সন্ধেহ হয় বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসন আধো আছে কিনা.... অসহায় হাজি মমতাজ বেগমের আকুতি.....

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী যাযাবর ১৪ মে, ২০১৩, ০৮:৫৩:৫৩ রাত

সাতকানিয়ার রফিক গং এর অত্যাচার থেকে মুক্তি চান হাজি মমতাজ বেগমের পরিবার..



সাতকানিয়ায় রফিক গং এর অত্যচারে অতিষ্ট পাশ্ববর্তী হাজী মমতাজ বেগমের পরিবার । সরে জমিনে তদন্তে দেখা যায় মমতাজ বেগমের শশুর মরহুম হাজী সোনামিয়া সও: এর জীবদ্ধশায় ১৯৭০ সালের বন্যায় নিজ বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজ মালিকানাধীন অল্প দুরের বিশাল রুহিত পুকুর বিক্রি করে তিন পুত্র কবির আহমদ(বর্তমানে মরহুম), আছহাব মিয়া (বর্তমানে মরহুম), ও কোরবান আলীর জন্য বাড়িটি নতুন করে তৈরী করেন । পরবর্তীতে হাজি সোনামিয়া সও: ছোট ছেলে মতিচ্ছন্ন কোরবান আলীকে সাথে নিয়ে বাড়িল মধ্যাংশে আমৃত্যু বসবাস করেন । পিতা হাজি সোনামিয়ার দেওয়া হিস্যা মোতাবেক বাড়ির দক্ষিণাংশে কবির আহমদ ও উত্তরাংশে আছহাব মিয়া স্ব-পরিবারে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে থাকেন । মধ্যমাংশে কোরবান আলী স্ব-পরিবারে বসবাস করতে থাকেন ও আছেন ।

ইতিমধ্যে ১৫/২০ বছর আগে আছহাব মিয়া ও কবির আহমদ ইন্তেকাল করলেও তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাগণ শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানে বসবাস করতে থাকেন । গত কয়েক বছর থেকে কবির আহমদের দুই ছেলে বিদেশ গিয়ে কিছু টাকা কামাই করে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে চেষ্টা করে । অতচ রফিকের ছোট ভাই নজরুলকে হাজি মমতাজ বেগম এর ছেলে সৌদি প্রবাসী ছরওয়ার নিজ খরছে ভিসা দিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যায় । সেই তারাই এখন মরহুম হাজি সোনামিয়া সও: এর তিন পুত্রের জন্য তৈরী করা বিশাল বাড়ী যেখানে গত ৩৪ বছরেরও বেশী সময় ধরে তিন ভাই স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছে সেই দাদার তৈরী বাড়ি পুরোটাই এককভাবে মালিকানা দাবী করে । গত কয়েকমাস আগে কবির আহমদের ছোট ছেলে নুরুল ইসলাম বিদেশ থেকে এসে বিভিন্নভাবে মরহুম আছহাব মিয়ার স্ত্রী হাজি মমতাজ বেগম ও তার সন্তান হারুন রশীদ গং দের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে ।

পরিস্থিতি যখন মারমুখি অবস্থায় উপনীত হয় তখন গত ২২ ফেব্রুয়ারী’১৩ ইং পারিবারিক ভাবে মিমাংশার জন্য বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয় । উক্ত বৈঠকে মরহুম হাজি সোনামিয়া সও: এর তিনকন্যা শশুরবাড়ী থেকে আসে এবং এক ছেলে হাজি নুরুল আলম চট্টগ্রাম শহর থেকে যায় । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাজি সোনামিয়া সও: এর বড় ছেলে মরহুম ইছমাইল চেয়ারম্যানের ছেলে হাবিব উল্লাহ, শহীদ উল্লাহ বাবুল ও সেলিম উল্লাহ । ঐদিন বাড়ি ভিটা পরিমাপ করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমিন ও মুহুরী আনা হয় । বাড়ি ভিটার সমস্ত জায়গা পরিমাপ করে সমহারে বন্টনের জন্য মজলিশে বৈঠকের সিদ্ধান্ত উপস্থিত সকলে মানলেও মৃত কবির আহমদের ছেলে রফিকুল ইসলাম গং মজলিশের সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায় । এর কয়েকদিন পর রফিক গং হাজি মমতাজ বেগমের বাড়ি ভিটার বাউন্ডারী টিনের বেড়া থেকে ৩টি টিন খুলে নিয়ে যায় এবং পেছন থেকে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করে । তাছাড়া বাড়ি ভিটার হাজি মমতাজ বেগমের রোপন করা বড় বড় গাছ কেটে নেবার হুমকি দিতে থাকে । এ অবস্থায় মমতাজ বেগমের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার নং SDR-৮৮৬/১৩, তাং- ২৯/০৩/২০১৩ইং ।

এজাহারের পর থানা থেকে এস আই মাহাবুব সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে সীমানা বেড়ার ৩টি টিন খোলা দেখতে পেয়ে ঐ অবস্থায় ছবি তুলে রাখে এবং উভয় পক্ষকে সামাজিক ভাবে বসে মিমাংসা করার জন্য ১০ দিন সময় দেয় । ১৪/০৪/১৩ইং আবারো বৈঠকের ব্যবস্থা হয় এবং এবারও শালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিলেও রফিক গং বিশেষ করে নুরুল ইসলাম সরাসরি তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সে উপস্থিত মুরব্বীদের সাথে বেয়াদবী করে । তাছাড়া রফিকের বোন জামাই সতিপাড়ার মৃত মনছুরের ছেলে আয়ুবআলীও অনেক বাড়াবাড়ি করে । এর পরদিন ১৫/০৪/১৩ইং রফিক গং দলবল নিয়ে মমতাজ বেগমের বাড়িতে কেহ উপস্থিত না থাকার সুযোগ নিয়ে ওদের বাড়িভিটার বাউন্ডারী বেড়ার ৩টি টিন খুলে নেয়ার পর উভয় পাশে যে টিনগুলো ছিল সেগুলোও খুলে নিয়ে যায় । ওরা প্রায় সময় বড় গলায় গালাগালী করে এবং বাড়ির মেয়েরাও সমান তালে গালাগালি করতে থাকে । ওদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মমতাজ বেগমের ছেলে হুমায়ুন কবির চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে হাজির হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারায় একটি মিস মামলা দায়ের করেন যার নং ৯৩৮/১৩(সাতকানিয়া), স্মারক নং-১৭৫৬, তারিখ: ১৮/০৪/২০১৩ইং । উক্ত মামলার আইও এস আই জাফর আহমদ সরে জমিনে তদন্ত করে ৩০/০৪/২০১৩ ইং প্রতিবেদন দাখিল করেন যাতে লেখা আছে… ‘‘ বিরুধীয় বাড়ি ভিটা মমতাজ বেগমের দখলে আছে ’’ । ইতিমধ্যে উক্ত সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে হারুনর রশীদ গং বাদী হয়ে সাতকানিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘‘স্বত্ব সাব্যস্তে দখল স্থিরতরের আবেদন’’ বিষয়ে একটি মামলা করেন যার নং অপর ১৭৮/২০১৩ইং, তারিখ: ২৩/০৪/২০১৩ইং । কিন্তু রফিকুল ইসলাম গং বার বার অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, ওরা গালাগালী করে এবং মমতাজ বেগমের বড় ছেলে হারুনর রশিদকে মারধর করে গুম করে ফেলবার সরাসরি বড় গলায় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । গত ১১ই মে’১৩ইং রফিক তার ছেলে রুবেল, জুয়েল সহ দলবল নিয়ে লাঠি নিয়ে এবং দু’ভাঙ্গা ইট নিয়ে হারুন কে মারতে আসে। সে সময় তারা অনেক শোরগোল করে এবং এক মাসের মধ্যে হারুনকে জানে মারার হুমকি দেয় । তাছাড়া হাজি মমতাজ বেগমের ঘর জ্বালিয়ে দেবারও প্রকাশ্য হুমকি দেয় । এই ঘঠনার পর হাজি মমতাজ বেগমের পরিবার অনেক ভয়-ভীতির মধ্যে থাকে এবং আবারো সাতকানিয়া থানায় রফিক গং এর বিরুদ্ধে ডায়রী করে যার নং: SDR-১৬৬৫/১৩, তা:১১/০৫/২০১৩ইং । এভাবে যদি দিনের পর দিন কতগুলো সন্ত্রাসী ও মাস্তান টাইপের লোক নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে অত্যাচার নীপিড়ন করতেই থাকে তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে দেশে কোন আইন-প্রশাসন কি আধো আছে ? এক সময়ের ডাকাতী মামলার আসামী রফিকুল ইসলামের এই অন্যায় গাদ্দারীর আধো অবসান চান অসুস্থ বৃদ্ধা হাজি মমতাজ বেগম ।

#

সাতকানিয়া থেকে নুরুল ইসলাম ।

ফেইস বুক থেকে http://www.facebook.com/photo.php?fbid=192892120860427&set=a.180184568797849.1073741826.180181515464821&type=1&theater

ফেইস বুকে থেকে পাওয়া রফিক গং এর বিরুদ্ধে আরো কিছু তথ্য....



বিষয়: বিবিধ

৬২৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File