মানিক গন্জের সিংগরাইলে সেদিন যা ঘটেছিল কারবালার শীমারকে ও যেন হার মানায় ! সরজমিনে মানবজমিনের একটি রিপোর্ট, আমরা কোন দেশে বাস করছি ?
লিখেছেন লিখেছেন মুসাফির ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:১১:৩৫ সকাল
সিংগাইরের গোবিন্দল ও জৈল্যা গ্রামের বাতাসে এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে বারুদ ও রক্তের গন্ধ। চলছে শোকের মাতম। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই গ্রামের চার জন। গুলিবিদ্ধ হেলেনার প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন কুড়া-ভুসির দোকানদার নাসির উদ্দিন (২৬)। জমি থেকে শরিষা আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কৃষক আলমগীর (৩০)। ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মসজিদের ইমাম শাহ আলম (২৪)। মিছিল থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দুবাই প্রবাসী নাজিম উদ্দিন (২৫)-কে। গতকাল সরজমিন এলাকায় গেলে গ্রামবাসী জানান এসব তথ্য। তাদের তথ্যমতে, নিখোঁজ রয়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ আরও ক’জন। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রামের প্রায় ৭ হাজার পুরুষ। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, নবীজীর অবমাননা তারা সইতে পারেননি। একারণে মিছিল করেছেন। সকাল থেকেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই শ’ শ মিছিলকারীদের নিরাপত্তা দিয়েছে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। তাদের হেফাজতেই তারা রাস্তায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান মাহবুবুর রহমান মিঠু ও কয়েকজন কমিশনারের হস্তক্ষেপে কর্মসূচি শেষ করে বাড়ি ফিরতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে সিঙ্গাইর থানা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আবদুল মাজেদ খানের নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় মিছিলকারীদের ওপর। এ খবরে জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে পিটায়। তখন তিনি শীর্ষ পর্যায়ে ফোন করে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাতে বলেন। এর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই কয়েক শ’ দাঙ্গা পুলিশ হামলে পড়ে গ্রামবাসীর ওপর। শ’ শ’ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। গ্রামবাসী ও তাদের বসত ঘর লক্ষ্য করে মুহুমুহু গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। তিনি ছিলেন গোবিন্দল মুসলিমনগর রাশেদিয়া মাদরাসার দাখিল শেষ বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি ডোবাইল জামে মসজিদের ইমামতি করে সংসার চালাতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান তিনি। তার একমাত্র বোন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে হারিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতের চাচা আবুল কাশেম বলেন, আমার ভাইপো কোন দলের রাজনীতি করতো না। তারে বিনা কারণে পুলিশ গুলি করে মেরেছে। এলাকাবাসী জানান, সকাল ৮টার দিকে গোবিন্দল নতুন বাজারের কাছে শরিষা আনতে গিয়েছিল কৃষক আলমগীর। এর পর আর ফিরে আসেনি। কে বা কারা গুলি করে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখেছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। বুকের বাম পাঁজরে একটি গুলি লেগেছিল তার।
নাজিমের হাতে হাতকড়া: নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, দুবাই প্রবাসী নাজিম উদ্দিনকে মিছিল থেকে জাপটে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে হাতকড়া পরিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হাতকড়া খুলে রাস্তার পাশে খাদে ফেলে দেয় তাকে। নিহত নাজিম সমপ্রতি দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন। মাস দুয়েক আগে চারিগ্রামে বিয়ে করেছেন। কয়েকদিন পরই ফের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল তার। তিনি কোন দলের রাজনীতি করতেন না। তার অপরাধ ছিল মুসল্লিদের ডাকে সাড়া দিয়ে মহনবীর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবি। পুলিশ ও যুবলীগ সূত্র জানায়, গোবিন্দল গ্রামে প্রায় ১৮টি মাদরাসা এবং ৩৫টির বেশি মসজিদ রয়েছে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ বিএনপির সমর্থক। অনেকে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের অনুসারী। তবে জামায়াত-শিবিরের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী সেখানে নেই। আগের রাতে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা থেকে হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়। মহানবীর অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে শরিক হতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্ষুব্ধ জনতা মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে কাশিমপুর বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে দোকানপাট। মারধর করে সিঙ্গাইর থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আবদুল মাজেদ খানকে। এছাড়া ফারুক ও সাঈদসহ ছাত্রলীগের তিনজনকে চালিয়ে করে আহত করে। এর আগে পুলিশের কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ১২-১৩ জন পুলিশ সদস্যকে জখম করে। এলাকার সকল মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে জড়ো করা হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, পুলিশ বেষ্টনীতে থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালিয়েছে। লোকজনকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিন তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হেলেনার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে দৌড়ে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের রোষানলে পড়েন। তারা নাসির উদ্দিনের দাড়ি ধরে টেনেহিচঁড়ে নিয়ে যায়। পরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। গতকাল দুপুরে নিহত নাসিরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বারান্দা ও আঙিনা জুড়ে অর্ধ শতাধিক মহিলা বিলাপ করছিলেন। দু’জন পুরুষ সদস্য চেয়ার পেতে বসেছিলেন রাস্তার দিকে তাকিয়ে। র্যাব-পুলিশ আসে কিনা নজরদারি করছিলেন। তখন লাশের ময়না তদন্ত চলছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। বিকালের দিকে লাশ আসে গ্রামে। পরে জানাযা শেষে দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে। নিহত নাসিরের তিন বছর বয়সী একমাত্র ছেলে তামীম। পিতার কথা জিজ্ঞেস করতেই ধানক্ষেতের দিকে ইশারা করে জানায়, ওইদিকে গেছে। তার মাতা রুমানা বলেন, মোবাইল ফোনে গুলিবিদ্ধ হেলেনার খবর শুনে তার স্বামী বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ধানক্ষেত দিয়ে দৌড়ে গিয়েছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সের কাছে যাওয়ার পরপরই আওয়ামীলীগ ও পুলিশের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। এলাকাবাসী জানান, নাসির ছিলেন অতিশয় নম্র। কারও বিপদ হলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেতেন। কোন দলের রাজনীতি করতেন না। যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে তার কুড়া-ভুসির দোকান রয়েছে। নাসিরের বোন ফিরোজা বলেন, আমার ভাইরে থাবা মাইর্যা ধইরা নিয়্যা গুলি কইরা মারছে। আর মিছা কথা প্রচার করছে টিভি-পত্রিকা। আল্লাহ ওগো বিচার করবো। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন পরেই তার বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই লোকজন হত্যা করলো। ছেলেকে এতিম করলো। হেলেনার মা রেহানা বেগম বলেন, আমাগো পুলিশে মারে নাই। আওয়ামীলীগের লোকজন ধইরা গুলি কইরা মাইরা দিছে। বাড়িতে কোন ব্যাটা ছিল না। ওরা ৩০ জনের মতো ঢুইকা গুলি চালাইছে। হেলেনার স্বজনরা জানান, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি নিহত নাসিরের ভাই শাহীনূরের সঙ্গে হেলেনার কাবিননামা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি মহিলা মাদরাসায় পড়তেন। মাদরাসায় যাতায়াত ছাড়া কখনও ঘরের বাইরে বের হতো না। ঘটনার দিন ঘরের খাটের ওপর দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে বাইরের পরিস্থিতি দেখছিল। তখনই আওয়ামীলীগ ও পুলিশের লোকজন গুলি চালায়। কি যেন ছুড়ে মারে এতে বাড়ি ঘর অন্ধকার হয়ে যায়। তখনই মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। দেখি রক্তাক্ত হয়ে দাপাদাপি করছে। মেয়েকে নিয়ে যারা হাসপাতালে গিয়েছিল তাদেরকেও পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এরা হচ্ছে রেহানার চাচাতো ভাই শফিকুল (৩০) ও নিহত নাসিরের ভাগ্নে হান্নান। এলাকাবাসী জানান, গোবিন্দল গ্রামে আওয়ামীলীগের কোন ভোট নেই। একারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে একজোট হয়ে নির্বিচারে গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। ঘরে ঘরে ঢুকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে লুটপাট করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এসএসসি পরীক্ষার্থী জামালসহ বেশ কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
রোযা-নামাজ মুখে আসে না: ছেলে খোরশেদের খোঁজ না পাওয়ায় নিহত নাসিরের আঙিনায় বসে বিলাপ করছিলেন মাতা বিমলা। বুক চাপড়িয়ে বলছিলেন, টিভি-পেপার দিয়া কি অইবো? হাছা-মিছা দেহাইবার নইছে, আমরা কই হেইডা দেহায় না। সন্তানের জন্য বুকটা খাঁ খাঁ করছে। রোযা-নামাজও মুখে আসে না।
মানিকগঞ্জে হরতাল: রিপন আনসারী/আতাউর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, রোববার হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে সিঙ্গাইরে চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল থেকে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। মানিকগঞ্জ শহরের সমস্ত দোকান-পাট ছিল বন্ধ। সিঙ্গাইর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই বন্ধ ছিল। সহিংসতার ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ৪ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ জনের মধ্যে রোববার রাতে ৩ জনের দাফন সম্পন্ন হলেও গতকাল বিকাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল থেকে অপরজনের লাশ গ্রামে আনা হয়নি ।
হরতালে সিঙ্গাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছিল র্যাব। এছাড়া মানিকগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ছিল। হরতাল চলাকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সবখানেই শুনশান নিরবতা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছিল একেবারেই ফাঁকা। সকাল থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন রোডে চলাচল করতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয় মহাসড়কে ছোট যানবানগুলো রাস্তায় বের হয়নি। দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ ছিল। সকাল থেকেই মানিকগঞ্জ শহরে কোন দোকান-পাট খোলা ছিল না।
শহরের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এ হরতালে ব্যবসায়ীরা সমর্থন জানিয়েছে মানবিক বিবেচনায়। কারণ সিঙ্গাইরে পুলিশ যেভাবে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হতাহত করেছে তা টেলিভিশন ও পত্রিকায় দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে। অন্যান্য হরতালে দোকানপাট খোলা রাখলেও সোমবারের হরতালে ব্যাবসায়ীরা তা বন্ধ রাখেন।
পান দোকানদার কাশেম আলী জানান, দিন আনি দিন খাই। তারপরও আজ দোকান খুলিনি। পুলিশ যেভাবে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে এতে একদিন কেন আরও বেশি দিন হরতালের ডাক দিলেও তা মেনে নেবো।
রিকশাচালক কিসমত জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে টেলিভিশনে খবর দেখছিলাম। কি যে ভয়ংকর দৃশ্য তা দেখে চোখে পানি এসে যায়। তাই আজ হরতাল বুঝি না, তাই প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় রিকশা নামাইনি।
হরতালে পক্ষে সকালে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানিকগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া তারা শহরে পিকেটিং করে। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা এ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান বলেন, সিঙ্গাইরে নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে গুলি করেছে তা এদেশে নজিরবিহীন। তাই ইসলামী সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালে আমরা সমর্থন জানিয়েছি।
হরতালের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা। খণ্ড খণ্ডভাবে রাস্তায় মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। উল্লেখ্য, রোববার ১২টি সমমনা ইসলামী দলের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে সিঙ্গাইরের গোবিন্দল এলাকায় পুলিশ প্রথমে পিকেটারদের এবং পরে এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালায়। এঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রতিবাদে গতকাল মানিকগঞ্জে হরতালের ডাক দেয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদসহ কয়েকটি ইসলামী সমমনা দল। এ হরতালে সমর্থন জানায় জেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
এদিকে, সিঙ্গাইরে সহিংসতায় রোববার রাতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ৪ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সিঙ্গাইর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দু’টি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে আরও ৪ ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন