শাহবাগের রণাঙ্গন থেকে ঘুরে এলাম

লিখেছেন লিখেছেন বঙ্গযোদ্ধা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:০৮:৫৯ রাত

ঘুরে এলাম.....

দেখে এলাম ....

শিখে এলাম....

জেনে, উপলিদ্ধি করে নিশ্চিত হয়ে লিখলাম...

কি আবেগময় অনুভুতি, তারুন্যের বসন্ত, ইতিহাসের সত্য দর্শনের সুখানুভুতি।

শুধু তারুণ্যেরই নয় এ যেন গোটা জাতির এক সুরে বেজে উঠা জাতীয় সংগীত।

শাহবাগের এই রণাঙ্গন আমাদের জাতির সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চিত্র ফুটিযে তুলেছে। তাইতো এর সাথে একাত্বতা পোষন করেছে আমাদের সকল ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া, অর্থাত সকল গণমাধ্যম। এর সাথে একাত্বতা ঘোষনা দিয়েছে আমার প্রিয় মাতৃভুমির ক্রিড়াব্যক্তিত্ত, সাংস্কৃতিক বরেন্য তারকাগন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বৃন্দ, অধ্যপক মন্ডলী, সকল স্তরের ছাত্র ও শিক্ষক মন্ডলী, সকল শ্রেণির পেশাজীবী এবং সর্বস্তরের জনগণ। সর্বোপরি এই চিত্রকে, এই তারুণ্যের মেলাকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চেতনা ও স্বরুপ হিসেবে ঘোষনা করেছেন আমাদের মাননিয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মহান জাতিয় সংসদ। তাই যারা ১৯৭১ এর যুদ্ধ দেখেনি তারা এই মিলন মেলাকে মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের প্রকৃত চিত্র হিসেবে মনে মনে আঁকতে পারেন। ধিক্ তাদের যারা এতদিন ইতিহাস বিকৃত করেছে। যারা নিজেদের হালুয়া রুটির পথকে বংশ পরস্পরায় নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাগিয়ে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ভোগ করছে। যারা কোন কু কর্ম করে আহত বা পঙ্গু হয়েছে তারা তাদের এই ঘঠনাকে পুজি করে আরো বেশি সুবিধা ভোগ করছে। তাদেরকে জবাব দিতে হবে। কোন কারনে তারা জনগনের সম্পদের ভাগীদার? শাহবাগের যেদ্ধাদেরকে যেহেতু ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় ভাবে পৃষ্ঠপোষকতাই শুধূ নয়, সর্বাত্বত সহায়তা দেয়া হছ্ছে। বাহ্যিক হামলার আশংকায় পুলিশ পাহাড়া বসিয়ে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। সেই শাহবাগ যেহেতু সন্দেহাতীত ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি, সেহেতু আমরা নতুন প্রজন্মরা বুঝেনিলাম যে ১৯৭১ সালে তত্কালিন পাকিস্তান সরকারও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সর্বাত্বক সহায়তা দিয়েছে। ধিক্কার ও নিন্দা জানাই তাদের যারা ইতিহাসকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রিয় শুবিধা লুটছে।

জয় তারুণ্য

জয় শাহবাগ

বিষয়: বিবিধ

৯৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File