বাংলাদেশে ইসলামি বিপ্লব>> প্রেক্ষাপট ইরান ।

লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ১৯ মে, ২০১৩, ০৮:৩৬:১১ রাত



আমরা যারা ইসলামি জীবন যাপন করতে ভালবাসি তারা সবাই কামনা করি, আল্লাহ যেন বাংলাদেশকে একদিন ইসলামি বিপ্লবের দেশ হিসাবে কবুল করেন।

যদি ধরি, আমাদের বাংলাদেশে এই মুহুর্তে ইসলামি বিপ্লব হয়ে গেল। পরবর্তীতে যদি নির্বাচন দেয়া হয়, তবে ইসলামি বিপ্লবের পক্ষ্যে কত ভাগ ভোট পরতে পারে ??

সত্যি কথা শুনতে কষ্ট লাগলেও আমার মনে হয়, আমাদের দেশে ইসলামি বিপ্লব অনেক দূরে রয়েছে।

সবাই মনে করেছিল '৬ মে' হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে কিছু একটা ঘটতে চলেছে।

কিন্তু সেদিন কিছুই ঘটেনি ,ঘটেছে নারকীয় হত্যাকান্ড।

অবশ্যই যারা সেদিন শাহাদাত বরন করেছেন। তাদের প্রেরনা বাংলাদেশে ভবিষতে ইসলামি বিপ্লবে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এবার আসুন, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাসের দিকে নজর বুলায়।

১৯৬৩ সালের ১৫ খোরদদ ইরানে স্বৈরাচারী শাহ রেজা পাহলভি সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিলো ঐতিহাসিক ১৫ই খোরদাদ গণ আন্দোলন অর্থাৎ ইসলামি বিপ্লবের আন্দোলন।

যা স্থায়ী হয়েছিল ১৯৬৩ সালের জুন মাসের ১৫ই খোরদদ থেকে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত। যা প্রায় ১৬ বছর।

এই বিপ্লবের ইরানী জনগণের শ্লোগান ছিলো- 'না প্রাচ্য, না পাশ্চাত্য, ইসলামী প্রজাতন্ত্র'।

১৫ই খোরদাদের বিপ্লবের দিন শাহের পেটোয়া বাহিনী কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। ইমামকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল।

শাহ সরকার ভেবেছিলো,

মানুষকে হত্যা করলেই মনে হয় ইসলামি বিপ্লব নিমেষেই ধূলায় ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। কিন্তু তার সে আকাংখা মলিন করে দিয়েছিলেন, 'ইমাম খোমেইনি রহঃ '' তার বলিষ্ট নেতিত্বের মাধ্যমে।

এবং ইরানের জনগণ ইসলামি বিপ্লবের পরের নির্বাচনে 'বিপ্লবের পক্ষ্যে প্রায় ৯৯ ভাগ' সমর্থন প্রদান করেছিল।

তার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিপ্লবের বিজয় ঘটেছিলো।

আর এটিই ছিলো ১৫ই খোরদাদ আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি।

আমরা যদি ধরি, বাংলাদেশে ৬ মের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ইসলামি বিপ্লবের আন্দোলনের সুচনা ঘটেছে। যেমনভাবে শাহ ১৫ খোরদদ ইরানের জনগণের উপর চালিয়েছিল হত্যাকান্ড।

সেটা ভাবা কি ভুল হবে?

আমাদের দেশে এখনও ইসলামের নিয়ম কানুন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।

আমরা যারা ইসলামি বিপ্লব কামনা করি তাদেরই দায়িত্ব এসব ভুল ধারনা থেকে জনগনকে আসল ইসলামের গুণাবলী গুলো তাদের সামনে তুলে ধরা।

আর তার সাথে কাজ হবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে ইসলামের বানী পৌছিয়ে দেওয়া।

আর এর মাধ্যমেই হয়তোবা আল্লাহ কোন একদিন আমাদের বাংলাদেশকে ''ইসলামি বিপ্লবের '' দেশ হিসাবে কবুল করবেন, ইনশা আল্লাহ ।

যেমন ভাবে কবুল করেছেন ইরানকে ..

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমীন ।

বিষয়: বিবিধ

২৯৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File