছেন, ক্ষুধা কমার সাথে সাথে তার শরীরের ওজনও কমছে। ডিপ্রেশনটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে আবারও। এ্যন্টিডিপ্রেশন চলছে ঠিকই কিন্তু তাতেও তেমন কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি জেনিস‘এর সার্বিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতিতে আশংকা প্রকাশ করে তার কেয়ার প্লানের টোটাল রিভিউ’র জন্য বললেন।
জেনিস চার্লটন। বাহাত্তর বৎসরের এক মহিলা। স্মৃতিভ্রষ্টতা তাকে ধরেছে ভালো করেই। তার সমস্যা বিশেষ করে তাৎক্ষণিক মেমোরি বা রিসেন্ট মেমোরি নিয়ে। তিনি সাম্প্রতিক কি ঘটছে, বা ঘটল তা মনে রাখতে বা মনে করতেও পারেন না। দু’ঘন্টা আগেই বা কি ঘটেছিল, সেটা কিছুতেই মনে করতে পারবেন না। তাই তার পক্ষে একা একা নিজের বাড়ীতে বাস করাটা এক রকম অসম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। ফলে জায়গা হয়েছে বিশেষ ধরণের মানসিক হাসপাতালে, যেখানে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রুগীদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। তিনি আমাদের হাসপাতালের একজন্ স্থায়ী বাসিন্দা বলতে হবে। আছেন বিগত প্রায় সাড়ে চার বৎসর ধরে।
যমজ দু’সন্তান রেখে স্বামী তাকে ছেড়ে গেছেন আজ থেকে চার দশক আগেই। সেই থেকে তিনি একা। একটা ফুলের দোকান ছিল তার। ফুল বিক্রি করতেন। ব্যবসায় মন্দার কারণে এর পরে দোকানের সেল্স গার্ল থেকে শুরু করে ফ্যক্টরিতেও কাজ করেছেন মুখের ভাত জোগাড় করতে। তার পরেও ঘর বাঁধেন নি।
দুই ছেলে, রিচার্ড আর ডেভিড। যমজ দুই ভাই। রিচার্ডই বড়। আর ছোট ছেলেটা নিউজিল্যান্ড-এ গিয়ে স্থায়ি হয়েছে আজ সিকি শতাব্দী হয়ে গেল। এর আগে এক গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে ঘর বেঁধেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু সেই ঘর কয়েক বৎসরের মধ্যেই ভেঙ্গে গেলে ফিরে এসেছিল ইংল্যন্ডে। ছিল মাত্র বৎসর খানেক, এর পরে একদিন বলা নেই কওয়া নেই, মা’কে জানিয়ে গেল যে, সে তার এক নতুন বান্ধবীকে সাথে করে চলে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড-এ। সেখানেই ঘর বাঁধবে। জেনিস তখন মাঝ বয়সি এক নারী। চেয়েছেন সন্তানরা তার কাছেই থাকুক। থাকুক চোখের সামনে। কিন্তু ফল হয়নি।
বড় সন্তান রিচার্ড ছিল সাউথশিল্ড-এ। নিউক্যাসল থেকে মাত্র ঘন্টা খানেকের পথ। থাকে তার বান্ধবীর সাথে। দু’জনে মিলে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। জেনিস একা এক বাড়ীতে। অতবড় বাড়ীটা একেবারেই ফাঁকা থাকে। বয়স হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। এখন তিনি আর আগের মত কাজও করতে পারেন না, আর তার তেমন কোন ইচ্ছাও নেই। আজ কাল আবার এক সমস্যা শুরু হয়েছে, তিনি যেন সব কিছু কেমন গোল মাল করে ফেলেন। ভুলে যান সবকিছুই। ছোট খাটো জিনিস, চুলার গ্যাসটা সুইচ অফ করা, কিংবা পানির ট্যাপ বন্ধ করা, কিংবা ঘরের বাইরে যাবার সময় দরজাটা বন্ধ করা, এরকম সামান্য কাজগুলোও তিনি ভূলে যান।
আটান্ন বৎসর বয়সের এখনও সুঠাম দেহের অধিকারীনি জেনিস একদিন অফিস থেকে আসতে গিয়ে রাস্তা ভুলে চলে গেছেন ভিন্ন এক এলাকায়। আর একদিন রাত দুপুরে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে উঠে হাঁটা দিয়েছেন রাস্তা ধরে, তাও আবার সদর রাস্তা! আর গা’র বস্ত্র বলতে রাত্রীকালিন পোষাক! রাস্তায় পুলিশ তা দেখে তাকে থামায় এবং দু’একটা প্রশ্নের পরেই তারা বুঝতে পারে যে, মহিলার স্মৃতিতে সমস্যা হচ্ছে। তারাই তাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
এর পরে সোস্যাল সার্ভিস থেকে শুরু করে মেন্টাল হেলথ টিম, নানান ডিপার্টমেন্টের নানান এ্যসেসমেন্ট শেষে স্থির হয় যে, জেনিস আর একা একা নিজের বাড়ীতে থাকতে পারবেন না, এটা তার নিরপাত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ। অতএব, তাকে সোস্যাল সার্ভিসের শেল্টার্ড হাউজে নিয়ে যায় হয়। জেনিস চেয়েছিলেন এবং আশা করেছিলেন যে, মাত্র কয়েক মাইল দুরে থাকা তার বড় ছেলেটা এ সময়ে তার দিকে এগিয়ে আসবে, তাকে শেল্টার্ড হাউজে, যেখানে জেনিস কাউকেই জানে না, কাউকেই চেনে না, সেখান থেকে নিয়ে নিজের কাছে রাখবে। বা অন্তত জেনিস তার নিজের বাড়ীতে গিয়ে থাকবে। কিন্তু সোস্যাল সার্ভিস কর্তৃক বারংবার যোগাযোগ সত্তেও রিচার্ড মা’র সাথে কিংবা সোস্যাল ওয়ার্কারের সাথে যোগাযোগ করেনি, মাকে দেখতেও আসেনি।
এর পরে থেকেই জেনিস-এর মানসিকতা, সেই সাথে তার শারিরিক অবস্থারও দ্রুত অবনতি হতে থাকে। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হন তিনি, তার চিকিৎসাও চলে বেশ সফলভাবে। কিন্তু ডিপ্রেশন থেকে উঠে আসতে না আসতেই তিনি আক্রান্ত হন ষ্ট্রোকে। মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে তার পর পর দু‘বার ষ্ট্রোক হয়। শরীরের ডান দিকটা প্যরালাইজড হয়ে পড়ে। অনেকদিন ফিজিওথেরাপি নিয়ে এখন কিছুটা ভালো, তবে তাকে সব সময়ই হুইল চেয়ারে বসে চলা ফেরা করতে হয়। নিজে সে হুইল চেয়ার ঠেলতে পারেন না, একজন কেয়ার এ্যসিষ্ট্যান্ট সব সময় তার সাথে লেগেই রয়েছে তাকে সহায়তা করার জন্য।
ভারতীয় মিসেস কাউর-এর সাথে বৈঠকে বিশদ জেনে ভাবতে থাকলাম, কি ভাবে জেনিস-এর ডিপ্রেশনটা কাটানো যায়, অন্তত কিছুটা হলেও। তিনি পুরানো দিনের গান ভালো বাসতেন, সেরকম গানের আয়োজন, তার সাথে প্রতিদিনই কিছুটা সময় কাটানোর, মাঝে মধ্যে নাচের আসরে নেয়া, লোকাল পার্ক, স্থানীয় ক্যাথলিক চার্চে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তার ‘নেকষ্ট অব কীন’ কে খবর দিয়ে এর সাথে একটা বৈঠকের আয়োজন করার পরামর্শ দিতেই তিনি জানালেন, জেনিস এর ‘নেকষ্ট অব কীন‘ তো সপ্তাহের চারদিনই আমাদের এখানে আসেন কিন্তু তিনি তার মা’র সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না।
শুনে অবাক হলাম। তিনি প্রায় প্রতিদিনই আসেন, কিন্তু জেনিস এর সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না! তা হলে তিনি কেন আসেন? ‘তিনিতো আমাদের এখানেই চাকুরি করেন’ জানালেন মিসেস কাউর।
আমাদের এখানেই চাকুরি করেন? কে তিনি ? অবাক বিষ্ময়ে জানতে চাইলে তিনি জানালেন আমাদের হ্যান্ডিম্যান রিচার্ড-ই জেনিসের নেকষ্ট অব কীন, তাঁর সন্তান।
মিসেস কাউর এর কথা শুনে তার দিকে হা করে চেয়ে রইলাম। নিজের কাছের কেমন যেন অবিশ্বাস্য ঠেকছিল পুরো বিষয়টা। তাকে বিদেয় দিতেই বললাম, তুমি যাও, আমি নিজেই রিচার্ডের সাথে কথা বলব সময় করে।
এর পরের দিনেই রিচার্ড‘কে ডেকে তার মা'র কথাটা বললাম। তার সহায়তা চাইলাম সে যেন তার মা’কে সপ্তাহে দু’চারদিন ভিজিট করে, তাহলেই বাকিটা আমরা পারবো। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে রিচার্ড বললেন যে, তিনি সংসার চালাতে এতটাই ব্যস্ত যে, তার নিশ্বাস ফেলারও সময় নেই। তিনি সারাক্ষণ অফিসে তো ব্যস্ত থাকেনই, এর পরে অফিস থেকে বাড়ী গিয়ে তার চার’টি প্রিয় কুকুরকে দেখাশোনা করতে হয়, তাতেই তার সময় শেষ। সে আমাকে পরামর্শ দিয়ে বলল, আমি যেন তার মা’র জন্য কনসালটেন্টের সাথে পরামর্শ করে তার ডিপ্রেশনের ঔষধটা চেঞ্জ করার আয়োজন করি। তার মতে, সেটাই উত্তম।
সেই থেকে তার প্রতি আমার মনটা বিষিয়ে আছে একরকম। এর মধ্যে বৎসর দেড়েক আগে জেনিস নিউমোনিয়ায় ভুগে মারা গেছেন, কিন্তু রিচার্ডকে আমি সেদিনও কাঁদতে দেখিনি। আজ তার সেই সন্তান, আদরের সন্তান রিচার্ড, আমার সামনে কাঁদছেন। তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে!
কারণ, গত রাতে তার শখের কুকুরটা মারা গেছে পশু হাসপাতালে! ক’দিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল কুকরটার, কিন্তু এর পরে ইনফেকশন হলে সে গতরাতে মারা যায়। প্রিয় কুকুরের মৃত্যুটা রিচার্ডকে দারুণভাবে কষ্ট দিচ্ছে! সে কোন মতেই কাজে মন বসাতে পারছে না!! ছুটির দরকার ক’দিন!!!
আমি হতবিহ্বল হয়ে তাকে দেখছিলাম। রাগে, ক্ষোভে আর দু:খে ভেতরটা তখন কাঁপছে। বার বার তার মা’র মুখটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। কি নিদারুণ নি:সঙ্গতা, অবজ্ঞা আর কষ্ট নিয়ে ভদ্রমহিলা, একজন জন্মদাত্রী মা, মারা গেলেন, সন্তান তার দিকে ঘুরেও তাকায়নি! আজ সেই সন্তানই কি না তার প্রিয় কুকুরের মৃত্যুতে কাতর হয়ে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে!
আহা, জেনিস বেঁচে থাকলে এটা দেখে তৃপ্ত হতেন যে, তার সন্তানের মনের কোণে কিছুটা হলেও অন্তত মায়া (!) বলে একটা জিনিস আছে। সে এখনও একেবারে পাথর হয়ে যায়নি!
লিসার তাগাদায় সম্বিৎ ফিরে পেয়েই তার হাত থেকে কাগজটা টেনে নিয়ে একটা সই করে আবার তা ফেরত দিলাম। কিন্তু বুকের ভেতর থেকে একদলা ঘৃণা যেন উঠে এসে বলতে চাইল; ‘দুর হ হতভাগা’!
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুর হ হতভাগা নয় । দুর হ কুলাংগার ।
রিচার্ডদেরকে দেওয়া এই সমাজ জেনিসদেরই সৃষ্টি ।
রিচার্ডদেরকে দেওয়া এই সমাজ জেনিসদেরই সৃষ্টি ।
অনস্বীকার্য বাস্তবতা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
কুকুর প্রেমীদের জন্য হয়তো মাদিবস দরকার কিন্তু আমাদের জন্যনয় ।
আমি মা দিবস মানিনা, মানিনা, মানিনা....
পড়া ও ম্নতব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটাই আধুনিক সভ্যতার প্রকৃত চিত্র! অনেক সত্যের আসল রূপ এর চেয়েও ভয়াবহ!! ধন্যবাদ সত্য একটি ঘটনা পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। চেতনাদয় হবে কি? মা দিবস পালনের কৃত্রিম ভালোবাসা আমাদের বিবেককে আদৌ পরিশুদ্ধ করবে কি?
মন্তব্য করতে লগইন করুন