৬ এপ্রিলের লং মার্চ আমাদের কাছে কিছের বার্তা নিয়ে আসছে??
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তে হাওয়া ০৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫৩:১৫ বিকাল
বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে ৬ এপ্রিল লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনটি ।। এই লং মার্চ সফল করতে চলছে জোড় প্রস্তুতি ।।
এবার আসা যাক, এই লং মার্চ ডাকার কেন প্রয়োজন হলো ?? রাজনিতির হাওয়া যে এত দ্রুত বদলাবে তা আমার কাছে অবিশ্বাষ্য মনে হয়েছে ।।
যখন আমাদের সামনে শাহবাগের অভ্যুত্থান হলো তখন মনে হয়েছিল বাংলাদেশের সবার চোখ সেদিকেই ।। ঘোষণা দেয়া হল এটি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ ।। কিভাবে তারা সেটা বলেছেন তা আমার বোধগম্য হয়না ।। স্বাধীন দেশে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয় ।।
আমি মনে করি, যারা এটিকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বলেছেন তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছেন ।। প্রথমেই ঘটলো দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে শাহবাগে সত্য বাবুর মৃত্যু ।। মিডিয়াগুলোতে একমুখী মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা শুরু হলো।।
কিছু মিডিয়ার প্রতিবেদন বলে, শাহবাগের আন্দোলনের প্রথম দিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করা লাখো লাখো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ।। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রশ্ন উঠলো কার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন ??
কেই বা এতবড় আন্দোলনের যোগান দিচ্ছেন অর্থ, খাদ্য, পানীয়।।
কয়েকদিন পরে মারা গেলেন ব্লগার রাজীব ওরফে থাবাবাবা ।। এরজন্য দায়ী করা হলো জামায়াত-শিবিরকে।। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেলেন তার বাসায় ।। তাকে দেওয়া হলো জাতীয় বীরের মর্যাদা ।। আর সংসদে ঘোষণা করা হলো, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রাজীব।।
অন্যদিকে ভিন্নমতের মিডিয়াগুলো বিশেষ করে ''আমার দেশ'' পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলো নিহত রাজীব ছিলেন প্রচণ্ড ধর্মবিদ্বেষী।। নিজ ব্লগে আল্লাহ এবং রাসুল (সা.) ও ইসলামের বিরুদ্ধে তার লিখুনি কাজ করেছে ।। এ সংবাদ প্রকাশের পর পরিস্থিতি মোড় নিল অন্য দিকে।।
মঞ্চে আবির্ভূত হলেন বৃদ্ধ সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা আহমদ শফি।। তার নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে আসে ধর্মপ্রাণ মানুষ। । তার মধ্যেই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সার বাংলাদেশের রাস্তায় নেমে আসলো জামায়াত-শিবির সহ বহু সাধারন জনগন ।। বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটলো স্মরণকালের নারকীয় পাখির মত মানুষকে গুলি করে হত্যার মহা উৎসব।। তিন দিনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ।।
সিঙ্গাপুরে থেকে এসেই খালেদা জিয়া পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ডাক দিলেন লড়াইয়ের।। আস্তে আস্তে মুছে যেতে লাগলো শাহবাগের নাম ।।
যখন প্রধান চারটি রাজনৈতিক দলই গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধের পক্ষে তখন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার স্পষ্ট করেই বললেন ,
গণজাগরণ মঞ্চ কোন রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।। কাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এ তরুণ চিকিৎসক।। এ কথা সবার মাঝে প্রশ্ন তুলেছে তাকে কে পরিচালনা করছে ??
অনেকটাই আমার কাছে স্পষ্ট তাকে কে চালনা করছে ?? অতীতে কিছু ভীনদেশী মিডিয়াও তা বলার চেষ্টা করেছে ।।
শাহাবাগের ব্যার্থতার পরে আমাদের সামনে হেফাজতে ইসলাম।।
তারা ডেকেছে লং মার্চ এটি আমাদের জন্য কিছের বার্তা নিয়ে আসবে??
এটা কি পারবে, বাংলাদেশে ইসলামের বিজয়ের একটি পথ উম্মোচন করতে ??
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন