চলুন ইরানের পাথর এবং ইটের মধ্যযুগীয় দুর্গ '' কালে রুদখানে'' কিছু সময় কাটিয়ে আসি..
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ২৯ মার্চ, ২০১৩, ১১:২২:৩৩ রাত
কালে রুদখান একটি ইরানে পাথর এবং ইটের মধ্যযুগীয় দুর্গ।
২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ফোমান শহর থেকে উত্তরে গিলান প্রদেশে অবস্থিত।
যা 'সেলজুক' রাজবংশের সময় ছিল ইসমাইলি শিষ্যবৃন্দ অনুসরণকারীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিলো।
আমরা কাজভিন থেকে সকাল ৬ টায় রওনা দিই । এবং কাজভিন থেকে আমাদের গন্তব্য স্থান ছিল প্রায় ৩০০ কিমি দূরে । বাস প্রতি ৫ কিমি যেতে মাত্র ৪ মিনিট সময় নিচ্ছিলো ।
আমাদেরকে অতিক্রম করতে হয়েছিল দীর্ঘ কয়েকটি টানেল । অতীতে আমি যা অতিক্রম করেনি ।।
টানেলের ভেতর বাস প্রবেশ করতেই অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেল চারিদিক । অন্যরকম এক অনুভূতি ।
কিছুদূর যাবার পর আমরা সকালের নাস্তা খেলাম । আর সেখানে আমি জীবনের প্রথম 'জায়তুন' ফল গাছ দেখতে পেলাম । যে গাছ নিয়ে কোরআনে তীন নামে একটি সূরা রয়েছে ।
অতপর খাওয়া শেষে আবার রওনা দিলাম কালে রুদখানের উদ্দেশ্যে।
দুপুর ১ টায় পৌঁছালাম সেই মুল জায়গায় । তারপরে ধীরে ধীরে সতর্কতার সাথে ১,৫৫০ মিটার উঠার চেষ্টা । মাঝে মাঝে বিরতি আর ছবি তোলা ।
প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পরে আসল জায়গায় পৌছালাম ।
নিচের দিকে তাকালে ঘন অরণ্য আর পাহাড়ের মাঝ দিয়ে আকা-বাকা রাস্তা আর উপর থেকে নিচের দিকে পাথর ঘেঁষে পানি পড়ে যাওয়া ।
আর উপরের দিকে তাকালে মনে হচ্ছিলো আরেকটু হলেই মেঘ গুলো হাতের মুঠোয় চলে আসবে । দেখলাম আর আল্লাহর নিপুন কারুকাজ কতটা সুন্দর হতে পারে তা চিন্তা করলাম ।
দুর্গটি ২.৬ হেক্টর ( ৬.৪ একর) এলাকা নিয়ে নির্মান করা হয়। এটি ৭১৫ এবং ৬৭০ মিটারের টিলার একটি পর্বত । এ দৃঢ় দুর্গ ১,৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের শীর্ষদেশ রয়েছে। দুর্গে ৪২ টি টাওয়ার এখনও অক্ষত । অতপর ১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর নিচে নামার চেষ্টা ।
নামতে গিয়ে আমাদের এক ভাই পা পিছলিয়ে কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হলেন । তখন আমি সহ অন্যরা আরো সতর্কতার সাথে নামতে শুরু করলো ।
উঠার চেয়ে কিছুটা বেশী সময় নিয়ে আল্লাহর রহমতে নিচে নামলাম । আলহামদুলিল্লাহ । অতপর বাসের নিকটে ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজভিনের উদ্দেশ্যে রওনা ।
রাত ১০ টায় ফিরেছিলাম আমার বাসস্থান কাজভিনে ।।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন