ইরান-ইরাক সীমান্তের পথে...
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ১৪ মার্চ, ২০১৪, ১০:৪১:১৬ রাত
কয়েকদিন আগে ঘুরে আসলাম ইরান-ইরাক সীমান্তের প্রান্ত থেকে। দেখে আসলাম যে সব স্থানে ইরান-ইরাক যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে তার মধ্যে দর্শনীয় কিছু স্থান।
যে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এবং জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ১৯৮৮ সালের আগস্টে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর অবসান ঘটে।
ইরানের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন বাসিজের আমন্ত্রণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১৫ টি দেশের ছাত্ররা চারদিনের এই শিক্ষা সফরে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। এই শিক্ষা সফর প্রায় প্রত্যেক বছরই হয়ে থাকে যে সফরকে ফার্সিতে বলা হয়ে থাকে ''রাহে নুর''
আমাদের কাজভিন শহর থেকে প্রায় ৭০০ কিমি দক্ষিনে আওভাজ শহর এবং সেই শহরের আশপাশ ঘিরেই ইরাক সীমান্ত ।
সকাল ৮ টায় রওনা হয়ে প্রায় ১৫ ঘন্টার বাস যাত্রা শেষে পৌছালাম বাসিজের একটি কোয়ার্টারে যেটি আওভাজ শহরের পাশের একটি শহর আন্দিমাসকে অবস্থিত।
সেখানে রাত্রি যাপন শেষে ফজরের নামাজ এবং সকালের নাস্তা সেরে আবার যাত্রা শুরু হল আওভাজ শহরের দিকে। সুস নামের একটি শহর পার হয়েই পৌছালাম আওভাজ নামক শহরে।
আওভাজ শহরের চারিপাশ সবুজে এবং পাহাড়ে ঢাকা একটি শহর। রাস্তার পাশ ধরে কখনো গমের কখনো আলু আবার কখনো পেয়াজের মাঠে ভরা।
মাঠের মাঝে চোখে পড়েছিল বাংলার গ্রাম্য ঐতিহ্য রাখাল ভেড়ার পাল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সবুজ প্রান্তরের দিকে।
মাঝে মাঝে চোখে পড়েছিল ইরানের সেনাদের নিরাপত্তা দুর্গ।
আওভাজ শহরে তিন দিন অবস্থান করে
প্রথম দিন খোররাম নামক শহরের যুদ্ধ সংঘঠিত কিছু স্থান ঘুরলাম যে শহর থেকে ইরাকের বসরা নগরী অনেকটাই দেখা যায় একটি নদী পার হলেই সেই বসরা নগরী।
দ্বিতীয় দিন ফাক্ষে নামক স্থানে গেছিলাম যেখানে ১২০ জন ইরানি ইরাকি সৈন্যদের আক্রমণে নিহিত হয়েছিলেন।
বিকেলের দিকে আওভাজের একটি মিউজিয়ামে গেছিলাম যেখানে যুদ্ধে ব্যবহুত কিছু অস্ত্র, মাইন সৈন্যদের ব্যবহুত ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস..
তৃতীয় দিন যে স্থানে যাত্রা করেছিলাম সে স্থানটির নাম হাভিজে নামক স্থান সেখানেও সেই যুদ্ধে প্রান দেওয়া একশর মত সৈন্যের সমাধি আছে।
এভাবেই চারদিনের দীর্ঘ একটি সফর শেষে কিছু ইতিহাস কিছু আনন্দ নিয়ে ফিরলাম আমার কাজভিন শহরে।
আলহামদুলিল্লাহ ...
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন