তেহরানে স্মরণীয় একটি দিন !!

লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৩২:৪৯ বিকাল



গতকাল ১৩ তারিখ তেহরানে আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন অতিবাহিত করলাম।

সকাল ১০ টাই রওনা দেওয়ার কথা থাকলে কিছু সমস্যার কারনে দুপুর ১ টার দিকে রওনা দেই। ইরানের ছত্র সংগঠন বাসিজের আমন্ত্রন পেয়েছিলাম। এবং ইরানের তেহরানে ২,৩০ মিনিটে পোঁছালাম।

যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট'' মাহমুদ আহমাদি নেজাদের'' অনিবার্য্য কারণবসত তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। সে জন্য মনটা তাৎক্ষনিক খারাপ হলেও অন্যান্য বক্তাদের উপস্থাপনা দেখে মনটা বেশিক্ষণ খারাপ থাকেনি। তার পরিবর্তে একজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

ব্যানারে লেখা ছিল ''' conference on Iran's Petrochemical Industries Experts''' বুঝতেই পারছেন কনফারেন্সটি কিসের।

এটিতে অংশ গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম এক্সপার্টরা ও ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের পেট্রোলিয়াম গবেষকগণ।

কনফারেন্সটি (IRIB)আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।



ইতালি, রুমানিয়া, চীন সহ বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা অংশ নিয়েছিলেন।

ইরানের পেট্রোলিয়াম খাতের সাম্প্রতিক অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের অবস্থানকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ বিষয়ে তেল মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা তথ্য-উপাত্তসহ বক্তব্য রাখেন।



আমাদেরকে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাস এর ছাত্র হিসেবে এবং ইরানের তেল শিল্প সম্পর্কে জানার জন্য এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন টপিক নিয়ে আলোচনা রেখেছিলেন ইটালিয়ান গবেষক Dr Jose Vicente Cantavella Cabedo, তার সাথে অনুষ্ঠান শেষে কথা হল।

আরেক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে আনন্দ পেয়েছিলাম যার নাম খলিল খলিলী যিনি একজন ইরানী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তাই বিদায়ের মুহুর্তে তার মোবাইল নাম্বারটা চাইলাম। বলার সাথে সাথেই নিজেই আগ্রহ ভরে নাম্বারটি দিলেন। অনার বাংলাদেশী খাবার সম্পর্কে ভালই ধারনা তাই প্রশংসা করে বললেন তার বাংলাদেশি খাবার যেমনঃ কাচ্চি বিরিয়ানী খুব পছন্দ।

এবার খাবারের কথায় আসা যাক। বিকেলে পোঁছেই চা, কফি, কেক, বিস্কুট, ঠাণ্ডা পানীয় ইত্যাদি রেডি ছিল যার ইচ্ছা সে গ্রহণ করছে। আমিও থেমে না থেকে কফি, অরেঞ্জ জুস গ্রহণ করলাম।

আর রাতের খাবারের বর্ননা করতে গেলে অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারন ডিনার হলে ঠুকে দেখি ব্যাপক আয়োজন টেবিলে কমপক্ষে ৫০ রকম খাবারের আইটেম। দেখে মনে হল সব রাজকীয় কারবার। আমার জীবনে আগে কখন ও এত খাবার একসাথে দেখেনি।

আর ইরানি ও তাদের দেশের গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তিদের সাথে খেতে অন্য রকম একটি ফিলিং অনুভব করেছি।

আরেকটি কথা না বললেই নয় ঠুকার গেটের সামনে প্রায় ৫০-৬০ টি দেশের পতাকা ছিল তার মধ্যে একটি ছিল আমার প্রিয় '' লাল সবুজের পতাকা '' দেখে আনন্দিত হয়েছিলাম এবং ইরান সরকারকে এই কয়েকটি দেশের মধ্যেও যে বাংলাদেশের পতাকাকে স্থান দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ জানায়।

অতঃপর সম্মেলন থেকে ইরানের তেল সম্পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ধারণা নিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমতে নিরাপদে আবার কাজভিনে ফিরলাম।

ইনশা আল্লাহ আবার কথা হবে..

সবাই দোয়া করবেন।

বিষয়: বিবিধ

২৯০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File