যে কারণে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলছে বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন জুনায়েদ ২৯ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫৮:৩১ সন্ধ্যা
আড়ালেই থেকে যাচ্ছে জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করার নেপথ্য কথা। কেবল নিজেদের বর্তমানকে সহজতর করতেই ক্ষমতাবানরা নিজেদের চোখে ইতিহাস দেখে, দেখানর চেষ্টা করে। এই নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে একদিকে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুরর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলছে, একইভাবে বিএনপি আবার জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করছে।
বাংলাদেশের ইতিহাস অনুসারে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের সদস্যরা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে অস্থায়ী সরকার। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। দায়িত্ব গ্রহণের দুই দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার গঠন করেন তিনি। শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। এই বিবেচনায় শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপরি হলেও তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নন। এর বিপরীতে ১৯৭৮ সালের ৩০ মে গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। গণভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘটনা ওই বারই প্রথম ঘটেছিল। এই বিবেচনায় জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি।
বিএনপি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বিবেচনা থেকেই জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করে তারেক-খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছেন বলে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। কিন্তু যে যুক্তি থেকে বিএনপি এই দাবি করছে তা সামনে আনছেন না কেউই। বাংলাদেশের রাজনীতির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দলটির প্রধান নেতাদের এমন দাবির পিছনে যৌক্তিক কোন অবস্থান থাকাটাই স্বাভাবিক। জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবির পিছনে বিএনপির নেতৃত্বের যুক্তি হতে পারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস।
বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি। তার আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আরো ছয় ব্যক্তি। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিকালীন অস্থায়ী সরকান গঠনের দিন ১১ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১০ই এপ্রিল ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই হিসেবে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে এসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিনের মধ্যে ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন পদ্ধতি ভেঙ্গে দেন শেখ মুজিবুর রহমান। সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন তিনি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে, পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার জন্য নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের নিয়ে নতুন রাষ্ট্রের প্রথম সংসদ গঠন করেন। নতুন এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ হয়। নির্বাচনে বিজয়ী এই বৈধ সরকারের সদস্যরা শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে। দেশে জারি করা হয় জরুরী অবস্থা। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের মাধ্যমে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ নামের রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। সংক্ষেপে যার নাম দেওয়া হয়, বাকশাল। বাকশাল থেকে প্রত্যন্ত জনসাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদেই আসীন ছিলেন।
বাকশাল গঠন ও শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবু সাঈদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ উল্লাহ। আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর তিনি জেনেভায় বাংলাদেশের বিশেষ দূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আবু সাঈদের পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে খুন হন শেখ মুজিবর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন মোশতাক আহমেদ। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন আসীন ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোচিত-সমালোচিত চরিত্র মোশতাক আহমেদ।
মোশতাক আহমেদের অপসারণের পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বর এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিচাপতি সায়েমকে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল দুর্বল স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়েন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম প্রধান বিচারপতি।
এর পরেই বাংলাদেশের ক্ষমতা দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। আবু সাদাত সায়েমের পদত্যাগের পর ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন জিয়া। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়া দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। নির্বাচনে হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেন তিনি। জিয়াউর রহমান মে মাসে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা এবং আস্থা যাচাইয়ের জন্য ৩০শে মে গণভোট আয়োজন করেন। ‘হাঁ-না’ সূচক ভোটে বিপুল জনসমর্থন লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত জনগণের ভোটের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন জিয়াউর রহমান। খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বেই ছিলেন।
জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলার পিছনে আরো কারণ থাকতে পারে বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে। তারমধ্যে একটি হতে পারে, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া। ১৯৭১ সালে দুদফা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। প্রথম দফায় তিনি নিজ নামেই ঘোষণা করেন। প্রথম ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘আই মেজর জিয়াউর রহমান ডিক্লেয়ার ইনডিপেনডেন্স অফ বাংলাদেশ’। কিন্তু এই ঘোষণায় তেমন সাড়া পাওয়া না গেলে আবারও স্বাধীনতা ঘোষণা দেন তিনি। দ্বিতীয় দফার তিনি বলেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।’ প্রথম দফার স্বাধীনতা ঘোষণায় জিয়াউর রহমান নিজেকে দেশের সর্বময় ক্ষমতায়র অধিকারী ভেবেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই যুক্তিতে তাকে স্বাধীনতার ঘোষকের পাশাপাশি প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দাবি করতে পারে বিএনপি। যার প্রমাণ মেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া তাঁর আইনি ব্যাখ্যায়। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে প্রবাসী সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কার সরকার ছিল? দিশেহারা জাতিকে পথ প্রদর্শন করেছেন জিয়াউর রহমান, তা প্রমাণ করে সে সময় তিনি দেশের মূল ভূমিকা পালন করে দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া বা করা বা চালাতে হয়েছে, সে ব্যবস্থায় তিনি তা করেছেন।’ বিএনপির এই নেতার মতে, মুজিবনগর সরকার গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানই ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণার পিছনে আরো একটি বিষয় কাজ করতে পারে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে। বিএনপির নেতৃত্বের মনে শঙ্কা থাকতে পারে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারির মত বর্তমানে নির্বাচিত দশম সংসদের সদস্যরা সংবিধান পরিবর্তন করে শেখ হাসিনাকে আজীবনের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারে। আর বর্তমানের এই সংসদ যদি তেমন কোন কিছু করে তবে তা মেনে না বিএনপি। বিএনপির নেতৃত্ব জিয়া জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করার মাধ্যমে সরকারকে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এইডাই বিম্পি বা তার মুরিদানরা সাপর্ট করছে.
কম শক্ত পুলাডা লন্ডনে থাইকা নতুন থিথিস আবিষ্কার করলো. বিম্পি যে দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছে তারই প্রমান
তবে এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি একেবারেই অর্থহিন। এটা আমাদের কোনদিক থেকেই উন্নতি করবে না।
- Joy Bangla.”
আমরা সবাই জানি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়।আর সেই অস্থায়ী সরকারের সূচনা করা হয়েছিল ১০ এপ্রিল থেকে।তাহলে ২৬ শে মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন???
ফেসবুকে একজনের স্ট্যাটাস
" Negotiations were begun.We were not in touch with either Sheikh Mujib or his party of East bengal. We did not know what was happening. We read in the papers that there were negotiations.Later, much later, in fact only about a week before I started on this trip, I happened to meet somebody who said he was present at the negotiations. And,on the 24th of march, they thought that they were coming to a settlement, may be not a satisfactory settlement but still something that could be worked out. But this period was in fact used to bring troops from west Pakistan.
অর্থাৎ, আলোচনা শুরু হলো। শেখ মুজিব কিংবা তার দলের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। কাজেই আমরা জানতাম না সেখানে আসলে কী হচ্ছে। তবে খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারি যে একটা আলোচনা চলছে। পরে, আরো অনেক পরে, সত্যি বলতে কি এখানে আসার এক সপ্তাহ আগে একজন লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় যিনি ঐ আলোচনায় শরীক ছিলেন। এই লোকটি জানালেন যে ২৪শে মার্চ তারা ধারনা করেছিলেন যে একটা সমাধানে পৌছতে যাচ্ছেন। সেই সমাধান (পূর্ব বাংলার জন্যে) খুব সন্তোষজনক না হলেও আপাতত কাজ চালানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই সময়টিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য আনা হয়।....
বক্তৃতার এক জায়গায় এসে বিষয়টিকে আরো খোলাসা করে ফেলেন, So,just when we come to a stage where we think we can go ahead much more easily, much faster,we suddenly have problems of another country. They are not our problems.This other country has pushed across the border people who did not vote for their Government, but voted for the regime, they wanted.There is no other crime which these people have committed because the cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested, and not before. He himself,so far as I know, has not asked for independence,even now. But after he was arrested,after there was this tremendous massacre, it was understandable that the rest of the people should say:" After this,how can we live together ? We have to be separate".
অর্থাৎ ' যখন সবেমাত্র নিজেদের সমস্যা সমাধান করে একটু সোজা হলাম, ভাবলাম এখন খুব দ্রুত সামনে এগিয়ে যাব। তখনই অন্যের সমস্যা এসে ঘাড়ে চাপল। সেগুলি আমাদের সমস্যা নয়। এই দেশটি(পাকিস্তান) নিজেদের লোকজনকে বর্ডারের দিকে ঠেলে দিয়েছে যারা তাদের সরকারকে ভোট দেয় নি। তারা নিজেদের পছন্দমত লোকদের ভোট দিয়েছে। এছাড়া এই লোকগুলির অন্য কোন অপরাধ নেই। তারা স্বাধীনতার আওয়াজ তুলেছে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করার পর, এর আগে নয়। এমনকি শেখ মুজিব নিজেও স্বাধীনতা চান নি, এখনও চাচ্ছেন না। কিন্তু তার গ্রেফতারের পর ম্যাসাকার শুরু হলে সঙ্গত কারনেই লোকজন বলছে, এই লোকগুলির সঙ্গে এখন আর একসাথে থাকা সম্ভব নয় । আমাদেরকে
পৃথক হতেই হবে। "
এক জনের ব্লগ হতে
মন্তব্য করতে লগইন করুন