মহানবী (সা.) কে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ আখ্যায়িত করা ইসলাম বিকৃতির শামিল -আল্লামা আহমদ শফী

লিখেছেন লিখেছেন নবীণ ধুমকেতু ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৫৯:৪৩ সকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো : গত সোমবার জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দু’জন সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল ও শামীম ওসমান মহানবীকে (সা.) ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যায়িত করা ছাড়াও মদিনা রাষ্ট্র, রাষ্ট্রদ্রোহী ও চুক্তি লঙ্ঘনকারী ইয়াহুদী গোত্র বনু কুরাইযার ৬০০ লোককে মৃত্যুদ- দেয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গে কিছু বিকৃত কথা বলেছেন। যা একদিকে ইসলাম বিকৃতি অন্যদিকে যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর বলে এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর বেফাকুল মাদারিস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী।

গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন, মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে প্রেরিত নবী। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইসলামকেই একমাত্র মনোনীত ও পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মতাদর্শ অবলম্বনকারী ব্যক্তি হেদায়তপ্রাপ্ত বা সত্যপথ অনুগামী নয় বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। ইসলামের প্রবর্তক মহানবী (সা.) যদি ধর্মনিরপেক্ষই হন, তাহলে তিনি ইসলাম ধর্মের নবী হন কী করে? মনে রাখা উচিত, ইসলামে যে কোনো নাগরিকের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত; তবে এর অর্থ ইসলাম বা ইসলামের প্রবর্তক মহানবীকে (সা.) ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যায়িত করা নয়। এতে ইসলামের স্বরূপ সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস লক্ষণীয়। তিনি আরও বলেন, যেসব বিষয়ে মতামত দেয়ার এখতিয়ার বিশেষজ্ঞ আলিম ও ইসলাম সম্পর্কে স্বীকৃত গবেষকদের জন্য শোভনীয় ইসলাম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন না এমন ব্যক্তিদের ইসলাম নিয়ে খেয়াল-খুশি মতো মন্তব্য করা ধৃষ্টতার নামান্তর।

আমরা সংসদ সদস্যসহ দেশের সকল নাগরিককে এ ধরনের কথাবার্তা ও কর্মকা- থেকে সতর্কভাবে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। ইসলাম ও মহানবী (সা.) নিয়ে যে যার মতো মন্তব্য করে ধর্মকে খেলো বানিয়ে ফেলার অধিকার কারও নেই। নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে আগামী বাদ জুমা বাংলাদেশের সকল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার জন্য আলেম-ওলামা, নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিষয়: বিবিধ

১২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য