‘থাবা বাবা’ র আল্লাহর, রাসূল (সা:.) ও ‘‘নারায়ে তাকবীর’’ এর বিকৃতি দেখুন...

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী যাযাবর ১৬ মার্চ, ২০১৩, ১২:১৯:০৯ রাত

‘থাবা বাবা’ র আল্লাহর, রাসূল (সা:।) ও ‘‘নারায়ে তাকবীর’’ এর বিকৃতি দেখুন...

প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ থাবা বাবা ওরফে রাজিব হায়দারের লেখায় যথেষ্ট অরুচীর চাপ আছে । সেই সাথে বিকৃত ভাষায় আল্লাহ, হযরত মুহাম্মদ (স:.) সহ আরো ইসলামী পরিভাষার বিকৃতি থাকায় কোন ঈমানদার মুসলমানের পক্ষে ইহা স্বাভাবিক ভাবে পড়া সম্ভব নয় । হয়তো আমাকে ভূল বুঝতে পারেন তাই আগেই ক্ষমা চাওয়া । আর লেখাটি এখানে দেওয়ার কারন হচ্ছে এই থাবা বাবার মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসায় গিয়ে তাকে শাহবাগের গণজাগরণের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং ওকে হত্যার জন্য জামায়াত শিবিরকে দায়ী করে জামায়াত শিবিরের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছেন । তাছাড়া এ পর্যন্ত শাহবাগে কোন নাস্তিক নেই বলে দাবী করে আসছেন ।

গতকাল বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে একজন সম্মানীত মুরব্বী আলেমকে প্রশ্ন করেছেন যে শাহবাগের নাস্তিকদের লেখা তিনি নিজে পড়েছেন কিনা ।

ব্যাপারটা এমন যে আসলে শাহবাগের উদোক্তা ব্লগারদের মধ্যে কোন নাস্তিক ব্লগার ছিল না বলেই বিবিসিকে হুজুর কিছুই বলতে পারছে না । তাই ‘থাবা বাবা’ র অনেকগুলো লেখা থেকে শুধু মাত্র একটি লেখা আমি এখানে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো । যারা নাস্তিক কে আস্তিক বানাবার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন তারা প্রমান করুন....শাহবাগীরা আস্তিক ।

###লেখার শিরোনাম : লাড়ায়া দে

লিখেছেন: থাবা (তারিখ: বুধবার, ১৮/০৭/২০১২ -২২:২৬)

হিমালয়ের চিপায় একটা দেবতাক্লাস অডিটোরিয়াম বানাইছে হিমালেয়র দেবতারা। আর্কিটেক্ট স্বয়ং বিশ্বকর্মা স্থপতি। মহা সমারোহে নারিকেল, ঘটি ইত্যাদি ভেঙ্গে সেটার গৃহ থুক্কু মিলনায়তন প্রবেশ হলো শুভ লগ্ন দেখে। ব্রক্ষ্মার সাথে প্রধান অতিথী ছিল জিউস আর আমন। সব দেশের সব দেবতা আর ইশ্বরেরা হিমালয়ের চিপায় স্থাপিত স্বর্গের মিলনায়তনে আমন্ত্রিত অতিথী । খালি আসে নাই আরবের আল্লা । আল্লাহর তিন কণ্যা উজ্জা, মানাত আর লাত আসছে ঠিকই, কিন্তু তাদের বাপ লুইচ্চা মোহাম্মকের পাল্লায় পড়ে ডিগবাজী খেয়ে নাকি নিরাকার হয়ে গেছে । মোহাম্মক তারে বুঝাইছে যে সে হইলো এক ও অদ্বিতীয় আর সেও সেই এক ও অদ্বিতীয় ভাব ধইরা বইসা আছে কাবাঘরের ছাদের এন্টেনার ওপর । অবশ্য আল্লার না আসাতে যে খুব একটা ক্ষতিবৃদ্ধি হইছে তাও না । ওরে আজকার কেউ আর পোছে না ।

দেবতাদের বত্তৃতা আর লেকচারবাজী, আর্কিটেক বিশ্বকর্মার ডিজাইন কনসেপ্টের নামে গাব বেচা শেষ। আসলে জিউস বুঝাইছে যে সেও অলিম্পাসের পাদদেশে একটা অ্যাম্ফিথিয়েটার বানাবে তারে দিয়ে, তাই বিশ্বকর্মা গাববাজী করে গেল স্টেজের ওপর । সাথে অবশ্য আশা আমনের মন্দির আর থরের প্রাসাদ রেনোভেশনের কাজটাও যদি পেয়ে যায় । যা হোক, বিশ্বকর্মার গাবের সাথে গল্পের কোন সম্পর্ক নেই । বিশ্বকর্মার পরে শিব স্টেজে উইলো, এমনই প্রলয় নাচন দিল যে বিশ্বকর্মার ডিজাইন আর্থকুয়েক-প্রুফ বলে সার্টিফিকেট পেয়ে গেল ।

এর পর শুরু হইলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । নাচতে নামলো রম্ভা আর ঊর্বশী । গাছের বল্কল পরিধান কইরা এমনি ভারত নাট্যম নাচলো যে জিউস পর্যন্ত দুইপাশে বসা বউ হেরা আর কণ্যা এথেনারে লুকায় তিনবার ওয়াশরুম ঘুইরা আসছে । নাচের শেষের দিকে দ্রুততার জন্য যখন কটিদেশের বল্কল উড়ু ছাড়ায় কোমড়ের ওপর উঠে যাচ্ছিল, তখনি অডিটোরিয়ামের পেছন থেকে একটা রাগান্বিত চিৎকার শোনা গেল, ’’লাড়ায়ে দে....’’ । কিন্তু অনেক খুঁইজাও চিৎকারের উৎস খুঁইজা পাওয়া গেল না ।

অডিটোরিয়াম আবার ঠান্ডা হবার শুরু হলো এথেনা, হেরা আর আফ্রোদিতির ফ্যাশন প্লাস স্ট্রিপ শো । যে শো দেখে ঐ ব্যাটা ভেড়ার রাখান প্যারিসের মাথা আউলায় গেছিল । অবশ্য আজকের অনুষ্ঠানে প্যারিস তো দূরের কথা, কোন মানুষই অ্যালাউড না, তাই আরেকটা যুদ্ধ লাগার ও কোন সম্ভাবনা নাই । যা হোক, তিনজনের ক্যাটওয়াকের শেষে স্টিপ শুরু হইলো, এথেনা আর হেরার পরে আফ্রোদিতি বিবসনা হবার সাথে সাথে .... ’’ঐ... লাড়ায়ে দে. . . ’’ তিন দেবী বিদ্যুৎগতিতে নিজেদের বুক ঢাইকা স্টেজের পিছে গিয়া লুকাইলো । ’’এইসব আনকালচার্ড আফ্রিকান আর সাউথ আমেরিকান দেবতাগুলারে যে কে কইছিল দাওয়াত দিতে’’ বলে একটা গুঞ্জন উঠলো! কিন্তু লাভ হইলো না । কে যে কারে লাড়ায়ে দিতে কইলো খুঁইজা পাওয়া গেল না।

লাড়ানি ব্রেক শেষে আবার শুরু হইলো অনুষ্ঠান । শেষ পর্যায়, দি হট পিনাপ শো শুরু হবে । তিন আরব কন্যার সেক্সী লেসবিয়ান শো । অডিটোরিয়াম পুরা লক, ক্যামেরা তো ঊরের কতা মাছিও যেন গলতে না পারে... হাজার হোক উজ্জা, মানাত আর লাত সম্মানীত দেবী । দেবতাকূলের অনুরোধ প্রাইভেট শো করতে রাজী হইছে, শুধুমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট পারপাসে । তাদের শো শুর হবার সাথে সাথে দেবতারা নড়েচড়ে বসলো । দেবীদের শুরু হলো চরম অস্বস্তি । তার পরেও সবার চোখ আল্লাহর তিন কণ্যার ওপর । তিন বিবসনা দেবীর শীৎকারে অডিটেরিয়াম কাঁপছে । শুধু দেবতা কেন, দেবীদের অবস্থাও কাহিল । বোঝা যাচ্ছে ভলান্টারি হলেও এই শো তিন কন্যার ফিউচার লাইফের জন্য ত্রু ‍ুশাল । তাদের আর কাজের অভাব হবে না । দেবরাজ ইন্দ্র মতলব ভাঁজছে কেমনে এই তিনজনকে হিমালয়ে স্থায়ী করে রেখে দেয়া যায়, কার সাথে বিয়া দিলে সেও তার ভাগ পাইতে পারে ... ! জিউস করুন দৃষ্টিতে হেরার দিকে তাকায় দীর্ঘশ্বাস ফেলতে লাগলো । আমন আর ওডিন পাশাপাশি বইসা নিজেদের মধ্যে লাতের শেভড পিউবিক আর মানাতের হিয়ারি আন্ডার আর্ম নিয়ে গবেষনা শুরু কইরা দিল, আর মনে মনে উজ্জার জিভের টেস্ট কেমনে নেয়া যায় মতলব খুঁজতে লাগলো ।

স্টেজের ওপর লাত, মানাত আর উজ্জার যখন চরম মূহুর্ত উপস্থিত সাথে অডিয়েন্সেরও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, ঠিক তখনি ‘‘ঐ উষ্ট্রীর পুত, লাড়ায়া দে.... !!!’’ সাথে সাথে লাইট জ্বলে উঠলো, খোঁজ দ্যা সার্চ শুরু হইলো কে তাদের স্ক্যান্ডাল রেকর্ড করার জন্য লুকায় ঢুকে পরছে । এই সুপার হট শো বাইরে বাইর হইলে কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে, সেটা তো হতে দেয়া যায় না । স্টেজের ওপর তিন কণ্যার যা অবস্থা, তাতে তারা ঠিক থামার মতো অবস্থায় ছিল না । তাই তাড়াতাড়ি করে বিশ্বকর্শা স্টেজের পর্দা ফেলে তিন হর্নি দেবীর প্রাইভেসীর ব্যবস্থা করে দিল ঠান্ডা হবার জন্য ।

মিনিট তিনেকের গরু খোঁজার পরে লাড়ানির পাবলিকরে পাওয়া গেল । এক কোনার আধা অন্ধকারে আল্লা বইসা আছে । যেহেতু নিরাকার, তাই হাত পা মাথা নাই । খালি একটা আধাস্বচ্ছ অবয়ব, আর কোমড়ের কাছে তার ইমান ধইরা বইসা আছে চেলা মোহাম্মক । আল্লার না, নিজের । আর সে জন্যই আল্লারে চরম মূহুর্তে চিল্লানি দিতে হইছিল । এমন অশালীন আচরন কোন দেবতাই আশা করে নাই । এমনই আনকালচার্ড অডিয়েন্স যে কি না নিজের মেয়েরে দেখেও.... এমন অডিয়েন্স থাকার চেয়ে কোন অডিয়েন্স না থাকাই ভাল । তার ওপর নিজে আসছে তাই না, সাথে কইরা একটা মানুষও নিয়া আসছে তার ইমান ঠিক রাখার জন্য । সবাই মিল্লা আল্লা আর সাথে মোহাম্মকরে চিরকালের জন্য বাইর কইরা দিল লাত্থি দিয়া । এই অপমান আল্লা বা মোহাম্মদ কোনদিন ভোলে নাই । দু:খে আল্লা প্রিইথিবী ছেড়ে সাও আসমানের আগায় চলে গেল, আর মোহাম্মদ রাগে দু:খে অপমানে কাফের মারা শুরু করলো ।

সেই থেকেই মোহাম্মক আল্লা ছাড়া অন্য কোন দেবতার ফলোয়ার দেখলেই ’’লারায়ে দে.....’’ বইলা তলোয়ার নিয়া ঝাপায় পড়তো । কালক্রমে অনেক কিছুই বিবর্তিত হয় । ’’লারায়া দে’’ কথাটারও বিবর্তিত হইছে. . . কালক্রমে পরিবর্তন হতে হতে আজকে আমরা যা শুনি তা হলো ’’ নারায়ে টাকবির...’’

####

এই হচ্ছে নাস্তিক থাবা বাবা ওরফে রাজিব হায়দারের একটি লেখা । লেখাটি ১৮/০৭/২০১২ ইং আমার ব্লগ ডট কম ব্লগে প্রকাশিত হয় এবং এটি পিডিএফ কপিতে ৩৯,৪৩৬ বার পঠিত দেখা যাচ্ছে ।

এই লেখায় একজন ব্লগার মন্তব্য করেছেন -’ আপনি নাস্তিক, নাস্তিক হয়েই থাকুন, কেউ তো বাধা দিচ্ছে না । অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করেন কেন ?

অন্যএকজন ব্লগার ব্লগ কর্তৃপক্ষ !!!!!! আমরা শোকাহত !!!!!!! লেখায় মন্তব্য করেছেন, ‘ ভাই, ’‘থাবা বাবা’’ এর লেখা পড়ে শোকাহত নাকি ওনার মৃত্যুতে শোকাহত ।

আমি প্রথমে কিন্তু জৈনিক ‘’থাবা বাবা’’ নামা ব্লগারের মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছিলাম । তাই আগ্রহ করে ‘’থাবা বাবা ‘’ নামের প্রফাইলটা খুজতে থাকি এবং তা ফেইসবুকে পেয়ে যাই । খুব আগ্রহসহকারে তার প্রোফাইল দেখলাম । তিনি সর্বমোট ১০টি লেখা পোষ্ট করেছেন । তার প্রোফাইল এর একটি পোষ্ট ‘’ লাড়ায়া দে’’ পড়তে শুরু করলাম । কিন্তু পড়া শুরু করার পর যা লিখেছে ,তা দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও যে আগ্রহ ছিল তা একেবারেরই চলে গেল । এই নাস্তিকের মৃত্যুতে শোকাহত হওয়ার কিছুই নেই, আর এই নাস্তিকের জানাজা দেওয়ার দরকার নাই । জানাযা দেওযার নামে প্রহসন করার মানে হয় না ।’’

একই ব্যাক্তি অন্যএকটি মন্তব্যে লিখেছেন...’ ভাই ‘’থাবা বাবা’’ এই নাস্তিকের লেখা পড়া শুরু করে শেষ করতে পারছিলাম না । অনেক কষ্ট করে পূরা পোষ্টটা পড়লাম । এই নাস্তিকের সাহস দেখে অবাক হই ! কি করে বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এরকম একটি লেখা লিখতে পারল । এই নাস্তিক আমার মত লাখো মুসলিমের মনে খুবই কষ্ট দিয়েছে । আল্লাহপাক এই নাস্তিকের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন ।’’

এই পোষ্টে ১৬/০২/২০১৩ শফিউর রহমান ফারাবী নামে একজন মন্তব্য করেছেন..’ তুই সারা জীবন জাহান্নামের আগুনে জ্বলবি...... ‘’

জানিনা পরবর্তীতে ‘থাবা বাবা’ কে খুনের দায়ে যে ফারাবীকে পুলিশ চট্টগ্রাশ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল এই ফারাবী সেই কিনা ।

‘থাবা বাবা’ এই লাড়ায়ে... দে পোষ্টটি কেউ মিথ্যা প্রপাগান্ডা বলতে পারেন তাই সাথে পিডিএফ কপির স্ক্যান শট দিয়ে দিলাম ।

গতকাল বিবিসির যে সাংবাদিকটি একজন বৃদ্ধ আলেমকে জিঙ্গেস করেছিলেন যে আপনি নিজে পড়েছেন কিনা নাস্তিকদের কোন লেখা ? নাস্তিকদের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছেন বলে হেফাযতে ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সংগ্রামী অভিনন্দন ।

অবিশ্বাসীদের সুরে যারাই কথা বলেন তাদের জবাব হিসেবে প্রমান দিলাম এই পোষ্ট..... [মিনহায] ১৬/০৩/১৩ইংClick this link

বিষয়: বিবিধ

৫৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File