যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন ইরানী মহিলারা ...
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:১৮:৫২ সন্ধ্যা
আমাদের ইরানের ইস্ফাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সেশনের ক্লাসে প্রায় ১০০জন শিক্ষার্থী, যার মাঝে ৫০জন ছেলে এবং ৫০ জন মেয়ে। দিনের প্রথম ক্লাস শুরু হয় সকাল ৮টার দিকে। ঠিক ৭,৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ক্লাসরুমের মাইকে কোরআন তেলাওয়াত বাজতে থাকে।
চিত্রঃ১
আর তার আগে থেকেই ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে থাকে।
যখন ঘড়ির কাটায় ৭,৫০ মিনিট তখন দেখলে চোখে পড়ে ছাত্র উপস্থিতির সংখ্যা ২৫% এবং ছাত্রী উপস্থিতি ৫০% এ থেকে বুঝা যায়, ইরানি মেয়েরা পড়াশুনায় কতটা তৎপর। ছেলেদের উপস্থিতি কম থাকলেও তাদের আক্টিভিটিও কম নয়।
চিত্রঃ২
বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ার এক প্রান্তে ক্লাস ভবন এবং সেখান থেকে কিছুটা দুরেই আমাদের ডরমেটরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য আলাদা বাস রয়েছে তাই কিছুটা সময় নিয়ে বের হলেই সময়মত ক্লাসে পৌঁছানো যায়।
বাসের সামনের অংশ মেয়েদের জন্য এবং পেছনের অংশ ছেলেদের জন্য বরাদ্ধ থাকে। যেটা ইরানের সকল শহরেই কার্যকর নিয়ম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে মাঝে মাঝে এমন চিত্র দেখা যায় যে, সামনের অংশ পুর্ন হয়ে যাবার পর ছেলেদের কিছু অংশ মেয়েরা নিতে বাধ্য হয়। এইতো দুইদিন আগে মেয়েদের ভীড়ের কারণে ছেলেদের অংশে জায়গা থাকার পরেও বাসে উঠতে পারিনি।
চিত্রঃ৩
ভর্তির কাজগুলো সম্পুর্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ভবনেই কোন না কোন কাজে যাওয়া লেগেছে। প্রায় জায়গায় ইরানি মহিলারা বসে আছেন। পুরুষ একজন বা দুইজন কিন্তু মহিলা ৫ জন বা তার চেয়েও বেশি হবে তো কম হবেনা। সেদিন গেলাম লাইব্রেরী ভবনে লাইব্রেরী কার্ড নিতে, সেখানে গিয়ে দেখলাম, লাইব্রেরির দায়িত্বে যে কয়জন আছেন তাদের সকলেই মহিলা।
এভাবেই ইরানী মহিলারা এগিয়ে যাচ্ছেন...
বিষয়: বিবিধ
২০৯৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিয়া-সুন্নীর বিষয়টি উপেক্ষা করা উচিত
যেসব বিষয়ে চিরকালীন মতপার্থক্য তার ফায়সালা আল্লাহতায়ালা নিজের কাছে রেখেছেন- আলকুরআনে এমন আয়াত থাকার পরেও এটার পিছে লাগা অনুচিত!
শিয়া-সুন্নী বিষয়ে যত লেখা হয়েছে গত হাজার বছরে তাতে কি কোন সমাধান হয়েছে/ নাকি হবে ??
অগ্রীম শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ব্যক্তি ও সমাজ জীবন ত্যাগের আলোকে উদ্ভাসিত হোক
আর একটু কিছু বলতে ইচ্ছা করছিল থাক বল্লাম না ।
পোস্ট অ-ন্নে-ক ভালো লাগলো যাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন