কায়রো: আমার বিগত পোষ্টে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর।

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১৯ জুন, ২০১৩, ০২:৫২:৫৭ রাত



আমাদের কাছে অতি পরিচিত মিশরের রাজধানী কায়রো'ই হলো সেই শহর। এই শহরটির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত একটি ঘটনা বর্ণনা করেই গত পোষ্টে ধাঁধার মত প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য আর কিছুই ছিল না, কেবল এতটুকুই যে, ধাঁধার ছলে নিজেদের ঐতিহ্য আর ইতিহাসের দিকে মনযোগ আকৃষ্ঠ করা। ব্যস এতটুকুই।

যারা আমার আগের পোষ্টটা পড়েন নি, তাদের জন্য ঐতিহাসিক সেই ঘটনাটা আবারও সংক্ষেপে তুলে দিলাম।

হিজরী ৬০ সাল। প্রখ্যাত মুসলিম সেনাপতি হজরত মুয়াবিয়া ইবনে ফুজায়াহ (রহ: ) অধিকৃত জনপদে সৈন্যদের ক্যম্প করার জন্য পরিবেশ ও সামরিক ভূকৌশলগত উপযুক্ত স্থান খোজার এক পর্যায়ে অসম্ভব সুন্দর, সবুজ একটা স্থানে এসে দাঁড়ালেন। স্থানটি উপযুক্ত বিবেচিত হলেও তা জনমানবহীন ও ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। আর সে জঙ্গলে ছিল বাঘ, বিষধর সাপ থেকে শুরু করে অন্যান্য হিংস্র জীব জন্তু।

হজরত উমাইয়া (রহ: ) স্থানটিকে তার সৈন্যদের জন্য নিরাপদ করার জন্য এক অদ্ভূত কাজ করে বসলেন। তিনি পরদিন ভোরে ফজরের নামাজ শেষে উক্ত জঙ্গলের প্রান্তে গিয়ে আজান দিলেন, এর পরে উচ্চস্বরে বলে গেলেন; ‌' জঙ্গলের হে হিংস্র পশুরা, শোন: আমরা মুসলমান, আল্লাহর রাহে জেহাদে বেরিয়েছি, এখানে আমরা অবস্থান করতে চাই, তোমরা আমাদের জন্য এ জায়গা ছেড়ে দাও। অন্য কোথাও যাও '

পর পর তিন দিন এরকম করলেন। অবাক কান্ড, তৃতিয় দিনের দিন দেখা গেল, জঙ্গলের হিংস্র জীব জন্তুরা দলে দলে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে!

হজরত উমাইয়া রহ: সেখানেই তাঁর পরিকল্পনামত একটা সেনাছাউনী গড়ে তুললেন। সেই সেনাছাউনীটাই আজকের বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর কায়রো। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে একটা অন্যতম আকর্ষণ!

একটা সময় ছিল, যখন বনের হিংস্র পশুরাও মুসলমানের কথা শুনত, তাদের নির্দেশ নত শীরে মেনে নিত! আর আজ!!! ,

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File