শহীদ হাফিজের এলাকা্র সেই ঘরগুলোতে কি এই ঈদে সেমাই রান্না হবে ??

লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ০৫ জুলাই, ২০১৬, ০৪:৪৬:৫৯ রাত

সম্ভবত ২০০৯ সালের ঘটনা, অন্যন্য বছরের মত রাজশাহীর ১৯নং ওয়ার্ডে সাংগঠনিকভাবে এলাকার দরিদ্রদের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিল।

২৯ রমজান বিকেলবেলা হাফিজ জানালো, আমার এলাকায় কয়েকটি বাসায় ঈদ সামগ্রী দেবার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা তিন থেকে চারজন মিলে সাইকেল নিয়ে চললাম হাফিজের এলাকার সেই ঘরগুলোতে।

প্রথমে হাফিজ এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেল।যার আশেপাশে কোন বাসা নেই। বড় একটি গাছের নিচে শুধুমাত্র একটি খড়ের তৈরী বাসা। বাসার উঠানে একটি হুইল চেয়ার দেখে বুঝতে বাকি রইলোনা বাসার সেই মানুষটি হাঁটাচলা করতে পারেন না।

হাফিজ বাইরে থেকে সালাম দিতেই, ভেতর থেকে জবাব আসলো কে ?

হাফিজ জবাব দিলঃ আমি হাফিজ, শুনেই ঘরের ভেতরে থাকা দরিদ্র মানুষটি চিনতে পারলেন। ওনাকে প্যাকেটের খাবারগুলো দিতেই তিনি যে কতটা খুশি হয়েছিলেন সামনা-সামনি না দেখলে হয়তোবা কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন না।

দ্বিতীয় বাসার গন্তব্যে আমরা, কিছুটা নির্জন এলাকা পার হয়ে আমাদের হাফিজ নিয়ে গেল এক বাসায় সেটাও উপরে টিন দেওয়া একবাসা। হাফিজ সালাম দিতেই এক বৃদ্ধ মহিলা বের হয়ে আসলেন, বয়স ৮০ পার হয়েছে বললে ভুল হবেনা।

এভাবেই হাফিজ তার এলাকায় দরিদ্র, অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছিল। কিন্তু আজ সে নেই, আর কখনো তাকে এভাবে দরিদ্রদের খাদ্য সামগ্রী দিতেও দেখা যাবেনা।

দরিদ্র মানুষগুলো হয়তোবা অন্য ঈদগুলোর মত এবারও হাফিজের সালামের আওয়াজ শোনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

কিন্তু......

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373976
০৫ জুলাই ২০১৬ রাত ০৪:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : যারা একাজের সিলসিলা বন্ধ করে দিয়েছে আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের ছাড়বেন না।
373979
০৫ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৫:২৪
নয়া জামানার ডাক লিখেছেন : হাফিজ বাইরে থেকে সালাম দিতেই, ভেতর থেকে জবাব আসলো কে ? অনেক ধন্যবাদ
373981
০৫ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৭:০২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : হাফিজের সালামের আওয়াজ শোনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ভালো লাগলো ধন্যবাদ
373995
০৫ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যারা জিবিত আছেন তাদের কে ভাই হাফিজ এর কাজ এগিয়ে নিতে হবে। জিবন থেমে থাকবে না রণাঙ্গনে লাশের পাশেই যুদ্ধ হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File