হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতারা মন্দির ভাঙার সাথে জামায়াত-শিবির জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন !

লিখেছেন লিখেছেন মুসাফির ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৬:১১:৫৩ সন্ধ্যা



লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের ক্যাম্পেরহাট এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো মিডিয়ায় জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মন্দির দু’টি হচ্ছে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর ও স্বামী বিবেকানন্দ স্মৃতি সেবা আশ্রম রাধা গোবিন্দ মন্দির।

এলাকাবাসী জানান, পাশাপাশি ওই দুই মন্দির নিয়ে কমিটির মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাধা গোবিন্দ মন্দিরের বেড়ায় অজ্ঞাতরা আগুন দিলে মুলি বাঁশের তৈরি একটি বেড়া পুড়ে যায় এবং পাশের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর মন্দিরের পাশে কিছু খড়কুটা পুড়লেও এতে মন্দিরের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় মন্দির কমিটি রায়পুর থানায় একটি মামলা করে; যাতে কোনো ব্যক্তিকে আসামি করা হয়নি। এ ঘটনাকে কোনো কোনো মহল উদ্দেশ্যমূলক সাংবাদিকদের দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কাণ্ড বলে অপপ্রচার চালায়।

সম্প্রতি হিন্দু নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিবাদ করে বলেন, মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো মহল জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এ কাজ কারা করেছে, তা আমরা জানি না এবং আমাদের কেউ জামায়াত-শিবিরের নাম বলিননি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিত্য গোপাল মজুমদার, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু সুদেব মজুমদার, হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা তপনেশ্বর কীর্তনীয়া ও বলরাম মজুমদারসহ শতাধিক হিন্দুধর্মীয় ব্যক্তি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র সূত্রধর সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পেরহাট এলাকায় মন্দির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা স্থানীয় লোকজন দেখেননি। তা ওই এলাকার হিন্দু নেতারা আমাকে জানান। থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। কোনো কোনো মিডিয়া এ ব্যাপারে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

রায়পুর থানার ওসি নয়া দিগন্তকে বলেন, তদন্তে আসল অপরাধী বেরিয়ে আসবে। এতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতৃবৃন্দও জামায়াত-শিবিরের কোনো লোকের নাম উল্লেখ করেননি। বিষয়টি আমাদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

আমরা কার কথা বিশ্বাস করব -মন্দির পরিচালনা কমিটির নাকি মিডিয়ার ?

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File