শান্তি ও নিরাপত্তা : এই জীবনের অনুষঙ্গ থেকে সেই জীবনের অনুষঙ্গে

লিখেছেন লিখেছেন জুনায়েদ ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৫৪:০৪ রাত

নিরাপত্তা মানবজীবনের অন্যতম প্রধান কাম্যবস্ত্ত। নিরাপত্তা ছাড়া সুখ ও শান্তি কল্পনাও করা যায় না। প্রাণহানি, সম্পদহানি ও সম্মানহানির ভয় যখন উপস্থিত হয় তখন সুখের সকল উপকরণ বিস্বাদ হয়ে যায়। তাই শান্তিময় জীবনের অন্যতম প্রধান শর্ত নিরাপত্তা।

পৃথিবীর সকল শ্রেণীর মানুষ নিরাপত্তা চায়। সৎ লোকও চায়, অসৎ লোকও চায়। বিশ্বাসীও চায়, অবিশ্বাসীও চায়। অথচ পৃথিবীর সকল নেয়ামতের মতো নিরাপত্তাও আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। তিনিই মানুষকে নিরাপত্তা দান করেন এবং ভীতি ও শঙ্কা থেকে মুক্ত করেন।

মুসলিমজাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. মক্কা নগরীর জন্য তাই প্রথমেই শান্তি ও নিরাপত্তার দুআ করেছিলেন। মক্কাবাসীর জন্য আল্লাহর কাছে খাদ্য চাওয়ার আগেই তিনি চেয়েছিলেন ‘আম্ন’ তথা শান্তি ও নিরাপত্তা।

কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَدًا آَمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آَمَنَ مِنْهُمْ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ قَالَ وَمَنْ كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُ قَلِيلًا ثُمَّ أَضْطَرُّهُ إِلَى عَذَابِ النَّارِ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ

(তরজমা) স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহর কর, আর এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান আনে তাদেরকে ফলমূল থেকে জীবিকা প্রদান কর।’ আল্লাহ বললেন, ‘যে কেউ কুফরী করবে তাকে কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিব, অতঃপর তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব এবং কত নিকৃষ্ট তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল।-সূরা বাকারা ২ : ১২৬

বলাবাহুল্য, এ নিরাপত্তা যেমন মানুষের ব্যক্তিজীবনে জরুরী, তেমনি পারিবারিক জীবনেও তা আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। আর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের শান্তির জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা।

একটি সমাজকে শান্তির সমাজ তখনই বলা যায় যখন তাতে জান-মালের নিরাপত্তা থাকে, সম্মানের সাথে জীবনযাপনের নিশ্চয়তা থাকে। শান্তির উপকরণ যেমন শান্তি নয়, তেমনি নিরাপত্তার উপকরণও নিরাপত্তা নয়। নিরাপত্তা আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। এই নেয়ামত তিনি ব্যক্তি ও সমাজকে তখনই দান করেন যখন আল্লাহর ফরমাবরদারি করা হয়। জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধানের আনুগত্যের দ্বারাই আল্লাহর পক্ষ হতে নিরাপত্তা লাভ করা যায়। পক্ষান্তরে আল্লাহর বিধানের অবাধ্যতা ও নাফরমানী ব্যক্তি ও সমাজকে নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করে। ঐ সমাজে প্রীতি ও একতার পরিবর্তে বিভেদ ও শত্রুতা ছড়িয়ে পড়ে। যারা একে অপরের জান মালের ‘রক্ষক’ হওয়ার কথা তারাই পরস্পরের জানমাল লুণ্ঠন করতে থাকে। ফলে সমাজে বিস্তার লাভ করে ভীতি ও দারিদ্র। শান্তির শত প্রচেষ্টা এবং দারিদ্র বিমোচনের অসংখ্য কর্মসূচী শুধু ব্যর্থই হতে থাকে। আর এই সব কিছু ঘটে আল্লাহবিস্মৃতি ও আল্লাহর নেয়ামতের না-শোকরীর কারণে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-

وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا قَرْيَةً كَانَتْ آَمِنَةً مُطْمَئِنَّةً يَأْتِيهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِنْ كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِأَنْعُمِ اللَّهِ فَأَذَاقَهَا اللَّهُ لِبَاسَ الْجُوعِ وَالْخَوْفِ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ

(তরজমা) আল্লাহ দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন এক জনপদের, যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেখানে আসত সবদিক থেকে প্রচুর জীবনোপকরণ। অতপর তা আল্লাহর অনুগ্রহসমূহ অস্বীকার করল। ফলে তারা যা করত তার জন্য আল্লাহ তাদেরকে আস্বাদ গ্রহণ করালেন ক্ষুধা ও ভীতির আচ্ছাদনের।-সূরা নাহল ১৬: ১১২

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-

وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

(তরজমা) তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে। এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পসন্দ করেছেন এবং ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরীক করবে না। অতপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা তো সত্যত্যাগী।-সূরা নূর ২৪ : ৫৫

ঈমানের বিপরীত বিষয় হচ্ছে কুফর ও শিরক। কুফর ও শিরকে লিপ্ত হওয়া দুনিয়া-আখিরাতের নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করে। সূরা আনআমে ইরশাদ হয়েছে-

وَحَاجَّهُ قَوْمُهُ قَالَ أَتُحَاجُّونِّي فِي اللَّهِ وَقَدْ هَدَانِ وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا وَسِعَ رَبِّي كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ l وَكَيْفَ أَخَافُ مَا أَشْرَكْتُمْ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمْ أَشْرَكْتُمْ بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا فَأَيُّ الْفَرِيقَيْنِ أَحَقُّ بِالْأَمْنِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ l الَّذِينَ آَمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ

(তরজমা) তার সম্প্রদায় তার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হল। সে বলল, তোমরা কি আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছ আল্লাহর সম্বন্ধে?! তিনি তো আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন। আমার পালনকর্তা অন্যবিধ ইচ্ছা না করলে তোমরা যাকে তাঁর শরীক কর তাকে আমি ভয় করি না। সবকিছুই আমার পালনকর্তার জ্ঞানায়ত্ত। তবে কি তোমরা অনুধাবন করবে না? তোমরা যাকে আল্লাহর শরীক কর আমি কীরূপে তাকে ভয় করতে পারি? অথচ তোমরা আল্লাহর শরীক করতে ভয় কর না, যে বিষয়ে তিনি তোমাদেরকে কোনো সনদ দেননি। সুতরাং যদি তোমরা জান তাহলে বল, দুই দলের মধ্যে কোন্ দল নিরাপত্তা লাভের বেশি হকদার? যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই সৎপথপ্রাপ্ত।-সূরা আনআম ৬ : ৮০-৮২

আল্লাহ তাআলার সকল নেয়ামতের মতো শান্তি ও নিরাপত্তার মূল্যও তখনই উপলব্ধি করা যায় যখন কিছু সময়ের জন্য জীবনের কিছু ক্ষেত্রে এই নেয়ামতের সংকট দেখা দেয়। বিবাদ, বিসংবাদ ও হানাহানিতে যখন জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে তখন শান্তি ও নিরাপত্তার মূল্য বুঝে আসে। এই ভীতি ও অশান্তির সময়গুলো অন্তত দু’টো বিষয়ের দিকে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এক. মুহাসাবা ও আত্মপর্যালোচনা। ভালো-মন্দ সকল অবস্থার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষের নিজের কর্ম। এ কারণে সর্বাবস্থায় মুহাসাবা ও আত্মপর্যালোচনা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ইরশাদ হয়েছে-

ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُمْ بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ

(তরজমা) মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে; যার ফলে তাদেরকে তাদের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান; যেন তারা ফিরে আসে।-সূরা রূম ৩০ : ৪১

এ অশান্তির শাস্তি যেমনিভাবে ফাসাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও সমাজ তাদের অপকর্মের জন্য ভোগ করে থাকে, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে তার আগ্রাসনে পড়ে যায় জালিমদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, তাদের প্রতিবাদ ও সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ না করা সমাজ ও গোষ্ঠির লোকজনও। তাই নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি অসত্য, অন্যায়, প্রকাশ্য গুনাহ ও খোদাদ্রোহীতার বিরুদ্ধে যার যার সাধ্যানুযায়ী শান্তিপূর্ণ পন্থায় উদ্যোগ গ্রহণ করাও অপরিহার্য।

দুই. দুনিয়ার ছোট ছোট ভীতি ও শঙ্কা আখিরাতের চরম ভীতি ও শঙ্কার নিদর্শন। এগুলো আখিরাতের কঠিন মুহূর্তে শান্তি ও নিরাপত্তার মূল্য মুমিনের চিন্তায় উপস্থিত করে। কুরআন মাজীদে বারবার কিয়ামত ও আখিরাতের সেই চরম ভীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছে।

জাহান্নামীদের অবর্ণনীয় সন্ত্রস্ততার যে চিত্র আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে তুলে ধরেছেন তা মুমিনের অন্তরাত্মাকে প্রকম্পিত করে তোলে।

আরো ইরশাদ হয়েছে (তরজমা) তুমি কখনো মনে করো না যে, জালিমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ বে-খবর, তবে তিনি তাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন তাদের চক্ষু হবে স্থির। ভীতবিহবল চিত্তে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা ছুটাছুটি করবে। নিজের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে উদাস। যেদিন তাদের শাস্তি আসবে সেদিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক কর, যখন জালিমরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছুকালের জন্য অবকাশ দাও আমরা তোমার ডাকে সাড়া দিব এবং রাসূলগণের অনুসরণ করব। তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের পতন নাই? অথচ তোমরা বাস করতে তাদের বাসভূমিতে, যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল এবং তাদের প্রতি আমি কী করেছিলাম তাও তোমাদের জানা ছিল এবং তোমাদের কাছে আমি তাদের দৃষ্টান্তও উপস্থিত করেছিলাম। তারা ভীষণ চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু তাদের চক্রান্ত আল্লাহ রহিত করেছেন, যদিও তাদের চক্রান্ত এমন ছিল, যাতে পর্বত টলে যেত। তুমি কখনো মনে করো না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, দন্ড-বিধায়ক। যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলিও; এবং মানুষ উপস্থিত হবে আল্লাহর সামনে যিনি এক, পরাক্রমশালী। সেইদিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃঙ্খলিত অবস্থায়, তাদের জামা হবে আলকাতরার এবং আগুন আচ্ছন্ন করবে তাদের মুখমন্ডল। এটা এজন্য যে, আল্লাহ প্রত্যেকের কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রুত হিসাব করেন। এটা মানুষের জন্য এক বার্তা, যাতে এর দ্বারা সতর্ক হয় এবং জানতে পারে যে, তিনি একমাত্র ইলাহ এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্নেরা উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা ইবরাহীম ৪২-৫২

ঐ চরম ভীতির মুহূর্তে আল্লাহ রাববুল আলামীনের পক্ষ হতে অভয় ও নিরাপত্তাই হবে সবচেয়ে বড় নেয়ামত, যার মোকাবেলায় দুনিয়ার সকল ভোগ-উপভোগ অতি তুচ্ছ মনে হবে। এই পরম নেয়ামত আল্লাহ শুধু দান করবেন তাঁর মুত্তাকী বান্দাদেরকে, যারা দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় করেছেন, কিয়ামত ও আখিরাতের কঠিন অবস্থাকে ভয় করেছেন। মেহেরবান আল্লাহ তাদেরকে ঐ জীবনের ভীতি থেকে নিরাপদ রাখবেন। ইরশাদ হয়েছে-

(তরজমা) এবং যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেদিন আকাশমন্ডলির ও পৃথিবীর সকলেই ভীতবিহবল হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদেরকে চান তারা ব্যতিক্রম এবং সকলেই তার নিকট আসবে বিনীত অবস্থায়। তুমি পর্বতমালা দেখছ, মনে করছ, তা অচল, অথচ সেগুলো মেঘকুঞ্জের মতো সঞ্চরমাণ। এটা আল্লাহরই সৃষ্টি নৈপূণ্য, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুষম। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে তিনি সম্যক অবগত। যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে তারচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রতিফল পাবে এবং সে দিন তারা শঙ্কা হতে নিরাপদ থাকবে। যে কেউ অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তাকে অধোমুখে নিক্ষেপ করা হবে আগুনে এবং তাদেরকে বলা হবে ‘তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।’-সূরা নামল ২৭ : ৮৭-৯০

আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনের অনুষঙ্গগুলো ঐ চিরস্থায়ী জীবনেরই কিছু নিদর্শন। এই সকল অনুষঙ্গ থেকে যদি আমরা ঐ জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি গ্রহণ করতে পারি এবং বিস্মৃতি ও উদাসীনতা থেকে মুক্ত হয়ে ঐ কঠিন সময়ের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণ করতে পারি তাহলে সেটিই হবে বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন, ইয়া রাববাল আলামীন।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File