রঙ্গভরা বঙ্গবাসী এখনও যদি না বোঝে, তাহলে--
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ২৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:২৯:২১ রাত
সাভারে গত বুধবারের মর্মান্তিক ঘটনার সাথে সাথে স্থান এমপি সাহেব তার বন্ধু ও দলীয় ক্যডারর ভবন মালিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার নামে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচিয়েছেন। জনদরদী এমপি যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি পদে আসীন হয়েছেন, ভবনের ধ্বংস্তুপের নীচে চাপা পড়ে যন্ত্রণায় কাতর সেইসব ভোটারের দিকে ঘুরেও তাকাননি। সে প্রয়োজনও বোধ করেননি। আজ চব্বিশ ঘন্টা পর হলেও তিনি একটাবার সেখানে যাননি, অথচ এটা তারই নির্বাচিন এলাকা!
হাজার হাজার খেটে খাওয়া পরিবারে যখন চলছে কান্নার রোল, তখর রাষ্ট্রস্বামীর দরবার হলে রাষ্ট্রীয় উৎসব অভিষেক! এ যেন লাশের উপরে উন্মত শাসকের ক্ষমতার উল্লাস!!
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফুল দিতে গেছেন। তিনি সাভার স্মৃতীসৌধেও গেছেন শহীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধানিবেদন করতে, অথচ মাত্র কয়েকশত গজ দুরে এতবড় মানবিক ট্রাজেডিস্থলে যাবার সময় তার হয়নি! চাপা পড়ে মরার প্রতিক্ষায় থাকাদের ক্ষীণ আওয়াজটুকু তার কানে পৌছেনি!
সরকারের প্রধানমন্ত্রী বললেন আগের দিন নাকি সকল লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তা হলে এত লাশ কোত্থেকে এলো? এর জবাব চাইবার মত কেউ কি আছে এ দেশে?
ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হরতালকারী মৌলবাদীরা ভবনের পিলার ধরে নাড়া চড়া করার কারনে নয়তলা বিশাল ভবন ধ্বসে পড়তে পারে!! আমি জানি না বিশ্ববাসী তার এ কথা শুনে তাদের হাঁসিটুকু এখনও থামাতে পেরেছেন কিনা।
এটাও জানিনা, ভবনের পিলার ধরে মৌলবাদীরা নাড়াচড়া করেছিলেন কিনা, এবং তাদের এই অসূরীয় শক্তির কারনেই ভবনটি ধ্বসে পড়েছে কিনা। তবে এটুকু নিশ্চিত জানি যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার সরকার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির অস্তিত্বের খূঁটি নাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিভাজন, হিংষা বিদ্বেষ আর অনৈক্যকে এতটাই উচ্চমার্গে উস্কে দিয়েছেন যে, আজ পুরো দেশটাই ধ্বসে পড়ার উপক্রম! রঙ্গেভরা বঙ্গবাসী সেটা যদি এখনও না বোঝে, তা হলে তাদের কপালে এরকম হাজারো ট্রাজেডি অপেক্ষা করছে!
বিষয়: বিবিধ
৯৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন