মুখোমুখি হতেই হবে। মুখোমুখি হলেই----

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২২ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:২৫:৫৬ রাত

আমেরিকা। এক অশীতিপর বৃদ্ধা লাঠি ভর করে বুক ষ্টোরে এসে সেলসম্যানের কাছ একটা বই চায় “ঐ বইটা দাও তো বাপু”। সেলসম্যান জানতে চান ‘কোন বইটা ম্যাডাম?’ বুড়ির ত্বরিৎ চিত্তাকর্ষক জবাব ‘ঐ যে, ঐ বইটি, যেটি পড়ে ছয় বৎসরের শিশুও জিহাদ ছাড়া কিছুই বুঝে না’।

তারপর?

প্রাচীন গ্রীসে ও এথেন্সের সেই কুখ্যাত থার্টি টাইরান্ট () বা তিরিশ উৎপীড়ক, যাদের প্রজাপীড়ন শেষপর্যন্ত এথেন্সের পতনই ডেকে এনেছিল। তাদের নাম ও চরিত্র বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো রচিত রিপাবলিক নামক বিখ্যাত গ্রন্থের প্রতিটি পাঠক, বিশেষ করে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রমাত্রই জানেন। আজকের বিশ্বে দেশে দেশে ছোট বড় সেরকম টাইর্ন্টাদের উপস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিগত শতাব্দীর প্রায় পুরোটাই জুড়ে ছিল এরকম টাইরান্টদের উদ্ভবকাল।

বর্তমান নতুন শতাব্দীতেও সে ধারা চলছে। কেবল চলছেই না বরং তা আরও শতকৌশলে বিশ্বের মজলুম জনতা, বিশেষ করে, মুক্তিকামী তৌহিদি জনতাকে আষ্টেপিষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে যেন। শতাব্দীর একেবারে শুরুতে হঠাৎ করেই যেন এক ক্ষমতাদর্পী দাম্ভিক টাইরান্ট গোষ্ঠির সদর্প আত্বপ্রকাশ। এতদ্রুত তার বিকাশ ও বিস্তার যে অনেক বাঘা বাঘা জাঁদরেল নেতারা পর্যন্ত বিষ্মিত হয়েছেন, হতচকিয়ে গেছেন। ইহুদি-পৌত্তলিক-যায়নবাদী খৃষ্টান ও ধর্মনিরপেক্ষতার বাতাবরণে ঘরের শত্র“ মুনাফিক গোষ্ঠি, চরম ইসলাম বিদ্বেষী এই চার শক্তি সমগ্র বিশ্বজুড়ে ইসলাম, মুসলমান ও এতদ্বসংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের উপরে খড়গহস্ত হয়ে উঠেছে।

এরা যে হঠাৎ করেই এরকম ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তা কিন্তু নয়। বরাবরই তারা ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত। বিগত অর্ধশতাব্দী কাল ধরে বন্ধু সেজে ভেতর থেকেই ছুরি চালাতে থাকলেও একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্ন হতে একেবারে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েই নেমে পড়েছে যেন! ইসলাম ও মুসলমান উভয়কেই এ বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হিসেবে অভিহিত করে এ থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি (?) দেওয়াটাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় মিশন!

তাদের প্রকাশ্য আর অপ্রকাশ্য কর্মকান্ডের ফল এতটুকই হয়েছে যে, ইসলাম ও মুসলমানদের ঘিরে তারা যত বেশী অপকর্ম করেছে, যতবেশী জীবন ও সম্পদের হানী ঘটিয়েছে মুসলমানদের মৃত চেতনা ততবেশী দ্রুততার সাথে জেগে উঠেছে! মুসলমানদের যতবেশী বাঁধনে বাঁধার চেষ্টা করেছে, মুসলমান ততবেশী মুক্তিকামী হয়ে উঠেছে, ইসলাম ততবেশী বিকশীত হয়েছে ফুলে ফলে, শাখা পল্লবে। আর আজ তা ওদের নিজেদের ঘরের ভেতরেই ঠাঁই করে নিয়েছে!

ঘুমন্ত সিংহকে জাগাতে বাঁশির মিহি সূর নয়, প্রয়োজন হয় গগণবিদারী হুংকার। তেমনি একটি আত্বভোলা জাতিকে তার সর্বনাশা ঘুম ভাঙ্গাতে রবীন্দ্রনাথের তন্দ্রালূ সূরের সংগীত নয়, বরং প্রয়োজন পরে বিদ্রোহী কবির রণহুংকার! আর ইসলাম বিদ্বেষী ঐ চারটি অপশক্তি এই রণহুংকারটিই দিয়েছে। সুপার পাওয়ার টাইরান্ট আমেরিকার নেতৃত্বে ‘ওয়ার অন টেরর' বা সন্ত্রাসবিরোধি যুদ্ধের চটকদার শ্লোগাণে এরা যেখানেই ইসলাম ও মুসলিম জাগরণের অস্তিত্ব দেখেছে, সেখানেই আক্রমণ চালাচ্ছে।

আকাশ সংস্কৃতির যুগে স্যাটেলাইট মিডিয়া ও টিভি নেটওয়ার্ক একটি শক্তিশারী মাধ্যম বটে। এ মাধ্যমটিকে ভর করে আমেরিকা ও তার দোসররা সারা বিশ্ববাসীকে ঘরে বসেই দেখিয়েছে দশ বৎসর বয়সী ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসী’ (প্রতিবাদী শিশু) ততোধিক ভয়ংকর অস্ত্র(!) পাথর হাতে বুক টান করে দাঁড়িয়ে গেছে সুপারগান, শটগান, কালাশনিকভ সজ্জিত শান্তিপ্রিয় (!) ইসরাইলী, ভারতীয়, আমেরিকান সৈন্য ও তাদের টাংকের সামনে! দেখিয়েছে কিভাবে বিগত পঞ্চাশটি বছর ধরে এসব ভয়ংকর সন্ত্রাসী (মুজাহিদ নয়!) কাশ্বীরী যুবক ভারতীয় আধুনিক ও (?) শক্তিধর সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি টিকে আছে। দেখিয়েছে বসনিয়া, কসোভো, চেচনিয়া, আরাকান, আফগানিস্থান, সিরিয়া, মিন্দানাও এবং মিশরে বিশ্ববাসীর চোখের সামনে, জাতিসংঘের নাকের ডগায় বাস করে আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও মানবতার চৌকিদাররা লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র নারী পুরুষ শিশুকে কিভাবে হত্যা করছে!

দেখিয়েছে, জাতিসংঘের অমানবিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ইরাকে লক্ষ লক্ষ মানব শিশু ক্ষুধায়, রোগে-শোকে মৃত্যুবরণ করেছে। সুদান, সোমালিয়া, ইরাকের জনগণ অভূক্ত থেকেছে তারপরেও মাথা নত করেনি! দেখিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের শেখ, ধনকুবের আদরের দুলাল, যারা এয়ারকন্ডিশন বাড়ী, বিলাশবহুল গাড়ী, বিশ্বব্যাপী প্রমোদ ভ্রমণের সুযোগ, সব ছেড়ে দিয়ে নিজ আদর্শ রক্ষায় পাহাড়ের গুহাকে একমাত্র ঠিকানা, ছেঁড়া কম্বলকে বিছানা, পাথুরে ইটকে বালিশ আর শুকনো রুটিকেই ক্ষুণ্নিবৃত্তির একমাত্র মাধ্যম বানিয়েছে, আর এর বিপরিতে বিশ্ববাসী দেখেছে তথাকথিত মানবদরদী গোষ্ঠি একটি পাথরের মুর্তিকে রক্ষায় সর্বস্ব নিয়ে সচেষ্ট, পাশেই রোগ, শোক, জ্বরা আর ক্ষুধায় কাতর মানবশিশুর প্রতি ভ্রক্ষেপও করেনি! অথচ এ মানব শিশুর কান্নার আওয়াজ ইথারের গায়ে ভেঁসে ভেঁসে সারা বিশ্ববাসীর কর্ণকুহরে পৌছে গেছে ঠিকই!

মনের উপরে কি জোর খাটানো যায়? সেখানে কি মিসাইল, কি প্যাট্রিয়ট, কি নাপাম, কি এটম, শক্তি খাটায়? না, তা খাটাতে পারে? এসব চিত্র মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর দেখার পরেও রাজনীতির কুটিল প্যাঁচমুক্ত সাধারণ জনগোষ্ঠিীর মনে কি কোন ক্রিয়া, কোন প্রতিক্রিয়া ঘটায়নি? যদি নাই ঘটায়, তা হলে কেন আজ আমেরিকার ঘরে ঘরে মানুষ আল কুরআনের একটি কপি হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে? কেন তারা ইন্টারনেটে ইসলামিক ওয়েব সাইটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে? কেনই বা তারা শত শত প্রশ্ন পাঠিয়ে ইসলামকে জানতে চাচ্ছে? ইউরোপ আমেরিকায় ইসলামিক সেন্টারগুলোতে কেন আজ অমুসলিমদের উপচে পড়া ভীড়?

নাইন ইলেভেন’এর কয়েকদিন পরের কথা। সি এন এন-এর পর্দায় ক’দিন ধরে বিরতিহীন দেখানো হলো মুসলিম দেশসমুহের আনাচে কানাচে মাটিতে বসে বসে কচি কচি শিশু-কিশোর সূর করে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে কুরআন পড়ছে, এভাবেই নাকি তৈরী হচ্ছে আগামি দিনের সন্ত্রাসী যারা ভবিষ্যতে আরও বড় বড় সন্ত্রাসী আক্রমণ ঘটাতে ছুটে যাবে বিশ্বের দিকে দিকে।

উক্ত টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক বেন উইম্যানের সেই বিখ্যাত সাক্ষাতকারটি কি বৃথা গেছে? যে সাক্ষাৎকারটিতে ইসরাইলী সৈন্যদের হাতে পিতা হারানো ছয় বৎসরের এক বালককে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ববাসী বিষ্ময়ের সাথে দেখেছে ছয় বছরের ঐ শিশুটিকে সাংবাদিক একটা সুন্দর ক্যামেরা দিতে চাইলে নেয়নি। হাতের মোবাইল ফোনটি দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেনি। কি নিতে চায় সে? জানতে চাইলে অদুরে দাঁড়িয়ে থাকা ইসরাইলী সৈন্যের কাঁধে ঝুলে থাকা মেশিনগানটি দেখিয়ে দেয়; ওটা চায় সে!

বিষ্ময়াভিভুত সাংবাদিক জানতে চান শিশুটির কাছে, ঐ মেশিনগানটি দিয়ে সে কি করবে? এতক্ষণ আড়ষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটি হঠাৎ করেই তার সকল জড়তা কাটিয়ে বুক টান করে সাংবাদিক সাহেবের চোখের উপরে চোখ রেখে বলে উঠল; সে জিহাদে যাবে! হতভম্ব সাংবাদিক! হতভম্ব বিশ্বের কোটি কোটি অমুসলিম দর্শক! হতভম্ব জিহাদ ভুলে ঘরের কোণে নারীর আঁচলে জান্নাত সন্ধানে ব্যস্ত কোটি কোটি ‘মুসলমান’ও বটে!!

দৃশ্যটি কি কারো নেই দাগ কাটেনি? যদি দাগ না’ই কাটে তা হলে কেন অশীতিপর বৃদ্ধা লাঠি ভর করে বুক ষ্টোরে এসে সেলসম্যানের কাছ একটা বই চায় “ঐ বইটা দাও তো বাপু” সেলসম্যান জানতে চান ‘কোন বইটা ম্যাডাম?’ বুড়ির ত্বরিৎ চিত্তাকর্ষক জবাব ‘ঐ যে ঐ বইটি, যেটি পড়ে ছয় বৎসরের শিশুও জিহাদ ছাড়া কিছুই বুঝে না’।

সেলসম্যানের আর বুঝতে বাঁকি থাকে না বুড়ি কোন বই চাচ্ছেন। পুরো পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে বেষ্টসেলার গ্রন্থ আল কুরআনের একটা কপি বের করে দিলে বুড়ি সাগ্রহে তা হাতে নিয়ে ত্রস্ত পা’এ ছোটেন বাড়ীর পানে; পড়ে দেখতে হবে কি আছে এটাতে!

ধনকুবের মুসলমান ইসলামের দাওয়াত ভুলে মৌজে মেতে আছে তো কি হয়েছে? আল্লাহ চাইলে কি না পারেন? তিনি ইহুদীর টাকায় প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া দ্বারা আল কুরআনের দাওয়াত, ইসলামের দাওয়াত মানুষের মাঝে পৌছে দিয়েছেন। সারা বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার চ্যানেল চব্বিশঘন্টা তারস্বরে চিৎকার করে চলেছে “ইসলাম এলো” “ইসলাম এলো” বলে। এর কি কোন ফলই হয়নি? হয়েছে। হয়েছে বলেই না এক আমেরিকা জুড়ে বৎসরে এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হচ্ছে। দিন রাত যে ইসলামকে ‘ফ্যানাটিকদের ধর্ম’ বলে গালাগাল করা হলো, সেই ইসলামকেই ব্যগ্রতার সাথে গ্রহণ করছে তারা!

আসলে এরকমই হয়। আমরাই কেবল বুঝি না বা বুঝতে চাই না। বিজয়ের যখন জোয়ার আসে তখন এরকমই হয়। বিগত শতদাব্দীর শেষার্ধে এসে অনেক বিদগ্ধজনই বলেছিলেন ‘আগামি শতাব্দী হবে ইসলামের’। আমরা আজ তাদের সেই ‘আগামি শতাব্দী’তে এসে দাঁড়িয়েছি। এ শতাব্দীঅর একেবারে সূচনাতেই মুখোমসুখি হয়েছে বাতিল আর হক্ব। এটা না হলে কি হয়? মুখোমুখি না হলে কি জয় পরাজয় নির্ধারণ হয়? হয় না। বিজয়ের জন্য মুখোমুখি হতেই হয়।

এই মুখোমুখি হতে আমরা আজকের এই জানবাজ মুসলমানরা বড় ভয় পাই। ভয় পাই এই জন্য যে, হকের সাথে আমাদের সখ্যতা কম যতটা, বাতিলের সাথে সম্পৃক্ততা ততটাই বেশী। আমরা কল্পনাবিলাসে মত্ত, আসমান হতে কোন গায়েবী মদদ এসে বাতিল উৎখাতে মুসলমানদের কাজটা আন্জাম দিয়ে যাবে, আমরা নিরাপদে বসে বসে জিকির আযকারে ব্যস্ত থেকেই জান্নাত নিশ্চিত করে নেব!

না, এভাবে কোনদিন হয়নি, হবেও না কোনদিন। এভাবে মুক্তি বা জান্নাত, কোনটাই পাওয়া যাবে না। সেটা আল্লাহর নীতি বা তাঁর সুন্নত নয়। ওয়ালান তাজিদা লি সুন্নাতিল্লাহি তাবদ্বীলা; আল্লাহর নীিিততে কোন পরিবর্তন হবে না।

তাই মুক্তি আর জান্নাতের জন্য মুুখোমুখি হতেই হবে। শ্বাশত হকের সাথে বাতিলের সংঘাত; মুৃখোমুখি সংঘাত হবেই। আমরা চাইলেও সে সংঘাত এড়ানো যাবে না। হ্যাঁ, তবে পালিয়ে যাওয়া যাবে বটে! পলায়নপর মানসিকতা নিয়ে এ জাতি তো বিগত হাজার বৎসর ধরে পালিয়েই বেড়াচ্ছে মুখোমুখি হওয়া থেকে, তাতে কি জিল্লতির সয়লাব কি ঠেকিয়ে রাখা গেছে?

যায়নি। চেংগিসদের হাতে বাগদাদ, বৃটিশদের হাতে ভারত ভূমি, ফার্ডিনান্ড-এর হাতে স্পেন হারানো আর বেলফোর ডিক্লারেশনের কুটচালে অথবা একেবারে স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে জাতিসংঘের আনুগত্যে জড়িয়ে, আল্লার সার্বভৌমত্বকে পাশ কাটিয়ে জাতিসংঘের সার্বভৌমত্বের নাগপাশে জড়িয়ে পড়ে হারানো ফিলিস্তিনই কেবল নয়, বরং বিশ্বের সাতান্নটি মুসলিম দেশ কর্তৃক স্বাধীনভাবে নিজ আদর্শ ও শিক্ষার ভিত্তিতে সংবিধান রচনার মৌলিক অধিকারটুকুও হারিয়ে ফেলাটাই বড় প্রমাণ!

মুখোমূখি হতেই হবে। আজ নয় তো কাল। মুখোমুখি হলেই বিজয় আসে। মুক্তি আসে অধীনতা আর অপমান থেকে। বিজয় গোপনে আসে না, গোপনে আসার জিনিসই নয় সেটি। বিজয ।আসে সাড়ম্বরে, রাজকীয় চালে, প্রকাশ্যে। আমরা মুখোমুখি হতে না চাইলে কিংবা মুখোমুখি হওয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও বিজয় ঠিকই আসবে। আসবেই সে, কারণ এটা বিজয়েরই যুগ। বিজয় যদি আসে সেই ছয় বছর বয়সি শিশুর হাতটি ধরে, আর যদি পিছিয়ে থাকি আমরা জবরদস্ত ‘আল্লামা’ ‘জানবাজ মুজাহিদ’ আর একেবারে একশতভাগ খাঁটি ‘আশেকানে রাসুল’রা, তা হলে তো প্রমাণ হয়েই গেল যে, আমরা ভীরু কাপুরুষ। মুসলমান নই। একজন মুসলমান না ভীরু হতে পারে, আর না তার কাপুরুষ হবার কোন সুযোগ আছে।

প্রমাণ হয়ে গেল, আমাদের শৌর্য-বীর্য, বিত্ত-বৈভব সব আছে। কেবলমাত্র ঈমানটুকুই নেই। আর এই ঈমান বিবর্জিত মুখ নিয়ে পৃথিবীতে মুখ রক্ষা তো হবেই না, আখেরাতেও মুখোমুখি হতে হবে এক কঠিন আজাবের। অর্থাৎ মুখোমুখি হতেই হবে। রক্ষা নেই!!

অতএব এখনই স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি কোনটার মুখোমুখি হব? মুখোমুখি হবার জন্য কতটা প্রস্তুত? পৃথিবীতে বাতিলের মসুখোমুখি হতে মিসাইল, পেট্রিয়ট, ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ড্রোন, এফ-১৬, মিগ-২৫ দরকার বটে, তবে একজন মুসলমানের জন্য তারও আগে যেটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, সেটা হলো, ঈমান। ইসলামের স্বচ্ছ জ্ঞান ও জেহাদি চেতনায় ভাস্বর পরিপূর্ণ ঈমান। আর সেটি যদি থাকে সঠিক পরিমাণ ও অবয়বে, তা হলে লা তাহজান; হতাশ হবেন না। সুসংবাদ গ্রহণ করুন, ‘নাসরুম্মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারিব’ আল্লাহর সাহায্য আর বিজয়, দু'টোই অতি নিকটে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File