হেফাজাতে ইসলামের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সমাবেশের উত্তাপিত দাবির সাথে আপনি কি একমত ?
লিখেছেন লিখেছেন মুসাফির ১০ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৫০:০৯ রাত
গতকালের জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন দাবি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে নিম্নোক্ত দাবি ঘোষণা করা হয়-
১। সংবিধানে ‘আলvহ্র ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
২। কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয়নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার বগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলীবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
৪। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
৫। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসলxদের নির্বিঘ্নে নামায আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসীহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৭। আল্লাহ্, রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরচদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
৮। ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরচষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৯। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০। সারা দেশের ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতীবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরচদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
১১। কালেরকণ্ঠ, প্রথমআলো, জনকণ্ঠ এবং চ্যানেল-৭১, দেশটিভি, সময়টিভি, জিটিভি, বৈশাখী টিভি, ইন্ডিপিন্ডেন্ট টিভি, মাছরাঙ্গা টিভি, এটিএন নিউজসহ ইসলাম, মুসলমান, আলেম-উলামা ও ধর্মীয় শিক্ষার বিরচদ্ধে বিষোদগারকারী সকল মিডিয়ার মালিকানাধীন কোম্পানীসমূহের পণ্য বর্জন করার জন্য তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
১২। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও এবং খৃস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়-বর্তমান সংকটময় কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দেশের সকল মসজিদে ফযরের নামাযে নিয়মিত কুনুতে নাযেলাসহ বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা নেয়া, মসজিদের খতীব, ওয়ায়েজ ও বক্তাগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসলামবিরোধী তৎপরতার ব্যাপারে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বক্তব্য রাখা,১২ মার্চ মঙ্গলবার দেশের প্রতিটি উপজেলা সদরে মানববন্ধন পালন, ১৫ মার্চ জুমাবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ২২ মার্চ রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালবাসা প্রকাশের নিয়্যাতে নফল রোযা আদায় এবং বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদ চত্বরে ১ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ও শানে রেসালতের ওপর আলোচনা,২৫ মার্চ দেশের প্রতিটি উপজেলা সদর ঘেরাও এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান, সরকার ওলামা-মাশায়েখ ও ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার দাবি মেনে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক বগারদের অপতৎপরতা বন্ধ এবং গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনলে বিভিন্ন জেলা থেকে ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালিত হবে। লংমার্চে বাধা দেয়া হলে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিকাল ৫টায় সকল ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ এবং দেশ-জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে আলvমা শাহ্্ আহ্মদ শফী (দা.বা.) আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন সমাপ্ত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
বিষয়: বিবিধ
৯৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন