প্রাকটিসিং মুসলমানের মা এবং সেকুল্যার, অমুসলিমের মা- বনাম ভন্ডামির ‘মাদারস ডে‘। ছবিতে ছবিতে তার প্রমাণ
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৪:৩৪:০৮ বিকাল
আজ নাকি বিশ্ব মা দিবস; ‘মাদারস ডে‘। সারা পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে ঘটা করে দিবসটি পালন করা হবে। হচ্ছেও। ইংল্যন্ডে আমার বাড়ীর আশে পাশে প্রতিবেশীদের অনেকেই ইংলিশ ও অন্যান্য দেশের ইউরোপীয়। তাদের সন্তানেরা আজ ঘটা করে মা‘র জন্য গ্রিটিংস কার্ড কিনবে, ফুল কিনবে। মা‘র হাতে দেবার জন্য কেউ কেউ হয়ত বাজার থেকে কেক বা মা‘র পছন্দের তালিকা থেকে এক বোতল পানীয়, এক বোতল মদ বিয়ার কিনে আনবে। মা‘র হাতে তুলে দেবে। হ্যাপী মাদারস ডে বলে মা‘র সামনে কতই না আদিখ্যতা দেখাবে।
অথচ এই সন্তানেরাই সারাটা বছর মা‘র কোন খবরই নেয় নি। মা‘কে পরিত্যক্ত অস্থায় ফেলে রেখে হাঁটা দিয়েছে তার নিজের গন্তব্যে! আমার কর্মস্থলে কত মা‘কে দেখি তাদের সন্তানের অপেক্ষায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে! অনেকে তো বছরের পর বছর সন্তানের মুখটা দেখার অপেক্ষায় থেকে থেকেই আশাহত হয়ে শেষ পর্যন্ত পরাপারে পাড়ী জমান। এই তারাই আবার ঘটা করে বছরের একটা দিন পালন করে মাদারস ডে! ভন্ডামি আর কাকে বলে? তাদের মা‘ যখন অসহায়, প্রবীণ, তখন তার অবস্থাটা কেমন হয়? কদাচি্ত ব্যতিক্রম বাদে উপরের একটা এবং এই নীচের চিত্রটাই তার প্রমাণ।
আর এর বিপরিতে একজন প্র্যাকটিসিং মুসলমানের মা বুড়ো বয়সে কেমন থাকেন? তাও উপরের একটা সহ দেখুন নীচের চিত্রটিতে:
আমি মুসলমান। আমার জীবনের প্রতিটি দিনই আমার কাছে মা' দিবস। মাকে সম্মান করতে, তার প্রাপ্য অধিকার দিতে আমার কোন মাদারস ডে'র প্রয়োজন হয় না। আমার জন্য আল কুরআনই যথেষ্ট। (দেখুন: আল কুরআন; সুরা:১৭ আয়াত ২৩-২৪, সুরা: ৪, আয়াত-৩৬ সুরা: ৩১, আয়াত-১৪, সুরা ৪৬, আয়াত- ১৫)
বিষয়: বিবিধ
২০৭৪ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Thanks
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
যাকাতের শাড়ির অপেক্ষায়..............।
নিচে দেখুন : ছবি কথাবলে.........
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আমদের প্রাকটিসিং মুসলিমদের দেশে খ্রিষ্টমাস ডিনার, শেল্টার হাউজ বা নার্সিং হোমের থাকলে তো বেচেই যেতাম। কিন্তু বাস্তবে আমরা ঘর থেকে বেড় হলেই পথে, ঘাটে, আনাচে, কানাচে বৃদ্ধ দুঃস্থ চিন্নমুল মানুষ না খেয়ে পরে আছে যত্রতত্র।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : বাংলাদেশ এত প্রাকটিসিং ইসলামী কারখানা থাকা সত্বেও হটাৎ নৈতিক ও সামাজিক সচেতনতার কাঙ্গাল কেন?A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আগে বুঝেন্নাই যুক্তি-মেধার ঠেলা সামলানো কঠিন??A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : কেন ভাই, ইসলাম কি সুমিষ্ট রসোমালাই নাকি যে সবাইকে হাঁসের মত গদগদ করে গিলতে হবে?প্রাকটিসিং মুসলিমরা মানুষের
গায়ে পাথর মেরে ইসলাম প্রাকটিস
করছে
ছবির সঙ্গে বক্তব্যের মিল নেই।
ধন্যবাদ।
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (আল কুরআন-১৭ আয়াত-২৩)
তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। (আল কুরআন-১৭ আয়াত-২৪)
আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। (আল-কুরআন-৩১, আয়াত-১৪)
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। (আল-কুরআন- ৩১, আয়াত-১৫)
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম। (আল-কুরআন- ৪৬, আয়াত-১৫)
যাযাকাল্লাহু খাইরান।
সম্মাণিত ভাই, তাকে ব্যান করার অধিকার আপনার কাছে কিন্তু শব্দ ব্যবহারে আরো সর্তক হতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন