আহা, জামাআতকে তো রোখা গেল না!!

লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০৯ জুন, ২০১৩, ১১:২৫:৩২ রাত



আহা, আওয়ামি লীগের কর্ণধাররা যদি জানতেন যে, তারা জামাতে ইসলামির কি উপকারটাই না করে দিলেন, তা হলে আমি নিশ্চিত, তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত!

ইসলামি রাজনৈতিক দল প্রচলিত অন্য যে কোন রাজনৈতিক দলের থেকে আলাদা। এটা একটা আদর্শবাদী দল। নিজ আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান ও লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে এ আন্দোলন চালাতে হয়। যে কোন রাজনৈতিক আন্দোলনের লক্ষ্যই থাকে যেনতেন ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়া। এর জন্য সামনের, পেছনের সকল দরজাই তারা ব্যবহার করে, করতে পারে। যে কোনভাবেই তারা ক্ষমতা পেতে চায়, পেলে সমাজ সংস্কারের পরিকল্পনা ও ঘোষণা তাদের থাকে। সে সংস্কার নিজেদের মত, আদর্শ ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে হয়। ক্ষমতা না পেলে তাদের রাজনীতি ব্যর্থ, আর ক্ষমতা পেলে তাদের নেতা কর্মীদের সামনে (তাদের ভাষায়) সফলতার দূয়ার খুলে যায়। অর্থাৎ, তাদের রাজনীতির ব্যার্থতা সফলতা নির্ভর করে ক্ষমতা পাওয়া না পাওয়ার উপরে।

ইসলামি আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে না। ক্ষমতাপ্রাপ্তির লক্ষ্যে কোন অনৈতিক পথ ও পদ্ধতি তারা ব্যবহার করতে পারে না। তাদের ক্ষমতাপ্রাপ্তির পথটা হয় সমাজ বদলের ক্রমধারায়। ক্ষমতায় যাবার পথ হিসেবে তারা আগে সমাজ সংস্কারের কথা ভাবে। সমাজবাসীর মন মানসিকতাকে নিজ আদর্শের প্রতি অনুরক্ত করেই তারা ক্ষমতাপ্রাপ্তির কথা ভাবে। ক্ষমতা পেয়ে সমাজ সংস্কারের পরিকল্পনাও থাকে, তবে তা একটা উন্নত ও সার্বজনীন মত ও পথকে ভিত্তি করে।

ইসলামি রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি, তা হলো, একদল নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবাহিনী তৈরী করা। তাদের মটিভেটেড করা ও সকল ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে হলেও লক্ষ্যপানে অবিচল রাখা। ইসলামি রাজনীতিতে এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কঠিন, সময় ও শ্রমসাপেক্ষ কাজ।

এই কাজটি বাংলাদেশে জামাআত ও শিবির করে আসছে তাদের প্রথম দিন থেকে। জামাআত বলুন আর শিবির বলুন কিংবা তাদের অন্য কোন অংগ সংগঠনের কথাই বলুন, বিগত কয়েকটি দশকে লক্ষ লক্ষ কর্মী ও সমর্থক তৈরী হয়েছে, যাদের সামনে দলীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইসলামি রাজনীতির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচী তুলে ধরা হয়েছে। তারাও আপাতদৃষ্টিতে জেনে বুঝে এ দলে নাম লিখিয়েছে।

যারা জামায়াত ও শিবির এবং ইসলামি রাজনৈতিক দলের খবর রাখেন, তারা জানেন, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্ঠি অর্জনের মত একটি বৃহত্তর লক্ষ্যকে নিজের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং অতি অবশ্যই এ দলের কর্মী হবার লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে রাজনীতি করে যাওয়া সহজ বিষয় নয়।

একই বাড়ী বা পাড়ার একটি যুবক যখন দেশে প্রচলিত অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী সেজে দল ক্ষমতাসীন হবার, বা ক্ষমতা কাছাকাছি থাকার সুবাদে জানা অজানা পথে সরকার ও প্রশাসন থেকে বিভিন্ন আর্থিক ও বৈষয়িক সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলছে, ঠিক ঐ একই সময়ে, একই সমাজের অন্য এক যুবক ইসলামি আন্দোলনের কর্মী হিসেবে নিজের পকেট থেকে পয়সা খরচ করে, নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে কিছু না পেয়েই রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে বৎসরের পর বৎসর! কেবল তাই নয়, নানান নির্যাতনের শিকারও হচ্ছে।

এই যে বৈপরিত্য, তা আশে পাশের সকলের কাছেই সুষ্পষ্ট। এসব দেখেও যেসব কর্মী ইসলামি রাজনীতির সাথে টিকে থাকে, লেগে থাকে, তাদেরকে বাহবা দিতেই হয় বৈকি।

কিন্তু এর পরেও কথা থাকে। ইসলামি রাজনৈতিক দল, তথা জামায়াত ও শিবিরের অনেক কর্মী কেবলমাত্র গোষ্ঠি বিদ্বেষের কারণে, নিজেকে আর্দশবাদী বলে প্রচার করার লক্ষ্যে, অথবা পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে, কিংবা কোন ব্যক্তির প্রতি ভালোলাগা বা অন্য কোন কারণে এসে ভীড়তে পারে। অসম্ভব কিছু নয়।

এ কারণেই এরকম একটি আদর্শবাদী সংগঠনে বিভিন্ন কারণে কোন কোন কর্মী নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে থাকতে পারে, কেউবা কোন মতে নিজের উদ্দেশ্য স্বিদ্ধি পর্যন্ত লটকেও থাকতে পারে। কেউবা দলের নীতি ও কর্মসুচীর সাথে মতের মিল না হওয়ায় ছিটকে পড়তেও পারে। আবার সময় খারাপ দেখে কেউ কেউ সটকেও পড়তে পারে। এই যে ‘আটকে থাকা’ ‘লটকে থাকা’ বা ‘ছিটকে পড়া’ কিংবা ‘সটকে পড়া’ এদের সবার ক্ষেত্রেই একটা বিষয় স্পষ্ট, তা হলো, জামায়ত বা শিবির তথা ইসলামি আন্দোলনের তাদের আগমনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মধ্যেই কোথাও একটা মৌলিক গলদ ছিল।

ইসলামি আন্দোলনে যোগদানের মৌলিক এই ক্ষেত্রটি সঠিকভাবে এক আল্লাহ ও সংশ্লিষ্ঠ কর্মী ছাড়া আর কেউ জানে না। এই জন্যই বোধ করি, আল্লাহপাক তাঁর সন্তুষ্ঠির লক্ষ্যে আন্দোলনকারী দাবীদারদের নিয়তের বিশুদ্ধতা যাচাই এর পথ রেখেছেন। নিয়তের বিশুদ্ধতা জানতে কাকে, কোন পথে, কখন এবং কিভাবে যাচাই করবেন, তা তিনিই জানেন, সেটা একান্তই তাঁর নিজের ব্যাপার। তবে তিনি যে যাচাই বাছাই করবেন, সে ঘোষণা সুষ্পষ্টভাবে দিয়েছেন;

মানুষেরা কি মনে করেছে যে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে কোন পরীক্ষা করা হবে না? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছি। ঈমানের দাবীতে কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী আল্লাহ অবশ্যই তা জেনে নেবেন।’ (আল আনকাবুত ২-৩)

যাচাই বাছাই আর পরীক্ষা আসে পরিবার সমাজ কিংবা রাষ্ট্র বা অন্য কোন সুত্র থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, ক্ষয়-ক্ষতি, ভয়-ভীতির আকারে, রুটি-রুজীর পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়া এবং জান-মালের লোকসানের আকারে। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট করেই আল কুরআন আমাদের জানান দিচ্ছে;

নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পরীক্ষা করবো ভয়-ভীতি, ক্ষুধা, জান-মাল ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা, এ অবস্থায় ধৈর্যধারণকারীদের সুসংবাদ দাও। (বাক্বারা -১৫৫)

এরকম পরীক্ষার সামনে পড়লেই বেরিয়ে আসে আসল আর নকল কর্মী। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের মত কোটি কোটি টাকার ব্যংক ব্যালান্স না হোক, নিজের যা ছিল, সেটুকুও বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করতে হবে! এমনকি জান মালও বিলিয়ে দিতে হবে!! এমন অবস্থা কোন কর্মীর পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভবপর নয়, যদি না উক্ত কর্মী প্রকৃতপক্ষেই এক আল্লাহর জন্যই মাঠে নেমে থাকেন।

সুস্থ সভাপতিকে হেঁটে হাসিমুখে পুলিশ বেষ্ঠিতাবস্থায় যেতে দেখার পরে সেই সভাপতিকেই যখন পরদিন অচেতনাবস্থায় পাঁজাকোলা করে আদালতে তুলতে দেখল, তখন ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতেই হয়, আল কুরআনের ‘তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি, তোমাদের মধ্যে কারা চেষ্টা সাধনায় আত্বনিয়োগ করে এ পথে সবর অবলম্বন করে।’ (আলে ইমরান ১৪২) আয়াতটিকে সামনে রেখে।

চোখের সামনে নিজের সাথী, ভাই-বন্ধু, সহকর্মী-সহপাঠীদের খুন হতে দেখে, রাতের অন্ধকারে হারিয়ে যেতে, কিংবা কোন ঝোঁপ-ঝাড়ে, খাল-বিলে হাত-পা বাঁধাবস্থায় লাশ হয়ে ভাঁসতে দেখে, সুস্থ ভাইটিকে পুলিশের রিমান্ডে হঠাৎ করে অসুস্থ (!) হয়ে যেতে দেখে, অন্ধকার কারাগারে মাসের পর মাস পড়ে পড়ে পচতে দেখেও উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি একনিষ্ঠ কর্মীদের পিছিয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই, কারণ, তাদের মানসপটে ভাঁসছে আল কুরআনের আয়াত;

‘হে নবী বলে দিন, যদি তোমাদের পিতা-ভাই-বোন-স্ত্রীরা ও তোমাদের আত্বীয়-স্বজন, তোমাদের ধন-সম্পদ যা তোমরা উপার্জন করেছ, সেই ব্যবসা, যাতে মন্দা আসাকে তোমরা ভয় করো। আর তোমাদের সেই ঘর-বাড়ী যা তোমরা খুবই পছন্দ করো, তোমাদের নিকট আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করা থেকে বেশী প্রিয় হয়, তা হলে অপেক্ষা করতে থাক যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর চুড়ান্ত ফয়সালা তোমাদের সামনে উপস্থাপন করেন, আর আল্লাহ তো ফাছেক লোকদের কখনও হেদায়েত করেন না।’ (আত তাওবাহ -২৪)

এই চেতনাকে ধারন করে যেসব কর্মী বর্তমান আওয়ামি সরকারের ‘আইয়্যামে’ বর্বরতার মুখেও মাঠ ছেড়ে দেয়নি, বরং বন্দুকের নলের মুখে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে ঘোষণা করছে;

ইন্নাছ্ছলাতি, ওয়া নুসুকি, ওয়া মাহইয়াআ ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন, অর্থাৎ; আমার নামাজ, আমার ত্যাগ, আমার জীবন, আমার মরণ একমাত্র মহান আল্লাহরই জন্য। (আল আনআম- ১৬২)

এরকম কর্মীদের দিয়েই চলতে পারে ইসলামি রাজনীতি। প্রকৃতপক্ষে এরাই উপযুক্ত ইসলামি রাজনীতির প্রতিনিধিত্বকারী নেতা কর্মী হিসেবে মাঠে নামার জন্য।

জামাআতের কোন কোন নেতার গলায় শেষ পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি উঠবে, আদৌ উঠবে কি না, সেটা জানি না। তবে এটুকু অন্তত বুঝতে পারছি যে, এইসব নেতাদের কাউকে কাউকে যদি সত্যি সত্যিই ফাঁসির দড়িতে ঝুলতেই হয়, তবে তারা হাসতে হাসতে ঝুলতে পারবেন, এটা ভেবে যে, বিগত চারটি বা পাঁচটি দশক ধরে তারা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তা বৃথা যায় নি। কিছু না পেয়েও আল্লাহর রাস্তায় জীবনের সকল কিছুই বিলিয়ে দেবার মত একদল নেতা কর্মী তারা তৈরী করতে পেরেছেন।

তাঁরা হয়ত শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে চলে যাবেন, কিন্তু রেখে যাবেন এইসব নেতাকর্মীকেই। এদের সাথেই যুঝতে- বুঝতে হবে সৈয়দ আশরাফ সাহেবদের, যিনি এই তো মাত্র দু’দিন আগে বললেন; ’বিএনপি নয়, হেফাজত ও জামাআত’ই বর্তমান সরকারের আসল শত্রু’।

প্রকৃত ঘটনাটি তা হলে বুঝতে পেরেছেন ‘আমি হিন্দুও নই, মুসলমানও নই’ বলে নিজের পরিচয় সুস্পষ্ট করে তোলা জনাব আশরাফ সাহেব, যিনি মুসলিম বাবা মা’র ঘরেই জন্ম নিয়েছেন। মুসলিম পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণেই হয়ত তিনি এ বাস্তবতাটা আগে ভাগেই বুঝতে পেরেছেন।

বুঝতে অবশ্য অনেকেই পেরেছেন। আর পেরেছেন বলেই মাঝে মধ্যে মুরগী সাপ্লাইয়ার থেকে হালে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ব্যাবসায়ী শাহরিয়ার কবিরও বলেন প্রশাসনের ভেতরে জামাত ঘাপটি মেরে রয়েছে! কেবল কী শাহরিয়ার? ওরকম কথা সকলেই বলেন। আওয়ামি সেকুল্যার চেতনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই বলছেন, ছাত্রলীগের মধ্যে নাকি শিবির অনুপ্রবেশ করে হালের সব খুন খারাবি করে বেড়াচ্ছে। তার মানে হলো; ছাত্রলীগের মধ্যেও শিবির রয়েছে!!

আহা! এ তো দেখছি পুরো দেশটাই শিবির! পুরো প্রশাসনই যেন শিবিরময়!

মাত্র পাঁচটি বৎসর আগের নির্বাচনে জামাআত-এ-ইসলামি যখন তিনটি আসন পেলো, তখন এই সব আঁতেলরাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছিলেন; ‘ইসলামি রাজনীতি, তথা জামাআতে ইসলামি শেষ হয়ে গেছে’। সেই ‘শেষ হয়ে যাওয়া’ জামাআতের উপরেই গেল পাঁচটি বৎসর ধরে অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানোর পরেও আমাদের মহাক্ষমতাধর সরকার যখন বলে; বিএনপি নয়, জামাআত আর হেফাজতই তাদের আসল শত্রু’ তখন বুঝতে হবে, পা’র নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সে বাস্তবতা দাদারা বুঝতে পারছেন।

তবে তারা এ কথাটা এখনও বুঝে উঠতে পারলেন না যে, তারা প্রকৃতপক্ষে জামাআতের নেতা কর্মীদের কী বিরাট উপকার করে দিলেন! জুলুম ও নির্যাতনের যে স্টিম রোলার তারা চালালেন জামাআত ও শিবিরের উপরে, তাতে করে লক্ষ লক্ষ কর্মী ইসলামি আন্দোলনে নামার ক্ষেত্রে তাদের নিয়তের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে নিলেন।

আর অবাক কান্ডই বটে! তারা প্রায় সকলেই সে পরীক্ষাটা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দিয়ে গেলেন। আটকে থাকা, লটকে থাকা, ছিটকে আর সটকে পড়াদের সংখ্যা একেবারেই কম, বরং শত নির্যাতন সয়েও ধৈর্য আর প্রজ্ঞার সাথে মাটি কামড়ে আন্দোলনে ‘লেগে থাকা’দের সংখ্যাই বেশী।

আর এই সংখ্যা এবং তাদের নিষ্ঠা দেখেই দিল্লি থেকে শুরু করে সুধাভবন কিংবা বঙ্গভবনের বাসিন্দারা প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন। তারা বোধ হয় ভুলেই গেছেন যে, ইমানদারদের উপরে নির্যাতনকারী আবু জেহেলদের মুখে চপেটাঘাত করে সুমাইয়া, আম্মার, ইয়াসির, খাব্বাব আর খুবাইবদের সংখ্যাও বাড়বে নির্যাতনের ফল হিসেবে।

অতএব, এখন আর এইসব আঁতেলদের বসে বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া আর কোন পথ খোলা আছে কী?

বিষয়: বিবিধ

৫৩৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File