প্রিয় রাসুলুল্লাহ সা: কে কটাক্ষ করায় পোপ বিনেডিক্টকে ২০০৬ সালে লেখা আমার চিঠি। (ইউরোপের পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিটা একটু বড়, দয়া করে ধৈর্যসহ পড়ুন।)
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২০ আগস্ট, ২০১৩, ১১:১২:৫৭ রাত
মাননীয় পোপ, আপনি কেবলমাত্র ইসলামকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং প্রশ্ন রেখেছেন মুহাম্মদ (স: ) এ বিশ্বকে অকল্যাণ আর অমানবিকতা ছাড়া আর কি দিয়েছেন? বলে! অবশ্য আপনি একথাটিও বলে রেখেছেন যে, প্রশ্নটি আপনার নয়, বরং চতুর্দশ শতাব্দীর খৃষ্টিয় সম্রাট দ্বিতীয় ম্যানুয়েল এর! একজন ধর্মীয় নেতা হওয়া স্বত্তেও এ ক্ষেত্রে আপনি যে রাজনৈতিক চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছেন, তা এ বিশ্বের যে কোন উম্মী লোকও বুঝতে পারে মাননীয় পোপ!
আপনার বক্তব্যে আপনি তরবারীর সাহায্যে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে, এমন ধারনাই দেবার চেষ্টা করেছেন। আপনি বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কথা বলেছেন এবং এটা স্পষ্ট যে, একথাটিই বলতে চেয়েছেন যে, ইসলাম শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই বি¯তৃতি লাভ করেছে! বলেছেন Violence is incompatible with the nature of God and the nature of the soul. ‘সন্ত্রাস মানব চরিত্রের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নয়’
মাননীয় পোপ, আমরা আপনাকে সবিনয়ে জানিয়ে রাখতে চাই যে, আমরা যে ইসলামের অনুসারী, সেই ইসলাম আমাদেরকে ‘লা ইকরাহা ফিদ দ্বীন’ বলে এমন অকাট্য নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, কোনদিন কোন মুসলমান কল্পনাও করতে পারেন না বলপ্রয়োগে ধর্মান্তকরণের বিষয়টি।
ইসলাম যদি শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই বি¯তৃতি লাভ করে থাকত, তবে সাতশত বৎসর ভারত শাসন করেও তারা সেখানে সংখ্যালঘু হত না। বল প্রয়োগের দ্বারা ধর্ম প্রচারের ফলে কি অবস্থা হয় তা বুঝতে হলে পুরো ভারতে হিন্দুদের দ্বারা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৌদ্ধদের কিভাবে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সে ইতিহাস দেখতে হবে। দেখতে হবে, মুসলিম শাসিত স্পেন কিভাবে মুসলিম শূন্য করা হয়েছে খৃষ্টানদের দ্বারা, সে বিষয়টি।
দেখতে হবে এককালের মুসলিম রাষ্ট্র মারদেকা (বর্তমান ফিলিপিনস্)কে কিভাবে ধর্মান্তরিত করে খৃষ্ট রাষ্ট্র করা হয়েছে, সে বিষয়টি! দেখতে হবে তিনশত বৎসরে আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনে কিভাবে মুসলমান সহ স্থানীয় পৌত্তলিক ও অন্যান্যধর্মীদের ধরে ধরে গা’র জোর কিংবা প্রলোভনে ফেলে খৃষ্টান বানানো হয়েছে, সে বিষয়টি!
জনাব পোপ, স্পেন বা জেরুজালেম বা সিরিয়ায় খৃষ্টিয় ক্রুসেডারদের দ্বারা কি আচরণ করা হয়েছে মুসলমান এবং ইহুদিদের প্রতি, সে কথা আপনার নিশ্চয়ই অজানা নয়, তারপরেও আপনার জ্ঞাতার্থে কেবলমাত্র একটি উদাহরণই তুলে ধরব। তার আগে আপনাকে একথাটিও জানিয়ে রাখি যে, কোন মুসলমান ঐতিহাসিকের রচনা হতে উদ্ধৃতি দেব না, পাছে আবার আপনার সন্দেহ হয় তার যথার্থতা নিয়ে! আমি বরং একজন খৃষ্টান, Prof. Hans Ebehard Mayer কর্তৃক রচিত ক্রুসেডের ইতিহাস হতে একটি ছোট্ট উদ্ধৃতি তুলে ধরছি, লক্ষ্য করুন তিনি কি বলতে চান;
…. The governor and his retinue were the only Muslims to escape alive. The intoxication of victory, religious fanaticism and the memory of hard ship bottled up for three years exploded in a horrifying of blood bath in which the crusaders hacked down every one, irrespective of race or religion who was unfortunate enough to come within reach of their sword's. They wedded ankle deep in blood through streets covered with bodies…The Muslim was profoundly shocked by this Christian barbarity. It was a long time before the memory of this massacre began to fade. (The Crusades, Hans Edhered Mayer, page no. 60)
ভাবানূবাদ: ‘গভর্নর ও তাঁর সভাসদবর্গই ছিলেন পালিয়ে বাঁচা একমাত্র জীবিত মুসলমান। বিজয়ের উন্মত্ততা, ধর্মীয় গোড়ামী, এবং তিন বৎসর ধরে চেপে রাখা কষ্টের স্মৃতি বিস্ফোরতি হলো ভয়ংকর এক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে, যাতে ক্রুসেডারগণ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে, দূর্ভাগ্যক্রমে যারাই তাদের তরবারীর নাগালের মধ্যে এসে পড়ল, তাদের। মৃতদেহে ছেয়ে যাওয়া রাস্তায় পা’র গোড়ালি সমান রক্তের ভেতর দিয়ে অতি কষ্টে তারা হেঁটে যেতে লাগল---। খৃষ্টানদের এ হেন বর্বরতায় গভীরভাবে হতবাক হয়ে গেল মুসলিম দুনিয়া। দীর্ঘ সময় লেগেছিল হত্যাকান্ডের এ স্মৃতি মিলিয়ে যেতে।’
এই বর্বরতা আর নৃশংসতার জন্য আমরা কিন্তু খৃষ্টধর্ম’কে যেমন দোষারোপ করি না, তেমনি অতি অবশ্যই যীশু খৃষ্ট হজরত ইসা (আ: ) এর উপরেও এ বর্বরতার দায়িত্ব চাপাই না। কারণ আমরা জানি, তিনি একজন সম্মানিত নবী ছিলেন এবং আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাস পোষণকারী মুসলমান!
মাননীয় পোপ, আপনি কি স্মরণ করে দেখতে ও দেখাতে পারেন, বিশ্ব ইতিহাসে কোনদিন মুসলমানরা কোন ইহুদীকে বা খৃষ্টানকে পুড়িয়ে মেরেছে? ইনকুইজিশনের নামে পুড়িয়ে মারাটা মুসলমানদের নয় বরং আপনাদের, খৃষ্টানদের ইতিহাস! পোপের অনুমোদনেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে লক্ষ লক্ষ ইহুদি, মুসলমান আর প্যাগানকে, তা আপনি ভাল করেই জানেন। আপনি কি দেখাতে পারবেন, কোন বিজীত দেশে মুসলমানদের হাতে সংখ্যালঘূ স¤প্রদায় তাদের স্বকীয়তা হারিয়ে নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেছে?
আপনি বোধ হয় জানেন যে, আপনাদের হাতে তাড়া খেয়ে স্পেন হতে বিতাড়িত, জান নিয়ে পালিয়ে আসা ইহুদিদের বিগত ছয়শত বৎসরাধিকাল ধরে আশ্রয় দিয়ে চলেছে মুসলিম বিশ্ব! খোদ মরক্কো আর মিশরে খোঁজ নিলেই তার সত্যতা জানতে পারবেন!
আপনার যৌবনের সময়কালটা স্মরণ করুন মাননীয় পোপ, যখন আপনি ফ্যাসিষ্ট হিটলারের যুবকমান্ডের একজন জাঁদরেল কর্মী ছিলেন, তখন আপনার আমলেই কিন্তু লক্ষ লক্ষ ইহুদিদের হত্যা করা হয়েছে! নিশ্চয়ই আপনার সেকথা স্মরণ আছে, তা অবশ্য থাকারই কথা! কারণ আপনি নিজেই সেই ঘাতক বাহিনীর একজন কর্মী ছিলেন। আপনার চোখের সামনেই আজ যখন ফিলিস্তিনে ধরে ধরে মুসলমানদের হত্যা করা হলো এবং এখনও হচ্ছে, তখন কিন্তু আপনি বলেন নি; Violence is incompatible with the nature of God and the nature of the soul.
মাত্র ক’টি বৎসর আগে এই ইউরোপের বুকেই পুরো বিশ্ববাসীর চোখের সামনে, এমনকি আপনার নিজের চোখের সামনেই বসনিয়া, কসোভোতে যে বর্বরতা চালানো হলো! সে কথা নিশ্চয় স্মরণ আছে মাননীয় পোপ, কারা সে বর্বরতা চালিয়েছিল? কেন এবং কোন স¤প্রদায়ের উপরে সেই বর্বরতা চালানো হয়েছিল? সে কথাও নিশ্চয়ই আপনার অজানা নেই! ধর্মবিশ্বাসে তারা কারা ছিল? তাও আপনি খুব ভালো করেই জানেন, তখন আপনি ভ্যাটিক্যানের কার্ডিনাল হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালনরত, তখনও আপনি একথাটি আপনার অনুসারীদের কানে তুলে দেননি। দিলে হয়ত কিছু মুসলমানের জীবন বাঁচত!
আজ যখন ইরাক, আফগানিস্থান জুড়ে প্রতিদিন শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তখনও আপনার কোন বক্তব্য নেই, কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। আপনি আজ আরও অনেক বড় পদে আসীন, কিন্তু একটিবারের জন্যও কি আপনার অনুসারীদের কিংবা বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে বললেন যে; Violence is incompatible with the nature of God and the nature of the soul.
আপনার মুখে টু শব্দটি নেই সে ব্যাপারে! কেন নেই, তা আপনি না বললেও আমরা খুব ভালো করেই জানি! নেই, কারণ, যারা মরছে তারা মুসলমান, বিশ্বে ঐ আপদ(!) যত কমে ততই বিশ্বের মঙ্গল! তারা বিশ্বের আপদ! কারণ, তারা ইসালামের অনুসারী! আর ইসলামকে যে আপনি সন্ত্রাসের সমার্থক বলে মনে করেন! ২০০১ সালে নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী আক্রমণের পরে আপনি নিজেই ভ্যাটিকান রেডিওর সাথে স্বাক্ষাৎকারে বলেছেন "It is important not to attribute simplistically what happened on 11 September to Islam. "It is true that the history of Islam also contains a tendency to violence, but there are other aspects, too - a real openness to the will of God. "
এখানেও আপনি ইসলামকে সন্ত্রাসের সমার্থক করে দেখেছেন এবং দেখাবার চেষ্টা করেছেন! আমরা আপনার মানসিকতা জানি বলেই যখন জার্মানিতে গেল সপ্তাহে সেই চতুর্দশ শতাব্দীর এক খৃষ্ট সম্রাটের উক্তির আড়ালে আপনার বিবৃতি চালিয়ে দিতে চেয়েছেন, বর্তমান বিশ্ব রাজনৈতিক আবহের প্রেক্ষাপটে একটা বিরাট সুযোগ নিতে চেয়েছেন, তখন আপনার আসল উদ্দেশ্যটুকু বুঝে উঠতে আমাদের এতটুকুও অসুবিধা হয়নি মাননীয় পোপ!
আপনি যতই ইসলামকে সন্ত্রাস আর অকল্যাণের উৎস বলে চালিয়ে দিতে চান না কেন, আপনার অনুসারী মুক্ত চিন্তা, ধর্মীয় সংকীর্ণতামুক্ত ও বিবেকসম্পন্ন মানুষ কিন্তু তা মনে করে না। তার মাত্র একটি প্রমাণ আমি আপনার সদয় অবগতির জন্য এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করছি, দেখুন;
"…We may feel certain that if Western Christians, instead of the Saracens and the Turks, had won the dominion over Asia, there would be today not a trace left of the Greek Church, and that they would never have tolerated Muhammadanism as the 'infidels' have tolerated Christianity there. We (Christians) enjoy the fine advantage of being far better versed than others in the art of killing, bombarding and exterminating the Human Race." (Bayle P., Dictionary, 'the article Mahomed', 1850)
ভাবানূবাদ: ‘--- এ ব্যাপারটা আমরা সুনিশ্চিত ভাবেই উপলব্ধী করতে পারি যে তুর্কীদের পরিবর্তে যদি পশ্চিমা খৃষ্টান (যে সময় ও প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় কথাটা বলা হচ্ছে, তখনকার সময়ে পশ্চিমা খৃষ্টান বলতে ইংল্যন্ড, ফ্রান্স ও জার্মানীর খৃষ্টান সমাজ, যারা মধ্যযুগীয় ক্রুসেডের আয়োজন ও নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত ছিল, তাদেরকেই বোঝানো হচ্ছে এখানে-লেখক ) যদি এশিয়ার উপরে তাদের আধিপত্য বিস্তার করত, তা হলে আজ গ্রীক চার্চের কোন চিহ্নমাত্র অবশিষ্ঠ থাকত না (বিষয়টা বুঝতে হলে গ্রিক অর্থোডক্স, রোমান, প্রোটেষ্টান্ট এংলিকান চার্চের মধ্যে দ্বন্দ, সংঘাত ও বৈরীতার দীর্ঘ ইতিহাসকে বিবেচনায় নিতে হবেÑলেখক)। তারা কক্ষণই মুসলমানদের অস্তিত্ব সহ্য করত না, যেমনটা খৃষ্টবাদে অবিশ্বাসীরা (মুসলমানদের বোঝানো হচ্ছে এখানে- লেখক) খৃষ্টানদের সহ্য করেছে।’ আমরা খৃষ্টানরা অন্য যে কোন স¤প্রদায়ের চেয়ে মনুষ্য প্রজাতিকে হত্যা, নির্মূলে অনেক বেশী দক্ষতার দাবী করতে পারি! (এখানে বাইবেলের বিধানের নাম করে, ইশ্বরের ইচ্ছার নাম করে মধ্যযুগীয় ইনকুইজিশন কোর্টের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও অন্যান্য বিরোধি মতাবলম্বীদের জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার নৃশংসতম ঘটনাগুলোর দিকে ইংগিত করা হচ্ছে সম্ভবত -লেখক)’
এছাড়া আপনার আরও একটি মন্তব্য ছিল, আপনি বলতে চেয়েছেন এবং বলেছেনও যে, ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে তরবারীর জোরে অর্থাৎ বল প্রয়োগে। সে মন্তব্যের জবাব আমি আপনাকে অনেক উদ্ধৃতি দিতে পারি। কিন্তু তা দেব না। আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটাব না, আপনার মুল্যবান সময়ের অপচয় করাব না। বরং আমি আপনার সামনে কেবল মাত্র একটি উদ্ধৃতিই দেব। এই উদ্ধৃতিটিই আপনাকে বলে দেবে যে, ইসলাম কি? দয়া করে একবার অন্তত চোখ বুলিয়ে নিন;
"Islam appears to me like a perfect work of architecture. All its parts are harmoniously conceived to complement and support each other, nothing lacking, with the result of an absolute balance and solid composure. Everything in the teaching and postulates of Islam is in its proper place." ( Islam at the Crossroads, p.5)
ভাবানূবাদ: ‘ইসলাম আমার কাছে একটা নিখূঁত শিল্পকর্ম বলে মনে হয়। এর প্রতিটি অংশই একে অপরের সহযোগী ও পরিপূরক, কোথাও কোন ঘাটতি নেই, আর এরই কারণে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সার্বিক সুসামঞ্জস্যতা আর পরিপূর্ণতা। যথাযথ স্বত্বসিদ্ধতায় পূর্ণ ইসলামের প্রতিটি শিক্ষা’
আর সেই সাথে একটি প্রশ্নও রাখব, সেই প্রশ্নের উত্তরটি যদি আপনার জানা হয়, তাহলে আপনি এ কথাটিও জানতে পারবেন যে, ইসলাম কোন কারণে এবং কিভাবে এই বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ যখন পুরো বিশ্ব জুড়েই মুসলমানদের সন্ত্রাসী নামে পরিচিত করানো হচ্ছে, মুসলমানদের যখন বিশ্বের আনাচে কানাচে আজ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানো হচ্ছে, এমনকি রাস্তা ঘাটে যান বাহন থেকে, প্লেন থেকে টেনে ধরে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে! বলা নেই কওয়া নেই, কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই ধরে ধরে আটকে রাখা হচ্ছে, মেরে ফেলা হচ্ছে, সেই তখন খোদ আমেরিকার বুকেই যে চলতি বৎসরের এই ক’মাসে (২০০৬ সালে এই চিঠিটি লেখার সময়কাল পর্যন্ত) প্রায় কুড়ি হাজার শেতাঙ্গ খৃষ্টান (আপনার অনুসারী!) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে গেল, কোন কারণে তারা এই বোকামি(!)টা করল?
২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সেই কুখ্যাত দূর্ঘটনার জন্য যে ইসলামকে দায়ী করে আপনি রেডিওতে বিবৃতি দিলেন, বুশ, ডিক চেনী, রাম্সফেল্ডসহ বিশ্বের আর সকল নেতা নেত্রী ও মিডিয়ার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে, সেই দুর্ঘটনার মাত্র একটি বৎসরের মধ্যেই ঐ আমেরিকাতেই চৌত্রিশ হাজার খৃষ্টান (মাননীয় পোপ, আপনার চৌত্রিশ হাজার অনুসারী!) তাদের পৈত্রিক ধর্ম বিসর্জন দিয়ে ইসলাম (আপনার ভাষায় ‘সন্ত্রাস‘এর ধর্ম) গ্রহণ করে নিল! কেন তারা হঠকারিতা করতে গেল? কোন তরবারীর ভয়ে তারা এমন কাজটা করতে গেল বলে আপনি মনে করেন মাননীয় পোপ!
এই প্রশ্নের জবাবটি জানতে পারলেই আপনি জানতে পারবেন, কোন সেই তরবারী, যে তরবারীর তাড়া খেয়ে মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে? কোন সে শক্তি, যে শক্তির ভয়ে (!) মানুষ ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে যুগে যুগে এবং আজও তারা তা সাদরে, সাগ্রহে কবুল করে নিচ্ছে! জীবনের সব প্রলোভন ছেড়ে! মাননীয় পোপ, এ প্রশ্নের জবাবটা আপনার জানা হলে দয়া করে বিশ্বকেও তা জানিয়ে দেবেন, সে অনুরোধ থাকল।’
বিষয়: বিবিধ
৪২৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন