মুসলমান হওয়া লজ্জার বিষয় নয়, গৌরবের বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন মুসাফির ০৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩৬:৫২ সকাল
মহান আল্লাহ আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে মানবতার মুক্তির বিশেষ দূত হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী(সঃ)কে পৃথিবী তে প্রেরণ করেন।তাঁর প্রচারিত দীন ইসলাম – একটা পরিপূর্ণ জীবন বিধান(complete code of life). রাসুল(সঃ)এর প্রচারিত দীন এর অনুসারীদেরকে মুসলিম বলা হয়। বিদায় হজ্জের ভাষণে লক্ষাধিক অনুসারীর উপস্থিতিতে তিনি বলেছিলেন, “ তোমরা তত দিন পথ ভ্রষ্ট হবে না, যত দিন দুই টি জিনিস আঁকড়িয়ে থাকবে। একটি হচ্ছে- মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও অপরটি তাঁর হাদিস। রাসুল(সঃ) প্রেমিকেরা আজ ও বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাঁর প্রচারিত বানী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি কখন ও অনুকুলে আবার কখন ও প্রতিকুল পরিবেশে ।
কানাডা মালটি কালচারাল দেশ। গত বছর অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে ‘ইসলামিক হেরিটেজ’ মাস হিসেবে ঘোষণা করে। এ মাস উদযাপন উপলক্ষে গত ২৯ অক্টোবর রবিবার বা'দ মাগরিব ড্যানফোর্থ ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে এবং মুসলিম সার্কেল অব কানাডা টরন্টো ও স্কার্বরো ইউনিটের সহযোগিতায় এক আলোচনা সভা ডি আই সি মসজিদে অনুষ্টিত হয় । শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন করেন ডি আ ই সির ইমাম ফারুক আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম সি সির টরন্টো সিটি সভাপতি জনাব নাইমুল ইসলাম। জনাব এনামুল হক কাওছারের পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামিক ইন্সটিটিউট অব টরন্টোর ( আই আই টি ) খতীব শায়েখ আব্দুল হামিদ।
শায়েখ আব্দুল হামিদ- রাসুল সাঃ এর হিজরতের বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে বলেন হিজরত দুই প্রকার ক) বাধ্য হয়ে হিজরত খ) জীবন মান উন্নয়নের জন্য হিজরত। রাসুল সাঃ ও তার সাহাবিদের বাধ্য হয়ে জন্ম ভুমি ত্যাগ করতে হয়েছিল। রাসুল সাঃ মদীনায় পৌছে সর্ব প্রথম আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন এবং এ মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছিল। ইচ্ছাকৃত অথবা বাধ্য হয়ে কোথাও হিজরত করলে নবীর সুন্নাহ হচ্ছে মসজিদ না থাকলে প্রথমে মসজিদ নির্মান করা এবং এ মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা । মক্কা ও মদীনা দুটি বড় শহর গড়ে উঠেছে বায়তুল্লাহ ও মসজিদে নববীকে কেন্দ্র করে সুতরাং আমরা যেখানে যে অবস্থায় থাকিনা কেন আমরা আমাদের পরিবার পরিজনকে মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত করা দরকার, ইসলামের সোনালী যুগের ইতিহাস আমাদের সান্তানদের শিক্ষা দেওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য । মুসলমান হওয়া লজ্জার কোন বিষয় নয়, তা যে গৌরবের বিষয়, তা আমাদের সান্তানদের বুঝিয়ে দিতে হবে ।
আলোচনা শেষে সম্মানিত শায়েখ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
সব শেষে সভাপতির বক্তব্যে ডি আই সির প্রেসিডেন্ট জনাব নাজমুল হুদা- ডি আই সি যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন, আর তা হল (১) উইকেন্ড স্কুল ও সামার স্কুল (২) সিনিয়রস হেলথ এওয়ারনেস প্রোগ্রাম (৩) ইউথ হালাকা (৪) প্রতি মাসের চতুর্থ রবিবারে মাসিক হালাকা ( ৫) প্রতি বছর ডেন্টোনিয়া সকার ফিল্ডে দুটি ঈদ জামায়াতের আয়োজন (৬ ) প্রতি রবিবার বাদ ফজর তাফসীরুল কুরআন (৭) প্রতি মংগলবার বা'দ মাগরীব বয়স্কদের সহীহ কুরআন তালীম। এ ছাড়াও জাতীয় দিবস গুলোতে ফ্যামেলী গেট টুগেদার সহ আকর্ষনীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। ডি আই সির এ সকল প্রোগ্রামে তিনি সবার উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
ইসলামিক সেন্টারের হল রুমে প্রদর্শিত বিষয় ভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনী উপস্থিতিদের বিশেষ নজর কাড়ে।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, ডঃ সিকদার কামরুজ্জামান, জিলজানাহাই জায়গীরদার, মুহাম্মাদ মির্জা, আব্দুল বারী মুহাম্মদ আয়াজ, ডাঃ মাহবুব আলম, ডাঃ আশরাফ, আসাদুজ্জামান, খোরশেদ খান, আহসান হাবিব, শামছুদ্দোহা, ডাঃ শিবলী নোমানী, সালেহীন,জারিফ প্রমুখ । মহিলা বিভাগে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন তাসনীম সুমাইয়া, কাজী তামান্না, শরিফুন্নেছা, লাবিবা হাবিব ডাঃ এস রাজিয়া, হাসনা শিলা, লাইলী মির্যা, মাসফিয়া মির্যা ,জেরিন নওশিন, ও নাহিদা প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
৯৬০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন