আপনি কি শৌখিন গবেষণা কর্মে আগ্রহী? The Pen Forces Bangladesh আপনাকেই খুঁজছে।
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০৩ জুন, ২০১৩, ০২:১৮:৫৬ দুপুর
বর্তমান বিশ্বে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে, এমন কোন দেশ নেই, যে দেশে বাংলাদেশী নেই। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ছোট্ট একটা পর্তুগীজ দ্বীপ, মাত্র কয়েক হাজার লোক সংখ্যা, সেখানেও বাংলাদেশীরা দিব্যি ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছেন! পশ্চিম আফ্রিকার শুষ্ক মরু রাষ্ট্র মালে’তেও বাংলাদেশীরা জেঁকে বসেছেন।
আমি এই সুযোগটাকে একটু ভিন্নভাবে কাজে লাগাতে চাই। আমার নিজের শখ ও নেশা ইসলাম ও মুসলিম ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা। সেটাই একটু ভিন্ন ধারায়, আরও ব্যাপকভাবে করতে চাই। জ্ঞান ও অর্থ, এ দুয়ের স্বল্পতার কারণে আমার একার পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। কাজেই আমরা অনেকে মিলে সম্মিলিতভাবে হয়ত এ কাজটা করতে পারতাম।
কলম্বাস নয়, মরক্কোর মুসলমানরাই সর্বপ্রথম আমেরিকা আবিস্কার করেছেন, কলোম্বাসেরও প্রায় সাড়ে সাতশত বৎসর আগে।
ব্রিটেন এক সময় প্রায় ৩৬ বা ৩৯ বৎসর ধরে মুসলিম রাষ্ট্র ছিল। সেখানে ইসলামি অর্থব্যবস্থা, জমিবন্টন, ও শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল এক ইংরেজ মুসলিম রাজার নেতৃত্বে। সেখানে মসজিদও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আজ হতে প্রায ১২২৫ বৎসর আগে।
ব্রিটেনে সর্বপ্রথম মুসলমানদের আগমণ ঘটে রাসুলুল্লাহ সা: এঁর জন্মেরও ৪৯৫ বৎসর আগে। তারা সেখানেই বসতী গেড়েছিলেন, বিয়ে করে ঘর সংসার করেছিলেন, সেখানেই তাদের কবরও রয়েছে। প্রাচীন আঞ্চলিক ইংলিশ ভাষায় এমনসব শব্দ রয়েছে, যা ঐ সব আরব উপস্থিতিকে ইংগিত করে।
চীনের রাজধানী বেইজিং (মাত্র কয়েকটি বৎসর আগেও আমরা তাকে জানতাম পিকিং নামে) নগরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন, গড়ে তুলেছেন, ডিজাইন করেছেন আরব ও চীনা মুসলমানগণ আজ হতে প্রায় ১৩শত বৎসর আগে।
বাংলাদেশে আমার প্রিয় রাসুল সা: এর চার সাহাবী গিয়েছিলেন। তাঁর এক নিকটাত্বীয় সাহাবী পর পর তিনবার গিয়েছেন। বাংলাদেশ ও আসামের প্রাচীন পূঁথি সাহিত্যে, চীনা উইঘুরদের প্রাচীন সাহিত্য ও লোকগাঁথায় এসব বিষয়ে তথ্য রয়েছে বলে বিশ্বাস করি, এগুলো খুঁজে দেখা দরকার।
ভারতে একজন নয়, দুই জন নয়, রাসুলুল্লাহ সা: এঁর সম্ভবত আটজন মর্যাদাবান সাহাবীর কবর রয়েছে। এক ভারতীয় রাজারও সৌভাগ্য হয়েছিল স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সা: এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে তার সাহাবী হবার। মদীনার পরে ভারতেই সর্বপ্রথম মসজিদ স্থাপিত হয়।
কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের উপকুলীয় এলাকাতেও সাহাবীদের আগমণ ঘটেছিল।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ইসলামের অধীনে থাকার কারণে সে অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতিতে এখনও ইসলামি সংস্কৃতির চিহ্ন বিদ্যমান।
অষ্ট্রেলিয়া আজ হতে মাত্র দেড়শত বৎসর আগে ইংলিশরা গিয়ে বসতি গেড়েছে। তারাই এই দেশটার ইতিহাস লিখেছে। সেটাই আমরা জানি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মুসলমানরা আজ হতে হাজার বৎসর আগেই অষ্ট্রেলিয়া গিয়ে বসতী গেড়েছে। এখনও অষ্ট্রেলিয়ারএমন একটা প্রদেশ রয়েছে, যেখানে শতকরা আশিজন অধিবাসীই মুসলমান, যেখানে শুকরের মাংশ, মদ বিক্রয় নিষিদ্ধ। পুরো অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে সে প্রদেশে অপরাধ সংঘটনের হার সবচেয়ে কম।
সম্রাট নেপালিয়ান তার শেষ বয়সে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন অথবা তার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন, ইসলাম ও আল কুরআনের সাথে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এরকম শত শত প্রশ্নের উত্তর নিজেদের মত করে খুঁজে বের করতে চাই। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা অনেকে হলে হয়ত কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যেত। আমরা ‘আনকোরা’ ‘অযোগ্য’রা যদি শুরু করি, তা হলে আমার বিশ্বাস, স্কলার ও যোগ্যরা এক ধরনের চাপ বোধ করবেন, তারা এগিয়ে আসবেন। আর তারা এগিয়ে এলে আমার বিশ্বাস, আমাদের বাংলাদেশও একজন ইবনে বতুতার জন্ম দেবে ইনশাআল্লাহ।
এ লক্ষ্যে `The Pen Forces Bangladesh' নামে একটা ইতিহাস ও ঐতিহ্য গবেষণা কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিতান্তই শখের বশে শৌখিন গবেষক ও পর্যটক হিসেবে যারা এরকম গবেষণাকর্মে উৎসাহী, দয়া করে তারা ‘’ মেইলে আপনার নাম, অবস্থানস্থল দিয়ে যোগাযোগ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন