পিস টিভি বন্ধের প্রতিবাদে মুসলমানদের কথা বলা তাদের ঈমানী দায়িত্ব ।
লিখেছেন লিখেছেন মুসাফির ১৩ জুলাই, ২০১৬, ০৬:১৫:০৩ সকাল
সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জংগী হামালাকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার মুসলমানদের প্রানের স্পনদন পিস টিভিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ! ডাঃ যাকের নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জংগীদের একজন ডাঃ যাকের নায়েকের ফেইসবক ফ্রেন্ডস, আর তার বক্তব্য থেকে নাকি সে অনুপ্রেরনা পেয়েছে নিরীহ মানুষ খুন করতে ! অথচ ইন্ডিয়ার তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট দিয়েছে তারা বিন্দুমাত্র এর কোন সত্যতা খুজে পায়নি।
হায়রে বিচার !! জংগী হিসাবে ধরা পড়ে আলীগ নেতার ছেলে, আবার আক্রমনের হুমকি দেয় আলীগ নেতার ছেলে অথচ যে চ্যানেলটি প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে জংগীবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাকেই জংগীবাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হল।
কেন যুবকেরা জংগী হয়ে যাচ্ছে ?
ইসলামিক স্কলাররা বলছেন যাদের মাঝে ইসলামের প্রতি আবেগ আছে অথচ ইসলামের সঠিক শিক্ষা নাই তারাই আজকে বিপতগামী হচ্ছে। ইসলামের সঠিক শিক্ষা রয়েছে আল কুরাআন ও রাসুলের সুন্নাহতে কিন্তু বাংলাদেশের যুব সমাজ আজ কুআন ও সুন্নাহ চর্চা করতে পারছে না কারন অবৈধ সরকারের পেটুয়া বাহিনী যে যুবকের কাছে কুরআন হাদীস পেয়েছে তাকে জিহাদী বই বলে ঔ যুবকে গ্রেপ্তার করে তার উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে দিয়েছে।। ফলে কলেজ ইউনিভার্সিটির যুবকেরা কুরআন হাদীস চর্চা করাতো দুরের কথা মসজিদে নামাযে যেতে ও রীতিমত তারা ভয় পাচ্ছে কারন মসজিদের গেটে আসামী(?) ধরতে বসে থাকে গোপালী বাহিনী। আমার পরিচিত কয়েকজন ইউনিভগার্সিটির মুসলিম ছাত্রের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি যে যারা এক সময় হোস্টেলে ক্লাসের বইয়ের পাশাপাশি কুরআন হাদীস পড়তেন, নিয়মিত মসজিদে জামায়াতে শরিক হতেন তারা আজ ছাত্রলীগের অত্যাচার থেকে বাচার জন্য কুরআন হাদীস তো সরিয়ে ফেলেছেন সেই সাথে রুমের মধ্যে অর্ধনগ্ন ও কুরুচি পর্ন পোস্টার লাগিয়ে, কানে দুল, হাতে ব্রেসলেট পরে, হাতে লম্বা নখ রেখে নিজেকে প্রমাণ করতে হয় তারা ইসলামের আদর্শের অনুসারী নয়। অথচ প্রকৃত পক্ষে যারা ইসলামের অনুসারী তারা জংগীবাদের বিরোদ্বী তার প্রমাণ এ পর্যন্ত যারা জংগীবাদের কারনে ধরা পড়েছে তারা সবাই হাই সোসাইটির ছেলে মেয়েরা এবং ধর্মহীন শিক্ষায় শিক্ষিত, সুতরাং বাংদেশকে জংগীবাদের হাত থেকে বাচাতে হলে
(ক) অনতিবিলম্বে পিসটিভি, দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি খুলে দেয়া হোক।
(খ) ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হোক।
(গ) হাইস্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সহ সর্বস্থরে সঠিক ইসলাম চর্চার সুযোগ করে দেয়া হোক।
পরিশেষে বাংলাদেশের সকল মুসলমান ভাইবোনদেরকে অনুরোধ করবো যে যেখানে আছেন সেখান থেকে পিসটিভি বন্ধের প্রতিবাদে শান্তিপুর্ণ ও জোরালো ভুমিকা পালন করুন। (আমীন)
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অথচ কুচক্রী মহলের কারসাজিতে পাঠ্য পুস্তক থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার কাজ চলে আসছে । এর কু-প্রভাব সমাজ ভালই টের পাচ্ছে ।
তাই পাঠ্য পুস্তকে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত এবং যারা ইসলামকে বাদ দেওয়ার পায়তারা করেছিল তাদেরকে কড়া নজরদারিতে রাখতে হবে এবং তাদেরকে দৈনিক ভিত্তিতে থানায় এসে হাজিরা দিয়ে যেতে হবে ও তাদের দৈনন্দিন কৃত কাজের একটা ফিরিস্তিও দিতে হবে , যেটা থানা করতৃপক্ষ সময় সময় এলাকাবাসীকে ওয়াকেবহাল করবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন