শিশুটি প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি গ্রহণ করেনি
লিখেছেন লিখেছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৫৭:৫০ রাত
১. প্রধানমন্ত্রী শাহবাগ যেতে পারেননি। তাই নিজ কর্মস্থলে মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। তবে আরেকটা মোমবাতি জ্বালিয়ে এক শিশুকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। শিশুটি প্রধানমন্ত্রীর দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। এরমানে কি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মোমবাতি শিশুটি গ্রহণ করেনি।
২. শাহবাগে প্রজন্ম চত্ত্বর নামে বাম ও সরকার দলের সমর্থকরা যুদ্ধাপরাধীর ফাসিঁ দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ দাবীকে গণ দাবী হিসেবে সরকার দলীয় লোকজন গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এটা ভালো দিক তরুণদের মাধ্যমে সরকার একটি আন্দোলন জমাতে সমর্থ হয়েছে।
৩. মজার ব্যাপার হলো শাহবাগ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাসিঁর দাবী করা হচ্ছে। ফাসিঁই যদি দাবী করা হয় তাহলে ট্রাইবুনালের দরকার কি? ফাসিঁ দিয়ে দিলেইতো হয়ে যায়। শুধু এ ইস্যুকে জিয়ে রেখে আরো বহু জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে আড়াল করার দরকার কি?
৪. ৭১ যুদ্ধ কি জামায়াতের বিরুদ্ধে হয়েছে ? না পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হয়েছে? এটা ঠিক যে জাময়াতীরা বাংলাদেশ জন্মের বিরুদ্ধে ছিলো। এজন্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছে। জামায়াতের নেতারাও যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য দায় নিতে হবে। তবে মূলত যুদ্ধাপরাধ বিজয়ী ও বিজিত দুইটা পক্ষই করতে পারে। সে অনুযায়ী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরদিকে জামায়াত ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে কিছু যুদ্ধাপরাধীও আছে। তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনতে হবে। এজন্য সরকার জামায়াত নেতাদের সরকার গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনেছে। অবশ্যই সেটা যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, যুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার। এ বিচার যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তা ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে সরকারই প্রমাণ করেছে।
৫. আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সরকার কখনো পাকিস্তানের ১৯৫ জন সেনা অফিসারের বিচার দাবী করেনা। এটা বড় ধরণের প্রশ্ন। এদের বিচার নিয়ে খুব বেশি কোন পক্ষ কথাও বলেনা। এখন যাদের বিচার করা হচ্ছে এরা সবাই বাংলাদেশী। গো আজম ও নিজামীরা ফাসিঁতে ঝুললে লাভ বেশি পাকিস্তানের। কারণ তারা জোর গলায় বলতে পারবে তোমরাতো আমাদের বিরুদ্ধে শুধু শুধু অভিযোগ করো। এখন দেখো তোমারদের নাগরিকরাই ধর্ষণ হত্যাকান্ড চালিয়েছে। ভবিষতে আমাদের দোষ দিলে খবর আছে।
৬. ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ঘোষণার পরও পাকিস্তানী সৈন্যদের হত্যা করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী এটাও যুদ্ধাপরাধ। তেমনিই একজন অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
৭. সব মিলিয়ে মনে হয়, বতর্মান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। যার কারণেই এ শিশুটি প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি গ্রহণ করেনি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন